Madhyamik 2022 Geography Suggestion With Answer | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ | মাধ্যমিক 2022 ভূগোল সাজেশন উওর সহকারে

3

 Madhyamik 2022 Geography Suggestion With Answer  | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ | মাধ্যমিক 2022 ভূগোল সাজেশন উওর সহকারে


আজকে আমরা দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যারা 2022  সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী,তাদের জন্য দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন বাছাই করে মাধ্যমিক 2022 ( wb Madhyamik 2022 ) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভূগোল সাজেশন তৈরি করেছি। আজকের এই পোস্ট থেকে তোমরা মাধ্যমিক 2022 এর জন্য যে ভূগোল সাজেশন পাবে তার সাথে সাথে তোমরা সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর ও আমাদের এই পোস্ট থেকেই পেয়ে যাবে। 

আজকের এই পোস্টের বিষয়- 

* দশম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন উত্তর 
* মাধ্যমিক ভূগোল সাজশন 

* মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উওর 

* বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর। 
• মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন

• মাধ্যমিকের ভূগোল বড় প্রশ্ন উত্তর

• মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন

• wb class 10 geography suggestion 

• wb madhyamik geography suggestion 

• wb madhyamik geography question and answer 
• Madhyamik geography Suggestion 2022

• Madhyamik geography  question and answer
• Madhyamik Geography short question and answer Bengali

• দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায়

• দশম শ্রেণির ভূগোল বড় প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায়

• দশম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায়

• মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর

• Class 10 Geography Chapter 1 Notes in bengali

• Class 10 Geography Chapter 1 important Questions and answers in Bengali 

• Class 10 Geography Chapter 2 questions and answers in Bengali 

• ক্লাস 10 ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায়



1- হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে গঠিত বিভিন্ন ভূমিরূপ এর ব্যাখ্যা দাও। 

অথবা,  হিমবাহের সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ চিত্রসহ ব্যাখ্যা করো। 


উওর : পার্বত্য অংশে হিমবাহ তার উপত্যকায় যে সমস্ত পদার্থ ক্ষয় করে থাকে,  পরবর্তীকালে সেগুলিই হিমবাহ তার প্রবাহপথে বিভিন্ন ভাবে সঞ্চয় করে থাকে। এবং এরুপভাবে সঞ্চয় করার ফলে বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ গড়ে ওঠে । 
 যেমন-

১ - গ্রাবরেখা :

হিমবাহ যখন গলতে শুরু করে, তখন হিমবাহ তার বাহিত পদার্থ গুলি হিমবাহের প্রবাহ পথের বা তার আশেপাশে সঞ্চয় করে।। এভাবে দীর্ঘদিন নুড়ি, কাকর,  বালি ইত্যাদি সঞ্চিত হতে হতে একটি রেখার সৃষ্টি করে।।। হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট এরুপ রেখাকে গ্রাবরেখা বা মোরেন বলে।।। 
গ্রাবরেখা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। 
যেমন পার্শ্ব গ্রাবরেখা, মধ্যগ্রাম রেখা ও প্রান্ত গ্রাবরেখা ইত্যাদি। 
পার্শ্ব গ্রাবরেখা: হিমবাহ বাহিত পদার্থ যখন হিমবাহ প্রবাহ পথের পাশে গিয়ে গ্রাবরেখা সৃষ্টি করে,তখন তাকে পার্শ্ব গ্রাবরেখা বলে।

•  মধ্য গ্রাবরেখা : হিমবাহ বাহিত পদার্থ গুলি যখন হিমবাহ প্রবাহ পথের মাঝখানের মিলন অঞ্চলে গিয়ে গ্রাবরেখা সৃষ্টি করে, তখন তাকে মধ্য গ্রাবরেখা বলে। 
• প্রান্ত গ্রাবরেখা : গ্রাবরেখা যখন হিমবাহ প্রবাহ পথের শেষে অর্থাৎ যেখানে হিমবাহ গলতে শুরু করে বা সম্পূর্ণ গলে যায়!  সেখানে সৃষ্টি যে গ্রাবরেখার সৃষ্টি হয়, তাকে প্রান্ত গ্রাবরেখা বলে।

২ - ড্রামলিন :   

