মাধ্যমিক ২০২৩ হয়েগেছে। এবার যারা ২০২০ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে চলেছো তাদের জন্য আজকের এই দশম শ্রেণীর বাংলা সিরাজউদ্দৌলা নাটকের বিষয়বস্তু এবং সিরাজউদ্দৌলা নাটকের বড়ো প্রশ্ন উওর সংক্রান্ত পোস্ট। সিরাজউদ্দৌলা নাটক থেকে যে সমস্ত প্রশ্ন ২০২৪ সালের মাধ্যমিক বাংলা পরিক্ষায় আসতে পারে, সেই প্রশ্নগুলোই এখানে দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে সিরাজউদ্দৌলার নাটকের কিছু সাজেশন এখানে দেওয়া হয়েছে।।
🔥যারা মাধ্যমিক দিতে চলেছো তাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি খুবই *স্বল্পমূল্যে* ডিজিটাল PDF নোটস। পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ক্ষেত্রে তোমাকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে আমাদের এই পিডিএফ নোটস। তাই পরিক্ষায় ভালো ফল করতে আজই সংগ্রহ করো আমাদের পিডিএফ নোটস। আমাদের নোটস কিনতে 8927073419 এই নম্বরে whatsapp করুন।*
🔥 *যারা আগে বুকিং করবে তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।*🔥
মাধ্যমিক বাংলা সিরাজউদ্দৌলার নাটকের বিষয়বস্তু || Sirajuddaula Natoker Bishoybostu
শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের রচিত এক অসাধারন নাটক হল 'সিরাজদ্দৌলা'। আমাদের বইয়ের পাঠ্য নাটকটি সিরাজদ্দৌলার দ্বিতীয় অংশের প্রথম দৃশ্য। সাধারণভাবে এই নাটকটি নবাব সিরাজের অসহায়তা এবং তার মনের কষ্টের কাহিনি। আমাদের পাঠ্যবইয়ের নাটকের অংশে আমরা দেখতে পাই বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজের রাজদরবার। সিরাজের রাজদরবারের একদিকে উপস্থিত রয়েছেন সিরাজের কিছু শুভাকাঙ্খী বা তার কল্যাণকামী মানুষ। তাদের মধ্যে হলেন মোহনলাল, মিরমদন ও গোলাম হোসেনর মত কিছু মানুষ। অন্যদিকে রয়েছেন সিরাজের বিপক্ষে থাকা ষড়যন্ত্রকারী কিছু মানুষ, যারা সিরাজকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করতে চান। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মীরজাফর, রায় দুর্লভ, রাজবল্লভ, জগৎশেঠ প্রমুখ। এর সঙ্গে নবাবের দরবারে হাজির থাকেন ফরাসি প্রতিনিধ মসিয়ে লা, যিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময় নবাবের কাছে সাহায্যপ্রার্থী ছিলেন। নবাব উপযুক্ত তথ্য ও প্রমান হাজির করে ওয়াটসকে নবাবের রাজদরবার থেকে বের করে দেন। ওয়াটস কে নবাব তার রাজদরবার থেকে বের করে দেওয়ায় যারা ওয়াটসের সর্মথনে ছিলেন, যারা ইংরেজি কোম্পানির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ষড়যন্ত্র করে নবাবকে বাংলার সিংহাসন থেকে উৎখাত করতে চেয়ে ছিলেন অর্থাৎ মীরজাফর, রায়দুর্লভ, জগৎশেঠ ও রাজবল্লব প্রমুখ নবাবের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেন। এবং এভাবে রাজদরবারে নবাবের সঙ্গে মীরজাফর, রায়দুর্লভ, রাজবল্লব ও জগৎশেঠ এর মধ্যে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। নবাব একের পর এক এদের কুকর্মের পর্দা ফাঁস করতে থাকেন। এবং এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যারা নবাবের শুভাকাঙ্ক্ষী, অর্থাৎ মোহনলাল, মিরমদন ও গোলাম হোসেনের মতো