পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উওর | পথের দাবী গল্পের সংক্ষিত + ব্যাখাভিওিক সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্ন উওর
পথের দাবী প্রশ্ন উওর |
আজকে আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে দশম শ্রেণীর বাংলা বইয়ের পাঠ্য গল্প - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী এর সমস্ত ধরনের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর শেয়ার করবো। আজকের এই পোস্টে থাকবে পথের দাবী গল্পের mcq প্রশ্ন উওর, পথের দাবী গল্পের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন+উওর বা বহুরূপী গল্পের ছোট প্রশ্ন উত্তর। এবং তারসাথে থাকবে পথের দাবী গল্পের ব্যাখ্যা ভিত্তিক সংক্ষিপ্ত উত্তরধর্মী প্রশ্ন উত্তর,
পথের দাবী গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর।
নিচে আমাদের ওয়েবসাইটের বাংলা বিষয়ের উপর করা অন্যান্য পোস্টের লিঙ্ক দেওয়া থাকবে। সেসব লিঙ্ক এর উপর ক্লিক করে দশম শ্রেণীর বাংলা বিষয়ের অন্যান্য প্রশ্ন+উওর দেখে নিতে পারো।
পথের দাবী প্রশ্ন উওর |পথের দাবী mcq প্রশ্ন উওর |পথের দাবী সংক্ষিত + ব্যাখাভিওিক সংক্ষিপ্ত ও রচনাধর্মী প্রশ্ন উওর
🔶 - পথের দাবী গল্পের লেখক কে??
ক• রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ• শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ• ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
ঘ• মাইকেল মধুসূদন দও
✅উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
🔶- গিরীশ মহাপাত্রের সাথে অপূর্বর পুনরায় কোথায় দেখা হয়েছিল? - [ME '17]
(ক) পুলিশ-স্টেশনে
(খ) জাহাজ ঘাটায়
(গ) রেল স্টেশনে
(ঘ) বিমান বন্দরে
✅উওর : রেল স্টেশনে
🔶- “দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি, নিজে খাইনে” –এখানে বক্তা কে?? [ME 18]
(ক) জগদীশবাবু
(খ) নিমাইবাবু
(গ) অপূর্ব
(ঘ) গিরীশ মহাপাত্র
✅উওর : নিমাইবাবু
🔶- পােলিটিক্যাল সাসপেক্টের নাম –
(ক) অপূর্ব রায়
(খ) সব্যসাচী চক্রবর্তীতে
(গ) সব্যসাচী মল্লিক
(ঘ) নিমাইবাবু
✅উওর : সব্যসাচী মল্লিক
🔶 - সব্যসাচী মল্লিক পেশায় কী ছিলেন?
ক• একজন ডাক্তার
খ• একজন পুলিশ
গ• একজন উকিল
ঘ• একজন শিক্ষক
✅উওর : একজন ডাক্তার
🔶 - সব্যসাচী মল্লিককে খুঁজছিলেন তার কারণ হল, তিনি ছিলেন --
ক• দেশদ্রোহী
খ• দেশপ্রেমী
গ• রাজদ্রোহী
ঘ• চোর
✅উওর : রাজদ্রোহী
🔶 - সব্যসাচী মল্লিকেত ছদ্মনাম কী ছিল?
ক• গিরীশ দাস
খ• গিরীশ মহাপাএ
গ• গিরীশ পাএ
ঘ• গিরীশ তলওয়ারকার
✅উওর : গিরীশ মহাপাএ
🔶 - গিরীশ মহাপাএের বয়স কত??
ক• ৩০-৩২ বছর
খ• ৫০-৩২ বছর
গ• ২০-৩২ বছর
ঘ• ৪০- ৩১ বছর
✅উওর : ৩০-৩২ বছর
🔶-হলঘরে মােটঘাট নিয়ে মোট কতজন বাঙালি বসেছিল??
(ক) জন-চারেক
(খ) জন-পাঁচেক
(গ) জন-ছয়েক
(ঘ) জন-সাতেক
✅উওর : জন-ছয়েক
🔶- ‘যাকে খুঁজছেন সে যে এ নয়, তার আমি জামিন হতে পারি। – এখান্ব বক্তা কে??
