বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ || মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর || মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন

1

বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ | বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর |মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 


বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ
বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ 



দশম শ্রেণীর ভূগোল বইয়ের প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ থেকে আজকের এই পোস্টের কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হলো।  এত আগের পোস্টের মাধ্যমে আমরা বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ অধ্যায়ের প্রায় সমস্ত এক নম্বরের প্রশ্ন উত্তর + তার সাথে সাথে বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ দু'নম্বর এর সমস্ত প্রশ্ন উত্তর দিয়েছিলাম।। আজকের এই পোস্টটি হলো বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের দ্বিতীয় ভাগ।।  আজকের এই পোস্টে বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের তিন নম্বরের প্রশ্ন উত্তর ও মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন হিসেবে বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায় থেকে মাধ্যমিকের জন্য ভূগোলের কিছু  পাঁচ নম্বরের সাজেশন দেওয়া হবে।।



বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ | বহির্জাত প্রক্রিয়া এবং তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর |মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 



1- গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর মধ্যে পার্থক্য লেখো

গিরিখাত ও ক্যানিয়ন এর বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য :

গিরিখাত

• গিরিখাত খুব সংকীর্ণ ও গভীর হয়।। এবং গিরি খাতের উপত্যকা ইংরেজি অক্ষর অনেকটা V মতো দেখতে হয়।

• গিরিখাত প্রধানত সুউচ্চ আদ্র পার্বত্য অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।

• নদীর দ্বরা প্রবল বেগে পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষার নিম্নক্ষয় বেশি হলে গিরিখাত সৃষ্টি হয়।।


ক্যানিয়ন

• ক্যানিয়ন বেশি প্রশস্ত ও অত্যন্ত গভীর হয় এবং ক্যানিয়ন দেখতে ইংরেজি অক্ষর I আকৃতির মত হয়। 

• ক্যানিয়ন সৃষ্টি হয় উচ্চ শুষ্ক অঞ্চলের নদী উপত্যকায় 

• পরিবেশগত কারণে নদী যখন পার্শ্বক্ষয় কম করে প্রধানত নিম্ন ক্ষয়টা বেশি করে,তখন আই আকৃতির উপত্যকা বা ক্যানিয়েন সৃষ্টি হয়।।

( উপরের গিরিখাত এবং ক্যানিয়নের বৈশিষ্ট্যগুলি তোমরা ছকের মধ্যে লিখে নেবে।। এখানে ছকের সাহায্যে বোঝানো সম্ভব নয় তাই হবে উপর-নিচ করে দেয়া হয়েছে)





2- নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে কেন ?

🔶 নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ গুলি লেখো।

( মাধ্যমিক 2018, মাধ্যমিক 2016,মাধ্যমিক 2013)


নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার অনুকূল পরিবেশ গুলি হল -


জলে পলির পরিমাণ :::

• নদীর মোহনায় বদ্বীপ তখনই গড়ে উঠবে, যখন সেই নদীতে বা নদীর জলের সঙ্গে অনেক পরিমান পলি মিশে থাকবে।। যদি নদীর জলের সঙ্গে পলি মিশে না থাকে তাহলে সেই পলি নদীর মোহনায় সঞ্চিত হতে পারবে না! যার জন্য সে নদীর মোহনায় কখনোই বদ্বীপ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকবেনা।।। তাই নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার জন্য নদীর জলের সঙ্গে পলি,বালি ও অন্যান্য পার্থ মিশে থাকা একান্ত জরুরী।

অগভীর সমুদ্র বা মোহনা অঞ্চল :::

নদীর মোহনা অঞ্চল যদি খুব বেশি পরিমাণে গভীর হয় তাহলে সেখানে বেশি পরিমাণে পলি,বালি দরকার হবে। কিন্তু যদি নদীর মোহনা অঞ্চল বেশি মাত্রায় গভীর না হয় তাহলে নদীর জলে মিশে থাকা খুব অল্প পরিমাণ পলি ও বালি মিশেও সেখানে বদ্বীপ গড়ে ওঠা সম্ভব।।



বিপরীতমুখী স্রোত ও বায়ুর অনুপস্থিতি :

