সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক ইতিহাসের ২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর

0


সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উওর | সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর


সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উওর
সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উওর

- আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে 2022 সালের
মাধ্যমিক পরিক্ষার্থীদের জন্য, - " সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা " - অধ্যায়ে থেকে কিছু বড়ো প্রশ্ন উওর সহকারে দেওয়া হলো।।
এর আগের কিছু পোস্টের মাধ্যমে ছোট প্রশ্ন এবং তার উওর দেওয়া হয়েছিল।। তার সাথে - " মাধ্যমিক 2022 " এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন দেওয়া হয়েছিল।। যদি আপনি সেই পোস্টটি না দেখে থাকেন, তাহলে নিচে একটি লিঙ্ক দেওয়া থাকবে! সেই লিঙ্কে ক্লিক করে আপনি সেই প্রশ্ন উওর গুলো দেখে নিতে পারেন।


সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উওর  | সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর


1- বামাবোধিনী পত্রিকা বিখ্যাত কেন ???

✅উ - বামাবোধিনী পত্রিকা বিখ্যাত ছিল এর প্রথম কারণ হলো
- প্রথমত -  বামাবোধিনী পত্রিকার সম্পাদক  উমেশচন্দ্র দত্ত সেই সময় সমাজের অন্যান্য দিক গুলি ছেড়ে নারী সমাজকে নিয়ে লেখালেখি করতেন ! যা এর আগে অন্য কোন পত্রপত্রিকাকে করতে দেখা যায়নি !!
দ্বিতীয়তঃ বামাবোধিনী পত্রিকা বাংলার নারীদের জন্য-  শিক্ষা , নারীদের অধিকার ,  পারিবারিক চিকিৎসা , বিজ্ঞান,  ইতিহাস  প্রভৃতি বিষয়ে লেখালেখি করা হতো।।  এই পত্রিকা থেকে নারীরা শুধু শিক্ষাই অর্জন করতে পারত না !! তার সাথে সাথে অনেক নারীরা  এই পত্রিকার নিজস্ব লেখা প্রকাশ করার সুযোগ পেতেন ।।  এবং এরকম কিছু কারণের জন্যই বামাবোধিনী পত্রিকা বিখ্যাত ছিল ।।।

2- গ্রামবার্তা প্রকাশিকা কেন একটি ব্যতিক্রমি পএিকা ছিল??
-
✅- উওর - গ্রামবার্তা প্রকাশিকা ছিল একটি ব্যতিক্রমি পএিকা!! এর প্রথম কারন হিসেবে বলা যায়..
- প্রথমত- গ্রামবার্তাপ্রকাশিকাই ছিল সেই প্রথম পএিকা, যেটা শহরের সমাজ ও রাজনৈতিক আলোচনা বাদ দিয়ে, গ্রাম্য জনজীবন সম্পর্কে আলোচনা করতো।।  এই পএিকাই ছিল সেই প্রথম
পএিকা,, যেখানে গ্রামের সাধারন মানুষের সুখ দুঃখের কথা জানা যেতো।।

দ্বিতীয়ত - গ্রামবার্তাপ্রকাশিকা ছিল এমন একটি পএিকা,যেটা নীলকর সাহেবদের অত্যাচার ও বিভিন্ন জমিদারদের খারাপ, অন্যায় সম্পর্কে খোলাখুলি ভাবে আলোচনা করতো।।
এবং এসব কারণ থেকেই বলা যায় যে, গ্রামবার্তাপ্রকাশিকা পএিকা ছিল একটি ব্যতিক্রম
পএিকা।।


3- হিন্দু প্যাট্রিয়ট পএিকাটি বিখ্যাত কেন??

