Madhyamik 2022 Geography Suggestion With Answer | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ | মাধ্যমিক 2022 ভূগোল সাজেশন উওর সহকারে
আজকে আমরা দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যারা 2022 সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী,তাদের জন্য দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন বাছাই করে মাধ্যমিক 2022 ( wb Madhyamik 2022 ) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভূগোল সাজেশন তৈরি করেছি। আজকের এই পোস্ট থেকে তোমরা মাধ্যমিক 2022 এর জন্য যে ভূগোল সাজেশন পাবে তার সাথে সাথে তোমরা সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর ও আমাদের এই পোস্ট থেকেই পেয়ে যাবে।
আজকের এই পোস্টের বিষয়-
* দশম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন উত্তর
* মাধ্যমিক ভূগোল সাজশন
* মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উওর
* বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।
• মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন
• মাধ্যমিকের ভূগোল বড় প্রশ্ন উত্তর
• মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন
• wb class 10 geography suggestion
• wb madhyamik geography suggestion
• wb madhyamik geography question and answer
• Madhyamik geography Suggestion 2022
• Madhyamik geography question and answer
• Madhyamik Geography short question and answer Bengali
• দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায়
• দশম শ্রেণির ভূগোল বড় প্রশ্ন উত্তর প্রথম অধ্যায়
• দশম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায়
• মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর
• Class 10 Geography Chapter 1 Notes in bengali
• Class 10 Geography Chapter 1 important Questions and answers in Bengali
• Class 10 Geography Chapter 2 questions and answers in Bengali
• ক্লাস 10 ভূগোল দ্বিতীয় অধ্যায়
1- হিমবাহের সঞ্চয় কাজের ফলে গঠিত বিভিন্ন ভূমিরূপ এর ব্যাখ্যা দাও।
হিমবাহ যখন গলতে শুরু করে, তখন হিমবাহ তার বাহিত পদার্থ গুলি হিমবাহের প্রবাহ পথের বা তার আশেপাশে সঞ্চয় করে।। এভাবে দীর্ঘদিন নুড়ি, কাকর, বালি ইত্যাদি সঞ্চিত হতে হতে একটি রেখার সৃষ্টি করে।।। হিমবাহ দ্বারা সৃষ্ট এরুপ রেখাকে গ্রাবরেখা বা মোরেন বলে।।।
হিমবাহ দ্বারা বাহিত বিভিন্ন পদার্থ যেমন বালি, কাঁকর,নুড়ি এসব কোনো একটি জায়গায় সঞ্চয় এর মাধ্যমে উল্টানো নৌকার ভূমিরূপ এর সৃষ্টি করে। হিমবাহ সঞ্চয় দ্বারা গঠিত এরুপ ভূমিরূপকে ড্রামলিন বলে।।
হিমবাহ যখন পর্বতের পাদদেশে এসে পড়ে তখন সেই হিমবাহ গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়।।। হিমবাহের বরফ গলা জলে বালি, কাদা, কাকঁর এর সাথে সাথে ছোট ছোট পাথরখণ্ডও মিশে থাকে।। হিমবাহের জলের সঙ্গে থাকা এই উপাদান গুলি যখন কোনো নিচু স্থান ভরাট করে সমভূমি গঠন করে, তখন সেই প্রকার সমভূমিকে বহিঃবিধৌত সমভূমি বলে।