• অনেক সময় ও নদীর মোহনা অঞ্চলে বিপরীতমুখী স্রোতের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় যার জন্য নদীর জলের সঙ্গে মিশে থাকা বিভিন্ন পদার্থ গুলি যখন মোহনা অঞ্চলে সঞ্চিত হয়,তখন সেই বিপরীতমুখী স্রোত ও বায়ুর দ্বারা সঞ্চিত পদার্থ গুলি অপসারিত হয়।। তাই নদীর বদ্বীপ গঠনের ক্ষেত্রে নদীর মোহনা অঞ্চল বিপরীতমুখী স্রোত ও বায়ু মুক্ত হওয়া দরকার।।

লবনতা বৃদ্ধি :::

• নদী যখন কোন সমুদ্রে মিশে,তখন যদি সেই সমুদ্রের জলের সঙ্গে লবণের পরিমাণ খুব বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে নদীর পলি অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে খুব দ্রুত  জমাট বাঁধতে শুরু করে। যার জন্য খুব অল্পসময়ের মধ্যেই নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে।।।

- সুতরাং :  নদীর মোহনায় যদি উপরোক্ত বৈশিষ্ট্য গুলো থাকে তাহলে,সেই নদীর মোহনায় খুব তাড়াতাড়ি বদ্বীপ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকে বা বদ্বীপ গড়ে ওঠে।







3- সব নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না কেন??

🔶 বদ্বীপ গঠনের প্রতিবন্ধকতা গুলি ব্যাখ্যা করো।।

✅ প্রত্যেকটি নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার জন্য সেই নদীতে এবং তার সাথে সাথে সেই নদীর মোহনা অঞ্চলে নির্দিষ্ট কিছু বৈশিষ্ট্য দরকার হয়।।
যেমন -


জলে পলির পরিমাণ :::

• নদীর মোহনায় বদ্বীপ তখনই গড়ে উঠবে, যখন সেই নদীতে বা নদীর জলের সঙ্গে অনেক পরিমান পলি মিশে থাকবে।। যদি নদীর জলের সঙ্গে পলি মিশে না থাকে তাহলে সেই পলি নদীর মোহনায় সঞ্চিত হতে পারবে না! যার জন্য সে নদীর মোহনায় কখনোই বদ্বীপ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা থাকবেনা।।। তাই নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠার জন্য নদীর জলের সঙ্গে পলি বালি ও অন্যান্য পার্থ মিশে থাকা একান্ত জরুরী।

অগভীর সমুদ্র বা মোহনা অঞ্চল :::

নদীর মোহনা অঞ্চল যদি খুব বেশি পরিমাণে গভীর হয় তাহলে সেখানে বেশি পরিমাণে পলি,বালি দরকার হবে। কিন্তু যদি নদীর মোহনা অঞ্চল বেশি মাত্রায় গভীর না হয় তাহলে নদীতে মিশে থাকা খুব অল্প পরিমাণ পলি ও বালি মিশেও সেখানে বদ্বীপ গড়ে ওঠা সম্ভব।।



বিপরীতমুখী স্রোত ও বায়ুর অনুপস্থিতি :

• অনেক সময় ও নদীর মোহনা অঞ্চলে বিপরীতমুখী স্রোতের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায় যার জন্য নদীর জলের সঙ্গে মিশে থাকা বিভিন্ন পদার্থ গুলি যখন মোহনা অঞ্চলে সঞ্চিত হয়,তখন সেই বিপরীতমুখী স্রোত ও বায়ুর দ্বারা সঞ্চিত পদার্থ গুলি অপসারিত হয়।। তাই নদীর বদ্বীপ গঠনের ক্ষেত্রে নদীর মোহনা অঞ্চল বিপরীতমুখী স্রোত ও বায়ু মুক্ত হওয়া দরকার।।

লবনতা বৃদ্ধি :::

• নদী যখন কোন সমুদ্রে মিশে,তখন যদি সেই সমুদ্রের জলের সঙ্গে লবণের পরিমাণ খুব বেশি পরিমাণে থাকে তাহলে নদীর পলি অন্যান্য পদার্থের সঙ্গে খুব দ্রুতহারে জমাট বাঁধতে শুরু করে। যার জন্য খুব অল্পসময়ের মধ্যেই নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে।।।

- কোন নদীতে এবং সেই নদীর মোহনায় যদি উপযুক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি না থাকে! তাহলে সেই নদীর মোহনায় বদ্বীপ গড়ে ওঠে না।।




4- রসেমতানে ও ড্রামলিনের পার্থক্য লেখো।

🔶 রসে মতানে ও ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য কী?? 