(ক) রামদাস
(খ) অপূর্ব
(গ) জগদীশবাবু
(ঘ) নিমাইবাবু
✅উওর : অপূর্ব
🔶- নিমাইবাবু তার সহকর্মীকে কোন ট্রেনের দিকে নজর রাখতে বলেছিলেন??
(ক) সকালের মেলট্রেন
(খ) দুপুরের মেলট্রেন
(গ) রাতের মেলট্রেন
(ঘ) বিকেলের মেলট্রেন।
✅উওর : রাতের মেলট্রেন
🔶- ‘অপূর্বরাজি হইয়াছিল।'—অপূর্ব কার অনুরোধে
রাজি হয়েছিল???
(ক) কাকিমা
(খ) বৌঠান
(গ) খ্রিস্টান মেয়েটির
(ঘ) রামদাসের স্ত্রী
✅উওর : রামদাসের স্ত্রী
🔶- ‘কিন্তু বুনাে হাঁস ধরাই যে এদের কাজ" -- এখানে বক্তা হলেন--
(ক) অপূর্ব
(খ) রামদাস
(গ) জগদীশবাবু
(ঘ) নিমাইবাবু
✅উওর : রামদাস
🔶- " এমনি তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে। "-- কাদের অভ্যাস হয়ে গেছে?
(ক) ভারতীয়দের
(খ) ইংরেজদের
(গ) ইউরােপীয়দের,
(ঘ) জার্মানদের
✅উওর : ভারতীয়দের
🔶- " পথের দাবী' কাহিনিটি যে উপন্যাসের অংশবিশেষ,তা হল --
(ক) পল্লীসমাজ
(খ) পথের দাবী
(গ) অরক্ষণীয়া
(ঘ) শ্রীকান্ত
✅উওর : পথের দাবী
🔶 - ‘বুড়ােমানুষের কথাটা শুনাে’ – এখানে ‘বুড়ােমানুষটি কে?
(ক) জগদীশবাবু
(খ) গিরীশ মহাপাত্র
(গ) নিমাইবাবু
(ঘ) অপূর্ব
✅উওর : নিমাইবাবু
🔶- সব্যসাচী মল্লিকের চোখের দৃষ্টিতে কী প্রবেশ করতে সাহস করে না?
(ক) জরা
(খ) মৃত্যু
(গ) আনন্দ
(ঘ) দুঃখ
✅উওর : মৃত্যু
🔶- " তুমি তাে ইউরােপিয়ান নও। " -- কে অপূর্বকে এই কথাটি বলেছিলেন?
(ক) বর্মার জেলাশাসক
(খ) বর্মার সাব-ইনস্পেক্টর
(গ) রেঙ্গুনের সাব-ইনস্পেক্টর
(ঘ) বড়ােসাহেব
✅উওর : বর্মার সাব-ইনস্পেক্টর
🔶- গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল?? -
(ক) দুটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা
(খ) একটি টাকা ও গন্ডা-চারেক পয়সা,
(গ) দুটি টাকা ও গন্ডা-চারেক পয়সা
(ঘ) একটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা
✅উওর : একটি টাকা ও গন্ডা-ছয়েক পয়সা
🔶- তবে এ বস্তুটি পকেটে কেন?’ বস্তুটি কী??
(ক) একটি টাকা
(খ) কাঠের পেনসিল
(গ) গাঁজার কলিকা
(ঘ) একটি স্কেল
✅উওর : গাঁজার কলিকা
🔶- পুলিশ কাকে খুঁজছিল?
(ক) রামদাসকে
(খ) অপূর্বকে
(গ) সব্যসাচী মল্লিককে
(ঘ) গিরীশ মহাপাত্রকে
✅উওর : সব্যসাচী মল্লিককে
🔶- " সহাস্যে কহিলেন, বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে, কিন্তু শখ ষােলােআনাই বজায় আছে তা স্বীকার করতে হবে।” – এখানে কে এই কথাটি বলেছেন??
(ক) পুলিশ অফিসার
(খ) অপূর্ব
(গ) জগদীশবাবু
(ঘ) নিমাইবাবু
✅উওর : নিমাইবাবু
🔶 - আপাতত ..যাচ্ছি’ –এখান বক্তা হলেন –
(ক) গিরীশ
(খ) রামদাস
(খ) অপূর্ব
(ঘ) নিমাইবাব
✅উওর : অপূর্ব
পথের দাবী বড় প্রশ্ন উত্তর | পথের দাবী রচনাধর্মী প্রশ্ন উওর | পথের দাবী প্রশ্ন উত্তর
1- " তবে এই বস্তুটি পকেটে কেন?" - কোন্ বস্তুটি পকেটে ছিল??
