সংঘবদ্ধতার গোড়ার অধ্যায়ের কথা 2 মার্কের উওর 2024 || মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর 2024
- সিপাহি বিদ্রোহ কাকে বলে???
- 1857 খ্রিষ্টাব্দে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয় সৈনিকরা, এন্ডফিল্ড রাইফেলের ব্যবহার নিয়ে কোম্পানির সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়।। এরপর এই কারণকে ঘিরে মুরশিদাবাদের বহরমপুর সেনানিবাসের 11 নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রির সেনাবাহিনীরা 1857 খ্রিস্টাব্দে 26 শে ফেব্রুয়ারি প্রথম বিক্ষোভ করতে শুরু করে। এরপর ব্যারাকপুর সেনানিবাসের 34 নং নেটিভ ইনফ্যান্ট্রি শেয়ার সিপাহিরা অভ্যুত্থান ঘটে এখানকার সিপাহি মঙ্গল পান্ডে 29 মার্চ বিদ্রোহ ঘোষণা করে।। এবং এভাবেই মহাবিদ্রোহের শুরু হয়।।
- সিপাহী বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ কারণ কি ছিল?
অথবা,
- সিপাহী বিদ্রোহের মূল কারণ কি ছিল??
- উত্তর - সিপাহী বিদ্রোহের মূল বা প্রধান কারণ ছিল সিপাহিদের মধ্যে এনফিল্ড রাইফেল এর প্রবর্তন।।
- ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে বিদেশি সৈনিকদের এই রাইফেলের ব্যবহার নিয়ে কোন অসুবিধা না থাকলেও, ভারতীয় সৈনিকদের মধ্যে এই রাইফেল ব্যবহার নিয়ে যথেষ্ট অসুবিধা ছিল।। কারণ তখন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সেনাবাহিনীতে কর্মরত ভারতীয় হিন্দু এবং মুসলিম সৈনিকদের মধ্যে এই গুজব ছড়িয়ে ছিল যে, এনফিল্ড রাইফেলের যে টোটা - তার মধ্যে গরু এবং শুয়োরের চর্বি মেশানো থাকে!! এবং এ কথা শোনার পর হিন্দু এবং মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের সৈনিকদের মধ্যে ধর্মনাশের ভয় সৃষ্টি হয়।। তখন ভারতীয় হিন্দু এবং মুসলিম সৈনিকরা এনফিল্ড রাইফেল ব্যবহার করতে অস্বীকার করে। এবং তাদের এই দাবি না মানা হলে সিপাহীরা বিদ্রোহের পথে পা বাড়ায়! এবং এভাবেই সিপাহী বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল।।।
- মঙ্গল পান্ডে কে ছিলেন ???
-
- উত্তর- 19 জুলাই ১৮২৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় জন্মগ্রহণকারী মঙ্গল পান্ডে ছিলেন ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির 34 নং বেঙ্গল আর্মির একজন হিন্দু সিপাহী।। মঙ্গল পান্ডে সিপাহী বিদ্রোহের মুল কারণ - "এনফিল্ড রাইফেলের " ব্যবহার নিয়ে ব্যারাকপুরে সেনাছাউনিতে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন! এবং তার নেতৃত্বে সিপাহী বিদ্রোহের খবর অন্যান্য সামরিক সেনাছাউনিতে ছড়িয়ে পড়েছিল। মঙ্গল পান্ডে 29 শে মার্চ 1857 খ্রিস্টাব্দে বিদ্রোহ ঘোষনা করেন।। এবং তিনি তার লেফটেন্যান্ট - বোগ"- কে আক্রমণ করেন.. এবং এই কাজের জন্য ,- " 8 এপ্রিল 1857 খ্রিস্টাব্দে " -মঙ্গল পান্ডেকে ফাঁসি দেওয়া হয়।। এবং এভাবেই মাত্র ঊনত্রিশ বছর বয়সে মঙ্গল পান্ডে মৃত্যুবরণ করে সিপাহী বিদ্রোহের প্রথম শহীদ হন।।
-1857- খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে সিপাহি বিদ্রোহ বলা সংগত??