✅উ-  গিরিশচন্দ্র ঘোষের সম্পাদনায় 1853 খ্রিষ্টাব্দের 6 ই জানুয়ারি হিন্দু প্যাট্রিয়ট পএিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। 
কিন্তু এর কিছুদিন পরে, হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় এই পএিকার সম্পাদক হিসেবে কাজ করতে শুরু করেন।
যখন হরিশচন্দ্র এই পএিকার সম্পাদক হিসাবে কাজ করতে শুরু করেন, তখন তিনি নির্ভিক ভাবে, নীলচাষিদের ওপরে করা, নীলকর সাহেবদের অত্যাচারের কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করেন।।
এরপর তিনি ব্রিটিশ সরকারের  শোষণ - ও শাষনের বিরোধীতা করেছিলেন।।
এবং হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের এরকম কাজের জন্যেই হিন্দু প্যাট্রিয়ট পএিকাটি জাতীয়তাবাদী পএিকার মর্যাদা লাভ করেছিল।।

4- হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে উনিশ শতকের বাংলার কিরুপ সমাজচিএ পাওয়া যায়??

✅উ - কালী প্রসন্ন সিংহের - " হুতোম প্যাঁচার নকশা " - গ্রন্থে উনিশ শতকের কলকাতার বিভিন্ন সংস্কৃতির কথা জানা যায়।। কালী প্রসন্ন সিংহ তার এই গ্রন্থে কলকাতার, বিশেষ করে বাঙ্গালীদের বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের কথা তুলে ধরেছেন।  যেমন -
- নীলের ব্রত, চড়ক মেলা, রথযাত্রা,রামলীলার মতো প্রভৃতি।।
- এছাড়া তিনিবেই গ্রন্থে কলকাতার সেই বাবু সমাজের কথাও তুলে ধরেছেন, যারা আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে, ইউরোপীয় বাবুদের অনুসরণ করতো।। এবং কালী প্রসন্ন সিংহ এই সমস্ত দিক গুলোই খুব ভালো করে তার এই হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে তুলে ধরেছেন।।।


5-  ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে 1813 খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট বা ,, সনদ আইন এর গুরুত্ব কি??

✅-   উত্তর -  ভারতের শিক্ষার ক্ষেত্রে 1813 খ্রিস্টাব্দের চার্টার অ্যাক্ট বা সনদ আইন এর গুরুত্ব হলো  হাজার 1813 খ্রিস্টাব্দের এই আইনের মাধ্যমে ব্রিটিশ সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যে , এখন থেকে সরকার প্রতিবছর ভারতের শিক্ষার জন্য এক লক্ষ টাকা করে ব্যয় করবে।।।

6 - ভারতের শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে  প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্য বাদীর বিতর্ক বলতে কী বোঝো??

✅-  উত্তর-  ভারতের শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্য বাদীর বিতর্ক বলতে বোঝায় -1813 খ্রিস্টাব্দে সনদ আইন পাস হয়েছিল , এবং সেখানে বলা হয়েছিল যে ব্রিটিশ সরকার ভারতে শিক্ষার জন্য প্রতিবছর এক লক্ষ টাকা করে ব্যয় করবে !! কিন্তু এই এক লক্ষ টাকা ভারতে কোন ধরনের শিক্ষায় খরচ করা হবে এই নিয়ে জনসংখ্যা কমিটির সদস্যরা মূলত দুই ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিলো !!   প্রথমত ছিল প্রাচ্যবাদী এবং দ্বিতীয় ছিলো পাশ্চাত্য বাদী .. এবং প্রাচ্যবাদী ও পাশ্চাত্য বাদীর মধ্যে যে বিতর্ক  সৃষ্টি হয়েছিল তাকেই প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বাদী বিতর্ক বলা হয় ।।

7-  মেকলে মিনিট কি??