মানুষেরা তাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবাবের রাক সভা দুটি ভাগে ভাগ হয়ে যায়। একদিকে ছিলেন নবাবের শুভাকাঙ্ক্ষী দল এবং অন্যদিকে ছিলেন রাজবল্লভ, রায়দুর্লভ জগৎ শেঠ ও মীরজাফরের মতো ষড়যন্ত্রকারীরা। এখানে নবাব এদের চারজনের কুকর্মের কথা জানা সত্ত্বেও এবং তাদের সামনেই তাদের কুকর্মের পর্দা ফাঁস করে দেওয়ার সত্বেও নবাব এদের কোন শাস্তি দেন না। যেখানে নবাব চাইলেই এদের কুকর্মের শাস্তি দিতে পারতেন কিন্তু নবাব এখানে এদের চারজনকে কোন রকম শাস্তি না দিয়ে তিনি মিত্রতার ভাষা ব্যবহার করেন। নবাব চারজনকেই পাল্টে যেতে বলেন। এরপর নগর রাজদরবারে গোলাম হোসেন ছাড়া বাকি সবাই দরবার ত্যাগ করেন। পরমুহুর্তেই নবাবের দরবারে তার মাসি ঘসেটি বেগম উপস্থিত হন। এখানে ঘষেটি বেগম তার বন্দিজীবন এবং তার নিজ পুত্রের মৃত্যুশোকে, তিনি তার মনের জ্বালার বসে নবাবের এই দুর্দিনে সিরাজকে অভিশাপ দেন এবং তিনি এখানে সিরাজের মৃত্যু কামনা করেন।
ঘসেটি বেগমের এরকম কথা শুনে তখন সেখানে সিরাজের স্ত্রী লুৎফা হাজির হন। এবং তিনি ঘষেটি বেগমের সৃষ্টি করা এরকম বাজে একটা পরিস্থিতি কিছুটা হলেও সামাল দেন। এবং লুৎফা এখানে তার স্বামী সিরাজকে মানসিকভাবে সামাপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু নবাব সিরাজ ঘষেটি বেগমের অভিশাপ এবং পলাশীর যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং তার বিপদের কথা চিন্তা করেই তিনি তার মনের দুঃখ প্রকাশ করেন। এবং বাংলার নবাব সিরাজের এই মনের হাহাকার তার দুঃখ, কষ্ট, বেদনা নিয়েই এই নাটকটি শেষ হয়।
মাধ্যমিক বাংলা সিরাজউদ্দৌলার বড়ো প্রশ্ন উওর ও সাজেশন || WB Class 10 Sirajuddaula Natoker Proshno Uttar 2024
1) 'আমার এই অক্ষমতার জন্য তোমরা আমাকে ক্ষমা করো।'-বক্তা কাদের কাছে কোন অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন??
উওর : নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত সিরাজদ্দৌলা ওনাট্যাংশটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রচিত। এখানে বাংলার নবাব সিরাজ ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা- এর কাছে তার অক্ষমতার কথা প্রকাশ করেছেন।
যখন ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা নবাবের রাজ দরবারে আসেন এবং তিনি ইংরেজদের সঙ্গে থাকা ফরাসিদের দীর্ঘদিনের বিবাদের সূত্রে ধরে যে ঝামেলা, এবং ফরাসিদের সঙ্গে এই ঝামেলা কে কেন্দ্র করে ইংরেজরা সিরাজদ্দৌলার অনুমতি ছাড়াই চন্দননগর আক্রমণ করে চন্দনগর দখল করে নেয়। এবং এরপর ইংরেজরা সেখানকার ফরাসিদের সমস্ত বাণিজ্য কুঠি অধিগ্রহণের দাবি জানায়। যখন ফরাসি প্রতিনিধি মঁসিয়ে লা - নবাবের কাছে এই ঘটনার সুবিচার চাইতে আসেন তখন নবাব সিরাজের ফরাসিদের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীলতা এবং সহানুভূতি থাকলেও নবাব তাদের কোন রকম সাহায্য করতে পারেন না। নবাবের ফরাসিদের কোনরকম সাহায্য করতে না পারার এই অক্ষমতার কথাই এখানে তিনি প্রকাশ করেছেন।
2) 'আপনাদের কাছে এই ভিক্ষা যে, আমাকে শুধু এই আশ্বাস দিন।'- বক্তা কাদের কাছে ভিক্ষা চান? তিনি কী আশ্বাস প্রত্যাশা করেন??
