ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর || মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন || মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

1

 ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর || মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন || মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর 



ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর
 ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর




আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা দশম শ্রেণির ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় অর্থাৎ ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের থেকে প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করবো।। ( Class 10 History Chapter 5 questions and answers)। এই পোস্টে আমরা ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের 50 টির বেশি প্রশ্ন উওর এখানে শেয়ার করবো।।। এর আগের পোস্টের মাধ্যমে আমরা দশম শ্রেণির ভূগোল পঞ্চম অধ্যায়ের এক নম্বরের প্রশ্ন উওর পাবলিশ করেছিলাম।। চাইলে তোমরা নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে, দশম শ্রেণির ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় অর্থাৎ ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের ছোট প্রশ্ন উওর গুলো দেখে নিতে পারো।। ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়টি অনেক বড়ো একটি অধ্যায়, সেজন্য আমরা এই ভারত  প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়টি খুব বড়ো হওয়ায়,    ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়টির সমস্ত 5 নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়তো সম্ভব হবে না। কিন্তু তোমরা আমাদের ওয়েবসাইট থেকে ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়টির গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলোর উওর নিশ্চয়ই পেয়ে যাবে।।




ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ || দশম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উওর ||
ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রশ্ন উওর || দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর || দশম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় || ক্লাস 10 ভূগোল প্রশ্ন উত্তর || ক্লাস 10 ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || class 10 geography chapter 5 question answer || class 10 geography chapter 5 question answer in Bengali || Class 10 Geography Chapter 5 Notes in Bengali




ভারতের প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ প্রশ্ন উত্তর




1-দুন কী??

-  দুন উপত্যকা কাকে বলে??

✅ উত্তরে শিবালিক ও হিমাচল হিমালয়ের মাঝে
হিমালয় থেকে আগত নদীগুলি শিবালিক পর্বতের বাধা পেয়ে সেখানে বিভিন্ন নদী ও হ্রদের সৃষ্টি করে।। পরবর্তীকালে সেই সব নদী এবং হ্রদের নুড়ি, কাকর, বালি ইত্যাদি দ্বারা এক প্রকার উপত্যকা সৃষ্টি হয়।।।।
স্থানীয় ভাষায় সেইসব উপত্যকা গুলিকেই দুন বলা হয়।

ভারতে একটি বিখ্যাত দুন উপত্যকা হল দেরাদুন।




2-কারেওয়া কী??

✅ জম্মু-কাশ্মীর রাজ্যের একপ্রকার বিশেষ ধরনের ধাপযুক্ত মৃত্তিকা দেখা যায়, যা জাফরান চাষের জন্য বিশেষ উপযোগী।। জম্মু-কাশ্মীরের এই ধাপযুক্ত প্রাচীন মৃত্তিকাকেই কারেওয়া বলা হয়।।






3- তাল কী?? অথবা তাল কাকে বলে???

✅ উত্তরে কুমায়ুন হিমালয় হিমবাহের ক্ষয়কার্যের ফলে অনেক গভীর উপত্যকার সৃষ্টি হয়েছিল। পরবর্তীকালে সেই সব গভীর উপত্যকায় জল জমে তখন সেগুলো অনেক বড় বড় হ্রদে পরিণত হয় । কুমায়ুন হিমালয় এ হিমবাহ সৃষ্ট এই হ্রদগুলিকেই স্থানীয় ভাষায় তাল বলা হয়।।।

ভারতের কয়টি বিখ্যাত তার হলো - নৈনিতাল, ভীম তাল, সাততাল ইত্যাদি।




3-  ভাবর ও তরাই কী???

✅ শিবালিক পর্বতের পাদদেশে অনেক অনেক পরিমান নুড়ি, বালি ও পলিগঠিত অনুর্বর ভূমি সৃষ্টি হয়েছে।। শিবালিক পর্বতের পাদদেশের এই অনুর্বর ভূমিই হল ভাবর।। এবং ভাবরের দক্ষিণের হালকা স্যাঁতস্যাঁতেভাব যুক্ত এবং স্বল্প পরিমাণ বনভূমি যুক্ত অংশকে তরাই বলা হয়।




4-ডেকানট্র্যাপ কী??   অথবা, ডেকানট্র্যাপ কাকে বলে???