✅• রসে মতানে ও ড্রামলিনের মধ্যে পার্থক্য -

 

• রসেমতানে সৃষ্টি হয় হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে

• অন্যদিকে ড্রামলিন সৃষ্টি হয় হিমবাহের সঞ্চয় কার্যের ফলে।

• রসেমতানে দেখতে অনেকটা ঢিবির মতো

• ড্রামলিন দেখতে হয় অনেকটা উল্টানো নৌকার মতো

• রসেমতানে প্রধানত কঠিন শিলা দিয়ে গঠিত

• ড্রামলিন সৃষ্টি হয় হিমবাহ বাহিত নুড়ি বালি,কাঁকর  ইত্যাদি দিয়ে।

• রসেমতানের হিমবাহ প্রবাহের দিকটি মসৃণ এবং বিপরীত দিকটি অমশৃন প্রকৃতির হয়।

•  ড্রামলিনের হিমবাহ প্রবাহের দিকে অমসৃণ এবং বিপরীত দিকটি মশৃন প্রকৃতির।






5- অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ও বার্খান বালিয়াড়ি মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো।। মাধ্যমিক 2016

🔶-  অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ও তির্যক বালিয়াড়ি মধ্যে তিনটি পার্থক্য লেখো। মাধ্যমিক 2019

অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি এবং বার্খান বালিয়াড়ি মধ্যে তিনটি পার্থক্য হল-


• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি ও বার্খান বালিয়াড়ি

1-
• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি বায়ুপ্রবাহের সমান্তরালে গড়ে ওঠে।

•  বার্খান বালিয়াড়ি বায়ু প্রবাহের গতিপথে আড়াআড়ি ভাবে বা লম্বভাবে গড়ে ওঠে।

2 -
• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির আকৃতি অনেকটা তলোয়ারের মতো।

• বার্খান বালিয়াড়ি আকৃতি অনেকটা অর্ধচন্দ্রাকার।

3 -
• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ির দৈর্ঘ্য প্রায় 50-200 মিটার এবং প্রস্থ প্রায় 1 কিমি পর্যন্ত হয়ে থাকে।।

• বার্খানের দৈর্ঘ্য প্রায় 20-200 মিটার এবং প্রস্থ প্রায় 30-150 মিটার হয়।

4-

• অনুদৈর্ঘ্য বালিয়াড়ি প্রধানত আরব মরুভূমি দেখা যায়।

• বার্খান বালিয়াড়ি প্রধানত ছাড়াও কালাহারি মরুভূমিতে দেখা যায়





6- গ্রাবরেখা কিভাবে সৃষ্টি হয়??

( মাধ্যমিক 2012 মাধ্যমিক 2009, মাধ্যমিক 2003)

✅ গ্রাবরেখা সৃষ্টি হওয়ার পদ্ধতি ;:

হিমবাহ যখন পার্বত্য উপত্যকা বেয়ে নিচে নেমে আসে, তখন সেই হিমবাহ একেবারেই গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়।। কিন্তু হিমবাহের সাথে বয়ে আসা সেই পদার্থ গুলি,  যেমন নুড়ি, কাকর,  পাথরখণ্ড ইত্যাদি জলের সঙ্গে মিশে যেতে পারে না।। এরপর সেই সব পদার্থ গুলি হিমবাহের প্রবাহ পথে বা তার আশেপাশে গিয়ে সঞ্চিত হতে শুরু করে।। এরকমভাবে সঞ্চিত হতে হতে সে পদার্থ গুলি যে রেখার সৃষ্টি করে, তাকে গ্রাবরেখা বলে।।
গ্রাবরেখা প্রধানত তিন প্রকার।।

যথা - পার্শ্ব গ্রাবরেখা,  মধ্য  গ্রাবরেখা ও প্রান্ত গ্রাবরেখা।

পার্শ্ব গ্রাবরেখা: হিমবাহ বাহিত পদার্থ যখন হিমবাহ প্রবাহ পথের পাশে গিয়ে গ্রাবরেখা সৃষ্টি করে,তখন তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।

•  মধ্য গ্রাবরেখা : হিমবাহ বাহিত পদার্থ গুলি যখন হিমবাহ প্রবাহ পথের মাঝখানের মিলন অঞ্চলে গিয়ে গ্রাবরেখা সৃষ্টি করে, তখন তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে।
প্রান্ত গ্রাবরেখা : গ্রাবরেখা যখন হিমবাহ প্রবাহ পথের শেষে অর্থাৎ যেখানে হিমবাহ গলতে শুরু করে বা সম্পূর্ণ গলে যায়!  সেখানে সৃষ্টি যে গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয়, তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।








7- হিমবাহ উপত্যকা U আকৃতির হয় কেন??