হিমবাহ দ্বারা বাহিত বিভিন্ন পদার্থ যেমন বালি, কাঁকর,নুড়ি এসব কোনো একটি জায়গায় সঞ্চয় এর মাধ্যমে  উল্টানো নৌকার ভূমিরূপ এর সৃষ্টি করে।  হিমবাহ সঞ্চয় দ্বারা গঠিত এরুপ ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলে।।
যখন অনেকগুলি ড্রামলিন একসাথে অবস্থান করে তখন তাকে দেখতে অনেকটা ডিম ভরতি ঝুড়ির মতো মনে হয়।।। এজন্য একে ডিমের ঝুড়ি বলা হয়।।

৩- বহিঃবিধৌত সমভূমি :

হিমবাহ যখন পর্বতের পাদদেশে এসে পড়ে তখন সেই হিমবাহ গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়।।। হিমবাহের বরফ গলা জলে বালি, কাদা, কাকঁর এর সাথে সাথে ছোট ছোট পাথরখণ্ডও মিশে থাকে।।  হিমবাহের জলের সঙ্গে থাকা এই উপাদান গুলি যখন কোনো নিচু স্থান ভরাট করে সমভূমি গঠন করে, তখন সেই প্রকার সমভূমিকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে। 

৪ - এসকার : 

হিমবাহ বাহিত নুড়ি, কাকড় ও বালি ইত্যাদি পর্বতের পাদদেশে জমা হয়ে লম্বা সরু এবং আঁকাবাঁকা যে শৈলশিলার মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, তাকে এসকার বলা হয়।। এসকার প্রধানত হিমবাহ এবং জলধারার মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত হয়বাহ বাহিত নুড়ি, কাকড় ও বালি ইত্যাদি পর্বতের পাদদেশে জমা হয়ে লম্বা সরু এবং আঁকাবাঁকা যে শৈলশিলার মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, তাকে এসকার বলা হয়।। এসকার প্রধানত হিমবাহ এবং জলধারার মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত হয়।। 

৫ - কেটল এবং কেটল হ্রদ :

বহিঃবিধৌত সমভূমি ওপর কোনো খাত বা গর্ত থাকলে বরফে সেই গর্তের মধ্যে আটকা পড়ে যায়।।পরবর্তীকালে সেই বরফ মাটির চাপে এবং তাপে গলে গিয়ে সেখানে যে গর্তের সৃষ্টি করে তাকে কেটল বলা হয়। 
কেটলের বরফ গলে গর্তগুলি জল পূর্ণ হলে সেখানে যে হ্রদের সৃষ্টি হয়, সেই সমস্ত হ্রদলে কেট হ্রদ বলা হয়।। 

2- শুষ্ক অঞ্চলে বায়ু ও জলধারার মিলিত কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ গুলি চিত্রসহ বর্ণনা করো।।


উওর : মরুভূমিতে বায়ুর ও জলধারার মিলিত কাজের ফলে সৃষ্ট কিছু ভূমিরূপ  - 

⚫ - পেডিমেন্ট : পেডিমেন্ট শব্দের অর্থ হলো পাদদেশ পাহাড়।মরু অঞ্চলে উচ্চভূমির পাদদেশের চওড়া, বিস্তীর্ণ, ঢালু ও শিলাময় এলাকাকে পেডিমেন্ট বলা হয়।।।


বৈশিষ্ট্য : 

•  পেডিমেন্ট সাধারণত ক্ষয় এবং সঞ্চয় কার্যের মিলিত ভূমিরূপ। 
•  পেডিমেন্ট পেছনে ইনসেলবার্জ দেখা যায়।।
•   অস্ট্রেলিয়ান,  কালাহারি এবং সাহারা মরুভূমিতে পেডিমেন্ট দেখতে পাওয়া যায়।।

ওয়াদি :-  মরুভূমিতে এমন কিছু উপত্যকা থাকে,যে উপত্যকা গুলিতে বছরের সবসময় জল থাকে না।।। কিন্তু সাধারণত যখন মরুভূমিতে বৃষ্টি হয়, তখন সেই বৃষ্টির জল সেসব উপত্যকা দিয়ে প্রবল বেগে বেরিয়ে যায়।।। কিন্তু যখন সে বৃষ্টির জল শুকিয়ে যায় বা  তার প্রবাহ শেষ হয়ে যায়, তখন সেই উপত্যকাগুলি শুষ্ক নদী উপত্যকায় পরিণত হয়।। মরুভূমির শুষ্ক নদীখাত বা শুষ্ক নদী উপত্যকাকে ওয়াদি বলা হয়। 


• সৌদি আরবে ওয়াদি দেখতে পাওয়া যায়। 

⚫ - বাজাদা: পেডিমেন্ট এর নিচে ক্ষয়জাত পদার্থ সঞ্চিত হয়ে যে ভূমিরূপ গঠন করে, যা প্লায়া ও তার পার্শ্ববর্তী অংশে স্বল্পমেয়াদী প্রবল বর্ষায় উৎপন্ন পলি জমে যে ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়, তাকে বাজাদা বা বাহাদা বলে।।।



বৈশিষ্ট্য
• বাজাদা পেডিমেন্ট এর শেষ প্রান্ত থেকে শুরু করে  প্লায়া পর্যন্ত কয়েক কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে। 
• অসংখ্য পলোল ব্যজনী এক সঙ্গে যুক্ত হয়েও বাজাদা সৃষ্টি হতে পারে। 
• প্রায় সকল মরুভূমির অবনমিত অংশেই বাজাদা দেখা যায়।

⚫ - প্লায়া :  মরুভূমি অঞ্চলের উচ্চভূমি বেশিষ্ট্য অবনমিত অঞ্চলের বিভিন্ন ভাবে জল জমে যে সামরিক হ্রদের সৃষ্টি হয়, তাকে প্লায়া বলা হয়।



বৈশিষ্ট্য
• প্লায়ার হ্রদের জল লবণাক্ত এবং কর্দমাময় হয়। 
• প্লায়া হ্রদকে দক্ষিণ আমেরিকায়স্যালিনা,  অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় প্যান এবং আরবে শটস এবং মেক্সিকোতে বোলসন বলে। 

3 - উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরুপগুলির বর্ণনা দাও।।

অথবা,  নদীর ফলে ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি প্রধান ভূমিরুপ চিএসহ বর্ণনা করো।  ( মাধ্যমিক 2019 )

উওর : উচ্চগতি বা পার্বত‍্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত কয়েকটি প্রধান ভূমিরুপ হলো।।

-  V, & I আকৃতির উপত্যকা, ২- জলপ্রপাত, ৩- মন্থকূপ, ৪- প্রপাতকূপ।

১- V - আকৃতির উপত্যকা :- উচ্চগতিতে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্ন ক্ষয় বেশি হওয়ার ফলে সেই নদীর পাড় অত্যন্ত খাড়া এবং নদী উপত্যকা খুব গভীর ও সংকীর্ণ হয়ে ইংরেজি অক্ষর V -এর মতো দেখতে হয়।, নদী উপত্যকা ইংরেজি অক্ষর V এর আকৃতি ধারণ করলে তখন তাকে  V আকৃতির উপত্যকা বলা হয়. 


- I - আকৃতির উপত্যকা : উচ্চ পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় নদীর গতিবেগ বেশি থাকে। সেইসঙ্গে নদীর জলের সঙ্গে প্রস্তরখন্ডের পরিমাণ বেশি থাকে। এরকম অবস্থায় নদী অবঘর্ষ পদ্ধতিতে তার গতিপথে প্রবল বেগে নিম্নক্ষয় করে এবং এরুপ নিম্ন ক্ষয়ের ফলে নদীর উপত্যকায় সৃষ্টি হওয়া ইংরেজি অক্ষর আই ( I ) এর মতো ভূমিরূপকে গিরিখাত বলা হয়।।

২- জলপ্রপাত : 

উচ্চগতিতে উপত্যাকার ঢালের হঠাৎ অধিক পার্থক্য ঘটলে নদীর জল প্রবল বেগে উপর থেকে নিচের দিকে পড়ে।  একে জলপ্রপাত বলা হয়।।

নদীর গতিপথে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকলে জলপ্রপাত গঠিত হতে পারে। যেমন-

• কঠিন শিলা ও কোন জেলায় অবস্থিত :-
নদীর গতিপথে যদি কঠিন শিলা ও নরম সীরাত অনুভূমিক ও উলম্ব তীর্যকভাবে অবস্থান করে তাহলে কঠিন শিলা অপেক্ষা নরম ছিল বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় জলপ্রপাত গঠিত হয়।।

• 

•  ঝুলন্ত উপত্যকা :- হিমবাহের কার্যের ফলে সৃষ্ট ঝুলন্ত উপত্যকা থেকেও জলপ্রপাত গঠিত হতে পারে। যেমন লাডাকের পার্কচাক জলপ্রপাত এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে।

• চ্যুতির সৃষ্টি :- নদীর গতিপথে আড়াআড়ি চ্যুতি ঘটলে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। যেমন জাম্বেসি নদীর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত,ভারতের নর্মদা নদীর কপিলধারা জলপ্রপাত এরকম ভাবে সৃষ্টি হয়েছে।

• নিক বিন্দু :- ভূমির পুনর্যৌবন লাভে শৃষ্ট  নিক বিন্দুতে জলপ্রপাত গঠিত হয়। যেমন সুবর্ণরেখা নদী ও দশম জলপ্রপাত।
• এছাড়াও মালভূমি খাড়া ভাবে সমভূমির সঙ্গে মিশলে জলপ্রপাত তৈরি হয়।।

৩- মন্থকূপ বা পটোহল :  নদীর জলের সঙ্গে মিশে থাকা বিভিন্ন কঠিন শিলা, বা শিলাখণ্ড জল প্রবাহের সময় নদীগর্ভে বারবার আঘাত করার পরে নদীগর্ভে অনেক ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়।।। এরকম ছোট ছোট গর্ত  পরবর্তীকালে আরও আঘাতের ফলে সেই গর্তগুলি আরও বড় ও গভীর আকার ধারণ করে। নদীগর্ভে সৃষ্ট এরকম বড় ও গভীর গর্ত গুলোকে মন্থকূপ বা পটোহল বলে।।

যেখানে অসংখ্য পটোহল একসঙ্গে গড়ে ওঠে, তাকে পটোহল কলোনি বলে।।।

৪-  প্রপাত কূপ বা প্লাঞ্জপুল : জলপ্রপাতের জল যখন  অনেক উপর থেকে প্রবল বেগে নিচে গড়িয়ে পড়ে তখন সেই জলরাশি জলপ্রপাতের যে নির্দিষ্ট অংশে বেশি পরিমাণে পড়ছে সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলের জলের আঘাতে বা জলে মিশে থাকা বিভিন্ন বালি, কাকড়, শিলাখন্ডের আঘাতে সেখানে একপ্রকার গর্তের সৃষ্টি হয়।। এরূপ গর্ত গুলোকে প্রপাতকূপ বা প্লাঞ্জপূল বলে।



4- বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপগুলির চিত্রসহ ব্যাখ্যা দাও। 
অথবা, 
বায়ুর অবঘর্ষণজনিত যে-কোনো তিনটি ভূমিরূপের চিত্রসহ বর্ণনা দাও

উওর : মরভূমিতে বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত কয়েকটি ভূমিরূপ- 
গৌর : বায়ুর গতিপথে বা প্রবাহ পথে কোনো কঠিন শিলাখণ্ড এবং কোমল  শিলাখণ্ড যদি অনুভূমিকভাবে অবস্থান করে, তাহলে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় ক্ষয় কার্যের ফলে নিচের কোমল শিলাটি দীর্ঘদিন ধরে ক্ষয় হতে হতে সরু হয়ে যায়। অপরদিকে সেই শিলাখণ্ডের উপরে অবস্থান করা কঠিন শিলাকে বায়ু অবঘর্ষ প্রক্রিয়া বা যে কোনো প্রক্রিয়ায় সেরকম ভাবে ক্ষয় করতে পারে না।। যার ফলে সেটি ব্যাঙের ছাতার  মতো উপরের অংশে  অবস্থান করে।  এর ফলে সেই সমগ্র শিলাস্তুপটি ব্যাঙের ছাতার মতো আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরূপে পরিণত হয়, যাকে গৌর বা পেডাস্টাল রক বলা হয়।। 
• সাহারা মরুভূমিতে গৌর দেখা যায়।