✅উ-  জনশিক্ষা কমিটির সদস্য টমাস  এবং উইলিয়াম বেন্টিং এর আইন সচিব টমাস বেবিংটন মেকলে তার একটি এক মিনিট প্রতিবেদন দ্বারা ভারতে ইংরেজি ভাষায় আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারের জন্য সুপারিশ করেন ।। এবং মেকলের এই প্রতিবেদন মেনে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা ব্যবস্থাকেই সরকারি শিক্ষানীতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।।
এবং তার সাথে সাথে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।। এবং এই প্রতিবেদন ই মেকলে মিনিট পরিচিত।।

8- উডের নির্দেশনা কী? অথবা, উডের ডেসপ্যাচ কী?
-
✅উ-
বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উড, 1854 খ্রিষ্টাব্দে তার একটি নির্দেশনামায় ভারতের প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পযর্ন্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধান করে, ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করার জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করেন।।
এবং স্যার চার্লস উডের এই করা এই সুপারিশগুলিকেই, বা স্যার চার্লস চার্লস উডের এই নির্দেশনামাই উডের নির্দেশনামা, বা উডের ডেসপ্যাচ নামে পরিচিত।।

ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উওর অনলাইন মকটেস্ট দিতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো। 

Click Here 👇👇

Class 10 History Chapter 1 MCQ Online test | Madhyamik History Chapter 1 History Question Answer
Class 10 History Question Answer in Bengali



9- হান্টার কমিশন কী??

✅উ- 1882 খ্রিষ্টাব্দে, "স্যার উইলিয়াম " - হান্টার নামে এক শিক্ষাবিদের নেতৃত্বে, ভারত সরকার একটি শিক্ষা কমিটি নিয়োগ করেন, যার নাম হান্টার কমিশন।।
এই - " হান্টার কমিশন "-  এর কাজ ছিল, ভারতের প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষার অগ্রগতি ও তার বিভিন্ন দিক গুলো দেখা।।
1883 খ্রিষ্টাব্দে হান্টার কমিশন তাদের একটি রিপোর্ট সরকারের কাছে জমা দেয়, এবং এই রিপোর্টে হান্টার কমিশন ভারত সরকারের কাছে - প্রাথমিক পর্যায় থেকে উচ্চশিক্ষার বিকাশের উপর গুরুত্ব দেওয়ার আবেদন জানায়।।

10-  ডেভিড হেয়ার বিখ্যাত কেন??
-   অথবা,
-    পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে ডেভিড হেয়ারের অবদান উল্লেখ করো ।।

✅ উত্তর -  ডেভিড হেয়ার বিখ্যাত হলো কারণ -  স্কটল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী, ডেভিড হেয়ার কলকাতায় একজন ঘড়ি সারাইওয়ালা হিসেবে এলেও.. পরবর্তীকালে তিনি কলকাতাকেই আপন শহর হিসেবে বেছে নেন।। তিনি ভারতবর্ষকেও নিজের মাতৃভূমির মতো ভালোবাসতে শুরু করেছিলেন।
তিনি এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষার বিস্তারে বিশেষ অবদান রেখে গেছেন!!
তিনি এদেশে ঘড়ি সারাইয়ের কাজ করে একসময় প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন।। ডেভিড হেয়ার যখন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থার করুন অবস্থার কথা উপলব্দি করেছিলেন, তখন তিনি তার উপার্জন করা সমস্ত টাকাই ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের শেষ করে দেন।।
তার উদ্যোগেই 1817 খ্রিষ্টাব্দে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।। এবং তার সাথে সাথে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় স্কুল কলেজের পাঠ্য পুস্তক রচনার উদ্দেশ্য, এবং ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে তা কম দামে বিলিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্য 1817 খ্রিষ্টাব্দে স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ।।। এবং ডেভিড হেয়ারের এরকম মহান কাজের জন্যই তিনি আজও আমাদের মধ্যে স্বরনীয় হয়ে রয়েছেন।।

Click Here 👇👇

11- বাংলার নারী শিক্ষার বিকাশে, রাজা রাধাকান্ত দেবের ভূমিকা কী ছিল??