হিমবাহ উপত্যকা গুলি U আকৃতি হওয়ার প্রধান কারণ হলো,পার্বত্য অঞ্চলের নদী আগে থেকেই সেই উপত্যকাকে সামান্য পার্শ্ব ক্ষয় এবং নিম্ন হয় এর মাধ্যমে উপত্যকাকে ভি V আকৃতির উপত্যকায় পরিণত করে। পরবর্তীকালে হিমবাহ যখন সেসব উপত্যকার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন হিমবাহের সঙ্গে মিশে থাকা বিভিন্ন পদার্থ গুলি সেই উপত্যকাকে সমান পরিমাণে পার্শ্ব ক্ষয় ও নিম্ন ক্ষয়  করে। যার ফলে সেই ভি আকৃতির নদী উপত্যকা ইউ আকৃতির হিমবাহ উপত্যকায় পরিণত হয়।।




8- ঝুলন্ত উপত্যকায় জলপ্রপাত সৃষ্টি হয় কেন?

✅উওর:     সাধারণত ঝুলন্ত উপত্যকায় মূল বা প্রধান হিমবাহ্বর সাথে দুদিক থেকে অনেক ছোট ছোট উপহিমবাহ এসে মিলিত হয়।। যেহেতু উপহিমবাহগুলির থেকে মূল হিমবাহের ক্ষয় কার্য অনেক বেশি হয় সেজন্য মূল হিমবাহের উপত্যকা অনেক গভীর হয়।। অন্যদিকে উপহিমবাহ গুলির ক্ষয় ক্ষমতা অনেক কম হওয়ার জন্য সেগুলি অনেক উঁচুতে অবস্থান করে।। যখন মূল হিমবাহ উপত্যকা থেকে অপসারিত হয়, তখন সেই উপহিমবাহগুলির উপত্যকা বা খাতগুলিকে দেখে মনে হয় এগুলো যেন প্রধান হিমবাহ উপত্যকায় ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।।  যখন প্রধান হিমবাহ তার উপত্যকা থেকে সরে যায়, তখন সে উপত্যকা অনেক গভীর হয়ে খালি অবস্থায় পড়ে থাকে।। এরপর যখন সেই হিমবাহ গুলি গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়,তখন বকুল সেই জল সেই উপরের উপত্যাকা থেকে গভীর উপত্যকায় খুব প্রবল বেগে নিচে পড়তে শুরু করে।। এভাবেই উপর থেকে নিচে জল পড়া মাধ্যমে ঝুলন্ত উপত্যকায় জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়।।



9- জলপ্রপাতের পশ্চাৎ অপসারণ ঘটে কেন??


জলপ্রপাতের পশ্চাৎ অপসারণ ঘটার কারণ :

জলপ্রপাতের জল যেখানে গিয়ে পড়ে সেখানে নরম শিলার অংশে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয় যাকে প্রপাত কূপ বা প্লাঞ্জপুল বলে।।  জলপ্রপাতের জলের জন্য সৃষ্ট প্রপাত কূপ এর জন্য সেখানকার নরম শিলা খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয় হয়ে পড়ে! যার জন্য সেই নরম শিলার উপরে আড়াআড়িভাবে থাকা কঠিন শিলা একসময় ঝুলতে থাকে।। এবং এরকম ভাবে ঝুলে থাকার পর একসময় সেই কঠিন শিলাও ভেঙে পড়ে।। যার জন্য সেই জলপ্রপাত আবার অনেকটা পিছিয়ে যায়।। এভাবে বারবার প্রপাত কূপ এর জন্য নরম শিলার ক্ষয় এবং কঠিন শিলার ভেঙে পড়ার মাধ্যমে জলপ্রপাতের পশ্চাৎ অপসারণ ঘটে।।





10- জিউগেন এবং ইয়ারদাং এর মধ্যে পার্থক্য লেখো।

জিউগেন এবং ইয়ারদাং এর মধ্যে পার্থক্য :

• মরু অঞ্চলে বায়ুর গতিপথে যদি কঠিন শিলা ও কোমল শিলা আড়াআড়িভাবে অবস্থান করে, তাহলে বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে জিউগেন সৃষ্টি হয়।