উওর : যে বস্তুটি পকেটে ছিল সেটি হলো একটি গাজার কলিকা। যেটি গিরীশ মহাপাত্রের তল্লাশি করার সময় তার পকেট থেকে পাওয়া গিয়েছিল।
2 - " মনে হলো দুঃখে লজ্জায় ঘৃণায় নিজেই যেন মাটির সঙ্গে মিশিয়ে যাই। "- কোন্ কথা মনে করে অপূর্বর এই মনোবেদনা??
উওর : একবার অপূর্ব বিনা দোষে বিদেশি যুবকদের হাতে মার খেয়েছিল। সেই বিদেশীর যুবকরা অপূর্বকে মেরে প্লাটফর্ম থেকে বের করে দিলে যখন অপূর্ব এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে, অপূর্ব শুধুমাত্র ভারতীয় হওয়ায় স্টেশন মাস্টার ও স্টেশনে উপস্থিত বাকি ভারতীয়রা এর কোনো প্রতিবাদ করেনি। এই ঘটনা অপূর্বের মনে মনোকষ্ট সৃষ্টি করে।
3 -" বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো। "- বুড়ো মানুষটি কে? বুড়োমানুষটি তার কোন্ কথা শোনার বলেছিলেন?
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠাংশে বুড়ো মানুষটি হলেন নিমাইবাবু। যখন গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে একটি গাজার কলিকা পাওয়া যায় তখন নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রের শরীর দেখে তাকে গাজা খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন। এখানে বুড়ো মানুষের সেই কথাটি শোনার কথাই বলা হয়েছে।
4 -" ইহা যে কতবড়ো ভ্রম তাহা কয়েকটি স্টেশন পরেই সে অনুভব করিল " - ভ্রম টি কী?? [ মাধ্যমিক 2017 ]
উওর : অপূর্বর ভামো যাত্রার সময় সে রেলের প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। প্রথম শ্রেণীর যাত্রী হওয়ায় অপূর্ব ভেবেছিলো যে প্রভাতকাল পর্যন্ত তার নিদ্রায় হয়তো কেউ ব্যাঘাত ঘটাবে না। এটাই ছিল অপূর্বর ভ্রম বা ধারণা।
5 - গিরীশ মহাপাত্রের ট্যাঁক থেকে কী কী পাওয়া গিয়েছিল??
উওর : পুলিশ স্টেশনে যখন গিরীশ মহাপাত্রের তল্লাশি করা হয় তখন তারা ট্যাঁক থেকে একটি টাকা ও গন্ডাছয়েক পয়সা তার সঙ্গে একটি লোহার কম্পাস, মাপ করিবার কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাইয় এবং সবশেষে একটা গাজার কলিকা পাওয়া গিয়েছিল।
6 - " আজ্ঞে না মাইরি খাইনে। " - বক্তা এখানে কী না খাওয়ার কথা বলেছিলেন??
উওর : এখানে বক্তা অর্থাৎ গিরিশ মহাপাত্র গাজা না খাওয়ার কথা বলেছেন। যখন নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্র কে জিজ্ঞেস করে যে সে গাজা খায় কিনা, তখন গিরিশ মহাপাত্র এই কথা বলেছিলেন।
7 - " সহসা আশংঙ্কা হয় " আশঙ্কার কারণ কী ছিল??
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশের অতি রোগা চেহারার গিরিশ মহাপাত্র তার অল্প কাশির পরিশ্রমেই খুব বেশি পরিমাণে হাঁপাতে থাকেন। গিরীশ মহাপাত্রের এইরূপ হাঁপানো দেখেই আশংঙ্কা হয় যে সংসারে তাঁর মেয়াদ বোধহয় খুব বেশি নেই।
8 - " তাহাকে আরেকটা ঘরে আটকাইয়া রাখা হয়েছে। " - কাকে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে??
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের পাঠাংশে গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশধারী সব্যসাচী মল্লিককে আলাদা এটি ঘরে আটকে রাখার কথা বলা হয়েছে।
9 - " ইত্যবসরে এই ব্যাপার।" - কোন্ ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে??