হিমবাহ বাহিত নুড়ি, কাকড় ও বালি ইত্যাদি পর্বতের পাদদেশে জমা হয়ে লম্বা সরু এবং আঁকাবাঁকা যে শৈলশিলার মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, তাকে এসকার বলা হয়।। এসকার প্রধানত হিমবাহ এবং জলধারার মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত হয়বাহ বাহিত নুড়ি, কাকড় ও বালি ইত্যাদি পর্বতের পাদদেশে জমা হয়ে লম্বা সরু এবং আঁকাবাঁকা যে শৈলশিলার মতো যে ভূমিরূপ সৃষ্টি করে, তাকে এসকার বলা হয়।। এসকার প্রধানত হিমবাহ এবং জলধারার মিলিত সঞ্চয় কার্যের ফলে গঠিত হয়।।
বহিঃবিধৌত সমভূমি ওপর কোনো খাত বা গর্ত থাকলে বরফে সেই গর্তের মধ্যে আটকা পড়ে যায়।।পরবর্তীকালে সেই বরফ মাটির চাপে এবং তাপে গলে গিয়ে সেখানে যে গর্তের সৃষ্টি করে তাকে কেটল বলা হয়।
3 - উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে গঠিত ভূমিরুপগুলির বর্ণনা দাও।।
অথবা, নদীর ফলে ক্ষয়কার্যের ফলে সৃষ্ট তিনটি প্রধান ভূমিরুপ চিএসহ বর্ণনা করো। ( মাধ্যমিক 2019 )
উওর : উচ্চগতি বা পার্বত্য প্রবাহে নদীর ক্ষয়কাজের ফলে গঠিত কয়েকটি প্রধান ভূমিরুপ হলো।।
১- V, & I আকৃতির উপত্যকা, ২- জলপ্রপাত, ৩- মন্থকূপ, ৪- প্রপাতকূপ।
১- V - আকৃতির উপত্যকা :- উচ্চগতিতে নদীর পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্ন ক্ষয় বেশি হওয়ার ফলে সেই নদীর পাড় অত্যন্ত খাড়া এবং নদী উপত্যকা খুব গভীর ও সংকীর্ণ হয়ে ইংরেজি অক্ষর V -এর মতো দেখতে হয়।, নদী উপত্যকা ইংরেজি অক্ষর V এর আকৃতি ধারণ করলে তখন তাকে V আকৃতির উপত্যকা বলা হয়.
- I - আকৃতির উপত্যকা : উচ্চ পার্বত্য প্রবাহে ভূমির ঢাল বেশি হওয়ায় নদীর গতিবেগ বেশি থাকে। সেইসঙ্গে নদীর জলের সঙ্গে প্রস্তরখন্ডের পরিমাণ বেশি থাকে। এরকম অবস্থায় নদী অবঘর্ষ পদ্ধতিতে তার গতিপথে প্রবল বেগে নিম্নক্ষয় করে এবং এরুপ নিম্ন ক্ষয়ের ফলে নদীর উপত্যকায় সৃষ্টি হওয়া ইংরেজি অক্ষর আই ( I ) এর মতো ভূমিরূপকে গিরিখাত বলা হয়।।
২- জলপ্রপাত :
উচ্চগতিতে উপত্যাকার ঢালের হঠাৎ অধিক পার্থক্য ঘটলে নদীর জল প্রবল বেগে উপর থেকে নিচের দিকে পড়ে। একে জলপ্রপাত বলা হয়।।
নদীর গতিপথে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকলে জলপ্রপাত গঠিত হতে পারে। যেমন-
• কঠিন শিলা ও কোন জেলায় অবস্থিত :-
নদীর গতিপথে যদি কঠিন শিলা ও নরম সীরাত অনুভূমিক ও উলম্ব তীর্যকভাবে অবস্থান করে তাহলে কঠিন শিলা অপেক্ষা নরম ছিল বেশি ক্ষয়প্রাপ্ত হয় জলপ্রপাত গঠিত হয়।।
•
• ঝুলন্ত উপত্যকা :- হিমবাহের কার্যের ফলে সৃষ্ট ঝুলন্ত উপত্যকা থেকেও জলপ্রপাত গঠিত হতে পারে। যেমন লাডাকের পার্কচাক জলপ্রপাত এভাবেই সৃষ্টি হয়েছে।