• মরু অঞ্চলে বায়ুর গতিপথে কঠিন ও কোমল শিলা যদি উলম্বভাবে অবস্থান করে,তাহলে বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে ইয়ারদাং সৃষ্টি হয়

• জিউগেনের উচ্চতা 2 থেকে 40 মিটার পর্যন্ত হয়
•  ইয়ারদাং এর উচ্চতা প্রায় 7 মিটার পর্যন্ত হতে পারে

• জিউগেনের মাথা অনেকটা চ্যাপ্টা প্রকৃতির

• ইয়ারদাং এর মাথা গুলো তীক্ষ্ণ প্রকৃতির হয়


• জিউগেন দেখতে অনেকটা ব্যাঙের ছাতার মতো দেখতে হয়।

• ইয়ারদাং দেখতে অনেকটা মোরগের ঝুঁটির মতো দেখতে হয়।

• আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের সোনেরান মরুভূমিতে জিউগেন দেখতে পাওয়া যায়।

• সাহারা মরুভূমিতে এরুপ ভূমিরুপ দেখতে পাওয়া যায়




11- মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর কাজ প্রাধান্য পায় কেন?? মাধ্যমিক 2017


মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর কাজ প্রাধান্য পাওয়ার জন্য কয়েকটি দিক বায়ুকে বিশেষভাবে সাহায্য করে।।।
যেমন -

শুষ্ক ও হালকা মৃত্তিকা :: মরুভূমির মৃত্তিকা যেহেতু খুবই হালকা এবং সূক্ষ্ম! সেজন্য এপ্রকার মৃত্তিকাকে বায়ু একস্থান থেকে অন্য স্থানে খুব সহজেই উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারে।। 

গাছপালার অভাব :: মরুভূমিতে সেরকম ভাবে কোন গাছপালা বা ঝোপঝাড় না থাকায় বায়ু বাধাহীনভাবে তার কাজ করে যেতে পারে।। মরুভূমিতে বায়ুকে বিভিন্ন প্রকার বাধা দিলেও সেই বাধা পাওয়ার পরিমাণ টা খুবই কম।। তার জন্য মরুভূমিতে বায়ুর কাজ করতে বিশেষভাবে সুবিধা হয়।।

বৃষ্টিপাতের অভাব :::
মরুভূমিতে বছরে খুব বেশি পরিমাণে বৃষ্টি হয় না যার জন্য মরুভূমির আবহাওয়া সবসময়ই শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে থাকে।। এরকম আবহাওয়ার জন্য মাটি আলগা হয়ে পড়ে।। এবং এরকম হালকা  মাটিতে বায়ুর কাজ আরো সহজ হয়ে পড়ে।।

উপরোক্ত কারণগুলোর জন্য মরুভূমিতে বায়ুর কাজটাই বেশি দেখা যায়।। এছাড়াও মরুভূমিতে যেহেতু নদী এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক শক্তির সেরকম কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায় না!! সেজন্য মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুর কাজ বেশি প্রাধান্য পায়।।





12- মরু সম্প্রসারণের কারণ গুলি কী কী??

🔶  কী কী কারণে মরু সম্প্রসারণ ঘটে????


মরু সম্প্রসারণ :: যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট কারণে মরু অঞ্চলের উন্নত এবং উর্বর জমি ধীরে ধীরে মরুভূমির অনুর্বর এবং ব্যবিহারের অযোগ্য ভূমিতে পরিণত হয়, সেই পদ্ধতিতে মরু সম্প্রসারণ পদ্ধতি বলে।।

- মরু সম্প্রসারণ এর কারণ :

গাছ কাটা :: মরু সম্প্রসারণের একটি উল্লেখযোগ্য এবং সবচাইতে বড় কারণ হলো গাছ কাটার ফলে অনেক গাছের পরিমাণ কমে যাওয়া।। দিনদিন গাছ কাটার ফলে সেই অঞ্চলটি উদ্ভিদ শূন্য হয়ে পড়ে যার জন্য সে অঞ্চলের মাটি অনুর্বর এবং আলগা হয়ে মরুভূমিতে পরিণত হয়।

ভূমিতে অতিরক্ত পশুচারণ ::

