Wb Class 10 Bangla Model Activity Task January 2022 | দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

0

 

Wb Class 10 Bangla Model Activity Task January 2022 |  দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

Wb Class 10 Bangla Model Activity Task January 2022 |  দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক


এর আগের পোষ্টের মাধ্যমে আমরা দশম শ্রেণীর গণিত মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সম্পূর্ণ সমাধান তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছিলাম। এই পোষ্টের মাধ্যমেও আমরা ক্লাস টেনের নতুন মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের সমাধান তোমাদের সাথে শেয়ার করব। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা ক্লাস টেনের জানুয়ারি মাসে দেওয়া " দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক " এর সম্পূর্ণ সমাধান তোমাদের সাথে শেয়ার করতে চলেছি। আজকে আমরা ক্লাস টেনের বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর সমস্ত প্রশ্নের উওর খুব সুন্দর করে তোমাদের জন্য তৈরী করার চেষ্টা করেছি। যারা এখনো পর্যন্ত তোমরা তোমাদের ক্লাস টেনের বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক এর উওর করতে পারোনি,তারা আজকের এই পোস্ট থেকে তোমাদের দশম শ্রেণির নতুন বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক করে নিতে পারো। 


Table Of Contents

• wb class 10 model activity task
• wb class 10 new model activity task
• wb class 10 model activity task  Bengali 
• wb class 10 new model activity task bangla
• wb class 10 bangla model activity task solutions 
• wb class 10 bangla model activity task question answer 
• wb class 10 model activity task question answer 
• wb class 10 model activity task question answer bangla
• wb class 10 bangal model activity task solution 
• ক্লাস 10 বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 
• ক্লাস 10 বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক 
• ক্লাস 10 নতুন বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সমাধান
• ক্লাস 10 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের সমাধান
• ক্লাস 10 মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক বাংলা
• ক্লাস 10 বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের সমাধান
• দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
• দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সমাধান
• দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের প্রশ্ন উওর 


Wb Class 10 Bangla Model Activity Task |
 দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

 

   ◼  সঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখো ◼ 


1.- তপনের মেসোমশাই যে পত্রিকার সম্পাদক কে চিনতেন তা হল - 

• শুকতারা 

• সন্ধ্যাতারা 

• বালক 

• জ্ঞানান্বেষণ


উওর : তপনের মেসোমশাই যে পত্রিকার সম্পাদক চিনতেন তা হল - ( খ ) সন্ধ্যাতারা. 


2 - তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম -

• রাজা রানীর গল্প 

• অ্যাক্সিডেন্ট

• প্রথম দিন

•  বিদ্যালয় জীবনের অভিজ্ঞতা


উওর : তপনের লেখা প্রথম গল্পটির নাম - ( গ ) প্রথম দিন। 


3 - তপনের লেখা গল্পটি তার মেসো মশায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তপনের - 

• মা

• বাবা 

• মেজোকাকু 

• ছোটমাসি


উত্তর : তপনের লেখা গল্পটি তার মেসো মশায়ের কাছে পৌঁছে দিয়েছিলেন তপনের - ( ঘ ) ছোট মাসি


2 -  একটি বা দুটি বাক্যে উত্তর দাও


2.1- "...  এমন সময় ঘটল এই ঘটনা " - উদ্ধৃতাংশে কোন ঘটনার কথা বলা হয়েছে??


উওর : আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পে তপনের ছোটমাসি এবং ছোটমেসোর তপনদের বাড়ীতে বেড়াতে আসা এবং তাদের হাতে সন্ধ্যাতারা পত্রিকার এক সংখ্যা নিয়ে আসার ঘটনার কথাই এখানে বলা হয়েছে।।


2.2-   " ক্রমশ কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে "  - কোন কথাটা ছড়িয়ে পড়ে? 


উওর :  জ্ঞানচক্ষু গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের লেখা একটি গল্প সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশ হওয়ার পর এটা জানতে পারা যায়,সেই গল্পটি তপনের মেসোমশাই কারেকশন করে পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছেন। এই কথাটাই ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে। 


2. 3 - " বুকের রক্ত ছলকে ওঠে তপনের " --  কখন তপনের এমন পরিস্থিতি হয়েছিল? 


উওর : তপনের লেখা গল্প পত্রিকায় ছাপানোর কথা বলে ছোটমাসি এবং ছোটমেসো তাদের নিজস্ব বাড়ি চলে যায়। এবং দীর্ঘদিন ধরে তাদের অপেক্ষায় থাকার পর,  একদিন হঠাৎ করেই তপনের ছোটমেসো এবং তার ছোটমাসি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার এক সংখ্যা নিয়ে তাদের বাড়িতে আসেন।  এই পরিস্থিতিতে তপনের মনে হয় তার গল্প এবার সত্যিই বোধহয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। এই কথা ভেবেই তপনের বুকে রক্ত ছলকে ওঠে। 


 3 - প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কমবেশি 60 টি শব্দে উত্তর লেখ।


3.1 -  " পৃথিবীতে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটে?" - কোন ঘটনাকে অলৌকিক বলা হয়েছে? 


উওর : 

উত্তর : প্রখ্যাত শিশুসাহিত্যিক আশাপূর্ণা দেবী‘জ্ঞানচক্ষু' গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র হল তপন। তপনের মনে হতো লেখকরা বোধহয় কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী। কিন্তু তার নতুন মেসোকে দেখার পর তপন জানতে পারে যে গল্প লেখকরা কোনো ভগিনগ্রহের প্রাণী নয়,তারাও তার মতোই সাধারণ মানুষ। এই কথা জানতে পারার পর তপন তার কাঁচা হাতেই একটা আস্ত গল্প লিখে ফেলে। এরপর সেই গল্প মেসাের হাতে গেলে মেসাে তপনের

বাড়ির লােকেদের মন রাখার জন্য তা সামান্য কারেকশন করে সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় ছাপিয়ে দেবার অঙ্গীকার করেন। এরপর দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর ছোটমাসি এ মেসো একদিন তাদের বাড়িতে  সন্ধ্যাতারা’ পত্রিকায় হাতে নিয়ে আসেন। গল্পটি পত্রিকায় ছেপে বেরােয়। তপনের কাছে এত কম বয়সে এত কাঁচা একজন লেখকের গল্প পত্রিকাতে প্রকাশিত হওয়ার ঘটনাই অলৌকিক বলে মনে হয়েছিল। অলৌকিক’ শব্দটির আভিধানিক অর্থ হল মনুষের পক্ষে যা সম্ভব নয় বা পৃথিবীতে ঘটে না। এক্ষেত্রে ছােট্ট তপনের লেখা গল্প। পরিবেশ ও পরিস্থিতির সমন্বয়ে যেভাবে ছাপার অক্ষরে প্রকাশিত হয়েছিল সেটাই অলৌকিক। 


3.2 -  " যদি কখনো লেখা ছাপতে দেয়,তো তপন নিজে গিয়ে দেবে " -  কখন তপন এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিল? কেন তার এমম সিদ্ধান্ত?


উওর :  আশাপূর্ণা দেবী রচিত জ্ঞানচক্ষু গল্পের মূল পর্বে দেখা যায়, তপনের লেখা একটি গল্প তপনের মেসো সম্পূর্ণভাবে কারেকশন করে পত্রিকায় ছাপিয়ে দিয়েছেন। ক্রমশ বাড়িতে এই কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে " তপনের লেখক মেসো তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছে "। নিজের গল্প পড়তে গিয়ে অন্যের গল্প পড়াা এবং মেসোর গল্প ছাপিয়ে দেওয়ার কথাটা তপনের আত্মসম্মানে লাগে। এবং এর পরেই তপন এমন সিদ্ধান্ত নেয়, যে যদি সে কখনো লেখা ছাপতে দেয়, তো তপন নিজে গিয়ে দেবে। তাতে গল্প ছাপা হোক বা না হোক, তাতেও তার কোনো দুঃখ নেই। 


3.3- গল্প ছেপে আসার পর যে আহ্লাদটা হওয়ার কথা, সেই আহ্লাদটা তপনের না হওয়ার কারণ কী? কেন দিনটি তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের হয়ে উঠল?