উওর : নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত রচিত সিরারদ্দৌলা নাটক থেকে গৃহীত এই উক্তিটি হল বাংলার শেষ নবাব সিরাজের। এখানে বক্তা অর্থাৎ সিরাজ তার অসহায় পরিস্থিতিতে তার বিরুদ্ধেই ষড়যন্ত্রকারী রাজবল্লব, রায়দুর্লভ, জগতশেঠ ও মীরজাফর এর কাছে সাহায্যের ভিক্ষা চান।।
নবাব সিরাজের সভাসদ জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ রাজবল্লব ও মীরজাফর প্রমুখ নবাব সিরাজের সভাসদ হলেও, তারা নবাবকে তাঁর সিংহাসন থেকে উৎখাত করতে চান। এবং এই উদ্দেশ্য নিয়েই এই চারজন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে হাত মিলিয়ে নবাব কে বাংলার সিংহাসনে থেকে উৎখাত করার জন্য ষড়যন্ত্র করতে শুরু করেন। প্রথমে নবাব এই চারজনের ষড়যন্ত্রের কথা না জানতে পারলেও পরে তার বিরুদ্ধে করা এই ষড়যন্ত্রর কথা স্পষ্ট হয়ে যায় মীরজাফরকে লেখা ওয়াটসের একটি চিঠির মাধ্যমে। এবং সেই চিঠিটা যখন নবাবের হাতে আসে তখন নবাবের কাছে এই সমস্ত ঘটনায় একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। এখানে নবাবের বিরুদ্ধে তার সভাসদদের করা এই ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে নবাব এই চারজনকে শাস্তি দিতে পারতেন। কিন্তু নবাব এখানে এই চারজনকে কোন প্রকার শাস্তি না দিয়ে নবাব এই চারজনের দিকে বন্ধুত্বের তার হাত বাড়িয়ে দেন।। নবাব বুঝতে পেরেছিলেন তার এই অসহায় পরিস্থিতিতে ইংরেজদের বিরুদ্ধের লড়াইতে দেশীয় শক্তি একত্রিভূত করতে হলে নবাবের মিরজাফরের সাহায্য প্রয়োজন হবে। আর এজন্য এই বাংলাকে ইংরেজদের হাত থেকে রক্ষা করতে নবান তার সভাসদদের কাছ থেকে তাকে সাহায্য করার আশ্বাস চেয়েছেন।
3) সিরাজউদ্দৌলা নাট্যাংশ অবলম্বনে সিরাজদ্দৌলার চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো।।
উওর : প্রখ্যাত নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের এক অসাধারণ রচনা হলো সিরাজউদ্দৌলা নাটক। এই নাটকের প্রধান চরিত্র হলেন বাংলার শেষ নবাব সিরাজ। সিরাজদ্দৌলা নাটক থেকে আমরা সিরাজের চরিত্রের অসাধারণ কিছু দিক আমরা দেখতে পাই। যা সিরাজকে আমাদের কাছে সত্যিই একজন অসাধারন নায়ক হিসেবে তুলে ধরে।
নাট্যাংশ অনুসারে সিরাজের চরিত্র যেই প্রধান দিক গুলি তাকে অসাধারণ করে তোলে, তা হল -
দেশাত্মবোধ : নবাব সিরাজ তার কিছু সভাসদদের করা, তার বিরুদ্ধেই যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল তিনি সেটা জানার পরেও তিনি তার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেননি। নবাব চাইলেই তাদের শাস্তি দিতে পারতেন কিন্তু তিনি জানেন যে, তিনি যদি তাদের শাস্তি দিতেন তাহলে দেশের স্বার্থে বা বাংলার স্বার্থে যে যুদ্ধ তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়তে যাচ্ছেন, সেই লড়াইতে নবাব মীরজাফরদের দেশীয় শক্তির সাহায্য কখনোই পাবেন না। এজন্য নবাব তার নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থকে বাদ দিয়ে দেশের স্বার্থে নিজের শত্রুদের কাছে মাথানত করেছিলেন।
