বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উওর | বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | বহুরূপী গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর

0

 বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উওর | বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | বহুরূপী গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর


বহুরূপী গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর


আজকে আমরা দশম শ্রেণির  বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্তর - এর দ্বিতীয় ভাগ শেয়ার করেছি। আজকের এই পোস্টে আমরা " বহুরূপী গল্পের যেসব প্রশ্ন উওর শেয়ার করবো, সেসব প্রশ্নই মাধ্যমিকের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এর আগের পোস্টে আমরা " বহুরূপী " গল্পের কিছু mcq প্রশ্ন উওর শেয়ার করেছিলাম। সেই পোস্টের লিঙ্ক নিচে দেওয়া থাকবে, চাইলে সেই পোস্টটি দেখে নিতে পারেন।। 

বহুরূপী গল্পের প্রশ্ন উত্তর | বহুরূপী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উত্তর | বহুরূপী গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর

1 - বিরাগীর মতে পরম সুখ কী?? 


উওর : বিরাগীর মতে পরম সুখ হল সংসারের সকল সুখের বন্ধন থেকে মুক্ত হতে পারা।  সংসারের সকল বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে অনন্তের সাধনায় নিজেকে যুক্ত করতে পারলেই পরম সুখ লাভ করা যায়। 


2 - " বাহঃ এতো বেশ মজার ব্যাপার।" মজার ব্যাপারটি কী??


উওর : জগদীশ বাবুর বাড়িতে আসা এক সন্ন্যাসী  তার পায়ের ধুলো কাউকেই নিতে দেন না। সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো খুবই দুর্লভ জিনিস। কিন্তু যখন জগদীশবাবু সোনার বোল লাগানো এক জোড়া খড়ম সন্ন্যাসীর পায়ের সামনে তুলে ধরলেন তখন সন্ন্যাসী তার দিকে পা বাড়িয়ে দিলেন এবং সেই ফাঁকে জগদীশবাবু সেই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিয়েছিলেন  হরির কাছে এটাই খুব মজার বিষয়। 

3 - " আক্ষেপ করেন হরিদা। " - হরিদার এই আক্ষেপ এর কারণ কী ছিল?? 


উওর : যখন  হরিদার কাছে গল্প করা হয় যে জগদীশ বাবুর বাড়িতে একজন হিমালয় ফেরত সন্ন্যাসী এসেছেন, তখন হরিদা সেই সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো নিতে চান। কিন্তু হরিদা যখন জানতে পারেন যে সন্ন্যাসী কিছুদিন হলো চলে গেছে তখন হরিদা তাই ইচ্ছে পূরণ না হওয়ায় আক্ষেপ করেন। 


4 - " চমকে উঠলেন জগদীশবাবু " -- জগদীশবাবুর চমকে ওঠার কারণ কী?? 


উওর : চাঁদের আলোয় আলোকিত হওয়া অদ্ভুত সুন্দর এক সন্ধ্যায় জগদীশ বাবুর বাড়িতে গায়ে সাদা উত্তরীয় জড়ানো,ছোট থান, মাথায় সাদা চুল ও পায়ে ধুলো এবং সাথে একটি ঝোলা নিয়ে একজন বিরাগী জগদীশবাবুর সিঁড়িতে দিকে এসে হাজির হয়েছিলেন। এবং সেই বিরাগীকে দেখেই জগদীশবাবু চমকে উঠেছিলেন। 

5 - " সত্যি হরিদার জীবনে একটা নাটকীয় বৈচিত্র আছে। " --- হরিদার জীবনের নাটকীয় চিত্রটি কী?, 


উওর :  হরিদ্বার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্রটি হল  তার পেশা। হরিদা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রকমের সাজ সেজে মানুষকে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে হরিদার রোজগার সামান্য হলেও তার জীবনে এই বহুরুপীর পেশাই এক নাটকীয় বৈচিত্র এনে দেয়। 


6 - " শুনে খুব গম্ভীর হয়ে গেলেন হরিদা। " --  হরিদা কেন গম্ভীর হয়ে গিয়ে ছিলেন?? 