✅ উপদ্বীপীয় মালভূমি এর উত্তর-পশ্চিমাংশে ব্যাসল্ট লাভা গঠিত পূর্বাংশে ধাপযুক্ত অঞ্চলকে ডেকানট্র্যাপ বলা হয়।।

আজ থেকে প্রায় 7 থেকে 13 কোটি বছর আগে উপদ্বীপীয় মালভূমি বিস্তীর্ণ অংশে খুব বেশি পরিমাণে অগ্ন্যুদগম এর ফলে লাভা দ্বারা আবৃত হয়ে পড়ে। লাভা দ্বারা আবৃত্ত এই মালভূমি ডেকান ট্রাপ নামে পরিচিত।



6- মালনাদ ও ময়দান কী??

✅     মালনাদ ও ময়দান হলো কর্ণাটক মালভূমির দুটি অংশ।।
কর্ণাটক মালভূমির পশ্চিমের খুব বেশি পরিমাণে ঢেউখেলানো ও উঁচুনিচু ভূভাগ হল মালনাদ।।
এবং কর্ণাটক মালভূমির পূর্বের মালনাদের তুলনায় অনেকটা কম তরঙ্গায়িত এবং সমপ্রায়ভূমি হল ময়দান।




7- কচ্ছের রণ কাকে বলে??

✅ কচ্ছ শব্দের অর্থ হলো জলময় দেশ।। গুজরাটের কচ্ছ উপদ্বীপকে তিন দিক থেকে যে লবণাক্ত কাদায় ভরা জলাভূমি বেষ্টন করে আছে, সেই অঞ্চলটিকে কচ্ছের রান বলা হয়।

কচ্ছের উত্তর অংশ হলো বৃহৎ কচ্ছের রান এবং দক্ষিণ-পূর্ব অংশ হল ক্ষুদ্র কচ্ছের রান।।





8- কয়াল কাকে বলে?? 

✅ কেরালার মালাবার উপকূল বারবার উত্থান পতনের ফলে সৃষ্টি হয়েছে। এরূপ বারবার উত্থান-পতনের ফলে কেরালার মালাবার উপকূলে অনেক অনেক গভীর জলাশয় এর উৎপত্তি হয়েছে।। কেরালার মালাবার উপকূলের এসব জলাভূমি গুলিকে স্থানীয় ভাষায় কয়াল বলা হয়।

যেমন ভারতের একটি উল্লেখযোগ্য কয়াল হলো ভেম্বানাদ।




9- টেরিস কী??

✅ কেরালার মালাবার উপকূলে যেসব বালিয়াড়ি সৃষ্টি হয়েছে, সেইসব বালিয়াড়ি গুলিকে স্থানীয় ভাষায় টেরিস বলা হয়।।




10- বহুমুখী নদী পরিকল্পনা কাকে বলে??

✅  যে পরিকল্পনার মাধ্যমে কোন একটি নদীর উপর বাঁধ নির্মাণ করার মাধ্যমে সেই নদী থেকে জল সেচ করা বন্যা নিয়ন্ত্রণ,জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, পর্যটন, নৌ-পরিবহন,পানীয় জলের যোগান,শিল্পে জলের যোগান ইত্যাদি বহু মুখী উদ্দেশ্য সাধন করা হয়, সেই পরিকল্পনাকে বহুমুখী নদী পরিকল্পনা বলা হয়।।

যেমন ভারতের একটি বিখ্যাত বহুমুখী পরিকল্পনা হলো " দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন "।



11-জলবিভাজিকা উন্নয়ন কাকে বলে??

✅ কোন নদী অববাহিকা অঞ্চলের সামগ্রিক ও বিজ্ঞানসম্মত উন্নয়নকে জলবিভাজিকা উন্নয়ন বলে।  অর্থাৎ, যে সামগ্রিক কারিগরি পরিকল্পনার মাধ্যমে কোন নদী অববাহিকা অঞ্চলে বাস্তুতন্তুর, পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান ও সম্পদের স্থায়ী উন্নয়ন  করা যায়, তাকে জলবিভাজিকা উন্নয়ন বা ওয়াটার‍শেড ডেভলপমেন্ট বলা হয়।।



12- বৃষ্টির জল সংরক্ষণের দুটি উদ্দেশ্য লেখো।

✅  বৃষ্টির জল সংরক্ষণের দুটি উদ্দেশ্য হলো -  প্রথমত আমাদের ভৌম জলের ভাণ্ডার কে সুরক্ষিত রাখা বা ভৌম জলের ভাণ্ডার বৃদ্ধি করা।

দ্বিতীয়তঃ বর্ষায় নদী-নালা পুকুর ও জলাশয়ে জলের পরিমাণ বাড়িয়ে অন্যান্য ঋতুর জন্য ব ভবিষ্যতের জন্য সেই জলকে সংরক্ষিত রাখা।





13-মৌসুমি বিস্ফোরণ কাকে বলে??