- উত্তর- 1857 - খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে শুধুমাত্র সিপাহী বিদ্রোহ বলা যায়না!! কারণ এই বিদ্রোহ 1857 খ্রিস্টাব্দে সিপাহিদের মধ্যে, সিপাহিদের নিজস্ব কারণ দ্বারা শুরু হলেও,, পরবর্তীকালে এই বিদ্রোহের এর মধ্যে বিভিন্ন দিক এবং বিভিন্ন চরিত্র লুকিয়ে ছিল।।। এই বিদ্রোহ প্রথম দিকে সিপাহিদের দ্বারা পরিচালিত হলেও, পরবর্তীকালে উত্তর এবং মধ্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ জনগন! সাধারন মানুষ, অনেক সময় সামন্ত প্রভুরাও এই বিদ্রোহে শামিল হয়েছিল! এবং তারাও বিদ্রোহীদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে 1857 খ্রিষ্টাব্দের এই বিদ্রোহ চালিয়ে গিয়েছিল।।। সুতরাং 1857- খ্রিস্টাব্দের বিদ্রোহকে শুধুমাত্র সিপাহী বিদ্রোহ সংগত নয়।।
- সিপাহী বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়েছিল কেন??
-
- যেকোনো একটি বিদ্রোহ জিততে হলে তার মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু জিনিস থাকা দরকার।।
- যেমন সেই বিদ্রোহের নির্দিষ্ট একটি লক্ষ্য!!,, বিদ্রোহ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সুনির্দিষ্ট একটি পরিকল্পনা!,, এবং বিদ্রোহীদের জন্য চাই বিরাট সৈন্যদল এবং আধুনিক অস্ত্রসস্ত্র।।
- সিপাহী বিদ্রোহের মূল কারণ যদি বলা যায় তাহলে সেটা হবে সিপাহিদের মধ্যে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাব।। এবং সিপাহিদের কাছে বিদ্রোহ চালিয়ে যাওয়ার মত সৈনিকের অভাব ছিল।। সিপাহিরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ জনগণের সাহায্য পায়নি!! উত্তর ও মধ্য ভারতের জনগণের কাছ থেকে তারা সাহায্য পেলেও, অন্যান্য জায়গা থেকে সিপাহীরা কোনভাবেই কোনরকম সাহায্য পাইনি।। যার ফলে সিপাহিদের কাছে এই বিদ্রোহ চালিয়ে যাওয়া খুব কঠিন হয়ে পরেছিল।। এবং এভাবেই সিপাহিদের বিদ্রোহ আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যায়।।
- বাঙালি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় 1857- খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে সমর্থন করেনি কেন??
- অথবা
- 1857- খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙালি সমাজের মনোভাব কেমন ছিল??
উ- 1857 - খ্রিস্টাব্দে বাঙালি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায়, বা শিক্ষিত সম্প্রদায় ইংরেজদের সরকারের শাসন তাদের জন্য কল্যাণকর বলে মনে করতো।। বাঙালি বুদ্ধিজীবী সম্প্রদায় এটা মনে কত যে ব্রিটিশ শাসনের মাধ্যমেই তারা আধুনিক ভারতের দিকে এগিয়ে যাবে।।। যেহেতু শিক্ষিত বাঙ্গালী সমাজ, ইংরেজ সরকারের থেকে নানান সুযোগ সুবিধা ভোগ করতো! তাই তারা সবসময়ই ইংরেজ সরকারের পক্ষপাতি হয়েছিল।।। তারা মনে করতো যে, যদি সিপাহীরা সিপাহী বিদ্রোহ জিতে যায় তাহলে হয়তো ভারতে সে মধ্যযুগীয় রাজা মহারাজার শাষন চলে আসবে!! এবং বাঙালি সম্প্রদায় এখন যেই সুযোগ-সুবিধাগুলো ইংরেজ শাসনের কাছ থেকে পাচ্ছে সেগুলো হয়তো তার আর কখনোই পাবে না!! এজন্য শিক্ষিত বাঙালি সম্প্রদায় থেকে অনেক 1857- খ্রিষ্টাব্দের বিদ্রোহ থেকে অনেক দূরে ছিল.. অনেক সময় দেখা গেছে যে বিদ্রোহ দমন করার জন্য অনেক ক্ষেত্রেই ইংরেজ সরকারকে, কিছু কিছু বাঙ্গালী বিশেষ ভাবে সাহায্যও করেছিল।।
- মহারানীর ঘোষণাপত্র কি??
-
- উত্তর - 1857 খ্রিস্টাব্দে মহাবিদ্রোহ শেষ হয়ে গেলেও এই মহাবিদ্রোহ ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল।। ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পেরেছিল যে ভারতের মতো একটি বড় দেশের শাসনভার একটি কোম্পানির শাসনের হাতে দেওয়া ঠিক নয়!! এজন্য মহারানী ভিক্টোরিয়া নিজ হাতে ভারতের শাসনভার তুলে নেন এবং 1858 খ্রিস্টাব্দের - "ভারত শাসন আইন "- দ্বারা ভারতে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি শাসনের অবসান ঘটান।। এরপর মহারানী ভিক্টোরিয়া যে ভারতের শাসনভার নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন এই কথা 1858 খ্রিষ্টাব্দের 1 লা নভেম্বর এলাহাবাদের দরবারে তার রাজপ্রতিনিধি লর্ড ক্যানিং এর দ্বারা এক ঘোষণা পএের মাধ্যমে প্রকাশ করেন।। যা - "মহারানির ঘোষণা " - পএ নামে পরিচিত।।।
- উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধকে সভা সমিতির যুগ বলা হয় কেন??
অথবা,
- সভা সমিতির যুগ বলতে কী বোঝায়???
- 1855 খ্রিষ্টাব্দে ভারতে জাতীয় কংগ্রেস দলটি প্রতিষ্ঠা আগে ভারতের বিভিন্ন জায়গায় আঞ্চলিক ভিত্তিতে!যেমন, বোম্বাই,কলকাতা, দিল্লি ইত্যাদি জায়গায়! বিশেষ করে বাংলার বিভিন্ন জায়গায়, স্থানীয় নেতাদের উদ্যোগে, তাদের বিভিন্ন রাজনৈতিক দাবি দাওয়া, পুরন এর উদ্দেশ্যে, এবং সংঘবদ্ধভাবে রাজনৈতিক চেনতার প্রসারে স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, বা সভাসমিতি গড়ে ওঠতে শুরু করে।। সেসময়কার বাংলার কিছু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান ছিল, যেমন - বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা, ভারত সভা, জমিদার সভা ইত্যাদি। এজন্যই ঐতিহাসিক অনিল শীল হাজার উনিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সভা সমিতির যুগ বলেছেন।।
- ভারত সভার লক্ষ্য গুলি কী কী ছিল ???
- অথবা,
-
- ভারত সভা প্রতিষ্ঠিরা দুটি উদ্দেশ্য লেখো।।
-
উত্তর- 1876 খ্রিস্টাব্দে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, আনন্দমোহন বসু, শিবনাথ শাস্ত্রী, এবং তারকনাথ গাঙ্গুলীর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত -" ভারত সভা "- প্রতিষ্ঠার নির্দিষ্ট কিছু লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য ছিল।।
- ভারত সভা " - প্রতিষ্ঠার প্রথম লক্ষ্য ছিল - ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ এবং প্রসার ঘটানো।
- দ্বিতীয়তঃ ভারতীয়দের সার্বিক কল্যাণ সাধন ও স্বার্থ রক্ষা করা।।।
- তৃতীয়তঃ দেশে শক্তিশালী জনমত গঠন করা।।
- চতুর্থত ঃ ভারতের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে একতাবোধ গড়ে তোলা এবং হিন্দু ও মুসলিমদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলা, এবং তাদের ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে শামিল করা।।
- মূলত এরকম কিছু লক্ষ্য নিয়েই 1876 খ্রিস্টাব্দে ভারত সভা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।।।
- ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট অথবা দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন বলতে কী বোঝায়?? এবং এর উদ্দেশ্য কি ছিল??