বৈশিষ্ট্য ; 
• গৌর এর আকৃতি অনেকটা ব্যাঙের ছাতার মতো হয়। 
• গৌরের নিচের অংশটা সংকীর্ণ এবং উপরের অংশ বিস্তৃত থাকে।
•  গৌরের মস্তকদেশ প্রশস্ত এবং অমসৃণ হয়। 
•  এরা অবশিষ্ট টিলার ন্যায়।দাঁড়িয়ে থাকে
• সাহারা মরুভূমিতে গৌর দেখা যায়।


⚫ -জিউগেন :  মরুভূমি বা মরুপ্রায় অঞ্চলে যদি কোনো কোমল শিলার উপর কোনো কঠিন শিলা  পর্যায়ক্রমে অনুভূমিকভাবে অবস্থান করে, তাহলে বায়ুপ্রবাহের আঘাতে,অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে সেই কঠিন শিলা খুবই কম ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে চ্যাপ্টা ও প্রায় সমতল চূরা বিশিষ্ট টিলার মতো দাঁড়িয়ে থাকে। এবং অপরদিকে সেই কোমল শিলা স্তর গুলি বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে ফাটল বরাবর লম্বা খাত বা গহ্বরের সৃষ্টি করে।।  এরকম দুটি গহ্বর বা খাতের মধ্যে চ্যাপ্টা মাথা ঢিলার মতো যে ভূমিরূপ গঠিত হয়, তাকে জিউগেন বলা হয়।। 

বৈশিষ্ট্য:  

• জিউগেনের উচ্চতা 6 থেকে 15 মিটার পর্যন্ত হয়।  এবং এর বিস্তৃতি 10 থেকে 14 মিটার পর্যন্ত হয়।
• কঠিন শিলা ও কোমল শিলা আড়াআড়ি বা সমান্তরাল ভাবে অবস্থান করলে বায়ুর ক্ষয় কার্যের ফলে জিউগেন সৃষ্টি হয়। 
• জিউগেনের ওপরের অংশ চ্যাপ্টা এবং নিচের অংশ সরু হয়। 
• কালাহারি ও অস্ট্রেলিয়া মরুভূমিতে জিউগেন দেখা যায়।।

⚫ - ইয়ার্দাং : মরুভূমি অঞ্চলে বা মরুপ্রায় অঞ্চলে যদি কঠিন শিলাস্তর এবং কোমল শিলা স্তর গুলি পাশাপাশি বা উলম্বভাবে অবস্থান করে, তাহলে দীর্ঘদিন ধরে বায়ুর অবঘর্ষ প্রক্রিয়ার ক্ষয় কার্যের মাধ্যমে সেই কোমল শিলাস্তর গুলি খুবই দ্রুত প্রাপ্ত হয়ে সুড়ঙ্গের সৃষ্টি করে। অন্যদিকে সেই কঠিন শিলাস্তর গুলিকে বায়ু সেরকম ভাবেও বেশি পরিমাণে ক্ষয় করতে পারে না। যার ফলে সেই কঠিন শিলাস্তর গুলি পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন মূর্তি আকৃতির শৈলশিরার মতো দাঁড়িয়ে থাকে।। এবং এই ধরনের ভূমিরূপকেই ইয়ারদাং বলা হয়।। 

বৈশিষ্ট্য : 
•  এর উচ্চতা সাধারণত 6 থেকে 7 মিটার পর্যন্ত হতে পারে। এবং এর বিস্তার 70 থেকে 400 মিটার পর্যন্ত হতে পারে। 
• ইয়ারদাং যখন আরো বেশি পরিমাণে ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে সূচোলো আকার ধারণ করে তখন তাকে নিডিল বলে। 
• সাহারা মরুভূমিতে ইয়ার্দাং দেখা যায়।।


⚫ - ইনসেলবার্জ:  শুষ্ক মরুভূমি অঞ্চলে বায়ুপ্রবাহ ও অস্থায়ী জলধারার মিলিত কাজের ফলে ক্ষয়জাত বা অবশিষ্ট পাহাড় সৃষ্টি। বায়ু ও জলধারার মিলিত  কার্যের ফলে সৃষ্টি হওয়া এইসব অনুচ্চ পাহাড় টিলার আকারে বিক্ষিপ্তভাবে দাঁড়িয়ে থাকে, যাকে ইনসেলবার্জ বলা হয়।। 