✅ গ্রীষ্ম কালের শেষের দিকে উত্তর পশ্চিম ভারতে গভীর নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে, আরব সাগর থেকে আসা জলীয় বাষ্পপূর্ণ আদ্র দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু, খুব আকস্মিকভাবে পশ্চিম ভারতের দিকে প্রবেশ করে।। জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু প্রবাহ যখন পশ্চিমঘাট পর্বতের বাধা পায়, তখন তা সেখানে বাধা পেয়ে দক্ষিণ পশ্চিম ভারতের মালাবার উপকূলে হঠাৎ করে প্রবেশ করে।।এবং সেখানে প্রবেশ করার পর প্রবল বজ্রপাত ও বৃষ্টিপাতের মধ্য দিয়ে বর্ষাকালে সূচনা করে।। তাই একে মৌসুমি বিস্ফোরণ বলা হয়।




14-পশ্চিমি ঝঞ্জা বলতে কী বোঝায়? অথবা পশ্চিমী ঝঞ্ঝা কাকে বলে??

✅  শীতকালে ভূমধ্যসাগরীয় ধেয়ে আসা অতি দুর্বল ঘূর্ণবাত এর প্রভাবে ভারতের উত্তর-পশ্চিম ভারতের বেশ কিছু অঞ্চল যেমন পাঞ্জাব, হরিয়ানা,  উত্তরপ্রদেশ জায়গাগুলিতে শীতকালের ঝলমলে দিনগুলিতেও মাঝে মাঝে এক নাগাড়ে দু-তিন দিন ধরে বৃষ্টিপাত হতে থাকে।  এবং সেইসঙ্গে এই ঘূর্ণবাত এর প্রভাবে জম্মু-কাশ্মীরে হালকা বৃষ্টিপাতের সঙ্গে তুষারপাত ঘটে  যার।। এই ঘটনাই পশ্চিমী ঝঞ্জা নামে পরিচিত।।



15- এল নিনো কী??

✅ স্পেনীয় শব্দ এল নিনো এর অর্থ হল দুরন্ত বালক।। দক্ষিণ আমেরিকার পশ্চিম উপকূলের অদূরে দক্ষিণ পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে নানা প্রাকৃতিক কারণে দুই থেকে পাঁচ বছর অন্তর অন্তর ডিসেম্বর মাসের দিকে যে উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের সৃষ্টি হয়, তাকে এলনিনো বলা হয়।।

এল নিনোর বছরে মৌসুমী বায়ু অত্যন্ত দুর্বল প্রকৃতির হয় বলে ভারতীয় উপমহাদেশ অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে যায় এবং এর প্রভাবে খরার প্রাদুর্ভাব বেশি পরিমাণে দেখা যায়।।


16- লা নিনো কাকে বলে??

✅ স্পেনীয় শব্দ লা নিনার অর্থ হলো ছোট বালিকা। প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূল বরাবর দক্ষিণ থেকে উত্তর দিকে যে অধিক শীতল সমুদ্রস্রোতের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় তাকে লা নিনা বলা হয়।। লা নিনা হলো এল নিনোর বিপরীত অবস্থা।।।

লা নিনার বছর গুলিতে বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ঘটে এবং শক্তিশালী লা নিনার প্রভাবে ভারতীয় উপমহাদেশে প্রবল বৃষ্টিপাতে বন্যাও দেখা যেতে দেখা যায়।।





17- কালবৈশাখী কাকে বলে?? অথবা নরওয়েস্টার কী??


✅ পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং বাংলাদেশের কিছু অঞ্চলে গ্রীষ্মকালের বিকেলে বা দুপুরের দিকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি হয়।। একেই স্থানীয় ভাষায় কালবৈশাখী বলা হয়।। 

কালবৈশাখী ঝড়ের নাম কালবোশেখী হওয়ার প্রধান কারণ হলো বৈশাখ মাসে এই ঝড় আসে বলে এর নাম কালবৈশাখী।।  এবং উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে আসে বলে এই ঝড়ের নাম ইংরেজিতে norwester।




18- আশ্বিনের ঝড় কাকে বলে??