উওর : গল্পে যখন হরিদা জানতে পারলেন যে একজন হিমালয় ফেরত সন্ন্যাসী যখন তার পায়ের সামনে সোনার বোল লাগানো এক জোড়া খড়ম তুলে ধরা হয়েছে, এবং সেই সঙ্গে তাকে প্রণামী হিসেবে 100 টাকা দেওয়া হয়েছে এবং তিনি সেটি গ্রহণ করেছেন,  তখন এই কথা শুনে হরিদা গম্ভীর হয়ে এই বিষয়ে ভাবতে শুরু করেন।। 

আমাদের Whatsapp Group Join করতে এখানে ক্লিক করো।


7 - " খুব হয়েছে.... এইবার সরে পড়ো।" -- এই কথাটি কে,  এবং কাকে বলেছিলেন?? 


উওর : এই কথাটি বাসের ড্রাইভার কাশীনাথ পাগলের ছদ্মবেশি হরি কে বলেছিলেন। 


8 - হরিদা পুলিশ সেজে কোথায় দাড়িয়ে ছিলেন?? 


উওর ; গল্পের প্রধান চরিত্র হরিদা একবার পুলিশ সেজে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে ছিলেন।  এবং সেখানে স্কুলের চারজন ছেলেকে ধরেছিলেন। 


9 - " এবারের মতো মাপ করে দিন ওদের। " --- এ কথা কে,  কাকে বলেছিলেন??


উওর : একথা স্কুলের মাস্টার মশাই পুলিশের ছদ্মবেশ ধারি হরিদাকে বলেছিলেন 


10 - " তাতে যে আমা ঢং নষ্ট হয়ে যাবে!"- -- বক্তা কোন্ প্রসঙ্গে একথা বলেছেন?? 


উওর : এখানে বক্তা, অর্থাৎ হরিদা যখন বিরাগীর ছদ্মবেশে জগদীশবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তখন জগদীশ বাবু বিরাগীকে প্রণামী হিসেবে একশো এক টাকা দিতে চান। কিন্তু বিরাগী সেই টাকা নেননি। এখানে হরিদা সেই প্রসঙ্গেই কথাটি বলেছেন। তিনি একজন বিরাগী যে কিনা সংসারের সকল মোহ, মায়া ত্যাগ করেছেন। সুতরাং হরিদা যদি বিরাগী হয়েও সেই টাকা নিতেন তাহলে তার বিরাগীর ঢং নষ্ট হয়ে যেত।। 


11- জগদীশবাবু হরিদাকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য কত টাকা দিতে চেয়েছিলেন?? 


উওর : জগদীশবাবু হরিদাকে তীর্থ ভ্রমণ


12 - " আমার বুকের ভেতরেই যে সব তীর্থ। "--- কে কখন একথা বলেছিলেন?? 


 উওর :  একথা বলেছিলেন বিরাগী।  যখন জগদীশবাবু বিরাগীকে তাঁর তীর্থ ভ্রমণের জন্য তাকে একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন, তখন বিরাগী জগদীশবাবুকে বলেছিলেন যে আমার বুকের ভেতরেই তো সব তীর্থ। ভ্রমণ করে দেখবার মতো কোনো দরকার হয় না। 


13 - "এটা আমার প্রাণের অনুরোধ। " ------ বক্তা কোন্ কথাকে প্রাণের অনুরোধ বলেছিলেন?


উওর : জগদীশবাবুর বিরাগী সন্ন্যাসীকে একশো এক টাকা প্রণামী হিসেবে দেওয়ার পর, বিরাগী সন্ন্যাসীকে সেই টাকা তিনি গ্রহণ করতে বলরন। জগদীশবাবু বিরাগীকে দেওয়া সেই টাকা গ্রহণ করার কথাটাকেই প্রাণের অনুরোধ বলেছিলেন। 


14 - " কী অদ্ভুত কথা বললেন হরিদা। "  --হরিদার বলা অদ্ভুত কথাটি কী ছিল?? 


