2024-2025 সালে যারা মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে তাদের জন্য ভূগোলের অতি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় বায়ুমণ্ডলের ওপর সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর 🔥। প্রশ্নগুলি খুব গুরুত্বপূর্ণ তাই প্রতিটি পরীক্ষার্থী খুব মনোযোগ সহকারে পড়বে 🔥।
1. সংক্ষিপ্ত উত্তর ধর্মী প্রশ্নাবলী : -
1) পৃথিবীর কোন অংশটি হিমমন্ডল?
Ans - উত্তর গোলার্ধে 66 1/2° উ. ও দ. থেকে 90° উ. ও দ. পর্যন্ত অংশ হিমমন্ডলের অন্তর্গত।
বৈশিষ্ট্য: - এই অংশের গড় উষ্ণতা 0°C -এর কম থাকে। এখানে ঋতু পরিবর্তন তেমন উল্লেখযোগ্য নয়।
2) গ্রীন হাউস প্রভাব কী?
Ans - বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন প্রকার গ্রিন হাউস গ্যাসের উপস্থিতির জন্য পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধির ঘটনাকে গ্রীন হাউস প্রভাব বলে।
গ্রীন হাউস গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব: - বায়ু মন্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইড, মিথেন, ক্লোরোফ্লোরোকার্বন প্রভৃতি গ্রিন হাউস গ্যাসগুলি পৃথিবী থেকে প্রতিফলিত দীর্ঘ তরঙ্গের পার্থিব রশ্মি গুলিকে শোষণ করে এবং তারই প্রভাবে নিম্ন বায়ুমণ্ডলীয় তাপমাত্রা ক্রমশৃবৃদ্ধি পাচ্ছে।
3) অ্যাডভেকশন কী?
Ans - ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে অনুভূমিকভাবে বায়ুপ্রবাহের মাধ্যমে উষ্ণ অঞ্চল থেকে শীতল অঞ্চলের দিকে তাপ সঞ্চালিত হয়। এই পদ্ধতিকে অ্যাডভেকশন বলে।
4) কলকাতা থেকে লন্ডনের উষ্ণতা কম হয় কেন ?
Ans - কলকাতার অক্ষাংশগত অবস্থান 22°34' উত্তর এবং লন্ডনের অক্ষাংশগত অবস্থান 51°30' উত্তর। লন্ডন কলকাতা শহরের তুলনায় উচ্চ অক্ষাংশে অবস্থিত হওয়ায় লন্ডনে কলকাতার তুলনায় তির্যকভাবে সূর্য রশ্মি পতিত হয়। সেই কারণে লন্ডনের উষ্ণতা কলকাতার উষ্ণতার তুলনায় কম হয়।
5) ধরা যাক, কোনো বছরে কলকাতা শহরের মে মাসের প্রতিদিনের গড় উষ্ণতার সমষ্টি 1078. 6°C। এর থেকে কলকাতা শহরের মাসিক গড় উষ্ণতা নির্ণয় করো।
Ans - আমরা জানি, মাসিক গড় উষ্ণতা = প্রতিদিনের গড় উষ্ণতার সমষ্টি / মাসের দিন সংখ্যা
= 1078.6° C/31 [ মে মাসের দিন সংখ্যা = 31 ]
= 34.79° C
সুতরাং, কলকাতার মে মাসের মাসিক গড় উষ্ণতা 34.79°C।
6) সিউড়ির এপ্রিল মাসের 12 তারিখের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 35° C এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 28° C। এখন দৈনিক গড় তাপমাত্রা নির্ণয় করো।
Ans - আমরা জানি, দৈনিক গড় তাপমাত্রা
= দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা + সর্বনিম্ন তাপমাত্রা / 2
= 35+28 / 2 C
=31.5° C
সুতরাং, সিউড়ির 12 তারিখের দৈনিক গড় তাপমাত্রা 31.5° C।
7) এল নিনো কী?[ বরানগড় রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম হাই স্কুল]
Ans - দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে পেরু ও ইকুয়েডরের উপকূলে কোনো কোনো বছর ক্রিসমাসের সময় শীতল পেরু স্রোতের পরিবর্তে যে দুর্বল প্রকৃতির উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের আবির্ভাব ঘটে, সেই ঘটনাকে ' এল নিনো ' বলে।
বৈশিষ্ট্য : - এল নিনোর প্রভাবে পৃথিবীর বিভিন্ন অংশের আবহাওয়ায় অস্বাভাবিক গোলযোগ দেখা যায়।
8) পৃথিবীর উত্তাপের সমতা কীভাবে বজায় থাকে ?
Ans - সূর্য থেকে পৃথিবীতে আগত সৌর রশ্মির বা সূর্যরশির তাপীয় ফলের 34% {ভিন্ন মতে 35% } পৃথিবীকে উত্তপ্ত না করেই মহাশূন্যে ফিরে যায় । বাকি 66% { ভিন্ন মতে 65% } রশ্মি বা কার্যকারী সৌর বিকরণ পৃথিবীকে ক্ষুদ্র তরঙ্গ রূপে উত্তপ্ত করলেও রাতের বেলা পুনরায় দীর্ঘ তরঙ্গ রূপে মহাশূন্যে ফিরে যায় । এর ফলে পৃথিবীর গড় তাপমাত্রার হ্রাসবৃদ্ধি হয় না ও পৃথিবীতে উত্তাপের সমতা বজায় থাকে।
9) অ্যালবেডো কী? [ মাধ্যমিক '14]
Ans - সূর্য থেকে পৃথিবীতে আগত মোট সৌর বিকিরণের শতকরা 34 ভাগ { ভিন্ন মতে 35 ভাগ } বৃহৎ তরঙ্গ রূপে মহাশূন্যে ফিরে যায় এবং এর দ্বারা ভূপৃষ্ঠ ও বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হতে পারে না। একে পৃথিবীর অ্যালবেডো বলে।
10 ) ইনসোলেশন কী?
Ans - ইংরেজিতে incoming solar radiation - কে সংক্ষেপে ইনসোলেশন বলে। সূর্য থেকে বিকিরিত শক্তির প্রায় 200 কোটি ভাগের এক ভাগ ক্ষুদ্র আলোকতরঙ্গ রূপে পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। এই ক্ষুদ্র আলোক তরঙ্গকে সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল বা আগত সৌর বিকিরণ বা ইনসোলেশন বলে।