✅ উওর: প্রত্যাগমনকারী মৌসুমী বায়ুর সঙ্গে সামুদ্রিক বায়ুর সংঘর্ষে অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বঙ্গোপসাগরে এক শক্তিশালী ঘূর্ণবাতের সৃষ্টি হয়।। এই ঘূর্ণবাত এর প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের যে উপকূলবর্তী রাজ্যগুলি  আছে সেখানে প্রবল পরিমাণে জল বৃষ্টি হয়।। যেহেতু এই ঝড়টি পশ্চিমবঙ্গে আশ্বিন মাসের দিকে দেখা যায় সেজন্য এই সাইক্লোনকে পশ্চিমবঙ্গে আশ্বিনের ঝড় বলা হয়।।




19- লু ও আধি কাকে বলে??

✅ উওর: গ্রীষ্ম কালে ভারতের উত্তর-পশ্চিমে রাজস্থান, গুজরাট,পাঞ্জাব,হরিয়ানা প্রভৃতি স্থানে ভূপৃষ্ঠের সমান্তরালে একপ্রকার খুবই উষ্ণ ও শুষ্ক বায়ু প্রবাহিত হয়।। যার তাপমাত্রা প্রায় 40 ডিগ্রি থেকে 50 ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত।।  স্থানীয় ভাষায় এই অতি গরম বায়ুপ্রবাহকে লু বলা হয়।।

গ্রীষ্ম কালে রাজস্থানের মরুভূমি অঞ্চলে এক প্রকার প্রবল বালির ঝড়ের সৃষ্টি হয়।। রাজস্থানী এই বালিঝড়কেই আধি বলা হয়।।




20- বৃষ্টিপাতের ছেদ বলতে কী বোঝায়??

✅ বর্ষাকালের জুলাই থেকে আগস্ট মাসে হিমালয়ের পাদদেশের মৌসুমী অক্ষ অবস্থান করায়, সেখানে হিমালয়ের পাদদেশে প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হলেও, ভারতের অন্যান্য বেশ কিছু অঞ্চলে একদমই বৃষ্টি হয় না।। বৃষ্টিপাতের এরকম অসম বন্টনকেই বৃষ্টিপাতের ছেদ বলা হয়।






21- রেগুর মৃত্তিকা কাকে বলে??

✅ দাক্ষিণাত্য মালভূমির সমগ্র মহারাষ্ট্র এবং তামিলনাড়ু,গুজরাট, তেলেঙ্গানা উত্তরপ্রদেশে সহ বেশকিছু অঞ্চলের লাভা গঠিত ব্যাসল্ট শিলা থেকে উৎপন্ন এবং বিভিন্ন খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ অত্যন্ত উর্বর  কৃষ্ণ মৃত্তিকাকেই রেগুর মৃত্তিকা বলা হয়।।

রেগুর মৃত্তিকা কার্পাস চাষ খুব ভালো হয় বলে রেগুর মৃত্তিকা অপর নাম হল কৃষ্ণ কার্পাস মৃত্তিকা।


22- র‍্যাভাইন ক্ষয় কাকে বলে??

✅উওর:  যখন জলের ক্ষয়ের দ্বারা সৃষ্ট নালা আরও ক্ষয় হয়ে আগের চেয়ে গভীর হয়ে পড়ে, এবং সেই  খাতের পার গুলো খাড়া হয়ে পড়ে! তখন সেই প্রকার ক্ষয় নালা কে র‍্যাভাইন বলা হয়।।


23- ভাঙ্গার ও খাদার কী??

✅উওর:  ভারতে নদীর তীরবর্তী নবীন পলিমাটি গঠিত সমভূমি কে খাদার বলা হয়।।
এবং নদী থেকে অনেক দূরবর্তী অঞ্চলে বা নদীর গঠিত যেসব পলিমাটি প্রাচীন হয়ে গেছে সেই প্রাচীন পলিমাটি দ্বারা গঠিত ভূমিকে ভাঙ্গার বলে।।

নবীন পলি গঠিত ভূমি অর্থাৎ খাবারের উর্বরতা শক্তি বেশি। যার ফলে এসব জমিতে চাষ বাস খুবই ভালো হয়।।।
অন্যদিকে যেহেতু ভাঙ্গার প্রাচীন পলিমাটি দিয়ে গঠিত হয় সেজন্য ধীরে ধীরে এর উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।। যার ফলে এখানে চাষবাস অতটাও ভালো হয়না





24- ধাপ চাষের গুরুত্ব কী??