✅উ-  বাংলার নারী শিক্ষার বিকাশে, রাজা রাধাকান্ত দেবের ভূমিকা কী ছিল -

-রাজা রাধাকান্ত দেব, নিজে একজন সংস্কৃত পন্ডিত হয়েও, তিনি নারীদের শিক্ষার জন্য পাশ্চাত্য শিক্ষাকেই অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
-তিনি বাংলার নারীশিক্ষার বিস্তারে 1819 খ্রিষ্টাব্দে -" -" ক্যালকাটা ফিমেল জুভেনাইল সোসাইটি " - প্রতিষ্ঠায় সাহায্যে করেন।
-
-তিনি বাংলার নারীদের শিক্ষার প্রতি আকৃষ্ট করার জন্য, বা নারী শিক্ষার প্রসারের সমর্থনে - গৌরমহন বিদ্যালংকারের - " স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক " - পুস্তিকাটি প্রকাশ করেন।।
-এছাড়াও তিনি নিজের বাড়িতেই, ক্যালকাটা স্কুলবুক সোসাইটির অধীনস্থ ছাএীদের নিজের বাড়িতে পরীক্ষা দানের সুযোগ করে দিয়েছিলেন।।।।

12- ডা. মধুসুদন গুপ্ত বিখ্যাত কেন???

✅উ- ডা. মধুসুদন গুপ্ত বিখ্যাত হওয়ার কারণ হলো,
1836 খ্রিষ্টাব্দের, 10 জানুয়ারির আগে পযর্ন্ত, কলকাতা মেডিকেল কলেজের কোনো ছাত্র সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার, এবং বাধার জন্য শবব্যবচ্ছেদ করতে পারেনি।।
কিন্তু মধুসুদন গুপ্ত হ ছিলেন সেই প্রথম বাঙ্গালী, যিনি কলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাএ হিসেবে
সমাজের সমস্ত কুসংস্কার ও বাধা বিপওির ভয় না করে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন!!! যা ছিল এক যুগান্তকারী ঘটনা।।।

এছাড়াও ডা. মধুসুদন গুপ্ত,  নিজে হাতে - " লন্ডন ফার্মাকোপিয়া " গ্রন্থটি বাংলা ভাষায়, এবং  -"অ্যানাটমি "- গ্রন্থটি সংস্কৃত ভাষায় অনুবাদ করেছিলেন।।।
এবং ডা. মধুসুদন গুপ্তের এসব কাজে জন্যেই তিনি আজও আমাদের মধ্যে স্বরনীয় হয়ে আছেন।।


13-ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হল কেন??
-অথবা ,
-নববিধান ব্রাহ্মসমাজ কি??

✅ উত্তর - ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ বিভক্ত হওয়ার প্রধান কারণ হলো কেশবচন্দ্র সেন।।
  ব্রাহ্মসমাজে ব্রহ্মানন্দ নামে পরিচিত কেশব চন্দ্র সেন ব্রাহ্মসমাজ এর নীতি ও আদর্শ উপেক্ষা করে এবং সরকারের 1872 খ্রিস্টাব্দের তিন আইণ ভঙ্গ করে তার 14 বছরের নাবালিকা কন্যাকে কোচবিহারের মহারাজের সঙ্গে  বিবাহ দিতে চেয়েছিলেন।  এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কেশবচন্দ্র সেন, শিবনাথ শাস্ত্রী , বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামী ও আনন্দমোহন বসু  প্রমুখের এর মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হয়!!  এবং এই বিতর্কে জেরেই 1878 খ্রিস্টাব্দে ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যায় !!
শিবনাথ শাস্ত্রী, বিজয়কৃষ্ণ গোস্বামী ,আনন্দমোহন বসু প্রমুখের নেতৃত্বে থাকা ভাগটি সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ নামে পরিচিত হয় ।।এবং কেশবচন্দ্র সেনের নেতৃত্বে পরিচালিত ভাগটি নববিধান নামে পরিচিত।।


14- কে, এবং কেন ব্রাহ্মসমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন??