বৈশিষ্ট্য : 
• আফ্রিকার কালাহারি মরুভূমিতে ইনসেলবার্জ এর উচ্চতা 30 থেকে 300 মিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। 
• ইনসেলবার্জ যখন আরো বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে যখন তা গোলাকার মাথা বিশিষ্ট ঢিবিতে পরিণত হয়   তখন তাকে বোর্নহার্ডট বলা হয়।। 
•  প্রায় সকল মরুভূমিতেই ইনসেলবার্জ দেখা যায়।

5- হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরূপ এর ব্যাখ্যা দাও। [ মাধ্যমিক 2020, 2016,14 ] 

উওর :  পার্বত্য অঞ্চল হিমবাহ বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় ক্ষয়কার্য চালিয়ে বিভিন্ন প্রকার ভূমিরূপ সৃষ্টি করে যেমনঃ

১- করি বা সার্ক :

উচ্চ পর্বতগাত্রে হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত - হাতলযুক্ত চেয়ার বা এম্পিথিয়েটার মতো বা চামচের গর্তের মতো আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরুপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও স্কটল্যান্ডে করি এবং ফ্রান্সে সার্ক বলা হয়। 

- U - আকৃতির উপত্যকা :

পর্বতগাএ দিয়ে নামতে থাকার সময় হিমবাহ উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং অবঘর্ষ  প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে পার্শ্বক্ষয় এবং নিম্ন হয় প্রায় সমান ভাবে করে থাকে। যার ফলে সেই হিমবাহ উপত্যকা ইউ আকৃতির হয়। যাকে ইউ আকৃতির উপত্যকা বলা হয়।। 

৩- ঝুলন্ত উপত্যকা :

পার্বত্য অঞ্চলে অনেক সময় ছোট ছোট হিমবাহ বিভিন্ন দিক থেকে এসে একটি বৃহৎ বা বড় আকৃতির হিমবাহ উপত্যকায় পতিত হয়।।। ছোট ছোট হিমবাহের তুলনায় মূল বা বড় আকৃতির হিমবাহের ক্ষয়কার্য অধিক বলে ছোট হিমবাহ উপত্যকা গুলিকে মূল হিমবাহের উপত্যকার ওপর ঝুলন্ত বলে মনে হয়।। একে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে।।
• ঝুলন্ত উপত্যকা অংশে যখন হিমবাহ সরে যায় তখন সেখানে নদী সৃষ্টি হয়ে জলপ্রপাতের উৎপত্তি ঘটে।। 

৪- রসেমতাঁনে : 

হিমবাহের গতিপথে বা প্রবাহ পথে কোনো উঁচু শিলাখণ্ড টিভির আকারে অবস্থান করলে, ওই প্রস্তরখন্ডটি হিমবাহের প্রবাহের দিকে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় এবং হিমবাহ প্রবাহের বিপরীত দিকে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্ষয় হতে হতে এবড়ো খেবড়ো ও ফাটল যুক্ত ভূমিরূপে পরিণত হয়।।এরূপ ভূমিরূপকে রসেমতানে বলে।।

৫-ক্র্যাগ ও টেল : 

হিমবাহের গতিপথে যদি কোনো কঠিন শিলাখন্ডের পেছনে যদি কোনো নরম শিলাখণ্ড থাকে, তবে সেই কঠিন  শিলাখণ্ড হিমবাহের ক্ষয় কাজের হাত থেকে সেই নরম শিলাখণ্ড কে রক্ষা করে। সামনে থাকা সেই কঠিন শিলাখন্ডটি উঁচু হয়ে ঢিপিত মতো অবস্থান করে যাকে ক্র্যাগ বলা হয়।
এবং ক্র্যাগের পেছনে থাকা সেই নরম শিলাখন্ডটি  সরু লেজের মতো পাশের অঞ্চল থেকে উচু হয়ে অবস্থান করে, যাকে টেল বলা হয়।।

এছাড়াও পার্বত্য অংশে হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে বিভিন্ন ধরনের ভূমিরূপ গড়ে উঠতে পারে। 
যেমন-  হিমসিঁড়ি এবং পটার্নওস্টার হ্রদ, কর্তিত শৈলশিরা ও ফিয়র্ড ইত্যাদি।।।






একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

3মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top