-
উত্তর - 1878 খ্রিস্টাব্দের 14 -ই মার্চ, লর্ড লিটন দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন অথবা ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট আইন প্রবর্তন করেছিল।।
ভার্নাকুলার প্রেস অ্যাক্ট অথবা দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন হলো এমন একটি আইন, যার মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় সংবাদ পএ গুলোর ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার কেড়ে নিয়েছিল।।।।
ভারতের যেসব পত্র - পএিকা ব্রিটিশ শাষন ও খারাপ কার্যকলাপের বিরুদ্ধে স্বাধীন মতামত প্রকাশ করতো, এবং এসব লেখার মাধ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনার বিকাশ ঘটাতো! তাদের সেই অধিকার খর্ব করার জন্যেই ব্রিটিশ সরকার এই আইনটি পাস করেছিল।।
- ইলবার্ট বিল কি??
- অথব, ইলবার্ট বিল বলতে কী বোঝায়??
- উত্তর - 1873 খ্রিস্টাব্দে ফৌজদারি আইন অনুযায়ী কোনো ভারতীয় বিচারকের কাছে এই অধিকার ছিলনা যে, সে কোনো ইউরোপীয় অপরাধীর বিচার করতে পারবে।।। কিন্তু ভারতীয় বিচারপতিদের কাছে এই ক্ষমতা না থাকলেও,ইউরোপীয় বিচারপতিদের কাছে এই ক্ষমতা নিশ্চিই ছিল যে,, কোনো ইউরোপীয় বিচারপতি কোনো ভারতীয় অপরাধীর বিচার করতে পারবে।। লর্ড রিপন বিচারব্যবস্থায় এই জাতিভেদ মূলক বৈষম্য দূর করার জন্য তার আইন পরিষদের সদস্য - "কোর্টনি ইলবার্ট "- কে একটি বিল বা খসড়া তৈরি করতে বলেন।। এই বিলের মধ্যে এই ক্ষমতা দেওয়া ছিল যে কোনো ভারতীয় বিচারপতি কোন ইউরোপীয় অপরাধীর বিচার করতে পারবে!! এবং এই বিল বা বা খসড়াই - " ইলবার্ট বিল " -নামে পরিচিত।
-ভারতীয়রা কেন ইলবার্ট বিল এর সমর্থন করেছিলেন??
- 1883 খ্রিস্টাব্দের ইলবার্ট বিল এর মাধ্যমে যেহেতু ভারতীয় বিচারপতিদের হাতে কোন ইউরোপীয় অপরাধীর বিচার করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছিল,
- এবং ভারতীয় বিচারপতিদের ব্রিটিশ বিচারপতিদের সম সমান অধিকার দেওয়া হয়েছিল।। তাই ভারতীয়দের কাছে এটা একটা সম্মানের বিষয় ছিল।।। তাই যখন ইউরোপীয়রা ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে শুরু করেছিল, তখন ভারতীয়রা বিশেষ করে - ভারত সভার সদস্যরা ইলবার্ট বিলের সপক্ষে আন্দোলন করতে শুরু করেছিল।।
নিচে দেওয়া লিঙ্ক গুলোর ওপর ক্লিক করে বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন গুলো দেখে নিতে পারেন। 👇
1- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর
2- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উওর
3- সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
4- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর ও সাজেশিন
6- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন উওর ও সাজেশন
9- বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উওর
11-বিদ্যাসাগরের নেতৃত্বে বিধবা বিবাহ আন্দোলনের সংক্ষিপ পরিচয়
12- উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের ভুমিকা।
- হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল???