✅উ - উনিশ শতকে - বাংলা সহ পুরো ভারতবর্ষে বিভিন্ন কুসংস্কার প্রচলিত ছিল।। সমাজের শিক্ষার চেয়ে কুসংস্কার পাল্লা বেশি ভারী ছিল!! যার জন্য সমাজের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল।। 
এবং সমাজের এই সমস্ত কুসংস্কার দুর করে, সমাজে শিক্ষা আলো ফেলে সমাজের উন্নতি করার উদ্দেশ্যেই- " রাজা রামমোহন রায় " - - "1828 " খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্ম সভা প্রতিষ্ঠা করেন।।
এবং পরবর্তীকালে- 1830 খ্রিষ্টাব্দে " ব্রাহ্মসভা " - এর নাম পরিবর্তিত হয়ে - " ব্রাহ্মসমাজ " - নামে পরিচিত হয়।।

15- ব্রাহ্মসমাজের দুটি সমাজ সংস্কার মুলক কাজ সম্পর্কে লেখো।।

✅উ- 1830 খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজের দুটি সমাজ সংস্কার মুলক কাজ হলো -
প্রথমত - ব্রাহ্মসমাজের সদস্যরা, সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার, জাতিভেদ প্রথা, একেশ্বরবাদ, ইত্যাদি দিক গুলোর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতো।।

দ্বিতীয়ত - ব্রাহ্মসমাজের প্রধান -" রাজারামমোহন রায়ের "- তীব্র আন্দোলনের ফলে, -" 1829 খ্রিষ্টাব্দের 4 ই ডিসেম্বর " -" সতীদাহ "  প্রথার মতো একটা ভয়ংকর কুপ্রথা সমাজ থেকে বন্ধ হয়ে যায়।।

তৃতীয়ত - এরপর, ব্রাহ্মসমাজের ব্রহ্মানন্দ নামে পরিচিত -" কেশবচন্দ্র সেনের " - নেতৃত্বে পরিচালিত আন্দোলনের ফলে, সরকার 1872 খ্রিষ্টাব্দে - "তিন আইন" - পাস করে।। এবং এই আইনের মাধ্যমে সমাজের বাল্য বিবাহ ও বহুবিবাহের মতো প্রথা গুলো বন্ধ হয়ে যায়।।


16 -নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী কাদের বলা হতো?,
অথবা,
-" ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী কাদের বলা হতো??

✅উ - উনিশ শতকের, হিন্দু কলেজের একজন তরুন অধ্যাপক, যার নাম - "হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও " - তাকে, এবং তার মতাদর্শে অনুপ্রাণিত একদল তরুন যুবক ছাত্রদের বলা হতো -"ইয়ং বেঙ্গল গোষ্ঠী" বা নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী।
এই দলের প্রানপুরুষ ছিলেন হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও নিজেই।। 
এবং এই দলের সদস্যদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন - প্যারিচাদ মিএ, রসিককৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়, রামতনু লাহিড়ী,প্রমুখ।।

17-  সমাজ সংস্কারে নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর ভূমিকা কী ছিল??

✅ উত্তর -  নব্যবঙ্গ গোষ্ঠী তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে স্পর্শ না করতে পারলেও! কলকাতার মধ্যে ডিরোজিও এবং তার অনুগামীরা অস্পৃশ্যতা ,জাতিভেদ প্রথা ,সতীদাহ প্রথা ,মূর্তিপূজা , প্রভৃতি কুসংস্কারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন তীব্র আন্দোলন করেছিল!!.
নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর আন্দোলনের ফলেই কলকাতার সমাজে বা ভারতীয় সমাজে নতুন যুক্তিবাদী  ভাবধারা গড়ে উঠেছিল।।।  এবং তাদের আন্দোলনের ফলেই সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার গুলির প্রথম যুক্তিবাদী আঘাত পরেছিল।।
এবং নব্যবঙ্গ গোষ্ঠীর এই আন্দোলনের ফলেই বাংলার মানুষেরা কুসংস্কারমুক্ত এক নতুন সমাজ দেখার সুযোগ পেয়েছিল।।

18- শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয় বলতে কী বোঝো??