উওর : যখন বিরাগীর ছদ্মবেশে ধারীবহরিদার কাছে জানতে চাওয়া হয় যে, তিনি কেন জগদীশবাবুর দেওয়া একশো এক টাকা গ্রহণ করলেন না, তখন তিনি বললেন সেটা গ্রহণ করলে " তাতে যে আমার ঢনহ নষ্ট হয়ে যায়। "। হরিদার এই কথাটিই সত্যি খুব অদ্ভুত। কারণ তিনি একজন বিরাগী সন্ন্যাসী হয়ে টাকা স্পর্শ করতে পারেন না। তাতে একজন বিরাগী সন্ন্যাসীর ঢং নষ্ট হয়ে যায়। 


15- " একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল। " --- কোথায় কখন আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল?? 

উওর : একদিন চকের বাসস্ট্যান্ডের কাছে হরিদা একজন উন্মাদ পাগলের ছদ্মবেশে বাসস্ট্যান্ডের কাছে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন। যখন সেই উন্মাদ পাগল বাসের যাত্রীদের দিকে চেঁচিয়ে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন সেই পাগলকে দেখেই বাসের যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল।


16 - " বড় চমৎকার আজকে এই সন্ধ্যার চেহারা।" --- কোন সন্ধার চেহারাকে বক্তার চমৎকার বলে মনে হয়েছিল?? 


উওর: বক্তার এমন এক সন্ধ্যাক্ব চমৎকার বলে মনে হয়েছিল, যে সুন্দর সন্ধ্যায় চাঁদের আলোর একটা স্নিগ্ধ ও শান্ত উজ্জলতা চারিদিকে ফুটে উঠেছিল। চারদিকে ফুরফুরে বাতাস বইছিল এবং তার সাথে জগদীশবাবুর বাগানের গাছের পাতাগুলো ঝিরঝির করে শব্দ করছিল। এরুপ এক সন্ধ্যাকেই বক্তার চমৎকার বলে মনে হয়েছিল। 


17 - " আপনি কী ভগবানের চেয়েও বড়ো?? --- এখানে বক্তা কে,  এবং কাকে এবং কেন এই কথাটি বলা হয়েছে?? 


উওর : এখানে বক্তা হলেন বিরাগী সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশী হরিদা। তিনি কথাটি বলেছিলেন জগদীশবাবুকে।  কারণ তিনি যখন জগদীশ বাবুর বাড়িতে পৌঁছেছিলেন তখন জগদীশ বাবু সন্ন্যাসীকে দেখতে পেয়েও তিনি বিরাগীকে দূর থেকেই অভ্যর্থনা জানান।  বিরাগীর মতে হয়তো জগদীশ বাবু তা এগারো লক্ষ টাকার সম্পত্তির অহংকারে নিজেকে ভগবানের চেয়েও বড়ো ভাবেন। এজন্যই তিনি দূর থেকেই সন্ন্যাসীকে অভ্যর্থনা জানান। জগদীশবাবুর এরকম কাজের জন্যই বিরাগী জগদীশ বাবুকে একথা বলেন। 


18 - " আমার অপরাধ হয়েছে। " --- এখানে কার, কোন অপরাধের কথা বলা হয়েছে?? 


উওর : এখানে অপরাধটি হল জগদীশবাবুর। যখন জগদীশ বাবুর বাড়িতে এক বিরাগী সন্ন্যাসী এসে হাজির হয়, তখন সন্ন্যাসীকে দেখতে পেয়ে জগদীশবাবুর সিঁড়ি থেকেই সন্ন্যাসীকে অভ্যর্থনা জানান। এভাবে দূর থেকে সিঁড়ি থেকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য সন্ন্যাসী অত্যন্ত অসন্তুষ্ট হন।  বিরাগী জগদীশবাবুকে তার অহংকারের কথা বলায় সেই মুহূর্তে জগদীশবাবুর সিঁড়ি থেকে নেমে বিরাগীর পায়ের কাছে এসে পড়েন। এবং বিরাগী সন্ন্যাসীকে শান্ত করতেই জগদীশবাবু একথা বলে ওঠেন। 


19 - বিরাগী সন্ন্যাসী জগদীশবাবুকে কী উপদেশ দিয়েছিলেন?? 