✅ উওর: পাহাড়ি অঞ্চলের বিভিন্ন উচ্চতায় অসমতল ভূমিকে সিঁড়ির মতো ধাপ বানিয়ে সেখানে চাষবাস করা হয়।। অসমতল ভূমি সামান্য সমতল হলেও বৃষ্টির জল প্রবাহ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ হয়।।যার ফলে জল প্রবাহ দ্বারা মৃত্তিকা ক্ষয় অনেকাই কম হয়।



25- ঝুম চাষ কাকে বলে??

✅উওর:  সাধারণত পাহাড়ি অঞ্চলের বেশিরভাগ কৃষকরা তাদের চাষের জমি বাড়াতে পাহাড়ের জঙ্গল পুড়িয়ে সে জঙ্গল সাফ করে সেই জমি উদ্ধার করে সেখানে চাষ করতে শুরু করেন।। এরকমভাবে সে জমিতে চাষ করার কিছুদিন পর সে জমির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হয়ে যায়।। এরপর সেই জমির উর্বরা শক্তি ফিরিয়ে আনার জন্য সেটাকে এক থেকে তিন বছর সময় পর্যন্ত রেখে দিতে হয়।। এবং এই সময়ের মধ্যে পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষকেরা অন্য কোন জঙ্গলে গিয়ে ঠিক একইভাবে জঙ্গল পুড়িয়ে জমি উদ্ধার করে।। এই পদ্ধতিকেই সাধারণভাবে ঝুমচাষ বলা হয়।




26- সামাজিক বনসৃজন কাকে বলে??

✅উওর:  সামাজিক বনসৃজন হল কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে সমাজের বৃহৎ অংশের জনগণকে নিয়ে কোনো পতিত জমি উদ্ধার করে সেই জমিতে বনসৃজন করার মাধ্যমে সেখান থেকে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস যেমন কাঠ, ফলমূল, গাছের আঠা, রজন প্রভৃতি সংগ্রহ করার সাথে সাথে আরও কিছু উদ্দেশ্য সাধন করা হয় তাকে, সামাজিক বনসৃজন বলে।





27- সামাজিক বনসৃজন এর কয়েকটি উদ্দেশ্য লেখো।

✅উওর:  সামাজিক বনসৃজন এ কয়টি উদ্দেশ্য হলো -

প্রথমত কোন পতিত বা চাষের অযোগ্য জমিকে উদ্ধার করে সেখানে গাছপালা লাগিয়ে বনসৃজন করা।

দ্বিতীয়তঃ অব্যবহৃত ও অনুর্বর জমিতে উদ্ধার করা।

তৃতীয়তঃ স্থানীয় মানুষদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে তাদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা।

চতুর্থত : রোপণ করা গাছ থেকে কাঠ, ফল, ফুল, রজন ইত্যাদি সংগ্রহ করা




28্- কৃষি বনসৃজন কাকে বলে??

✅ যখন কোন কৃষক তার নিজস্ব জমিতে বিভিন্ন চাষ আবাদের সঙ্গে সঙ্গে কিছু পরিমাণ বনসৃজন করেন, তখন সেই প্রকার বনসৃজনকে কৃষি বনসৃজন বলা হয়।।





29- জীবিকা সত্ত্বাভিত্তিক কৃষি কাকে বলে??

✅ উওর : যখন কোন কৃষক তার নিজস্ব জীবনধারণের জন্য এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের চাহিদা মেটানোর জন্য ফসল উৎপাদন করেন তখন সেই প্রকার কৃষিকে, জীবিকা সত্ত্বাভিত্তিক কৃষি বলে।।

যেমন ধান, পাট, আলু হলো জীবিকা সত্ত্বাভিত্তিক কৃষির উদাহরণ।



30-  মিলেট জাতীয় শস্য বলতে কী বোঝো??

✅ মিলেট হল নিম্নশ্রেণির ফসল।। জোয়ার,বাজরা, রাগি,কোরা, কোডন, কোটকি রাজগীরা প্রভৃতি নিম্নমানের প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ ফসলকে একসঙ্গে মিলেট জাতীয় ফসল বলা হয়।।

বা, উষ্ণ ও শুষ্ক অঞ্চলে যেখানে জলসেচের  সুযোগ কম সেইসব এলাকায় যে স্বল্পস্থায়ী বা স্বল্প সময়ের জন্য ঘাসজাতীয় নিকৃষ্ট শ্রেণীর ক্ষুদ্রাকৃতির দানাশস্য চাষ করা হয়, সেই সকল ফসলকে একসঙ্গে মিলেট বলা হয়।


31-  সবুজ বিপ্লব বলতে কী বোঝায়??