✅উ -শ্রীরামকৃষ্ণের সর্বধর্ম সমন্বয় বলতে কী বোঝায় যে, শ্রীরামকৃষ্ণ দেবের মতে, আমাদের ধর্ম আলাদা আলাদা হতে পারে! কিন্তু আমাদের লক্ষ্য একটাই!!  সেটা হলো ঈশ্বরের কাছে পৌঁছনো।। আর আমরা সেটাই করছি.. কেউ একেশ্বরবাদে বিশ্বাসী, তো আবার কেউ বহুদেবতায় বিশ্বাসী।।  কিন্তু ঈশ্বর একই!! শুধুমাত্র তার নাম আলাদা।।
তিনি বলেছিলেন যে, যেমন একটি ছাদে বিভিন্ন ভাবে ওঠা যায়! ঠিক তেমনি বিভিন্ন ধর্ম ও সাধনার মধ্যে দিয়েও ঈশ্বরের কাছে পৌঁছনো যায়।। অথাৎ-
"- যত মত! তত পথ" -!! ।।


19- স্বামী বিবেকানন্দের নব্যবেন্দান্ত কী??

✅উ- স্বামী বিবেকানন্দ বেদান্ত নিয়ে, তার নিজস্ব নতুন মতামত দিয়েছিলেন। তিনি প্রাচীন বেদান্তের ভাবধারায়, তার নিজস্ব ধর্মচিন্তা যোগ করেছিলেন।।
এবং ক্ষেত্রে স্বামী বিবেকানন্দের এই নতুন আদর্শই হলো নব্য বেদান্ত।।।
স্বামী বিবেকানন্দ তার নব্য বেদান্তে বলেছিলেন যে সর্বএ ব্রহ্মের উপস্থিতি।। এবং জনসাধারণের সেবা করা মানেই হলো ব্রহ্মের সেবা করা।।। ধর্মকে মনে রেখে মানুষের শেবা করাই হবে সবচেয়ে বড়ো ধর্ম।।

20- বাংলার নবজাগরণ কী??

✅উ - উনিশ শতকে, বাংলায় তথা;-  বিশেষ করে কলকাতায় আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে, বাংলার সমাজ, সংস্কৃতির বিভিন্ন অগ্রগতি ঘটে।। এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাবে বাংলার এই অগ্রগতিকেই বাংলার নবজাগরণ বলা হয়।।।
- কিন্তু বাংলার এই নবজাগরণ নিয়ে অনেকর অনেক আলাদা আলাদা মতামত রয়েছে! কেউ এই বৌদ্ধিক অগ্রগতিকে বাংলার নবজাগরণ বলে মেনে নিয়েছেন.. তো অনেকেই আবার একে বাংলার নবজাগরণ হিসেবে মেনে নেননি।। এবং এই মানা আর না মানা নিয়েই সৃষ্টি হয়েছিল বাংলার নবজাগরণ বিতর্ক।।


নিচে দেওয়া লিঙ্ক গুলোর ওপর ক্লিক করে বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন গুলো দেখে নিতে পারেন। 👇


1- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর 


2- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উওর 


3-  সংস্কার :  বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর 


3.I - সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর | সংস্কার ব‍ৈশিষ্ট‍্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের ২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর 


4- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর ও সাজেশিন 


5-প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর | ২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর 


6- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন উওর ও সাজেশন 


7-  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা - মাধ্যমিক গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন || 2 Mark এর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তার উওর সহকারে।।


8- বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ ( উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথমভাগ পযর্ন্ত  ) - বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর + মাধ্যমিক সাজেশন।।


9-  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উওর 


-  পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top