উওর : রচনা চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠাংশে অপূর্ব সহকর্মী তেওয়ারি যখন ফয়ায় বর্মা নাচ দেখতে গিয়েছিল, ঠিক সেই সময়ই তাদের বাড়িতে চুরি হয়ে গিয়েছিল। এখানে সেই ব্যাপারের কথাই বলা হয়েছে।
10 - " তা ছাড়া এত বড় বন্ধু!" - বন্ধু বলতে কার কথা বলা হয়েছে??
উওর : পথের দাবী পাঠ্যাংশে বন্ধু বলতে অপূর্বর ঘরের ঠিক উপরের তলায় বসবাসকারী একটি ক্রিশ্চান মেয়ের কথা বলা হয়েছে। যখন অপূর্বের বাড়িতে চুরি হয়ে যায় তখন সেই মেয়েটি এসেই অপূর্ব কে বলেছিল যে তার বাড়ি থেকে কী কী চুরি গেছে এবং কী কী আছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সেই মেয়েটিকে অপূর্ব বন্ধু বলেছেন।
11 - " অপূর্ব রাজি হইয়াছিল। " - কোন্ প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে??
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠাংশে অপূর্বর সহকর্মী তলওয়ারকরের স্ত্রী অপূর্ব অনুরোধ করেছিলেন যে যতদিন পর্যন্ত না অপূর্বর বাড়ির কেউ এখানে আসে ততদিন পর্যন্ত অপূর্ব যেন তার হাতে তৈরি সামান্য মিষ্টান্ন ও জলযোগ গ্রহন করে। তলওয়ারকরের স্ত্রীয়ের এই অনুরোধে অপূর্ব রাজি হয়েছিল। এখানে সেই প্রসঙ্গেই এই কথা বলা হয়েছে।
12 - " বড়বাবু হাসিতে লাগিলেন। " - বড়বাবুর হাসার কারণ কী ছিল??
উওর : পথের দাবী পাঠাংশে গিরীশ মহাপাত্র ছিলেন একজন সৌখিন মানুষ। তার শখের বশে গিরিশ মহাপাত্র তার মাথার চুলে লেবুর তেল ব্যবহার করেছিলেন। গিরীশ মহাপাত্রের মাথার চুলে লেবুর তেলের গন্ধে থানা সুদ্ধ লোকের মাথা ঘুরে ধরে গিয়েছিল। তার জন্য জগদীশবাবু তাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। এটাই ছিল বড়বাবুর হাসির মূল কারণ।
13 - " বাবুজি, এসব কথা বলার দুঃখ আছে। " - কোন্ সব কথা বললে দুঃখ হতে পারে বলে বলা হয়েছে??
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পথের দাবী পাঠাংশে এই কথাটি হলো অপূর্ব সহকর্মী তলোয়ারকরের। এখানে দুঃখ হতে পারার মতো কথা হল এই যে অপূর্বর আত্মীয় অর্থাৎ অপূর্ব পিতার বন্ধু নিমাইবাবু স্বদেশী হয়েও তিনি ইংরেজ পুলিশ বাহিনীতে কাজ করেন। এবং তিনিই দেশের জন্য আত্মনিয়োগকারীকে শিকারের মতো খুজে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু তাই বলে তিনি তার দেশের চেয়ে আপন নন। অন্যদিকে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মনিয়োগ করে সব্যসাচী মল্লিক হলেন অপূর্বর কাছে অনেক বেশি আপন।
14 - " দয়ার সাগর! পরকে সেজে দি,নিজে খাইনে।" - মিথ্যেবাদী কোথাকার! - কার উদ্দেশ্যে উক্তি? তাকে দয়ার সাগর ও মিথ্যাবাদী বলার কারণ কী??