✅ উওর: সবুজ বিপ্লব বলতে বোঝায় 1960 এর দশকে ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি, উন্নত মানের ফসল বীজ,সার, কীটনাশক ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে বিশাল পরিমাণ উন্নতি ঘটে।। ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে এই নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে ভারতে গম এবং ধানের উৎপাদন খুবই বেশি পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিল, এবং একেই সবুজ বিপ্লব বলা হয়।। ভারতের সবুজ বিপ্লবের জনক হলেন ডঃ এম.এস.স্বামীনাথন




32- বিশুদ্ধ কাঁচামাল ও অবিশুদ্ধ কাঁচামাল কাকে বলে??

✅ যেসকল কাঁচামাল সাধারণ অবস্থা থেকে শিল্পজাত দ্রব্য পরিণত হওয়ার পরেও তার কোনো ওজন গত হ্রাস ঘটে না, সেসকল কাঁচামাল কে বিশুদ্ধ কাঁচামাল বলে।।
যেমন পাঠ,কার্পাস,পশম ইত্যাদি।

এবং অন্যদিকে যে সকল কাঁচামাল সাধারণ অবস্থা দেখে শিল্পজাত দ্রব্য পরিণত হওয়ার পর তার ওজনের অনেকটা কমে যায়, তাকে অবিশুদ্ধ কাঁচামাল বলে।। যেমন তামা, লোহা, ইত্যাদি।



33-পণ্য সূচক কী???

✅ পণ্য সূচক হল বিশুদ্ধ কাঁচামাল এবং অবিশুদ্ধ কাঁচামাল নির্ধারণ করার একটি একক। শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং উৎপাদিত দ্রব্যের অনুপাত হল পণ্য সূচক।।। অর্থাৎ কোন একটি শিল্পে কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় সেই কাঁচামালের পরিমাণের অনুপাত এবং সেই কাঁচামাল থেকে যে শিল্পজাত দ্রব্য উৎপন্ন হয়েছে তার পরিমাণের অনুপাতকেই পণ্যসূচক বলা হয়।




34-পেট্রোরসায়ন শিল্পকে আধুনিক শিল্প দানব বলা হয় কেন??

✅ পেট্রোরসায়ন শিল্পকে আধুনিক শিল্প দানব বলার পেছনে কারণ গুলি হল বিগত বেশ কিছু বছর ধরে পেট্রোরসায়ন শিল্প অতি দ্রুত হারে বিকাশ এবং এর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য পেট্রোরসায়ন শিল্পকে উদীয়মান শিল্প বা আধুনিক শিল্প দানব বলা হয়।।



35- দূর্গাপুর কে ভারতের রূঢ় বলা হয় কেন ??

উওর: 

জার্মানির রূঢ় নদীর তীরে স্থানীয় ওয়েস্টফেলিয়া কয়লাখনির উপর ভিত্তি করে যেমন ইস্পাতকেন্দ্র এবং তার উপর ভিত্তি করে অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প কেন্দ্র গড়ে উঠেছে।  ঠিক তেমনি ভারতের দামোদর নদের তীরে রানীগঞ্জ ও ঝরিয়া কয়লাখনির উপর ভিত্তি করে এখানে দুর্গাপুর ইস্পাতকেন্দ্র এবং তার উপর ভিত্তি করে অসংখ্য ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প গড়ে উঠেছে।। এজন্য দূর্গাপুর কে ভারতের রূঢ় বলা হয়।




36- অনুসারী শিল্প কাকে বলে??

✅উওর:  অনুসারী শিল্প বলতে কী বোঝায় যখন কোনো  বৃহদায়তন শিল্পের আশেপাশে কোনো ছোট শিল্প গড়ে ওঠে, অর্থাৎ কোনো বৃহৎ শিল্পকে নির্ভর করে কোনো ছোট শিল্প গড়ে ওঠে, তখন সেই বৃহৎ শিল্পকে অনুসরণ করে গড়ে ওঠা ছোট ছোট শিল্পগুলোকে অনুসারী শিল্প বলা হয়।

যেমন কোন বৃহৎ মোটর গাড়ি নির্মাণ শিল্প কেন্দ্রের পাশে যখন কোনো  ছোট টায়ার, আঠা, প্লাস্টিকের কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস শিল্প গড়ে ওঠে তখন সেগুলো হলো অনুসারী শিল্প।



37- শিকড় আলগা শিল্প বলতে কী বোঝোয়??