উওর : বিরাগী সন্ন্যাসী জগদীশবাবুকে বলেছিলেন যে ধন-জন - যৌবন আসলে মোহময় বঞ্চনা। যদি মন প্রাণ দিয়ে একজনের আপন হতে চেষ্টা করা যায় তাহলেই সৃষ্টির সব ঐশ্বর্যই লাভ করা যায়। 


20 - " অদৃষ্ট কখনো হরিদার এই ভুল ক্ষমা করবে না।"  --  হরিদার কোন ভুলের কথা এখানে বলা হয়েছে??. 


উওর : যখন হরিদা বিরাগী সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে জগদীশ বাবুর বাড়িতে যান তখন জগদীশবাবুর সন্ন্যাসীকে তীর্থ ভ্রমণের জন্য একশো এক টাকা প্রণামী হিসেবে দিতে চান। কিন্তু জগদীশবাবুর দেওয়া এই টাকা হরিদা হাতের কাছে পেয়েও হরিদা সেটা ত্যাগ করেন। হরিদার এত অভাবের জীবনে এত টাকা হাতের কাছে পেয়েও সেটা ফেরত দেওয়াকেই হরিদার ভুল বলা হয়েছে।। 


বহুরূপী গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর |বহুরূপী গল্পের বড়ো উত্তরধর্মী প্রশ্ন উত্তর


1 - হরিদা পুলিশ সেজে কোথায় দাঁড়িয়ে ছিলেন?? তিনি কীভাবে মাস্টার মশাইকে বোকা বানিয়ে ছিলেন?? 


উওর : সুবোধ ঘোষের রচিত " বহুরূপী " গল্পের প্রধান চরিত্র হলেন হরিদা। হরিদার জীবনটা বিভিন্ন রকম  বহুরুপীর খেলা দেখিয়েই চলে যায়। ঠিক সেরকম ভাবেই একদিন হরিদা পুলিশের ছদ্মবেশ ধরে দয়ালবাবুর লিচু বাগানে দাঁড়িয়ে ছিলেন। 


দয়ালবাবরু লিচু বাগানে দাঁড়িয়ে থাকার পর সেখানে তিনি স্কুলের চারজন ছেলেকে ধরে রেখেছিলেন। স্কুলের চারজন ছেলেকে ছাড়িয়ে নেওয়ার জন্য তখন সেখানে স্কুলের মাস্টারমশাই এসে হাজির হন। স্কুলে এসে মাষ্টারমশাই শ্রীনগর পুলিশের কাছে ক্ষমা চেয়ে বলেন যে, " এবারের মত মাপ করে দিন ওদের। " কিন্তু সেই নকল পুলিস স্কুলের মাস্টার মশাইয়ের কাছ থেকে আট আনা ঘুষ নিয়ে তবেই সেই চারটে ছেলেকে সে বারের দিয়ে ছিলেন। কিন্তু পরের দিন স্কুলের মাস্টারমশাই জানতে পেরেছিলেন যে, তিনি যাকে আট আনা ঘুষ দিয়েছিলেন সে কোন পুলিশ নয়! বরং পুলিশের ছদ্মবেশী হরি। 


2 - " খুব উঁচু দরের সন্ন্যাসী। " -- সন্ন্যাসী পরিচয় দাও.


উওর : সুবোধ ঘোষ রচিত বহুরূপী গল্পে, গল্পে শুরুর দিকেই আমরা একজন সন্ন্যাসীর কথা জানতে পারি। সন্ন্যাসী হলেন হিমালয় ফেরত। তিনি সারাবছর হিমালয়ের গুহাতে থাকেন। কদিন হলে তিনি পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশ বাবুর বাড়িতে এসে রয়েছেন। সন্ন্যাসীর বয়স সম্পর্কে এও জানা যায়,অনেকে মনে করেন সন্ন্যাসীর বয়স নাকি হাজার বছরের চেয়েও বেশি। তার খাবারের মধ্যে সারাবছরে শুধু মাত্র তিনি একটি হরতকী খান। এসব জিনিসের মধ্যে সন্ন্যাসীর সবচাইতে বড়ো কথা হলো তিনি কাউকেই নিজের পায়ের ধুলো নিতে দেন না। সন্ন্যাসীর পায়ের ধুলো অত্যন্ত দুর্লভ জিনিস। কিন্তু জগদীশবাবু যখম সোনার বোল লাগানো একজোড়া খড়ম সন্ন্যাসীর পায়ের সামনে তুলে ধরেছিলেন, তখন সেই ফাঁকে সন্ন্যাসী সেদিকে পা বাড়িয়ে দেন এবং তখন জগদীশবাবু তার পায়ের ধুলো নেওয়ার সুযোগ পেয়ে যান।। এর থেকেও বড় কথা হলো তিনি একজন সন্ন্যাসী হওয়া সত্ত্বেও যখন জগদীশবাবু তার ঝোলার ভেতরে একশো টাকার নোট রেখে দেন তখন সেই সন্ন্যাসি একটু মুচকি হাসেন এবং তা গ্রহণ করেন। 