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশের এক অদ্ভুত চরিত্র হলো গিরীশ মহাপাত্র।
যখন গিরীশ মহাপাত্রের তল্লাশি করা হয় তখন তার পকেট থেকে একটি গাজার কলিকা পাওয়া যায় পকেট থেকে এরকম হয়ে একটি গাজার কলিকা উদ্ধার হওয়ার পর নিমাইবাবু গিরিশ মহাপাত্র কে জিজ্ঞেস করে যে তুমি গাজা খাও কিনা!- এ প্রশ্নের উত্তরে মহাপাত্র জানায় যে সে গাজা খায় না। এই গাজার কলিকা সে পথে কুড়িয়ে পেয়েছিল। যদি কারো দরকার পড়ে সেই ভেবে গিরীশ মহাপাত্র সেই গাজার কলিকাটি নিজের সঙ্গে রেখে নিয়েছিল। সে নিজে গাজা খাইনা! কিন্তু বন্ধুদের গাজা তৈরি করে দেয়। এই কথা বলায় নিমাইবাবু মহাপাত্রকে দয়ার সাগর বলে ব্যঙ্গ করেছেন।
গিরীশ মহাপাত্রের নিজে গাজা না খাওয়ার কথা নিমাইবাবু একটুও বিশ্বাস করেন না। কারণ নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রের শরীরের সমস্ত লক্ষণ দেখেই বুঝে ফেলেছিলেন যে গিরীশ মহাপাত্র গাজা খায় কিনা। গিরীশ মহাপাত্রের এরকম একটা কাঁচা মিথ্যা বলায় নিমাইবাবু তা ধরে ফেলেন। যার জন্য নিমাইবাবু গিরীশ মহাপাত্রকে মিথ্যেবাদী বলেছেন।
পথের দাবী প্রশ্ন উত্তর | পথের দাবী বড় প্রশ্ন উত্তর |পথের দাবী গল্পের রচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর পথের দাবী গল্পের প্রশ্ন উত্তর
1- " বাবুটির স্বাস্থ্য গেছে কিন্তু শখ ষোলো আনাই বজায় আছে। " - বাবুটিকে তাঁর সাজসজ্জার পরিচয় দাও।
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশের একজন বিশেষ চরিত্র হলেন গিরীশ মহাপাত্র, অর্থাৎ সব্যসাচী মল্লিক। সব্যসাচী মল্লিক পুলিশের নজর এড়াতে গিরীশ মহাপাত্রের ছদ্মবেশ ধারণ করে। যখন গিরীশ মহাপাত্রকে প্রথম পুলিশ স্টেশনে হাজির করা হয় তখন প্রথম তার সাজসজ্জার পরিচয় পাওয়া যায়।
গিরীশ মহাপাত্রের মাথার চুল ছিল বাহারি ছাঁটের। সেই আবার অপর্যাপ্ত সুগন্ধি লেবুর তেল। পরনে রামধনু রং এর জাপানি সিল্কের পাঞ্জাবি ও বিলিতি মখমল পাড়ে কালো শাড়ি, সেই সঙ্গে গিরীশ মহাপাত্রের পকেটে একটি বাঘ আঁকা রুমালও ছিল। সেইসঙ্গে প্রায় হাটু পর্যন্ত লাল ফিতে দিয়ে বাঁধা সবুজ মজা ও বার্নিশ করা পাম্প সু। সবশেষে হাতের হরিণের শিংয়ের হাতল দেওয়া বেতের ছড়ি গিরীশ মহাপাত্রের অদ্ভুত ও আকর্ষণীয় সাজসজ্জার পরিচয় দেয়।
2 - " বুড়ো মানুষের কথাটা শুনো। " - বুড়ো মানুষ কে?? তাঁর কোন্ কথা তিনি কাকে শুনতে বলেছেন??
উওর : পথের দাবী পাঠাংশে এখানে বুড়ো মানুষটি হলেন প্রৌঢ় নিমাইবাবু।।
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশের একজন বিশেষ চরিত্র হলেন গিরীশ মহাপাত্র। যখন সন্দেহের বশে মহাপাএের তল্লাশি করা হয় তখন তার পকেট থেকে একটি গাজার কলিকা বের হয়। তখন এই গাজার কলিকা দেখে এবং গিরীশ মহাপাত্রের শরীরের অবস্থা দেখে নিমাইবাবু গিরিশ মহাপাত্রকে গাঁজা খেতে বারণ করেন। এখানে নিমাইবাবুর এই উপদেশটাই তিনি গিরীশ মহাপাএকে শোনার কথা বলেছেন।
3 - " আমি ভীরু, কিন্তু তাই বলে অবিচারের দন্ড করার অপমান আমাকে কম বাজে না।" - বক্তা কাকে একথা বলেছিলেন? কোন অবিচারের দন্ড ভোগ তাঁকে ব্যথিত করেছিল?
