মাধ্যমিক 2022 ইতিহাস সাজেশন ( সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা ) | WB Madhyamik History Suggestion 2022
আজকে আমরা 2022 সালের মাধ্যমিক ( wb Madhyamik 2022 ) পরীক্ষার্থীদের জন্য মাধ্যমিক ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় " সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা " এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন এবং সেইসঙ্গে তার উত্তরও তোমাদের সাথে শেয়ার করব।
আজকের ইতিহাস প্রশ্ন উওর
1-
ইলবার্ট বিল কী?, ইলবার্ট বিল কাকে বলে? ইলবার্ট বিল আন্দোলন এবং ইলবার্ট বিল এর গুরুত্ব।
2 - ভারত মাতা চিত্রের মধ্যে কিভাবে জাতীয়তাবাদ প্রকাশিত হয়েছে?
3 -বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান বলা হয় কেন? (মাধ্যমিক 2019)
4-
-1857 - খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙ্গালী সমাজের কীরুপ মনোভাব ছিল?
( মাধ্যমিক 2017, 2020 )
5-
আনন্দমঠ উপন্যাসটি কিভাবে জাতীয়তাবাদী চেতনা বিস্তারে সহায়তা করেছিল?
6-
ভারত সভার কার্যাবলী সংক্ষেপে আলোচনা করো।
7- 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে কি সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়?
Madhyamik History Suggestion 2022 | সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা অধ্যায়ের মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2020
1 - টীকা লেখ - ইলবার্ট বিল।
উওর : ইলবার্ট বিল সম্পর্কে আগেই আমরা একটি পোস্ট শেয়ার করেছি। তোমরা সেখান থেকে ওপরের প্রশ্নটির উওর দেখে নিতে পারো।
👇
ইলবার্ট বিল কী?, ইলবার্ট বিল কাকে বলে? ইলবার্ট বিল আন্দোলন এবং ইলবার্ট বিল এর গুরুত্ব।
2 - ভারত মাতা চিত্রের মধ্যে কিভাবে জাতীয়তাবাদ প্রকাশিত হয়েছে?
উওর :
• ভুমিকা : ব্রিটিশ শাষনে শাষিত পরাধীন ভারতের বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের নিজেদের মতো করে জাতীয়তাবাদে প্রসারে চেষ্টা করেছেন। ঠিক সেরকম ভাবেই,সেই সময়কার বিখ্যাত চিত্রশিল্পী অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার বিখ্যাত চিত্র " ভারতমাতার " মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটিয়েছেল।
• ভারতমাতা চিত্রের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদের বিকাশ -
• অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতমাতা চিত্রের মাধ্যমে আমাদের ভারতবর্ষকে, ভারতের স্বাধীনতাকামী সন্তানদের কাছে মাতৃরুপে প্রকাশ করেছিলেন। যার ফলে পরাধীন ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করতে থাকা প্রতিটি মানুষ নিজের দেশকে মাতৃরূপে কল্পনা করে তার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করার জন্য উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।
• অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা চিত্রের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটিয়েছিল। যেমন -
• অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভারতমাতা চিত্রে - ভারতমাতার পরনেরয়েছে গেরুয়া বস্ত্র।এবং তার তার হাতে রয়েছে বেদ, ধানের শিষ,জপের মালা এবং শ্বেতবস্ত্র।
• মনে করা হয় যে অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর ভারতবর্ষের সকল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই, ভারতমাতার এমন রূপ দিয়েছিলেন। যার ফলে এটি বঙ্গমাতা থেকে ভারত মাতায় পরিণত হয়েছিল।