• চ্যুতির সৃষ্টি :- নদীর গতিপথে আড়াআড়ি চ্যুতি ঘটলে জলপ্রপাত সৃষ্টি হয়। যেমন জাম্বেসি নদীর ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত,ভারতের নর্মদা নদীর কপিলধারা জলপ্রপাত এরকম ভাবে সৃষ্টি হয়েছে।
• নিক বিন্দু :- ভূমির পুনর্যৌবন লাভে শৃষ্ট নিক বিন্দুতে জলপ্রপাত গঠিত হয়। যেমন সুবর্ণরেখা নদী ও দশম জলপ্রপাত।
• এছাড়াও মালভূমি খাড়া ভাবে সমভূমির সঙ্গে মিশলে জলপ্রপাত তৈরি হয়।।
৩- মন্থকূপ বা পটোহল : নদীর জলের সঙ্গে মিশে থাকা বিভিন্ন কঠিন শিলা, বা শিলাখণ্ড জল প্রবাহের সময় নদীগর্ভে বারবার আঘাত করার পরে নদীগর্ভে অনেক ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়।।। এরকম ছোট ছোট গর্ত পরবর্তীকালে আরও আঘাতের ফলে সেই গর্তগুলি আরও বড় ও গভীর আকার ধারণ করে। নদীগর্ভে সৃষ্ট এরকম বড় ও গভীর গর্ত গুলোকে মন্থকূপ বা পটোহল বলে।।
যেখানে অসংখ্য পটোহল একসঙ্গে গড়ে ওঠে, তাকে পটোহল কলোনি বলে।।।
৪- প্রপাত কূপ বা প্লাঞ্জপুল : জলপ্রপাতের জল যখন অনেক উপর থেকে প্রবল বেগে নিচে গড়িয়ে পড়ে তখন সেই জলরাশি জলপ্রপাতের যে নির্দিষ্ট অংশে বেশি পরিমাণে পড়ছে সেই নির্দিষ্ট অঞ্চলের জলের আঘাতে বা জলে মিশে থাকা বিভিন্ন বালি, কাকড়, শিলাখন্ডের আঘাতে সেখানে একপ্রকার গর্তের সৃষ্টি হয়।। এরূপ গর্ত গুলোকে প্রপাতকূপ বা প্লাঞ্জপূল বলে।
উচ্চ পর্বতগাত্রে হিমবাহের ক্ষয় কার্যের ফলে গঠিত - হাতলযুক্ত চেয়ার বা এম্পিথিয়েটার মতো বা চামচের গর্তের মতো আকৃতি বিশিষ্ট ভূমিরুপকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ও স্কটল্যান্ডে করি এবং ফ্রান্সে সার্ক বলা হয়।
পর্বতগাএ দিয়ে নামতে থাকার সময় হিমবাহ উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে পার্শ্বক্ষয় এবং নিম্ন হয় প্রায় সমান ভাবে করে থাকে। যার ফলে সেই হিমবাহ উপত্যকা ইউ আকৃতির হয়। যাকে ইউ আকৃতির উপত্যকা বলা হয়।।
পার্বত্য অঞ্চলে অনেক সময় ছোট ছোট হিমবাহ বিভিন্ন দিক থেকে এসে একটি বৃহৎ বা বড় আকৃতির হিমবাহ উপত্যকায় পতিত হয়।।। ছোট ছোট হিমবাহের তুলনায় মূল বা বড় আকৃতির হিমবাহের ক্ষয়কার্য অধিক বলে ছোট হিমবাহ উপত্যকা গুলিকে মূল হিমবাহের উপত্যকার ওপর ঝুলন্ত বলে মনে হয়।। একে ঝুলন্ত উপত্যকা বলে।।
হিমবাহের গতিপথে বা প্রবাহ পথে কোনো উঁচু শিলাখণ্ড টিভির আকারে অবস্থান করলে, ওই প্রস্তরখন্ডটি হিমবাহের প্রবাহের দিকে অবঘর্ষ প্রক্রিয়ায় এবং হিমবাহ প্রবাহের বিপরীত দিকে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ক্ষয় হতে হতে এবড়ো খেবড়ো ও ফাটল যুক্ত ভূমিরূপে পরিণত হয়।।এরূপ ভূমিরূপকে রসেমতানে বলে।।
হিমবাহের গতিপথে যদি কোনো কঠিন শিলাখন্ডের পেছনে যদি কোনো নরম শিলাখণ্ড থাকে, তবে সেই কঠিন শিলাখণ্ড হিমবাহের ক্ষয় কাজের হাত থেকে সেই নরম শিলাখণ্ড কে রক্ষা করে। সামনে থাকা সেই কঠিন শিলাখন্ডটি উঁচু হয়ে ঢিপিত মতো অবস্থান করে যাকে ক্র্যাগ বলা হয়।
Nice
উত্তরমুছুনSir light chapter video panao
উত্তরমুছুনSir light chapter suggestion dan
উত্তরমুছুন