বুদ্ধিমান : নবাবের সাধারণ বুদ্ধির পরিচয় তখনই পাওয়া যায়, যখন নবাব তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের শাস্তি দেওয়ার সুযোগ পেয়েও তিনি তাদের কোন শাস্তি দেন না। কারণ নবাব জানতেন,, যদি নবাব সেই সময়ে তাদের শাস্তি দিয়ে ফেলেন তাহলে ভবিষ্যতে ইংরেজদের বিরুদ্ধে করা লড়াইয়ে নবাব কখনোই দেশীয় শক্তির সাহায্য পাবেন না। আর এজন্যই নবাব সিরাজ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করেই বতর্মান পরিস্থিতিতে সেই কাজটি করেন, যেটি করা হয়তো তার উচিত ছিল না। কিন্তু নবাব সেটি করেছিলেন তার ভবিষ্যতকে চিন্তা করেই।
মুক্ত- মানসিকতা : নবাব সিরাজ একজন মুসলিম শাসক হওয়া সত্ত্বেও তিনি কখনোই বাংলাকে না তো শুধুমাত্র মুসলিমদের বলেছিলেন! আর নাতো শুধুমাত্র হিন্দুদের বলেছিলেন। তিনি বাংলার দুর্দিনে হিন্দু-মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই খারাপ পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে বলেন। এবং নবাব সিরাজের এই হিন্দু মুসলিম ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথার মাধ্যমেই তার মুক্ত জাতীয়তা বোধের পরিচয় পাওয়া যায়।
আত্মসমালোচনা : নবাবের সভাসদদের করা ষড়যন্ত্রের ঘটনাকে কেন্দ্র করে, নবাবের সামনে তার এমন কিছু ভুল উঠে আসে যার মাধ্যমে তিনি বুঝতে পারেন, নবাব সিরাজের নিজেরও কিছু ভুল হয়েছে।। এবং তার এই ভুলের জন্য নবাব সিরাজ নিজের ভুল স্বীকার করতেও দ্বিধাবোধ করেন না।
দুর্বল মানসিকতা : নবাব সিরাজ তার শত্রুদের চক্রান্ত বুঝতে পারার পরেও তিনি তাদের কোন শাস্তি দিতে পারেন না অন্যদিকে ঘষেটি বেগম যখন নবাব সিরাজকে অভিশাপ দিয়ে তার মৃত্যুর কামনা করেন, তখন সেই পরিস্থিতিতে নবস্ব নিজের মুখ থেকে কোন কঠোর শব্দ বের করতে পারেন না।
তার বদলে নবাব সিরাজ নিজেই তার মানসিক দূর্বলতার কথা স্বীকার করেন- 'আমি পারি না! শুধু আমি কঠোর নই বলে।' উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমেই আমরা নবাব সিরাজের এক অসাধারণ চরিত্রের সম্পর্কে জানতে পারি। সব মিলিয়ে নবাব সিরাজ হলেন বাংলার একজন ট্র্যাজিক নায়ক।
🔥যারা মাধ্যমিক দিতে চলেছো তাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি খুবই *স্বল্পমূল্যে* ডিজিটাল PDF নোটস। পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার ক্ষেত্রে তোমাকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে আমাদের এই পিডিএফ নোটস। তাই পরিক্ষায় ভালো ফল করতে আজই সংগ্রহ করো আমাদের পিডিএফ নোটস। আমাদের নোটস কিনতে 8388986727 এই নম্বরে কল অথবা whatsapp করুন।*
🔥 *যারা আগে বুকিং করবে তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।*🔥