• ভারত মাতার পরনে রয়েছে গৌরিক বস্ত্র। যা ত্যাগ ও আমাদের ভারতবর্ষের হিন্দু সংস্কৃতিকে নির্দেশ করে।
• ভারতমাতার একহাতে ধানের শীষ রাখা হয়েছে। যা তার সন্তানদের জন্য অন্নসংস্থানের বার্তা প্রকাশ করে।
• এবং অন্যান্য হাতের বেদ তার সন্তানদের জন্য শিক্ষা এবং এবং তার চতুর্থ হাতের জপের মালা দীক্ষাদানের বিষয়টিকে নির্দেশ করে।
উপসংহার : 1902 খ্রিস্টাব্দে অঙ্কিত এবং 1905 খ্রিস্টাব্দে চিত্রিত অবনীন্দ্রনাথ ঠাকুরের " বঙ্গমাতা " জাতীয়তা বিকাশে ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। এবং এর তীব্র জনপ্রিয়তার কারণে বঙ্গমাতা চিত্রটি কিছুদিনের মধ্যেই সমগ্র ভারতবর্ষের জন্য " ভারতমাতায় " পরিণত হয়।
3 -বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান বলা হয় কেন? (মাধ্যমিক 2019)
উওর : উনিশ শতকে বাংলায় বা বিশেষ করে ভারতবর্ষের যে সমস্ত রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছিল, তার মধ্যে " বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা " ছিল অন্যতম এক রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকেই বলা হয় প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান।।এর পেছনের কিছু কারণ হলো -
সভার প্রতিষ্ঠা : টাকির জমিদার কালিনাথ চৌধুরী, প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর,প্রসন্নকুমার ঠাকুর, রাজা রামমোহন রায় ও তাদের কিছু অনুগাম তাদের কিছু বিশেষ লক্ষ্যকে সামনে রেখে 1836 খ্রিষ্টাব্দে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার আগে সেরকম ভাবেও কোনো রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্য : বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভা বিভিন্ন জমিদারদের দ্বারা প্রতিষ্ঠা করা হলেও এর মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষের মঙ্গল-অমঙ্গলকারী বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের ভালো মন্দ বিচার করা। যার ফলে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার মধ্যেই প্রথম রাজনৈতিক চেতনার পরিচয় পাওয়া যায়।
রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর ভূমিকা : বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার উদ্দেশ্য ছিল খুবই স্পষ্ট। বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভার বিভিন্ন কর্মকর্তারা সরকারের বিভিন্ন খারাপ বা ভূল দিকগুলো সমালোচনা করতেন এবং সেগুলো সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে আবেদন করতেন। যার ফলে এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের গুনাগুন বা বৈশিষ্ট্য লক্ষ্য করা গিয়েছিল।
উপসংহার : উপরোক্ত আলোচনা থেকে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মেনে নেওয়ার সপক্ষে কিছু যুক্তি পাই। কবি ঈশ্বর গুপ্ত লিখেছিলেন রাজকীয় বিষয়ের বিবেচনার জন্য অপর যে সভা হইয়াছিল তন্মধ্যে বঙ্গভাষা প্রকাশিকা সভাকে প্রথমা বলিতে হইবেক"। গবেষক যোগেশচন্দ্র বাগল এদিকে বাঙালি তথা ভারতবর্ষের মধ্যে সর্ব প্রথম রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বলেছেন।
4-1857 - খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত বাঙ্গালী সমাজের কীরুপ মনোভাব ছিল?