-
- উত্তর -1867 খ্রিস্টাব্দে নবগোপাল মিত্র দ্বারা প্রতিষ্ঠিত - " হিন্দু মেলা প্রতিষ্ঠার প্রধান লক্ষ্য গুলি ছিল " -
- প্রথমত জাতীয়ভাবের প্রসার ঘটানো।। দেশাত্মবোধ সৃষ্টি করে হিন্দুদের মধ্য ঐক্যতা গঠন করা।। এবং বিশেষ করে সবার মধ্যে দেশাত্মবোধ সৃষ্টি করা।।
- দ্বিতীয়তঃ স্বদেশী আন্দোলনে উৎসাহ দেওয়া, শিল্পকর্মে উৎসাহ দেওয়া এবং সবশেষে সকলের মধ্যে জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি করাই ছিল হিন্দু মেলার প্রধান লক্ষ্য।।
-আনন্দমঠ উপন্যাসটি কিভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা কে উদ্দীপ্ত করেছিল??
- উ- বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত - "আনন্দমঠ"- উপন্যাসটি যেভাবে সবার মধ্যে যেভাবে জাতীয়তাবাদী ভাবধারা উদ্দীপ্ত করেছিল! সেটা হলো, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার আনন্দমঠ উপন্যাসের মাধ্যমে সবার সামনে- স্বদেশপ্রেম, দেশ মাতার পূজা, এবং দেশমাতার সেবার কথা তুলেধরেছিলেন।। যা সবার মধ্যে দেশাত্মবোধের সৃষ্টি করেছিল।।
- দ্বিতীয়তঃ বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসের মধ্যে - জন্মভূমি কে মাতৃরূপে কল্পনা করে রচিত - "বন্দেমাতরম " সঙ্গীতটি স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা বিপ্লবীরা,,সেটাকে বিপ্লবী মন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।।
- তৃতীয়তঃ বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাসটি দেশের যুব সম্প্রদায়কে স্বদেশপ্রেম,,স্বদেশ ভক্তি, দেশ মাতার পূজা এবং দেশসেরার পাঠ পড়িয়েছিল।। এবং ভারতীয়দের কাছে এই উপন্যাসটি স্বদেশপ্রেমের গীতা রূপে চিহ্নিত হয়েছিল।।
- বর্তমান ভারত কিভাবে জাতীয়তাবাদের প্রচারে সাহায্য করেছিল ???
-
- উত্তর - স্বামী বিবেকানন্দ রচিত বর্তমান ভারত যেভাবে জাতীয়তাবাদের প্রচারে সাহায্য করেছিল তা হল-
- স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর এই গ্রন্থে দেশবাসীকে পাশ্চাত্যের অনুকরণ বাদ দিয়ে ভারতমাতার মুক্তির জন্য কাজ করতে বলেছিলেন।।
- স্বামী বিবেকানন্দ - " বর্তমান ভারত"- এ ভারতের চতুর্বর্ণের মধ্যে সংঘাতের চিত্র তুলে ধরে ভারতের নিম্নবর্গের মানুষের ভবিষ্যৎ এর গুরুত্বকেতুলে ধরে তাদের সামাজিক অধিকার প্রতিষ্ঠার কথা বলেছিলেন।।। তিনি বলেছেন যে মানুষ জন্ম থেকেই মায়ের জন্য বলি প্রদত্ত।। দেশবাসীকে স্বদেশপ্রেমের আদর্শে দীক্ষিত করে তিনি বলেছিলেন - "ভারতবাসী আমার ভাই " -" ভারতবাসী আমার প্রাণ " ভারতের দেবদেবী আমার ঈশ্বর! ভারতের সমাজ আমার শিশুশয্যা! আমার যৌবনের উপবন আমার বার্ধক্যের বারাণসী!! বল ভাই ভারতের মৃত্তিকা আমার স্বর্গ ভারতের কল্যাণ আমার কল্যাণ।।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - "গোরা " -উপন্যাসের মাধ্যমে কিভাবে জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটেছিল??