✅ উওর: শিকড় আলগা শিল্প বলতে বোঝায় যে সকল শিল্পের প্রধান বিশুদ্ধ কাঁচামাল এর উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে সেই সকল শিল্পকে শিকড় আলগা শিল্প বলে।।

শিকড় আলগা শিল্প গুলি বিশুদ্ধ কাঁচামাল উৎপাদক অঞ্চল এর নিকটবর্তী বা বাজারের নিকটবর্তী বা বাজার  ও কাঁচামাল উৎপাদক অঞ্চলের যেকোনো জায়গায় গড়ে উঠতে পারে।।


38-  সংযোজন ভিত্তিক শিল্প কাকে বলে?

✅ উওর: যেসকল শিল্প বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বা বিভিন্ন উপকরণ এর সংযোজনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে, সে সকল শিল্পকে সংযোজন ভিত্তিক শিল্প বলে।।

যেমন মোটর গাড়ি নির্মাণ শিল্প হল একটি সংযোজন ভিত্তিক শিল্পের উদাহরণ। কোন মোটর গাড়ি নির্মাণ শিল্পের বিভিন্ন টায়ার-টিউব ব্যাটারি লাইট কাজ প্লাস্টিকের বিভিন্ন জিনিসপত্র সংযোজনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। এজন্য একে সংযোজন ভিত্তিক শিল্প বলা হয়।



39- ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বা পূর্ত শিল্প কাকে বলে??

✅ উওর: বিভিন্ন প্রকার ধাতু বিশেষ করে ইস্পাত ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকার যন্ত্রপাতি, কলকবজা প্রভৃতি তৈরি করার শিল্পই হল ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বা পূর্ত শিল্প।

ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প প্রধানত দুই প্রকার -
হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প  এবং ভারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প।

• যে প্রকার ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পে অতি সূক্ষ্ম ও হালকা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে অতি সূক্ষ্ম ও জটিল যন্ত্রাংশ তৈরি করা হয় তাকে হালকা ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বলা হয়।

• এবং যে প্রকার ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পের বৃহদাকার যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে অনেক বড় ও জটিল যন্ত্রপাতি বা কোনো যন্ত্র তৈরি করা হয় তাকে ভারি ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প বলা হয়।




40- তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বলতে কী বোঝায়??

✅ উওর: যে প্রকার শিল্প মানব সম্পদ বা মানুষের মেধার ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থার মাধ্যমে গড়ে ওঠে সেটা হল তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প।



41- আউটসোর্সিং ও আউটসোর্সিং কী ?

✅ উওর: আউটসোর্সিং ও অফসোর্সিং কথাটি তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের সঙ্গে জড়িত।। যখন কোন একটি সংস্থা বাইরের অন্য কোন সংস্থার মাধ্যমে তার কাজ করে নেয় তখন সেটা হল আউটসোর্সিং। এবং সেই একই কাজ যখন অন্য কোন দেশ থেকে করিয়ে নেওয়া হয়, তখন তাকে অফসোর্সিং বলা হয়।




42-  জনঘনত্ব কাকে বলে??

✅ উওর: কোন নির্দিষ্ট অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা কে সেই অঞ্চলের মোট ক্ষেত্রমান বা ক্ষেত্রফল দিয়ে ভাগ করলে যে সংখ্যা পাওয়া যায়, তাকে সেই অঞ্চলের জনঘনত্ব বলা হয়।

যেমন 2011 সালের আদমশুমারি অনুযায়ী ভারতের জনঘনত্ব দাঁড়ায় -

121.02 কোটি/ 31.66 লক্ষ বর্গ কিমি = 382.20 জন বা 382 জন বর্গ কিমি।


43- মানব জমি অনুপাত কী??

✅ উওর: কোন দেশের বা অঞ্চলের মোট কার্যকরী জমির
পরিমাণ এর সঙ্গে সেই অঞ্চলের বা দেশের মোট জনসংখ্যা বা মানুষের অনুপাতকে মানুষ জমি অনুপাত বলা হয়।



44- কাম্য জনসংখ্যা কাকে বলে??