3 - " আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো?? "  --- কাকে এ কথা বলা হয়েছে??  তাঁকে এ কথা বলা হয়েছে কেন?? 


উওর : সুবোধ ঘোষ রচিত " বহুরূপী"  গল্পে বিরাগী সন্ন্যাসী পাড়ার ধনী ব্যক্তি জগদীশবাবুকে একথা বলেছিলেন।  


বিরাগী সন্ন্যাসীর জগদীশবাবু কে একথা বলার কারণ ছিল চাঁদের আলোয় আলোকিত হওয়া এক  সুন্দর সন্ধ্যায় একজন বিরাগী সন্ন্যাসী জগদীশ বাবুর বাড়িতে এসে হাজির হন। জগদীশবাবু যখন সে বিরাগীকে দেখতে পান তখন জগদীশবাবুর সিঁড়ি থেকে উঠে সেখান থেকেই তাঁকে অভ্যর্থনা জানান। বিরাগী সন্ন্যাসী যখন জগদীশবাবু এরকম ব্যবহার দেখেন, তখন বিরাগী জগদীশবাবুকে, নিজেকে ভগবানের থেকেও বড়ো মনে করার কথা বলেছেন। বিরাগীর মতে জগদীশবাবু হয়তো তার এগারো লক্ষ টাকার সম্পত্তি অহংকারে  নিজেকে ভগবানের চেয়েও বড়ো বলে মনে করেন। যদি তা না হত তাহলে জগদীশবাবুর বিরাগী সন্ন্যাসীকে দেখতে পেয়ে তিনি তাঁর বারান্দার সিঁড়ি থেকে সন্ন্যাসীর কাছে এসে তাকে অভ্যর্থনা জানাতেন। 


4 - "  তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায় " - বক্তা কে?? এখানে ঢং বলতে কী বোঝানো হয়েছে?? এবং কী করলে তাঁর ঢং নষ্ট হয়ে যাবে?

উওর : " তাতে যে আমার ঢং নষ্ট হয়ে যায়।"-  এখানে এই বক্তব্যটির বক্তা হলেন হরিদা। 

এখানে ঢং বলতে হরিদা বুঝিয়েছেন, যখন তিনি  ছদ্মবেশে একজন বিরাগী সন্ন্যাসীর অভিনয় করেছিলেন তখন শুধু তার বেশভূষায় নয় তার সাথে হরিদার মনটাও ছিল একজন বিরাগী সন্ন্যাসীর। এবং সেই বিরাগী সন্ন্যাসীর চরিত্রের মধ্যে নিজেকে আটকে রাখাই ছিল হরিদার ঢং।  হরিদা এখানে সেই বিরাগী চরিত্রকেই নিকের ঢং বলেছেন।


 যখন হরিদাকে জিজ্ঞেস করা হয় যে জগদীশবাবু যখন বিরাগী রুপী হরিদাকে প্রণামী হিসেবে একশো এক টাকা দিতে চেয়েছিলেন তখন হরিদার সেই  টাকা কেন নিলেন না।  তখন হরিদা বলেন যে যদি তিনি একজন বিরাগী সন্ন্যাসী হয়ে টাকার লোভে পড়ে সেই 101 টাকা গ্রহণ করতেন তাহলে তার বিরাগী সন্ন্যাসী চরিত্রের ঢং নষ্ট হয়ে যেত। কারণ কোন জিনিসের লোক একজন বিরাগী সন্ন্যাসীর  জন্য কখনোই শোভা পায় না!।।