4) 'জানিনা, আজ কার রক্ত সে চায়। পলাশি, রাক্ষসী পলাশি। - পলাশি নামকরণের কারণ নির্দেশ করে উক্তিটির তাৎপর্য বিশ্লেষণ করো।
উওর : নদীয়া জেলার ভাগীরথীর পূর্বদিকে বাংলার ঐতিহাসিক স্থান হল পলাশি। পলাশি নামক এই স্থানটিতে লাল পলাশের রঙে রঙিন হয়ে থাকতো বলে এই জায়গাটির নাম হয়েছিল পলাশি।
প্রখ্যাত নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সিরাজউদ্দৌলা নাট্যাংশ এখানে এই বক্তব্যটি হল বাংলার শেষ নবাব সিরাজ এর। সিরাজদ্দৌলা নাট্যাংশে পলাশির যুদ্ধে শেষ পর্যন্ত কি হবে তা না জেনেই সিরাজ তার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। নবাব সিরাজ জানতেন যে কোম্পানির সাথে যুদ্ধে বিজয়ী হওয়া কঠিন! কিন্তু তবুও তিনি যুদ্ধ করবেন। নবাব হলেন এমন একজন ট্রাজিক নায়ক যার চারিদিক শত্রুদের দ্বারা ঘেড়া। নবাব সিরাজের বাইরে রয়েছে ইংরেজরা,তার সভার মধ্যে রয়েছে রাজবল্লভ, জগৎশেঠ, রায়দুর্লভ ও মীরজাফরের মত কিছু সভাসদ, যারা আদতেও পলাশির যুদ্ধে নবাবকে সাহায্য করবে কিনা তা নবাব জানে না। সেইসঙ্গে নবাবের মহলেই রয়েছেন ঘষেটি বেগম যিনি নিজ পুত্রশোকে এবং নিজের কষ্টে নবাবকে অভিশাপ দিয়ে তার মৃত্যু কামনা করেন। চারিদিকে শত্রু এবং মানসিক চাপ ও মনোকষ্টের দ্বারা জর্জরিত হয়ে নবাব নানাভাবে ভেঙ্গে পড়েন। এবং এরই মধ্যে নবাব মানসিক টানাপোড়েন এ আশঙ্কা করেন যে পলাশে রাঙা পলাশির রক্তেরনেশা মেটেনি। তাই সে রক্ত চায়! কিন্তু নবাব ভালো করে জানেন না যে আদতেই পলাশি কার রক্ত চায়.. আর কী-ই বা এই পলাশির যুদ্ধের পরিণতি।
5) “মুন্সিজি, এই পত্রের মর্ম সভাসদদের বুঝিয়ে দিন।” – কে, কাকে পত্র লিখেছিলেন? এই পত্রে কী লেখা ছিল? [ME 18]
উওর : প্রখ্যাত নাট্যকার শচীন সেনগুপ্তের এক অসাধারণ রচনা হলো সিরাজদ্দৌলা নাটক। শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের সিরাজউদ্দৌলা নাটক এ প্রশ্নে উদ্ধৃত অংশটি রয়েছে।
নাট্যাংশে ইংরেজ অ্যাডমিরাল ওয়াটশন পত্র লিখেছিলেন মুর্শিদাবাদে থাকা ইংরেজ প্রতিনিধি ওয়াটসনকে।
এই পত্রটি যখন নবাব সিরাজের হাতে আসে তখন নবাব সিরাজের দরবারে ওয়াটসনকে হাজির করা হয়, নবাব সেই চিঠির মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে হওয়া চক্রান্ত সম্পর্কে জানতে পারেন। কিন্তু নবাব সেই চিঠির তার সমস্ত সভাসদদের মুখোশধারী শয়তান দের মুখোশ দিত চান। এজন্যই তিনি ওয়াটস কে সামনে রেখে মুন্সিজি কে চিঠিটা পড়তে বলেন -
এতে লেখা ছিল -
কর্নেল ক্লাইভ যে সৈন্যের কথা উল্লেখ করিয়াছিলেন, তাহা শীঘ্রই কলিকাতায় পৌছিবে। আমি সত্বর আর
একখানা জাহাজ মাদ্রাজে পাঠাইয়া সংবাদ দিব যে, আরাে সৈন্য এবং আরাে জাহাজ বাংলায় আবশ্যক।
বাংলায় আমি এমন আগুন জ্বালাইব, যাহা গঙ্গার সমস্ত জল দিয়াও নিভানাে যাইবে না।।।
6) "কিন্তু অভদ্রতার অযোগ্য তোমরা"-কাকে উদ্দেশ্য করে এই কথাটি বলা হয়েছে? এখানে বক্তা কে? এ কথা বলার কারণ কী??
উওর ;; নাট্যকার শচীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের লেখা 'সিরাজদৌলা' নাটকে এখানে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির প্রতিনিধি ওয়াটসকে উদ্দেশ্য করে এই কথাটি বলেছিলেন।
নবাব আলিনগর অর্থাৎ কলকাতা আক্রমণ করার পর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে ১৮৫৭ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি যে চুক্তি করেন, সেই চুক্তি যাতে ঠিক ভাবে পালন করা হয়, সেই কারণে নবাব তাঁর সভায় কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে ওয়াটসকে স্থান দিয়েছিলেন। কিন্তু ওয়াটস,নবাবের সিংহাসনে বসা নিয়ে যারা খুশি ছিলেন না বা যারা নবাবকে সিংহাসনচ্যুত করতে চেয়েছিলেন, তাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। নবাব সিরাজকে সিংহাসন থেকে উৎখাত করার বিষয়ে কয়েকজন সভাসদদের মনে ক্ষোভের আগুন জ্বালে। এছাড়া, ওয়াটস কলকাতায় ইংরেজদের উপদেশ দিয়েছিল যাতে তারা সিরাজের আদেশ অগ্রাহ্য করে। তার চিঠিতে একথা স্পষ্ট উল্লেখ ছিল, “নবাবের উপর নির্ভর করা অসম্ভব। চন্দননগর আক্রমণ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।”
তার উদ্দেশ্যে লেখা অ্যাডমিরাল ওয়াটসনের পত্র পড়ে জানা যায় যে ওয়াটস সিরাজকে সিংহাসনচ্যুত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিল।
সিরাজের বিরুদ্ধে এহেন চক্রান্ত করার জন্যই সিরাজ বলেছিওএন যে, তারা অর্থাৎ ইংরেজরা ভদ্রতার অযোগ্য।
সিরাজউদ্দৌলার নাটকের সাজেশন 2024 || WB Class 10 Sirajuddaula Natoker Suggestion 2024
• আমার এই অক্ষমতার জন্যে তােমরা আমাকে ক্ষমা করাে। বক্তা কাদের কাছে, কোন্ অক্ষমতা প্রকাশ করেছেন? যার উদ্দেশে একথা
বলা হয়েছে, মন্তব্য শুনে তার কী প্রতিক্রিয়া হয়?
• 'সিরাজদ্দৌলা’ নাট্যাংশে সিরাজদ্দৌলার চরিত্র বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে। [ME '17]
• “কিন্তু ভদ্রতার অযােগ্য তােমরা” – কাকে উদ্দেশ করে কথাটি বলা হয়েছে? একথা বলার কারণ কী? [ME 17]
• ' তাই আজও তার বুকে রক্তের তৃষা।’- কার বুকে রক্তের তৃষা বর্তমান? উক্তিটির মধ্য দিয়ে বক্তা কী কোনাে ইঙ্গিত দিতে চেয়েছেন?
• ‘ঘসেটি বেগম এবং লুৎফা, এই চরিত্রদু’টি সিরাজদ্দৌলা নাটকে বিপরীতধর্মী ভূমিকা পালন করেছে’ – পাঠ্য নাট্যাংশ অবলম্বনে এই
উক্তিটির তাৎপর্য আলােচনা করাে।
মাধ্যমিক বাংলা সিরাজউদ্দৌলার নাটকের (Sirajuddaula Natok) থেকে আরও বেশি প্রশ্ন উওর পেতে চাইলে আমাদের বাংলা পিডিএফ নোটটি সংগ্রহ করতে পারো।।
Tags : মাধ্যমিক বাংলা সিরাজউদ্দৌলা নাটকের প্রশ্ন উত্তর 2024| সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সাজেশন 2024 | Sirajuddaula Natoker Notes 2024 | Sirajuddaula Natoker Suggestion 2024
'পলাশি রাক্ষসী পলাশি!'- কার উক্তি? পলাশিকে রাক্ষসী বলার কারণ কী?
উত্তরমুছুনএই প্রশ্নের উওর টা পারছি না দাদা
একটু বলে দিলে ভাল হত।।।
ভদ্রতার অযোগ্য তোমরা কে কাকে এ কথা বলেন
উত্তরমুছুনএই প্রশ্নের উত্তর টা বলে দিন দাদা