( মাধ্যমিক 2017, 2020 )
উওর : 1857 খ্রিষ্টাব্দে সিপাহীদের দ্বারা শুরু হওয়া এবং পরিচালিত " সিপাহী বিদ্রোহ " বা " মহাবিদ্রোহ " উওর ও মধ্যে ভারতে জনসাধারণের সমর্থন লাভ করতে পারলেও, কলকাতার শিক্ষিত বাঙ্গালী মধ্যবিত্তদের সমর্থন লাভ করতে পারেনি।
• 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের প্রতি শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের মনোভাব ছিল বিরূপ। কারণ সিপাহীদের দ্বারা পরিচালিত এই বিদ্রোহ তাদের কাছে কোনো কল্যাণ কর দিক তুলে ধরতে পারেনি।
• বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কলকাতায় উচ্চবিত্ত বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ মহাবিদ্রোহের তীব্র নিন্দা করেছিলেন।
• 1857 এর মহাবিদ্রোহ শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙ্গালী সমাজের কাছে কোন রকম স্পষ্ট এবং কল্যাণকর ভাবধারা তুলে ধরতে পারেনি। যার ফলে তারা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজের কোনো সমর্থন লাভ করেনি।
শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহ কে সমর্থন না করার কিছু কারণ :
• কল্যাণকর ব্রিটিশ শাসন : শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালির সমাজ ব্রিটিশ শাসনকে তাদের পক্ষে কল্যাণকর বলে মনে করতেন। এজন্য শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজ ব্রিটিশদের দেশ পরিচালনা থেকে।কোনদিনই মুক্ত হতে চায়নি।
• বিদ্রোহীদের অস্পষ্ট উদ্দেশ্য : শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কাছে মহাবিদ্রোহের কোনো স্পষ্ট ধারণা ছিল না। অর্থাৎ এই বিদ্রোহের মাধ্যমে বিদ্রোহীরা কি করতে চাইছে, বা এই বিদ্রোহ জয়ের ভবিষ্যত কী? তার কোনো স্পষ্ট ধারণা তারা শিক্ষিত বাঙালি সমাজের সামনে তুলে ধরতে পারেনি।
• মধ্যযুগীয় শাসনব্যবস্থা ফিরে আসায় ভয় : মহাবিদ্রোহের বিদ্রোহীরা দ্বিতীয় বাহাদুর শাহকে সর্বভারতীয় নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। এই জিনিসটাই শিক্ষিত বাঙালি মধ্যবিত্ত সমাজের কাছে ভয়ের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তারা ভেবেছিল যদি বিদ্রোহীরা জিতে যায়,তাহলে হয়তো দ্বিতীয় বাহাদুর শাহের হাত ধরে?ভারতে আবার সেই মধ্যযুগীয় শাসনব্যবস্থা ফিরে আসবে। যা শিক্ষিত মধ্যবিত্ত বাঙালি সমাজের পক্ষে কখনই কল্যাণকর হবে না।
উপসংহার : 1857 খ্রিষ্টাব্দের মহাবিদ্রোহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের সমর্থন লাভ করলেও, কিছু ভুল ধারনা এবং নিজেদের স্বার্থের কারণে,
বাংলা তথা কলকাতার জনসাধারণ এবং শিক্ষিত বাঙালি সমাজের কাছ থেকে কখনোই সমর্থন লাভ করেনি।
5 - আনন্দমঠ উপন্যাসটি কিভাবে জাতীয়তাবাদী চেতনা বিস্তারে সহায়তা করেছিল?
উওর : সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বিখ্যাত উপন্যাস " আনন্দমঠ " জাতীয়তাবাদ প্রসারের ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। 1882 খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের রচিত " আনন্দমঠ " উপন্যাস নিম্নরুপভাবে জাতীয়তাবাদের প্রসার ঘটিয়েছিল -
• আনন্দমঠ উপন্যাসের প্রধান বিষয় : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তার আনন্দমঠ উপন্যাসে একদল আত্মত্যাগীদের কথা উল্লেখ করেছেন। যারা নিজের দেশকে উদ্ধারের জন্য সবকিছু করতে পারেন। অর্থাৎ বঙ্কিমচন্দ্রের আনন্দমঠ উপন্যাস এই কাহিনীর মাধ্যমে সেই সময়কার স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা যুব সম্প্রদায় এবং মুক্তিকামী মানুষের কাছে স্বদেশপ্রীতির কথা তুলে ধরেছিল।
