অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উওর | অসুখী একজন কবিতার বড়ো প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উওর।

0

 অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উওর | অসুখী একজন কবিতার বড়ো প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক বাংলা প্রশ্ন উওর।


অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উওর
অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উওর


আজকে আমরা শেয়ার করতে চলেছি ক্লাস টেনের অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উওর এর দ্বিতীয় অংশ। আজকে আমরা দশম শ্রেণির অসুখী একজন কবিতার সমস্ত ছোট,  বড়ো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন গুলো উওর সহকারে শেয়ার করবো। তার সাথে মাধ্যমিকে আসার মতো কিছু অতিরিক্ত প্রশ্ন " মাধ্যমিক বাংলা সাজেশন হিসেবে শেয়ার করবো।। ) 

নিচের লিঙ্ক থেকে অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উওর ( mcq ) গুলো দেখে নাও।। 


অসুখী একজন কবিতার ছোট প্রশ্ন উওর | ক্লাস টেনের অসুখী একজন কবিতার সংক্ষিত প্রশ্ন উওর | অসুখী একজন কবিতার বড়ো প্রশ্ন উওর | দশম শ্রেণির অসুখী একজন কবিতার প্রশ্ন উওর  


🔶- "আমি তাকে ছেড়ে দিলাম " - আমি কে?? এবং এখানে কাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে??

✅উওর : অসুখী একজন কবিতার এই লাইনে আমি হলেন এই কবিতার কথক বা কবি সয়ং নিজেকে বুঝিয়েছেন। এবং এখানে কবির প্রেমিকা বা তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে তাঁর অপেক্ষায় দরজার দাড় করিয়ে রাখার কথা বলা হয়েছে। 



🔶 - কবির অপেক্ষায় কে, কোথায় দাড়িয়েছিলেন?? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় কবির অপেক্ষায় তাঁর প্রেমিকা বা তাঁর ভালোবাসার মানুষটি তাঁর অপেক্ষায় দরজার দাড়িয়ে ছিলেন।। 



🔶 - " সে জানত না ".... -- এখানে কার কী না জানার কথা বলা হয়েছে? 

✅উওর :  এখানে সে জানত না বলতে কবির ভালোবাসার মানুষটির এই বিষয়টি না জানার কথা বলা হয়েছে যে - কবি আর কখনোই ফিরে আসবেন না।। 



🔶 - অসুখী একজন কবিতায় দেবতারা কত বছর ধ্যানে ডুবে ছিলেন??? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় দেবতারা হাজার বছর ধ্যানে ডুবে ছিলেন।। 




🔶 - অসুখী একজন কবিতায় কিসের মাধ্যমে কবির পায়ের দাগ ধুয়ে গিয়েছিল? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় বৃষ্টির জলের মাধ্যমে কবির পায়ের দাগ ধুয়ে গিয়েছিল।



🔶 - অসুখী একজন কবিতায় কার মাথায় কী নেমে এসেছিল?? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় কবির প্রিয়তমার মাথায় সময় বা বছর গুলো নেমে এসেছিল। যা তার কাছে শত বেদনাযুক্ত হলেও তিনি সেই যন্ত্রণা সহ্য করেই কবির ফিরে আসার অপেক্ষায় ছিলেন।। 




🔶 - " শিশু আর বাড়িরা খুন হলো " --  শিশু আর বাড়িরা খুন হয়েছিল কেন? 

✅উওর : কবিতায় এক ভয়াবহ যুদ্ধের সম্পর্কে জানতে পারা যায়। সেই যুদ্ধের বীভৎসতা এবং নৃশংসতায় শিশু এবং বাড়িরা খুন হয়েছিল। যেহুতু যুদ্ধ কখনোই ছোট - বড়ো, ধনী গরীব দেখে না! সেজন্যই সেই যুদ্ধে শিশু এবং বাড়ির বড়ো সদস্যরাও প্রান হারিয়ে ছিলেন। 



🔶 - যেখানে শহর ছিল, সেখানে যুদ্ধের পর কী ছড়িয়ে ছিল? 

✅উওর : যেখানে শহর ছিল, সেখানে যুদ্ধের পর কাঠকয়লা, দোমড়ানো লোহা, মৃত পাথরের মূর্তির বীভৎস মাথা,  মানুষের কালো রক্তের দাগ ছড়িয়ে ছিল। অর্থাৎ যুদ্ধ কবির শহরটাকে একদমই ধ্বংস করে ফেলেছিল। 



🔶 - অসুখী একজন কবিতায় যুদ্ধের পরে সেই মেয়েটির কী হয়েছিল?? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় যুদ্ধের পরেও সেই মেয়েটি, অর্থাৎ কবির প্রিয়তমা বেঁচেছিলেন। 


মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের সমস্ত উওর পেতে / দেখতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো 

Wb Class 10 Bangla Model Activity Task January 2022 |  দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

Wb Class 10 Bangla Model Activity Task January 2022 |  দশম শ্রেণির বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক

🔶 - " তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না।" - এখানে কাদের স্বপ্ন না দেখতে পারার কথা বলা হয়েছে?? 