- অথবা -
- গোরা উপন্যাসটি কিভাবে জাতীয়তাবোধের প্রসারে সাহায্য করেছিল??
উ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - "গোরা" - উপন্যাসটি যেভাবে জাতীয়তাবাদের প্রসার সাহায্য করেছিল ! সেটা হলো- রবীনাথ ঠাকুরের গোরা উপন্যাসের মূল চরিত্র ছিল গোড়া।। এই উপন্যাসে যেমন গোড়া এটা জানতে পেরেও,যে সেনিজে একজন আইরিশ!!! কিন্তু এরপরেও গোড়া ভারতবর্ষেকেই ভালোবাসতো।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ঠিক তেমনি বাকি সবার মধ্যেও স্বদেশপ্রেমের চেতনা জাগিয়ে তোলার কথা বলেছেন।।
- তিনি ইউরোপীয় সমাজের পরিবর্তে এদেশীয় সমাজের উপর গুরুত্ব দান করে দেশীয় আদর্শ তুলে ধরেন এবং স্বদেশপ্রেমের আদর্শ প্রচার করেন।।
- হিন্দু সমাজে জাতিভেদ প্রথা তুলে ধরে সামাজিক সমীক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছিলেন।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর গোরা উপন্যাসের মাধ্যমে উগ্রো স্বদেশ চেতনা প্রকাশ করেছিলেন।। জাতি- ধর্মের সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে সকল শ্রেণীর মানুষকে দেশ হিতৈষণা কাজে আহ্বান জানিয়েছেন।।
- গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর কিভাবে উপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছিলেন???
-
- উ- ভারতের!তথা বাংলার বিখ্যাত ব্যঙ্গচিত্র শিল্পী গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রত্যক্ষভাবে কোনো রাজনৈতিক দল, বা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত না থেকেও তিনি তার ব্যঙ্গ চিত্রের মাধ্যমে ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেছিলেন।।
- গগেন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাজের বিভিন্ন সমালোচনা মূলক বিষয় বা, বা ঔপনিবেশিক সমাজের বিভিন্ন খারাপ দিকগুলি! যেগুলো সমালোচনার যোগ্য, সেই বিষয়গুলি নিয়ে, তিনি তার ব্যঙ্গচিএ তৈরি করতেন।।
- এবং এরকম ব্যঙ্গ চিত্রের মাধ্যমেই তিনি ঔপনিবেশিক সমাজের সমালোচনা করেন ও স্বদেশ ভাবনা সঞ্চার ঘটান।।
তার ব্যঙ্গচিত্র গুলি প্রধানত - "প্রবাসী ও - মর্ডান রিভিউ " পত্রিকায় প্রকাশিত হতো।।
- তার কিছু বিখ্যাত ব্যঙ্গচিত্র হলো - "বিরূপ বর্জ্য, অদ্ভুত লোক, নবহুল্লোড়, জাতাসুর, বিদ্যার কারখানা প্রভৃতি..
-- ব্যঙ্গচিত্র কেন আঁকা হয়??
উত্তর- যখন কোন একটি বিষয় সমালোচনা যোগ্য হয়ে ওঠে বা সেই বিষয়টিকে নিয়ে সমালোচনা করা যায়,তখন সেই বিষয়টিকে নানাভাবে সমালোচনা করা যায়।। এবং এসব সমালোচনা করার জন্য একটি অন্যতম দিক হলো ব্যঙ্গ চিত্র অঙ্কন করে সেই বিষয়টির সমালোচনা করা।। যখন কোন একটি বিষয় ব্যঙ্গ চিত্রের মাধ্যমে সমালোচনা করা হয় তখন সেই ব্যঙ্গচিত্র টির মধ্যে হাস্যরসের সাথে সাথে অনেক কিছু বোঝার বিষয়ও থাকে!!! যেমনটা গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিভিন্ন ব্যঙ্গ চিত্রের মাধ্যমে করেছিলেন।।
- পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Short questions chai, sir please please please
উত্তরমুছুন