• বন্দেমাতরম সংগীত : আনন্দমঠ উপন্যাসের অন্তর্ভুক্ত একটি সংগীত হলো " বন্দেমাতরম "। 1896 খ্রিস্টাব্দে কংগ্রেসের একটি অধিবেশনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বন্দেমাতরম সঙ্গীতটি গেয়ে জনসাধারনের সামনে তুলেধরেছিলেন। পরবর্তীতে বন্দেমাতরম সঙ্গীতটি সেই সময়কার বিপ্লবীদের কাছে পরাধীন ভারতের জাতীয় সংগীত বা বিপ্লবী মন্ত্র হিসেবে উঠে এসেছিল।
• দেশমাতার আদর্শ : আনন্দমঠ উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র দেশের কয়েকটি আদর্শ তুলে ধরেছিলেন। আনন্দমঠ উপন্যাসে বঙ্কিমচন্দ্র লিখেছিলেন যে - দেশ হলেন আমাদের মা। দেশ প্রেম হলো আমাদের ধর্ম এবং দেশ সেবা করাই হলো আমাদের পূজা। অর্থাৎ এক কথায় তিনি এখানে আবারো স্বদেশপ্রেমকেই তুলে ধরেছিলেন।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত আনন্দমঠ উপন্যাসটি স্বদেশপ্রেম নীতি এবং বন্দেমাতরম সঙ্গীতটির মাধ্যমে তৎকালীন ভারতের স্বাধীনতাকামী মানুষের মধ্যে জাতীয়তাবাদী চেতনা বিস্তারের যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
6 - ভারত সভার কার্যাবলী সংক্ষেপে আলোচনা করো।
উওর : উনিশ শতকে ভারতে তথা বাংলায় প্রতিষ্ঠিত উল্লেখযোগ্য কিছু রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে 1876 খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত " ভারত সভা " ছিল অন্যতম।
প্রতিষ্ঠার সময় ভারত সভার প্রধান উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয়দের সার্বিক কল্যাণ সাধন এবং স্বার্থরক্ষা। এই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই ভারতসভা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কার্যাবলী সম্পাদন করে। যেমন -
• সিভিল সার্ভিস সংক্রান্ত আন্দোলন :
ভারত সভা সর্বপ্রথম ভারতীয়দের স্বার্থ রক্ষা এবং কল্যাণের জন্য ভারতবর্ষের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের জন্য আন্দোলন করে। ব্রিটিশ সরকার ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের বয়স 21 থেকে কমিয়ে 19 করলে, ভারত সভা এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। এবং ভারতীয় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার্থীদের হয়ে তার তীব্র আন্দোলন করে।।
• ইলবার্ট বিলের স্বপক্ষে আন্দোলন : ইলবার্ট বিল পাস হওয়ার পর যখন ভারতের ইউরোপীয়রা ইলবার্ট বিল এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে, তখন ভারত সভা ইলবার্ট বিলের স্বপক্ষে আন্দোলন শুরু করেছিল। কারণ ইলবার্ট বিল ভারতীয় বিচারব্যবস্থায় বর্ণবৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
• অস্ত্র আইন এবং দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন এর বিরোধিতা : লর্ড লিটনের আমলে 1878 খ্রিস্টাব্দে দেশীয় ভাষায় সংবাদপত্র আইন এবং অস্ত্র আইন পাস হয়। এই দুটি আইনের মাধ্যমে ভারতীয় সংবাদপত্র গুলিকে ব্রিটিশ বিরোধী লেখা থেকে দূরে রাখার এবং ভারতবাসীকে নিরস্ত্র করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ভারত সভা এই জিনিসগুলো বুঝতে পারার পর তারা এই দুটি আইনের বিরুদ্ধে বিরাট বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিল।
উপসংহার : ভারত সভার বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন আন্দোলন গুলি কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলেও,ভারত সভা জনসাধারণের মধ্যে সংঘবদ্ধতার ঢুকিয়ে শিক্ষা দিতে পেরেছিল।
7- 1857 খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহকে কি সামন্ত শ্রেণীর বিদ্রোহ বলা যায়?
উওর:
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
Table Of Contents
আজকের এই পোস্টের বিষয়-
💖💖Thanks দিয়ে আপনাকে ছোট করব না sir আপনি আমাদের জন্য যা করছেন তা আমরাদের আজীবন স্মরণীয় থাকবে ।💖💖
উত্তরমুছুন