কোন জায়গায় খুব বেশি পরিমাণে পশু চারণের ফলে সেই অঞ্চলটি যেমন মাটি আলগা হয়ে যায় ঠিক তেমনি সেই অঞ্চলের মাটি ধীরে ধীরে তৃণশূন্য হয়ে পড়ে।। সেই অঞ্চলে বায়ু প্রবাহের গতিপথে বাধা হিসেবে উদ্ভিদ বা ঘাস জাতীয় কিছু না থাকায় সে অঞ্চল দিয়ে মরুভূমির বালি উড়ে এসে সেই অঞ্চলটিকে মরুভূমিতে পরিণত করে।।

অবৈজ্ঞানিক কৃষি ও ভুল জলসেচ ব্যবস্থা ::

শুষ্ক মাটি তে যেসব ফসল ভালো জন্মায় সেইসব ফসল এর পরিবর্তে অন্য ফসল চাষ করায় সেখানে অতিরিক্ত ভৌমজল ব্যবহাত করতে হয়।। এর ফলে সেখানকার মাটি লবণাক্ত ও অনুর্বর হয়ে মরুভূমিতে পরিনত হয়ে যায়।।

বায়ুর ক্ষয় :::

মরুভূমিতে বায়ুর ক্ষয় কাজ তীব্র হওয়ায় বায়ু মরুভূমি থেকে যেই বালি অপসারিত করে, সেই বালি অন্য স্থানে অপসারণের মাধ্যমে মরুভূমির প্রসার ঘটায়।।







13-মরু সম্প্রসারণ প্রতিরোধের উপায় কী??

🔶 মরু সম্প্রসারণ রোধের তিনটি উপায় লেখো



✅ ঠিক যেই যেই কারণগুলি জন্য মরু সম্প্রসারণ ঘটে! ঠিক তার বিপরীত কাজ গুলোই হলো মরু সম্প্রসারণের রোধের উপায়।।

মরু সম্প্রসারণ প্রতিরোধে কয়েকটি উপায় হলো -

বৃক্ষরোপণ ::  যেহেতু মরু সম্প্রসারনে প্রধান কারণ হলো অপরিণত এবং খুব বেশি পরিমাণে গাছ কেটে সেই অঞ্চলের মাটি আলগা করে দেওয়া।।। সেজন্য মরু সম্প্রসারণ রোধের প্রধান উপায় হলো সেই অঞ্চলে খুব বেশি পরিমাণে গাছ লাগানো
। তার সাথে সেই অঞ্চলের অবশিষ্ট গাছগুলি না কেটে তার বিশেষ ভাবে যত্ন নেওয়া।।

পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ ::

পশুচারণ এর ফলে কোনো অঞ্চলের মাটি আলগা এবং তৃণশূন্য হয়ে পড়ে।। যার ফলে সেই অঞ্চলের মাটি আস্তে আস্তে মরুভূমির মাটির মতো হয়ে যায়।।। সুতরাং কোন অঞ্চলের মরু সম্প্রসারনে রোধের আরও একটি উপায় হলো সেই অঞ্চলের পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা।। যদি সেই অঞ্চলের পশুচারণ নিয়ন্ত্রণ করা যায় তাহলে সেই অঞ্চলের মাটি সহজে আলগা এবং মরুভূমির মাটির মতো হালকা বালি কণায় পরিণত হবে না।। যার জন্য সেখানে নিজে থেকেই মরুভূমির সম্প্রসারণ অনেকটাই কমে যাবে।।



চেক ড্যাম তৈরি করা ::   মরুভূমিতে যে সামান্য পরিমান বৃষ্টি হয় তা ধরে রাখার জন্য গর্ত, চেক ড্যাম  তৈরি করা দরকার।। যাতে সেই অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিমাণে ভৌম জলের উত্তোলন না করতে হয়। যদি কোন অঞ্চলের ভৌমজলের ব্যবহার খুব কম পরিমাণে হয়, তাহলে সেই অঞ্চলের মাটি মরুভূমির মতো জল শূন্যহীন হয়ে পড়বে না।।।


গ্রীন ওয়াল তৈরি করা ::  মরুভূমিতে বায়ুর কার্যের ফলে মরুভূমি থেকে উড়িয়ে আনা বালি, তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে কোন প্রকার বাধা না পাওয়ায় তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে বায়ুর মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।।। যদি সে সব অঞ্চলে গাছ, তৃণ বা অন্যান্য উদ্ভিদের মাধ্যমে বাধা সৃষ্টি করা যায় তাহলে মরুভূমির সেই বালি মিশ্রিত বায়ু সেসব অঞ্চলে প্রবেশ করে সেসব অঞ্চল বালি দিয়ে ঢেকে দিতে পারবে না।।।এবং এভাবেও মরু সম্প্রসারনে রোধ করা যায়।।




🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶🔶




( নীচের 5 নম্বরের প্রশ্ন গুলোর সব উওর করে দেওয়া সম্ভব নয়!!! নির্দিষ্ট কিছু কারণে আমরা সেটা করতে পারছি না।। কিন্তু সবটা না পারলেও আমরা সেই বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের পাঁচ নম্বরের প্রশ্ন গুলোর উওরের কিছুটা করে দিয়েছি।।।  বাকি টুকু তোমাদের নিজেদের কষ্ট করে নিতে হবে )


বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের এক নম্বরের প্রশ্ন উত্তর || দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের সৃষ্ট ভূমিরূপ || বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের সাজেশন  

মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন 


নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান ভূমিরূপ গুলির  চিত্রসহ বর্ণনা দাও ।।

✅ নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট প্রধান কয়েকটি ভূমিরূপ হলো -

• গিরিখাত

• ক্যানিয়ন

• জলপ্রপাত

• মন্থকূপ

• প্রপাত কূপ



নদীর মধ্যগতিতে সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত তিনটি ভূমিরূপ চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো।

✅ নদীর মদ্য ও নিম্নগতিতে সঞ্চয় কার্যের দ্বারা গঠিত ভূমিরূপ গুলি হল -

• পলল শঙ্কু ও পলল ব্যজনী

• অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ

• প্লাবনভূমি

• স্বাভাবিক বাঁধ বা লিভি

• বদ্বীপ



হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ গুলির বর্ণনা দাও।

✅ হিমবাহ ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ গুলি হল -

• করি বা সার্ক

• এরিটি বা অ্যারেট

• ইউ আকৃতির হিমবাহ উপত্যকা

• ঝুলন্ত উপত্যকা

• পিরামিড শৃঙ্গ

• রসে মতানে

• ফিয়র্ড



Ⓜ  হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির চিএসহ বর্ণনা দাও।।

✅ হিমবাহ ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি হল -

• বহিঃবিধৌত সমভূমি

• কেটল

•  এসকার

•  কেম




বায়ুর ক্ষয়কার্য দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির সচিত্র বিবরণ দাও।।

✅ বায়ুর ক্ষয়কার্য দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি হল -

• গৌর

• ইনসেলবার্জ

• জিউগেন

• ইয়ারদাং

• অপসারণ গর্ত



বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি ভূমিরূপ চিত্রসহ আলোচনা করো।

✅ বায়ুর সঞ্চয় কার্যের ফলে সৃষ্ট কয়েকটি ভূমিরূপ হলো -

• তির্যক বালিয়াড়ি

• বার্খান বালিয়াড়ি

• লোয়েস




বায়ু ও জলধারার মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির চিত্রসহ বর্ণনা করো


✅ বায়ু ও জলধারার মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলির হলো -

• পেডিমেন্ট

• পলল ব্যজনী

• প্লায়া

• বাজাদা

• ওয়াদি





গঙ্গা - পদ্মা -মেঘনার বদ্বীপ অঞ্চলের উপর পৃথিবীব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আলোচনা করো।

Ⓜ সুন্দরবনের ওপর পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব আলোচনা করো।


✅ উপরের দুটি প্রশ্নের উত্তরই নিচের পাঁচটি পয়েন্ট কেন্দ্র করে উত্তর লেখা যায়।। তোমরা নিচের 5 টি পয়েন্টের বিষয় বিস্তারিত ভাবে লিখলে উপরে দুটি প্রশ্নের উত্তরের সম্পূর্ণ নম্বর পেতে পারো।।

• উষ্ণতা বৃদ্ধি

• সমুদ্র জলের উচ্চতা বৃদ্ধি

• ঘূর্ণবাতের প্রাদুর্ভাব

• বাসস্থানের অভাব

• বনজ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অভাব

•  জমিতে লবনতা বৃদ্ধি




• বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ
•  বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের সৃষ্ট ভূমিরূপ প্রশ্ন উত্তর
•  বোঝাতে প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের নোট
• class 10 geography chapter 1 question answer in bengali
• class 10 geography chapter 1
• class 10 geography chapter 1 notes in bengali
• class 10 geography 1st chapter question answer
• class 10 geography 1st chapter question answer in Bengali
• wb class 10 geography 1st chapter question answer




🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top