উওর : তপনের লেখা গল্পটির যখন তখনের বাড়িতে আসে,তার কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারা যায় যে সেই গল্পটি তার মেসো কারেকশন করে চাপিয়ে দিয়েছেন। এর মধ্যেই কারেকশের কথার সঙ্গে যুক্ত হয়, তপনের মেসোর মহত্ত্বের কথা। " উনি ছাপিয়ে না দিলে কখনই ছাপানো হতো না " ইত্যাদি। এসব কথার মধ্যেই তপন যেন কোথাও একটা হারিয়ে যায়।  সেদিন তপনের বাড়িতে এই কথায় চলতে থাকে - যে তপনের মেসো কারেকশন করে তার গল্প ছাপিয়ে দিয়েছে।  এর মধ্যে কোথাও তপনের হাত নেই। এজন্যই নিজের গল্প প্রকাশ হওয়ার যে আহ্লাদটা তপনের হওয়ার কথা, সে আহ্লাদটা তপনের সেদিন হয়নি। কারণ সেদিন আসলে তপনের আর নয়, বরং তপনের মেসোর লেখা গল্প ছাপা হয়েছিল। 

সেদিন যখন সেই প্রকাশ হওয়া গল্পটি তখন পড়তে গিয়েছিল, তখন তাকে নিজের গল্প পড়তে গিয়ে অন্যের লেখা গল্প পড়তে হয়েছিল। সেজন্য সেই দিনটি তার কাছে সবচেয়ে দুঃখের হয়ে উঠেছিল।



4.1 - " জ্ঞানচক্ষু গল্প " অনুসরণে তপনের জ্ঞানচক্ষু কিভাবে উন্মীলিত হয়েছিল তা আলোচনা করো।


উওর :  জ্ঞানচক্ষু কথার অর্থ হল আমাদের অন্তর্দৃষ্টির উম্মোচন বা বোধোদয়। আশাপূর্ণা দেবী রচিত " জ্ঞানচক্ষু " গল্পের প্রধান চরিত্র তপনের জ্ঞানচক্ষু গল্পে দুইবার উন্মোচিত হতে দেখা যায়। 

প্রথমত - 

গল্পের প্রধান চরিত্র তপন ছোটবেলা থেকেই অনেক গল্পের বই পড়েছে এবং গল্প শুনেছে। কিন্তু তপনের কাছে এই দিকটি সম্পূর্ণ অজানা ছিল যে,লেখকরা কোনো ভিনগ্রহের প্রাণী নয়,  লেখকরাও তার বাবা,মামাদের মতো সাধারণ মানুষ। 

কিন্তু ছোট মাসির  বিয়ের পর তপন জানতে পারে, যে তার নতুন মেসো একজন লেখক। এবং তার লেখা গল্প নাকি প্রকাশিত হয়। এ কথাটা শুনে তপনের চোখ মার্বেল হয়ে গিয়েছিল। এবং তপনের প্রথমবার জন্য জ্ঞানচক্ষু খুলে যায়। 

যখন তখন জানতে পারে যে লেখকরাও তার মত সাধারন মানুষ,এবং তার মেসোও একজন লেখক, তখন নতুন মেসোর দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তপন নিজেও একটি গল্প লিখে ফেলে। তপনের কাঁচা হাতে লেখা এই গল্পটি যখন তার মেসোর হাতে যায়, তখন মেসো এই গল্পটি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি তার বাড়িতে ফিরে যান। বাড়ীতে দীর্ঘদিন তপনকে অপেক্ষা করিয়ে রাখার পর, একদিন নতুনমেসো এবং ছোটমাসি সন্ধ্যাতারা পত্রিকার এক সংখ্যা নিয়ে তপনের বাড়িতে আসেন আসে।  এবং মেসো তার কথা মত সেই গল্পটি তিনি সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় ছাপিয়েও।  দেন কিন্তু যখন-তপনকে সেই গল্পটি পড়তে বলা হয়,তখন দেখা যায়, মেসো সেই গল্পটি পত্রিকায় ছাপানোর জন্য সম্পূর্ণভাবে কারেকশন করে দিয়েছেন। তার মধ্যে তপনের লেখা গল্প কোথাও ছিলনা। এরমধ্যে বাড়িতে এই কথাটাও ছড়িয়ে পড়ে, তপনের নতুন মেসো কারেকশন করে তপনের গল্প ছাপিয়ে দিয়েছে।  এবং এর মধ্যেই তপনের জ্ঞানচক্ষু দ্বিতীয়বারের জন্য উন্মোচিত হয়। তখন এবার বুঝতে পারে -  যে কারো দয়ায় কখনো লেখক হওয়া যায় না। এবং নিজের নামে অন্যের লেখা প্রকাশিত হওয়ার মধ্যে কোনো গৌরব নেই। 

 

পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top