5 - হরিদার জীবন এরকম বহুরূপের খেলা দেখিয়েই এরকম চলে যাচ্ছে। -- হরিদারজীবনের বহুরূপের খেলার পরিচয় দাও। 


উওর: সুবোধ ঘোষের রচিত " বহুরূপী "গল্পের প্রধান চরিত্র হলেন হরিদা।  হরিদা পেশায় একজন বহুরূপী। যদিও হরিদার এই পেশায় তার সংসার বা তার পেট চলে না,  তবুও হরিদা তার এই পেশাকেই ভালোবাসেন। হরিদা মাঝে,, মাঝেই বা সপ্তাহে একদিন বিভিন্ন সাজে সেজে রাস্তায় বের হতো  কখনো পাগল, কখনো বা রূপসী বাইজি, কখনো আবার বাউল, কখনো কাবুলিওয়ালা,  কোনদিন হয়তো কোন ফিরিঙ্গি সাহেব এর মতো নানান বহুরূপী সাজের খেলা দেখিয়েই হরিদার জীবন চলে যায়। বহুরূপীর এই খেলা দেখাতে গিয়ে হরিদার জীবনের সর্বোচ্চ উপার্জন ছিল আট টাকা দশ আনা। যদিও হরিদা বিরাগী সন্ন্যাসীর ছদ্মবেশে 101 টাকা নিতে পারতেন, কিন্তু তবুও তিনি তার পেশার সম্মান এবং সত্যিকারের বহুরূপীর মানে বোঝাতেই সেদিন টাকা ত্যাগ করেছিলেন।। 


6 - " হরিদার জীবনের সত্যিই একটা নাটকীয় বৈচিত্র আছে " -- হরিদার জীবনের নাটকীয় বৈচিত্রটি কী?? 


উওর :  সুবোধ ঘোষের রচিত বহুরূপী গল্পের প্রধান চরিত্র হলেন আমাদের হরিদা। হরিদা পেশায় একজন বহুরূপী।  হরিদার জীবনটা বিভিন্ন বহুরূপী সাজের অদ্ভুত খেলা দেখিয়েই চলে যায়। হরিদার বহুরূপী এই পেশায় তিনি সপ্তাহে খুব বেশি হলে একদিন বাইরে বের হতেন।  এবং তার এই বহুরূপী সাজে কেউ তাকে চিনে ফেলে বা কেউ তার বহুরূপী সাজ দেখে খুশি হয়ে তাকে সামান্য কিছু বকশিশ দিতেন।  এতে হরিদার উপার্জন হত খুব খুবই সামান্য।  কিন্তু তবুও হরিদার এই অভাবের জীবনে বহুরূপীর পেশাই একটি  নাটকীয় বৈচিত্রের সৃষ্টি করে।

7 -  " একটা আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল। " - কোথায়, এবং কেন আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল?? 


উওর :  সুবোধ ঘোষের রচিত বহুরূপী গল্পে একদিন ঠিক দুপুর বেলার দিকে চকের  বাসস্ট্যান্ডের কাছে হরিদার এক উন্মাদ পাগলের ছদ্মবেশ ধরে বাসের যাত্রীদের কাছে হাজির হন।  


চকের বাসস্ট্যান্ডে দুপুরবেলা এক উন্মাদ পাগল এর আবির্ভাব হওয়ায় সেখানে সবাই ভীত হয়ে পড়ে।।সেই উন্মাদ পাগল এর মুখ থেকে লালা ঝরে পড়ছিল। চোখ ছিল একদমই টকটকে লাল. কোমরে একটা ছেঁড়া কম্বল জড়ানো ছিল তার সঙ্গে গলায় কয়েকটা টিনের কৌটার মালাও ছিল। যখন সেই উন্মাদ পাগল হাতে থান ইট নিয়ে বাসের যাএীদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল তখন বাসের যাত্রীরা এতে আতঙ্কিত হয়ে পরে। এবং এই আতঙ্কে জেরেই  সেখানে আতঙ্কের হল্লা বেজে উঠেছিল। 


 পথের দাবী গল্পে প্রশ্ন উওর দেখতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করা👇👇

পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উওর | পথের দাবী গল্পের সংক্ষিত + ব্যাখাভিওিক সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্ন উওর 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top