✅উওর : কবিতায় তাদের বলতে শান্ত হলুদ দেবতাদের কথা বলা হয়েছে। যারা হাজার বছর ধ্যানে ডুবে ছিলেন। কিন্তু যুদ্ধের কারণে মন্দির টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়ায় তারা আর স্বপ্ন দেখতে পারল না 


🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶🔷🔶



🔶 - অসুখী একজন কবিতায় কবির চলে যাওয়ার পর সেই পথে কী এবং কেন জন্মেছিল?? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় কবির চলে যাওয়ার পর সেই পথে ঘাস জন্মেছিল।। 
সাধারণ একটি পথে যখন কারোর যাওয়া আসা লেগে থাকে বা যখন যেই পথের মাধ্যমে কেউ বিচরণ করে থাকে তখন সেই পথটি পরিস্কার থাকে। কিন্তু যখন একটি পথের মানুষজন চলা ফেরা বন্ধ করে দেয়, তখন সেই পথে ঘাসজাতীয় জিনিস জন্ম নেয়।। এখানে কবির চলে যাওয়ার পর সেই পথে দীর্ঘদিন ধরে কবি বা অন্যকেউ পা রাখেনি.. যার জন্য সেই পথ ঘাস জন্ম নিয়েছে।। 




 🔶- "আমি তাকে ছেড়ে দিলাম।" - কবি কাকে ছেড়ে দিলেন?  তাকে তিনি কিভাবে রেখে এসেছিলেন? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় এখানে কবি তার নিজের প্রেমিকা বা তাঁর ভালোবাসার মানুষটিকে তাঁর অপেক্ষায় ছেড়ে দিয়েছেন। 
এখানে কবি তার প্রিয়তমাকে তার বাড়ির দরজায় দাড় করিয়ে রেখে, কবি তার উদ্দেশ্য বেরিয়ে পরেছিলেন। কিন্তু তার প্রিয়তমা এই বিষয়টি না জেনেই সেই দরজাতেই দাড়িয়ে ছিলেন যে কবি আর কখনোই ফিরে আসবেন না।। আর কবির প্রিয়তমা তার ভালোবাসার মানুষটার অপেক্ষাতে সেভাবেই দাড়িয়ে ছিলেন।।





🔶- " সেই মেয়েটির মৃত্যু হল না। " -- মেয়েটি কে?? মেয়েটির মৃত্যু হল না কেন?? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতার এই লাইনটিতে মেয়েটি হলেন এই কবিতার কথকের প্রেমিকা বা ভালোবাসার মানুষ।  
কবিতায় কবির ভালোবাসার মানুষটির মৃত্যু না হওয়ার কারণ হল এই যে, কবি যখন তাকে কবির অপেক্ষাতে দাড় করিয়ে রেখে যুদ্ধে চলে গিয়েছিলেন, তখম তার প্রিয়তমা ভালোবাসা নিয়ে তার অপেক্ষা করছিলেন। যুদ্ধ সবকিছু ধবংস করে দিলেও সেই মেয়েটির মৃত্যু হয় না! কারণ সত্যিকারের ভালোবাসা কখনোই মরতে পারে না। ভালোবাসা অমর হয়ে থাকে।।  এবং এখানে এই লাইনটির মাধ্যমে কবি সেই অমর ভালোবাসার বিশ্বাসেই বলছেন যে তার প্রিয়তমা এখনো বেঁচে রয়েছেন।  





🔶- " সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে আগুনে। " -- কোন্ কোন্ জিনিসের কথা হয়েছে??  এই পরণতির কারণ কী?? 

✅ উওর : পাবলো নেরুদা রচিত এবং নবারুণ ভট্টাচার্য্য অনূদিত অসুখী একজন কবিতায়  -" সব চূর্ণ হয়ে গেল জ্বলে আগুনে। " -- লাইনের মাধ্যমে, কবির শহরে যুদ্ধের বীভৎসতায় তার মিস্টি বাড়ি, বারান্দা, তার পুরো শহর ধবংস হয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে।। এই পরিণতির কারণ ছিল কবির দেশে লেগে যাওয়া এক ভয়ংকর যুদ্ধ। যার বীভৎসতায় পুরো শহর কাঠকয়লায় পরিণত হয়েছিল।





🔶 - কবিতায় বছর গুলোকে পাথরের মতো বলা হয়েছে কেন??? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতায় বছর গুলোকে পাথরের মতো, কবিতার কথকের ভালোবাসার মানুষটির উদ্দেশ্য ব্যবহার করা হয়েছে। 
বছর গুলো কবির ভালোবাসার মানুষের জন্য এজন্যই পাথরের মতো ছিল যে, পাথরের যেমন ভারী হয়! ঠিক তেমনি কবির ভালোবাসার মানুষটির কাছে, কবির জন্য অপেক্ষাকৃত সময়টাও কষ্ট, বেদনা ও একাকিত্বের মাধ্যমে সময় বা বছর গুলো মানুষিক যন্ত্রণার দ্বারা ভারী হয়ে এসেছিল ।। দীর্ঘদিন কবির অপেক্ষা করার পরেও কবি তার কাছে ফিরে আসেন না! যার ফলে কবির প্রিয়তমার কাছে সময়ের ভার পাথরের সমান ছিল। 





🔶 - " আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়। " -- মেয়েটি কে?? সে অপেক্ষা করছে কেন??? 

✅উওর : অসুখী একজন কবিতার এই লাইনটিত সেই মেয়েটি হলেন কবির প্রেমিকা বা ভালোবাসার মানুষটি।। 

তার কবির জন্য অপেক্ষা করার কারণ হল - 
এখানে কবি যখন তার প্রিয়তমাকে তার অপেক্ষাতে দরজায় দাড় করিয়ে রেখে গিয়েছিলেন, তখন কবির প্রিয়তমা এই বিষয়টি জানতেন না যে কবি আর কখনোই ফিরে আসবেন না। মেয়েটি একটি আশা নিয়ে তার ঘরের দরজায় বছরের পর বছর অপেক্ষায় ছিলেন যে কবি একদিন ফিরে আসবেন। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কবি ফিরে আসেন না। কিন্তু তবুও তার প্রিয়তমা মনে বিশ্বাস নিয়ে সেখানেই দাড়িয়ে থাকেন, যেখানে কবি তাকে তার অপেক্ষাতে দাড় করিয়ে রেখে গিয়েছিলেন।
 


🔶 -
শান্ত হলুদ দেবতারা-দেবতাদের ‘শান্ত
হলুদ বলা হয়েছে কেন? তাদের কী পরিণতি হয়েছিল?


✅উত্তর:  অসুখী একজন’ কবিতায় কবি চলে যাওয়ার পর এক সময় যুদ্ধ বাধল। সেই যুদ্ধের বীভৎসতায় নগর-সভ্যতা, কবির স্বপ্নের বাড়ি-ঘর সব চূর্ণ হয়ে গেল, এমনকি ধ্বংস হল দেবতাদের
মন্দিরও। হাজার হাজার বছরের যে দেবতারা মানুষের মনে বিশ্বাস জাগিয়ে এসেছেন, যুদ্ধ তাদেরও আসনচ্যুত করল। প্রাচীন দেবতাদের
নিষ্ক্রিয়তা ও জীর্ণতাকে বােঝাতে হলুদ ও শান্ত বলা হয়েছে। যুদ্ধের আগুনে নগর পুড়লে দেবালয়ও বাদ যায় না। মানুষের মনে দেবতারা যে বিশ্বাস বােধের জন্ম দিয়েছিল তা ধ্বংস হল।


- অসুখী একজন কবিতা থেকে এর বাইরে যেসকল প্রশ্ন আসতে পারে তার উওর বতর্মানে আমরা আমাদের ওয়েবসাইট দিতে পারব না।। পরবর্তীকালে সময় থাকলে নিশ্চয়ই তার উওর আমরা শেয়ার করবো। অসুখী একজন কবিতা থেকে যেই সকল প্রশ্নের উওর আমরা শেয়ার করতে পারিনি সেগুলো নিচে সাজেশন আকারে দেওয়া হল।। 




1- অসুখী একজন কবিতার নামকরণের সার্থকতা বিচার  করো। 


2- " রক্তের একটা কালো দাগ। " -- রক্তের দাগ কালো কেন? এই বাক্যাংশে কোন্ বীভৎসতার পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে।


3 -  যুদ্ধকে রক্তের এক আগ্নেয় পাহাড় বলা হয়েছে কেন?? 


4- অসুখী একজন কবিতায় যুদ্ধের পরে শহরের যে পরিণতি হয়েছিল তা বর্নণা করো।



5-  " আর সেই মেয়েটি আমার অপেক্ষায়। " -- কবিতায় মেয়েটির সম্পর্কে কী জানতে পারা যায়??  মেয়েটি আমার অপেক্ষায় কথাটির মাধ্যমে কবি কী বোঝাতে চেয়েছেন?? 



( আশাকরি অসুখী একজন কবিতা থেকে আমরা যেসকল প্রশ্ন উওর শেয়ার করেছি তার বাইরে কোনো প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষা বা টেস্ট পরিক্ষায় থাকবে না। কিন্তু আমাদের পোস্টের বাইরেও তোমাদের অবশ্যই নিজে থেকে কিছু পড়তে হবে। নিজেরা যতবেশি প্রশ্ন উওর নিয়ে মাথা ঘামাবে ততই তোমাদের ভালো। ) 

আমাদের ক্লাস টেনের অন্যান্য বিষয়ের পোস্ট গুলো দেখতে আমাদের ওয়েবসাইটের মেনুতে গিয়ে সেখানে ক্লিক করো। এবং সেখানে থেকে বাংলা, ইতিহাস, জীবন বিজ্ঞান, ভৌতবিজ্ঞান এবং ভূগোলের পোস্ট গুলো দেখে নাও।। 

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top