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের লেখা পথের দাবী পাঠাংশের প্রধান চরিত্র অপূর্ব তার সহকর্মী রামদাস তলওয়ারকারকে এ কথা বলেছিলেন।
একবার বিনা কারণে, বিনা দোষে বিদেশি ছেলেরা অপূর্বকে লাথি মেরে প্ল্যাটফর্ম থেকে ফেলে দিয়েছিল। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে যখন অপূর্ব তার অভিযোগ স্টেশন মাস্টারের কাছে জানায়,তখন স্টেশন মাস্টার অপূর্ব শুধুমাত্র একজন ভারতীয় বলে সে এর কোন বিচার পায় না। তার বদলে সেই স্টেশন মাস্টার অপূর্বকে সেখান থেকে তাড়িয়ে দেয়। ভারতীয় হিসেবে অপূর্বর সঙ্গে হওয়া অতি খারাপ ঘটনাই তাকে ব্যতীত করেছিল।
4 - " পলিটিক্যাল সাসপেক্ট সব্যসাচী মল্লিককে নিমাই বাবুর সম্মুখে হাজির করা হইল। " - পথের দাবী পাঠাংশে সব্যসাচী মল্লিক সম্পর্কে কি জানা যায়? তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল?
উওর : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত পথের দাবী পাঠ্যাংশের একজন অদ্ভুত চরিত্র হলেন সব্যসাচী মল্লিক। সব্যসাচী মল্লিক একজন বিলিতি ডিগ্রিধারী ডাক্তার হলেও বর্তমানে তিনি একজন রাজদ্রোহী।। এবং তার রাজদ্রোহী হওয়ার জন্যই পুলিশ তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। এবং পুলিশের হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্যই তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে থাকেন।
সব্যসাচী মল্লিক সন্দেহে পুলিশ একজনকে আলাদা একটি ঘরে আটকে রাখে। যখন সেই ব্যক্তিকে নিমাইবাবুর সামনে হাজির করা হয় তখন প্রথমেই লক্ষ্য করা যায় তার প্রতি রুগ্ন চেহারা। দেখে আন্দাজ করা যায় তার বয়স ৩০ - ৩২ এর বেশি হবে না। সেইসঙ্গে লোকটির সাজসজ্জাও বড় অদ্ভুত।
নিমাইবাবু সেই লোকটির কাছে তার নাম জানতে চান। লোকটা নিজের পরিচয় দিয়ে বলে যে তার নাম গিরীশ মহাপাত্র। সে তেলের খনিতে কাজ করতো, বর্মা থেকেছে এখন রেঙ্গুনে এসেছে। যখন গিরীশ মহাপাত্রের তল্লাশি করা হয় তখন তার পকেট থেকে
একটি টাকা ও গন্ডাছয়েক পয়সা তার সঙ্গে একটি লোহার কম্পাস, মাপ করিবার কাঠের একটা ফুটরুল, কয়েকটা বিড়ি, একটা দেশলাইয় এবং সবশেষে একটা গাজার কলিকা পাওয়া যায়। গিরীশ মহাপাত্রের পকেট থেকে গাজার কলিকা উদ্ধার হওয়ায় নিমাইবাবু মহাপাত্র কে জিজ্ঞেস করে যে সে গাজা খায় কিনা। এ প্রশ্নের উত্তরে মহাপাত্র জানায় সে গাজা খায় না কিন্তু তার বদলে যদি কারো প্রয়োজন পড়ে তাহলে সে অন্যের জন্য গাজা বানিয়ে দিতে পারে। পথে কুড়িয়ে পাওয়া এই গাজার কলিকা সে অন্যের প্রয়োজনেই নিজের কাছে রাখে। কিন্তু তার এরকম কথা কেউই বিশ্বাস করে না। কারণ গাজা খাওয়ার সমস্ত লক্ষন গিরীশ মহাপাত্রের শরীরে দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। গিরিশ মহাপাত্র একজন সৌখিন স্বভাবের মানুষ হওয়ায় সে তার মাথায় অপর্যাপ্ত পরিমাণ তেল ব্যবহার করেছিল। আর সেই তেলের গন্ধে থানা শুধু লোকের মাথা ধরে গিয়েছিল। সবশেষে হাসিঠাট্টার পর গিরীশ মহাপাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
-- পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ -