জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ, SAQ প্রশ্ন উএর || জ্ঞানচক্ষু গল্পের সমস্ত বড়ো উত্তর || দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায়

1



জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উওর
জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রশ্ন উওর 


আজকে আমরা দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায় বা মাধ্যমিক বাংলা প্রথম অধ্যায় জ্ঞানচক্ষু গল্পের mcq,saq এবং জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড় প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করবো। এখান থেকে তোমরা জ্ঞানচক্ষু গল্পের সমস্ত প্রশ্ন উত্তর পেয়ে যাবে।


জ্ঞানচক্ষু গল্পের MCQ, SAQ প্রশ্ন উএর || জ্ঞানচক্ষু গল্পের সমস্ত বড়ো উত্তর || দশম শ্রেণির বাংলা প্রথম অধ্যায়

1- জ্ঞানচক্ষু গল্পের রচিয়তা হলেন-

ক• আশাপুর্ণা দেবী 

খ• মহাশ্বেতা দেবী 

গ• লীলা মজুমদার 

ঘ• অনিমা দেবী

উওর : আশাপুর্ণা দেবী 


2 - জ্ঞানচক্ষু গল্পটি হল-

ক• কুমকুম নামক গল্পসংকলনের অংশ 

খ• মেঘনাথবদ নামক কাব্যগ্রন্থের অংশ 

গ• বীরাঙ্গনা নামক কাব্যগ্রন্থের

ঘ• কোনোটিই নয়

উওর : কুমকুম নামক গল্পসংকলনের অংশ 



3 - "কথাটা শুনে কার চোখে মার্বেল হয়েছিল?? 

ক• তপনের

খ• তপনের ছোটমাসির

গ• তপনের মেসোর 

ঘ• তপনের মায়ের 

উওর : তপনের


4 - " তিনি নাকি বই লেখেন।" - এখানে তিনি কে?? 

ক• তপন

খ• তপনের ছোটমাসি

গ• তপনের ছোটমেসো

ঘ• তপনের মা

উওর : তপনের ছোটমেসো 


5 - তপন কী উপলক্ষ্যে তার মামাবাড়িতে এসেছিল -- 

ক• তাঁর জন্মদিন উপলক্ষ্যে 

খ• দূর্গাপুজোর সময় কাটাতে

গ• তপনের ছোটমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে 

ঘ• তপনের ছোটমাসির জন্মদিন উপলক্ষ্যে 

উওর : তপনের ছোটমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে।


6 - তপনের ছোটমাসি তপনের থেকে কত বয়সে বছরের বড়ো? 

ক• আট 

খ• আঠারো 

গ• দশ 

ঘ• বারো 

উওর : আট


7 -  " সেই বই নাকি ছাপাও হয়। " -- এখানে কার লেখা বই ছাপা হয় ?

ক• তপনের লেখা বই

খ• তপনের ছোটমাসির লেখা বই

গ• তপনের মেসোর লেখা বই

ঘ• তপনের মায়ের লেখা বই

উওর : তপনের মেসোর লেখা বই। 


8 -তপনের নতুন মেসো কোন পএিকার সম্পাদককে চিনতেন?? 

ক• সন্ধ্যাতারা পএিকার

খ• বামাবোধিনী পএিকার

গ• আনন্দবাজার পএিকার

ঘ• দেশ পএিকার

উওর : সন্ধ্যাতারা পএিকার


9 - তপনের লেখা গল্পটি কে ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন?? 

ক• তপনের মামা

খ• তপনের ছোটমাসি

গ• তপনের ছোটমেসো

ঘ• তপনের মা

উওর : তপনের ছোটমেসো 



10 - তপনের লেখা গল্পটির নাম কী ছিল?? 

ক• প্রথম দিন

খ• স্কুলে প্রথম দিন 

গ• স্কুলের শেষ দিন

ঘ• প্রথম বছর 

উওর : প্রথম দিন



11 - তপনের সম্পূর্ণ নাম কী?? 

ক• শ্রী তপন কুমার রায় 

খ• তপন রায় 

গ• তপন কুমার রায়

ঘ• শ্রী তপন কুমার সেন

উওর : শ্রী তপন কুমার রায় 


12 - চায়ের টেবিল কথাটা কখন উঠেছিল?? 

ক• সকালে 

খ• দুপুরে 

গ• বিকেলে 

ঘ• সন্ধ্যায় 

উওর : বিকেলে



13 - তপনের লেখা গল্পটি কোন পএিকায় প্রকাশিত হয়েছিল?

ক• সন্ধ্যাতারা পএিকায়

খ• বামাবোধিনী পএিকায়

গ• আনন্দবাজার পএিকায়

ঘ• দেশ পএিকায়

উওর : সন্ধ্যাতারা পএিকায়



14 - তপনের গল্পটি কে কারেকশন করেছিলেন??

ক• তপনের মামা

খ• তপনের ছোটমাসি

গ• তপনের ছোটমেসো

ঘ• তপনের মা

উওর : তপনের ছোটমেসো 


15 - তপন তাঁর গল্পটা প্রকাশিত হওয়ার পর সে তাঁর গল্পটা কেন পড়তে পারছিল না?? 

ক• কারণ গল্পে লেখা খুব কঠিন ছিল 

খ• কারণ তাঁর লেখা গল্পটির ভাষা পরিবর্তন করা হয়েছিল 

গ• তপনের লেখা গল্পের বদলে সেখানে অন্যের লেখা গল্প ছিল 

ঘ• তার চোখে সমস্যা হচ্ছিল

উওর : তপনের লেখা গল্পের বদলে সেখানে অন্যের লেখা গল্প ছিল 


16 - ক্রমশও বাড়িতে কোন কথাটা ছড়িয়ে পরেছিল?? 

ক• তপনের গল্প লেখার কথাটা 

খ• তপনের গল্প প্রকাশিত হওয়ার কথাটা 

গ• তপনের গল্প তার মেসোর ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা 

ঘ• তপন আর গল্প অন্যকে ছাপতে দেবেনা সেই কথাটা 

উওর : তপনের গল্প তার মেসোর ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা 



17 - " শুধু এইটাই অজানা ছিল না " -- কী অজানা ছিল?? 

ক• মানুষ ই গল্প লেখে

খ• মেসো একজন লেখক

গ• তপনের মাসিও গল্প লেখেন

ঘ• তপন নিজেও গল্প লিখতে পারবে 

উওর : মানুষ ই গল্প লেখে 



18- " গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল তপনের। "  -- তপনের গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠেছিল --

ক• মেসোকে দেখে

খ• মেসোর গল্প পড়ে 

গ• তপনের নিজের লেখা গল্প পড়ে 

ঘ• সন্ধ্যাতারায় তপনের গল্প দেখে

উওর : তপনের নিজের লেখা গল্প পড়ে।


19 - " পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে?" -- অলৌকিক ঘটনাটি কী?? 

ক• তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হয়েছে। 

খ• তপন সন্ধ্যাতারা পএিকায় আবার -লেখার সুযোগ পেয়েছে 

গ• তপনের মাসির সঙ্গে একজন লেখকের বিয়ে হয়েছে 

ঘ• ওপরের কোনোটিই নয়

উওর : তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হয়েছে


20 -  " আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন। "  -- দুঃখের দিনটি কার?? 

ক• তপনের মামার

খ• তপনের ছোটমাসির

গ• তপনের ছোটমেসোর

ঘ• তপনের 

উওর : তপনের 


21 - তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই, তার থেকে অপমানের। " - এখানে কোন বিষয়টি দুঃখের ও অপমানের? 

ক• কম বয়সে লেখক হতে পারা

খ• নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া 

গ• নিজের গল্প প্রকাশিত না হওয়া

ঘ• নিজের গল্প লিখতে না পারা 

উওর : নিজের লেখা পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা পড়া। 


22 - "তপন আর পড়তে পারে না।"  - তপনের পড়তে না পাড়ার কারণ কী?? 

ক• গল্পের মধ্যে কোথাও তপনের নিজের লেখা ছিলনা। এজন্যই তার কষ্ট হচ্ছিল

খ• তপনের কষ্ট হচ্ছিল 

গ• তপনের চোখে সমস্যা হচ্ছিল

ঘ• তার আত্মসম্মানের আঘাত লেগেছিল 

উওর : গল্পের মধ্যে কোথাও তপনের নিজের লেখা ছিলনা। এজন্যই তার কষ্ট হচ্ছিল



23 -" এই দুঃখের  মুহুর্তে গভীরভাবে সংকল্প করে তপন " -- তপন কী সংকল্প করেছিল?? 

ক• সে আর কখনো লিখবে না 

খ• সে আর কখনো কাউকে তার লেখা দেখাবে না 

গ• সে আর কখনো গল্প ছাপতে দেবে না 

ঘ• যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয়, তাহলে সে নিয়ে গিয়ে দেবে 

উওর : যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয়, তাহলে সে নিয়ে গিয়ে দেবে 


24 - তপনকে যেন আর কখনো শুনতে না হয় --- 

ক• অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে 

খ• তপনের লেখা ভালো হয়নি 

গ• তপনের লেখা খারাপ 

ঘ• তপনের মেসোর জন্যই তার লেখা প্রকাশিত হয়

উওর : অমুক তপনের লেখা ছাপিয়ে দিয়েছে 



25 - " যেন নেশায় পেয়েছে। ".-- এখানে তপনের কোন নেশার কথা বলা হয়েছে?? 

ক• গল্প লেখার নেশা 

খ• গল্প পড়ার নেশা 

গ• গল্প শোনার নেশা 

ঘ• সিনেমা দেখার নেশা

উওর : গল্প লেখার নেশা 

জ্ঞানচক্ষু গল্পের SAQ প্রশ্ন উএর || জ্ঞানচক্ষু গল্পের বড়ো উত্তর 

1.জ্ঞানচক্ষু গল্পটি কার লেখা?? 

উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পটি আশাপূর্ণা দেবীর লেখা।2.জ্ঞানচক্ষু গল্পটির উৎস কী?? 

উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পটির উৎস হল আশাপূর্ণা দেবীর "কুমকুম" নামক গল্প সংকলন।। 

3.কথাটা শুনে কার চোখ মার্বেল হয়েছিল? এবং কেন হয়েছিল? 

উওর : জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল। তার চোখ মার্বেল হয়ে যাওয়ার কারণ ছিল এই যে, তপন জানত না যে লেখকরা তাঁর বাবা, কাকাদের মতোই সাধারণ মানুষ! সে ভাবত যে লেখকরা কোনো ভিন গ্রহের প্রানী । কিন্তু যখন তপন শোনে যে তার নতুন মেসোমশাই একজন লেখক, তখন এটা শুনে তাঁর চোখ মার্বেল হয়ে যায়। 

4.- এ বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। - কোন বিষয়ে তপনের সন্দেহ ছিল?? 

উওর : তপন তাঁর নতুন মেসোর সম্পর্কে জানার আগে সে এটা জানত না যে লেখকরা তাঁর বাবা, কাকা, মামার মতোই সাধারণ মানুষ! সে ভাবত যে লেখকরা কোনো ভিন গ্রহের প্রানী । লেখকরা যে সাধারণ মানুষ সে বিষয়ে সন্দেহ ছিল তপনের। 

5-  তপন কী উপলক্ষে তার মামার বাড়িতে এসেছিল?, 

উওর : তপন তার ছোটমাসির বিয়ে উপলক্ষ্যে তার মামার বাড়িতে এসেছিল।

6.- " রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই ' কথাটির অর্থ কী?? 

উওর : এখানে রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই কথাটির মাধ্যমে তপন এবং তাঁর মেসোকে বোঝানো হয়েছে। 

যেহেতু তপনের নতুন মেসোমশাই একজন লেখক, সুতরাং তপনের লেখা গল্পের মূল্য যদি কেউ বুঝে থাকেন তাহলে সেটা তাঁর মেসোই বুঝবেন। কারণ একজন গুণী ব্যক্তিই অপর গুণী ব্যক্তির মূল্য বোঝেন।। 


7.- " বিকেলে চায়ের টেবিলে ওঠে কথাটা। " -- বিকেলে কোন কথাটি চায়ের টেবিলে উঠেছিল?? 

উওর : তপন তাঁর নতুন মেসোকে দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে সে একটি গল্প লেখে। এরপর সেই গল্পটা ছোটমাসির হাত ধরে নতুন মেসোর হাতে পৌঁছনোর পর নতুন মেসো বলেন যে গল্পটা একটু কারেকশন করে ছাপতে দেওয়া যায়। মেসো তপনকে বলেন যে তিনি এই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপিয়ে দেবেন। এই কথাটাই বিকেলে চায়ের টেবিলে উঠেছিল।।


8- " বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের ' তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠার কারণ কী?? 

উওর : তপনের লেখা গল্পটি সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যাওয়ার পর, দীর্ঘদিন অপেক্ষার  পর একদিন হঠাৎ করেই ছোটমেসো এবং ছোটমাসি সন্ধ্যাতারা পএিকা হাতে নিয়ে তপনদের বাড়িতে আসেন। তাদের হাতে সন্ধ্যাতারা পএিকা দেখে তপনের মনেহয় যে তার গল্প এখন ছাপা হয়েছে! যা তার জন্য একটা বিশাল বড়ো ব্যপার। এবং এটা ভেবেই তপনের বুকের রক্ত ছলকে ওঠে। 


9."যেন নেশায় পেয়েছে। "- কীসের কথা বলা হয়েছে?? 

উওর : তপন তার নতুন লেখক মেসোকে দেখে সে নিজেও একটি গল্প লিখে ফেলে। সেই গল্পটা যখন তপনের মেসোকে দেখানো হয় তখন তিনি সেটা সন্ধ্যাতারা পএিকাতে ছাপিয়ে দেওয়ার কথা বলেন। এই কথা শুনে তপন তার গল্প লেখা নিয়ে আরও বেশি উৎসাহি হয়ে ওঠে। এবং এরপর সে একের পর এক গল্প লিখতে শুরু করে। এবং এখানে সেই গল্প লেখার ইচ্ছে বা লেখার নেশার কথা বলা হয়েছে। 


10."পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও ঘটে? " -- এখানে কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটার কথা বলা হয়েছে?? 

উওর : এখানে অলৌকিক ঘটনা বলতে তপনের লেখা গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হওয়া এবং সেই গল্পটি অনেক অনেক মানুষের হাতে হাতে ঘুরে বেড়ানোর ঘটনাকে বোঝানো হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তপনের মতো এত ছোট একটি বাচ্চার কাছে সন্ধ্যাতারা পএিকাতে তার গল্প প্রকাশিত হওয়ার ব্যপারটা কোনো অলৌকিক ঘটনার থেকে কম কিছু নয়।। 


11.-" আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন। " --  এখানে কার দুঃখের দিনের কথা বলা হয়েছে? দিনটি তাঁর কাছে দুঃখের কেন?? 


উওর : এখানে জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের দুঃখের কথা বলা হয়েছে। দিনটি তাঁর কাছে এজন্যই দুঃখের যে, তপন যেই গল্পটি লিখেছিল এবং সেই গল্পটাই তাঁর ছাপিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেসোর হাতে যেই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপা হয়েছিল সেটা তপনের গল্প ছিলনা। সেই গল্পটা তপনের নাম নিয়ে ছাপা হলেও সেই গল্পটা নতুন মেসো পুরোপুরিভাবে কারেকশন করে ছাপিয়ে ছিলেন। যার মধ্যে তপনের লেখা কোথাও ছিলনা। 

তপন এটা কখনোই চায়নি যে তাঁর নিজের নামে অন্যের গল্প থাক। কিন্তু তাঁর সাথে আজ সেটাই হয়েছে। আর এজন্যই তপনের কাছে যেই দিনটি সবচেয়ে আনন্দের হওয়ার কথা, সেই দিনটিই তপনের কাছে সবচেয়ে বেশি দুঃখের।


12. -   " তার চেয়ে দুঃখের কিছু নেই " --- কোন্  বিষয়ে এ কথা বলা হয়েছে?? 


উওর : তপনের লেখা গল্পটি তাঁর নতুন মেসোর ছাপিয়ে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মেসোর হাতে যেই গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় ছাপা হয়েছিল সেটা তপনের গল্প ছিলনা। সেই গল্পটা তপনের নাম নিয়ে ছাপা হলেও সেই গল্পটা নতুন মেসো পুরোপুরিভাবে কারেকশন করে ছাপিয়ে দিয়েছিলেন। যার মধ্যে তপনের লেখা কোথাও ছিলনা। যখন তপনকে তাঁর নিজের গল্পটা পড়তে বলা হয়, তখন তপনকে নিজের গল্পের বদলে অন্যের লেখা গল্প পড়তে হয়েছিল। তপনের কাছে নিজের নামে অন্যের লেখা পড়ার চেয়ে  দুঃখের কিছু নেই।। 


13.- " গল্পটা ছাপা হলে যে ভয়ংকর আহ্লাদটা হবার কথা, সে আহ্লাদ খুঁজে পায় না। " -- উদ্দিষ্ট্য ব্যক্তির আহ্লাদিত না হতে পারার কারণ কী?? 


উওর : সন্ধ্যাতারা পএিকার মতো এত নামকরা একটা পএিকাতে নিজের লেখা গল্প প্রকাশিত হলে যে আহ্লাদটা হওয়ার কথা, সেটা তপনের এজন্যই হয়না কারণ সন্ধ্যাতারা পএিকাতে তপনের নাম গল্প তো নিশ্চয়ই বেরিয়েছিল, কিন্তু তাঁর পরিবারে এই আলাচনাই হতে থাকে যে নতুন মেসো গল্প ছাপিয়ে দিয়েছে । এখানে তপনের লেখাকে গুরুত্ব না দিয়ে তার নতুন মেসোর গল্প ছাপানোর বিষয়টাই বড়ো হয়ে ওঠে।  যেই কারণে তপন তাঁর গল্প প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টা নিয়ে আহ্লাদিত হতে পারে না।। 


14. " তপন আর পড়তে পারে না। " -- তপন আর পড়তে পারছিল না কেন?? 


উওর : তপনের গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর যখন সেই গল্পটা তপনের বাড়ির সদস্যদের সামনে আসে, তখন বাড়ির ছেলের লেখা কেমন হয়েছে সেটা দেখার জন্য তপনের বাড়ির লোক তপনকে তাঁর গল্পটা পড়তে বলে। কিন্তু যখন তপন দেখে যে যেই গল্পটা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে নাম তপনের থাকলেও গল্পটা তাঁর নিজের লেখা নয়! গল্পটা হল নতুন মেসোর। এভাবে নিজের গল্প পড়তে গিয়ে অন্যের গল্প পড়ার যন্ত্রণাতে তপন আর পড়তে পারছিল না। 


15. " ক্রমশ ও কথাটাও ছড়িয়ে পরে। " -- কোন কথাটা ছড়িয়ে পরার কথা বলা হয়েছে?? 

উওর : বাড়ির ছেলের ( তপনের ) লেখা একটি গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকার মত এতো নামকরা একটি পএিকায় প্রকাশিত হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই তপনের বাড়ির সদস্যরা হইচই শুরু করেন। কিন্তু পরে জানতে পারা যায় যে গল্পটা নতুন মেসো একটু কারেকশন করে করে ছাপিয়ে দিয়েছেন। এই  "কারেকশন করে করে ছাপিয়ে দিয়েছেন" -কথাটাই ক্রমশ ও বাড়ির সদস্যদের মধ্যে ছড়িয়ে পরার কথা বলা হয়েছে।। 


16."মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে সেটা।"  -- কোন কাজটি মেসোর উপযুক্ত হবে?? 

উওর : তপনের লেখা গল্পটি দেখে, ছোটমাসি সেই গল্পটি নতুন মেসোকে দেখাতে নিয়ে যান। মেসো সেই গল্পটি দেখে বলেন যে গল্পটা একটু কারেকশন করে দিলে ছাপানোর জন্য দেওয়া চলে। এখানে তপনের গল্পটা ছাপিয়ে দেওয়া টাই মেসোর উপযুক্ত কাজ হবে। 

17. "তপনের গল্প পড়ে ছোটমাসি কী বলেছিল "?? 

উওর : তপনের গল্প পড়ে ছোটমাসি তপনের কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে তপন গল্পটা কোথাও থেকে কপি করেছে কিনা। যদিও তিনি এই কথাটি নেহাতই মজার ঝলে বলেছিলেন। 

18- " সাড়া বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। " -- কেন?? 

উওর : বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য তপনের লেখা একটি গল্প সন্ধ্যাতারা পএিকাতে প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি নিয়ে বাড়িতে শোরগোল পড়ে যায়। 


19." এর মধ্যে তপন কোথা?  " -উক্তিটির তাৎপর্য ব্যাক্ষা করো। 


উওর : তপনের গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর যখন সেই গল্পটা তপনের বাড়ির সদস্যদের সামনে আসে, তখন বাড়ির ছেলের লেখা কেমন হয়েছে সেটা দেখার জন্য তপনের বাড়ির লোক তপনকে তাঁর গল্পটা পড়তে বলে। কিন্তু যখন তপন সেই গল্পটা পড়তে শুরু করে তখন সে দেখে যে নতুন মেসো তাঁর গল্পটা পুরোপুরিভাবে পাল্টে দিয়েছেন। সেই গল্পে তপন নিজেকে বা নিজের লেখাকে কোথাও খুঁজে পায়নি।


20." নতুন মেসোকে দেখে জানল সেটা। "- নতুন মেসোকে দেখে কে, কী জানতে পেরেছে?? 


উওর : এখানে নতুন মেসো, অর্থাৎ তপনের ছোট মাসির স্বামীকে দেখে " তপন " এটা জানতে পেরছিল যে, লেখকরা আসলে কোনো ভিন গ্রহের প্রানী নয়! যারা লেখক তারাও আসলে তপনের বাবা, কাকা, মামার মতোই নিছকই সাধারণ মানুষ। এখানে তপনের সেই বিষয়টিই জানার কথা বলা হয়েছে। 

21.- নতুন মেসােকে দেখে জ্ঞানচক্ষু খুলে গেল তপনের নতুন মেসাের পরিচয় দাও। তাকে দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু খুলে যাওয়ার কারণ কী?

উত্তর -  ‘জ্ঞানচক্ষু’ গল্পে তপনের নতুন মেসাে তার ছােটোমাসির স্বামী। তিনি একজন লেখক, বই লেখেন। ইতিমধ্যে তাঁর অনেক বই ছাপাও হয়েছে। সর্বোপরি তিনি একজন প্রফেসার। তপন তার মেসোকে দেখার আগে এটা জানতোই না যে লেখরা সাধারন মানুষ ই! তারা আকাশ থেকে পরা ভিন গ্রহের  কোনো প্রানী নয়।। একজন লেখককে যে এত কাছে থেকে দেখা যায় কিংবা লেখকরা যে তপনের বাবা, ছােটোমামা বা মেজোকাকুদের মতাে মানুষ হতে পারে, এ বিষয়েও তার যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। কিন্তু তার সেই ধারণাগুলাে ভেঙে গেল, যখন দেখল তার ছােটোমেসাের দেখা পেল। মেসোকে তার বাবা, ছােটোমামা বা মেজোকাকুর মতােই দাড়ি কামাতে সিগারেট খেতে , - খেতে বসে অর্ধেক খাবার তুলে দিতে, সময়মতাে চান করতে দেখলো। এসব বিষয়ে অন্যদের সঙ্গে মেসাের মিল দেখে তপনের জ্ঞানচক্ষু উন্মােচিত হয়। সে বুঝতে পারে লেখকরা আকাশ থেকে পড়া জীব নয়, নিছকই মানুষ।


22."পৃথিবীতে পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনাও
ঘটে—কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে? একে অলৌকিক বলার কারণ কী?

উত্তর : প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবীর ‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল তপন। বিশাল পৃথিবীতে স্বল্প বাস্তবতাবােধ যুক্ত আর পাঁচটা শিশুর মতােই তপনের জীবন চলে।। কিন্তু তার জীবনে  গল্পের বই ও লেখকরা একটু বেশিই গুরুত্বপূর্ণ। তপনের মনে হত যারা লেখক তারা সাধারণ কোনো মানুষ নন। যারা বই লেখেন তারা অন্য জগতের মানুষ। কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে তপনের সেই দৃষ্টিকোণ পাল্টে যায়। এবং সে বুঝতে পারে যে বাকি লেখকের মতো সে নিজেও তো গল্প লিখতে পারবে। আর এরপর যেমন ভাবনা ঠিক তেমন কাজ। তপন তার কাঁচা হাতেই একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। এরপর সেই গল্প মেসাের হাতে গেলে মেসাে তপনের

ও বাড়ির লােকেদের মন রাখার জন্য তা সামান্য কারেকশন করে সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার অঙ্গীকার করেন। এরপর দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ছোটমাসি এ মেসো একদিন তাদের বাড়িতে  সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় হাতে নিয়ে আসেন। গল্পটি পত্রিকায় ছেপে বেরােয়। তপনের কাছে এত কম বয়সে এত কাঁচা একজন লেখকের গল্প পত্রিকাতে প্রকাশিত হওয়ার ঘটনাই অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল। অলৌকিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল মনুষের পক্ষে যা সম্ভব নয় বা পৃথিবীতে ঘটে না। এক্ষেত্রে ছােট্ট তপনের লেখা গল্প।

পরিবেশ ও পরিস্থিতির সমন্বয়ে যেভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছিল সেটাই অলৌকিক। 


23.- রত্নের মূল্য জহুরির কাছেই।–“রত্ন’ ও
জহুরি’ বলতে কী বােঝানাে হয়েছে? উদ্ধৃত উক্তিটির তাৎপর্য বুঝিয়ে দাও।


উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর রচিত ‘অজ্ঞানচক্ষু’ গল্পে এই উদ্ধৃতিটি পাওয়া যায়।  সাধারণত রত্ন বলতে কোনো বিশেষ মূল্যবান পাথরকে বােঝায়। এবং জহুরি’ বলতে বােঝায় জহর অর্থাৎ যিনি রত্নের  বিশেষজ্ঞ। সাভাবিক ভাবে যে-কোনাে পাথরকে রত্ন বলে চালালে তা জহুরির চোখে ধরা পড়বে। এবং সেই জহুরিই বলতে পারবেন যে পাথরটি সত্যি কোনো রত্ন কিনা। তিনিই সেই পাথরটির সঠিক মূল্য বুঝতে পারবেন। এখানে আমাদের পাঠ্য জ্ঞানচক্ষু গল্পে ‘রত্ন’ বলতে তপনের লেখা সেই গল্পকে এবং  জহুরি’ বলতে তার ছােটোমেসোকে বােঝানাে হয়েছে। গল্পের তপন নামের চরিত্রটির কাছে গল্প বা গল্পের বই সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকলেও গল্পের লেখকদের সম্পর্কে তার ধারণা বা জ্ঞান ছিল একদমই শূন্য । তপনের লেখকদের সম্পর্কে ধারণা ছিল যে লেখকরা তার বাব, কাকা, মামার মতো সাধারণ মানুষ নয়! তারা ভিন গ্রহের কোনো প্রানী। 

কিন্তু নতুন মেসোকে দেখে তপনের সেই দৃষ্টিকোণ পাল্টে যায়। এবং সে বুঝতে পারে যে বাকি লেখকের মতো সে নিজেও তো গল্প লিখতে পারবে। এটা ভেবেই তপন একটি গল্প লিখে ফেলে। এরপর সেই গল্পটি তার ছোটমাসির হাত ধরে যখন তার নতুন লেখক মেসোর কাছে পৌঁছায়, তখন তপনের চোখে মুখে বা তার ব্যবহারে এই বিষয়ে তার মত না থাকলেও, তপন মনে মনে এই ব্যাপারটায় সে মনে মনে পুলকিত হয়, কেননা জহুরির, অর্থাৎ তার নতুন মেসোই বুঝতে পারবেন রত্নের,, তপনের লেখা গল্পের সঠিক মূল্য বুঝতে।। 


24. তপনের মনে হয় আজ যেন তার জীবনের
সবচেয়ে দুঃখের দিন।'—“আজ’ বলতে কোন্ দিনের কথা বলা হয়েছে? তপনের এমন মনে হওয়ার কারণ কী? 

উত্তর : আশাপূর্ণা দেবীর রচিত গল্প " জ্ঞানচক্ষু " তে আজ বলতে এখানে সেই দিনটির কথা বলা হয়েছে, যেদিন তপনের লেখা একটি গল্প ‘সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকার প্রকাশিত হয়েছিল।  এবং সন্ধ্যাতারা পত্রিকিত তার গল্পটি তার ছোটমেসো এবং ছোটমাসি হাতে করে নিয়ে এসেছিল। তপনের গল্পটা সন্ধ্যাতারা পএিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর যখন সেই গল্পটা তপনের বাড়ির সদস্যদের সামনে আসে, তখন বাড়ির ছেলের লেখা কেমন হয়েছে সেটা দেখার জন্য তপনের বাড়ির লোক তপনকে তাঁর গল্পটা পড়তে বলে। কিন্তু যখন তপন তার নিজের লেখা গল্পটা পড়তে বসে, তখন সে দেখে যে - যেই গল্পটা প্রকাশিত হয়েছে সেখানে নাম তপনের থাকলেও গল্পটা তাঁর নিজের লেখা নয়! গল্পটা হল নতুন মেসোর। নতুন মেসো গল্পটা ছাপানোর জন্য তপনের লেখা গল্পটি পুরোপুরিভাবে পাল্টে দিয়ে তিনি নিজের গল্পই তপনের নামে ছাপিয়ে দিয়েছেন। 

এরকম পরিস্থিতিতে তপনের কাছে নিজের গল্প পড়তে বসে অন্যের গল্প পড়ার চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কিছু হতে পারে না।। তাই আজকের দিনটাই যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।


ধন্যবাদ।। Som'S Classroom- এর ইতিহাস, ভূগোল, এবং অন্যান্য নোটস কেনার জন্য আমাদের সাথে যোগাযোগ করো।।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top