✅উওর:  যখন কোন দেশের বা নির্দিষ্ট অঞ্চলের জনসংখ্যার পরিমাণ এবং সেই দেশের বা অঞ্চলের সম্পদের পরিমাণ প্রায় সমান হয়, তখন সেই অঞ্চলের জনসংখ্যার পরিমাণকে কাম্য জনসংখ্যা বলা হয়।।



45- নগরায়ন কাকে বলে??

✅উওর:  নগরায়ন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে কোনো গ্রামাঞ্চল ধীরে ধীরে শহরে পরিণত হয়।। এবং সেখানে আধুনিক জীবনযাত্রায় জটিল ও সরল জীবনযাত্রা উভয়ই চলার সুযোগ সৃষ্টি হয়।। এই পদ্ধতিকেই নগরায়ন বলা হয়।


46- ধারণযোগ্য উন্নয়ন বলতে কী বোঝো??

✅ উওর:  ধারণযোগ্য উন্নয়ন হল বর্তমান সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে সম্পদের এমন ভাবে ব্যবহার ও সংরক্ষণ  করতে হবে যে, সেই সম্পদ যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একই ভাবে ব্যবহার করার সুযোগ পায়।। অর্থাৎ সম্পদের এমন ভাবে ব্যবহার যা বর্তমান প্রজন্মের চাহিদা মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। এই পরিকল্পনাকে ধারণযোগ্য উন্নয়ন বা সাসটিনেবল ডেভলপমেন্ট বলে।



47- সোনালী চতুর্ভুজ কাকে বলে??

✅ উওর: ভারতের চারটি বৃহৎ মহানগর - দিল্লি,মুম্বাই, চেন্নাই, কলকাতা এই প্রধান চারটি মেট্রোপলিটন শহরগুলিকে একসাথে যে সড়ক পথ ব্যবস্থার মাধ্যমে যুক্ত করা হয়েছে, তাকে সোনালী চতুর্ভুজ বলা হয়।।
সোনালী চতুর্ভুজ এর মোট দৈর্ঘ্য হল 5846 কিমি।।




48-   উত্তর-দক্ষিণ এবং পূর্ব-পশ্চিম কড়িডোর কাকে বলে? 

✅ উত্তর : জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে দক্ষিনে কন্যাকুমারি কন্যাকুমারী পর্যন্ত এবং পশ্চিমে গুজরাটের পোরবন্দর থেকে পূর্বে অসমের শিলচর পর্যন্ত 4-6 লেনের দ্রুতগামী সড়ক পথ  তৈরি করা হয়েছে তাকে, উত্তর দক্ষিণ ও পূর্ব পশ্চিম কড়িডোর বলা হয়।



49- হীরক চতুর্ভুজ কাকে বলে??

✅ উওর: সোনালী চতুর্ভুজ কে অনুসরণ করে ভারতের প্রধান চারটি মেট্রোপলিটন শহরকে যুক্ত করার জন্য যে দ্রুতগামী রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরী করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, তার নাম দেওয়া হয়েছে হীরক চতুর্ভুজ।





50- বন্দরের পশ্চাদভূমি কাকে বলে??

✅উওর:  কোনো বন্দরের যে পার্শ্ববর্তী ও পশ্চাৎ অঞ্চল থেকে সেখানকার অতিরক্ত পণ্য রপ্তানি করা হয় এবং সেই অঞ্চলের প্রয়োজনীয় দ্রব্য বন্দর দিয়ে আমদানি করা হয়, বন্দরের সেই পার্শ্ববর্তী অঞ্চল কে বন্দরের পশ্চাদভূমি বলা হয়।।


51- পোতাশ্রয় কাকে বলে??

✅ উওর: প্রোতাশ্রয় হলো জাহাজ রাখার একটি বিশেষ জায়গা।। যখন সামুদ্রিক বন্দর গুলিতে প্রবল পরিমাণে ঝড়- বৃষ্টি হয় তখন জাহাজগুলির যাতে কোনো ক্ষতি না হয়ে যায়, এজন্য জাহাজগুলোকে বন্দরের একটি বিশেষ জায়গায় রাখা হয়।। এবং বন্দরের সেই জায়গাগুলিকেই প্রোতাশ্রয় বলা হয়।


🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶



ভারত প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ অধ্যায়ের সমস্ত 100 + প্রশ্ন উত্তর 👇👇

ভারত (অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ) অধ্যায়ের সমস্ত প্রশ্ন উত্তর || ভারত অর্থনৈতিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ অধ্যায়ের 110 + গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর || মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উত্তর

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top