মাধ্যমিক 2022 ভূগোল সাজেশন ( সমগ্র ভারত অধ্যায়ের সাজেশ + তার উওর ) | WB Madhyamik 2022 Geography Suggestion

0


মাধ্যমিক 2022 ভূগোল সাজেশন ( সমগ্র ভারত অধ্যায়ের সাজেশ  + তার উওর ) | WB Madhyamik 2022 Geography Suggestion 


মাধ্যমিক 2022 ভূগোল সাজেশন ( সমগ্র ভারত অধ্যায়ের সাজেশ  + তার উওর ) | WB Madhyamik 2022 Geography Suggestion

আজকে আমরা দশম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যারা 2022  সালের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী,তাদের জন্য দশম শ্রেণীর ভূগোল পঞ্চম অধ্যায় "  ভারত প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ " অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু প্রশ্ন বাছাই করে মাধ্যমিক 2022 ( wb Madhyamik 2022 ) ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ভূগোল সাজেশন তৈরি করেছি। আজকের এই পোস্ট থেকে তোমরা মাধ্যমিক 2022 এর জন্য যে ভূগোল সাজেশন পাবে তার সাথে সাথে তোমরা সেই প্রশ্নগুলোর উত্তর ও আমাদের এই পোস্ট থেকেই পেয়ে যাবে। 

আজকের এই পোস্টের বিষয়- 

* দশম শ্রেণির ভূগোল প্রথম অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন উত্তর 
* মাধ্যমিক ভূগোল সাজশন 

* মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন উওর 

* ভারত প্রাকৃতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশ সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর। 
• মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন

• মাধ্যমিকের ভূগোল বড় প্রশ্ন উত্তর

• মাধ্যমিক ভূগোল সাজেশন

• wb class 10 geography suggestion 

• wb madhyamik geography suggestion 

• wb madhyamik geography question and answer 
• Madhyamik geography Suggestion 2022

• Madhyamik geography  question and answer
• Madhyamik Geography short question and answer Bengali

• দশম শ্রেণির ভূগোল প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায়

• দশম শ্রেণির ভূগোল বড় প্রশ্ন উত্তর পঞ্চম অধ্যায়

• দশম শ্রেণির ভূগোল পঞ্চম অধ্যায়

• মাধ্যমিক ভূগোল প্রশ্ন ও উত্তর


1 - ভারতের জলবায়ু ও জনজীবনে মৌসুমী বায়ুর প্রভাব আলোচনা করো।


উত্তর : ভারতের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব অপরিসীম। তাই ভারতকে মৌসুমি

জলবায়ুর দেশ বলা হয়। এর প্রভাবগুলি নীচে আলােচনা করা হল।


▶ আর্দ্র পরিবর্তন ও শুষ্ক শীতকাল : ভারতে গ্রীষ্মকালে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম

মৌমুমি বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং শীতকাল উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শুষ্ক থাকে।


▶বৃষ্টিপাতের অসমবন্টন : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পশ্চিম উপকূল, উত্তর পূর্বভারত, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ প্রভৃতি স্থানে প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটে। অপরদিকে রাজস্থানের মরু অঞল ও পশ্চিমঘাট পর্বতের পূর্বালে বৃষ্টিচ্ছায় অঞল স্থানে বৃষ্টির পরিমাণ কম। তাই মৌসুমি বায়ুর প্রভাব ভারতের জলবায়ুতে বৃষ্টিপাতে অসমবণ্টন লক্ষ করা যায়।


▶বৃষ্টিপাত : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারতে 90% বৃষ্টিপাত হয়। ভারতের অধিকাংশ বৃষ্টিপাত মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে ঘটে থাকে। ভারতের বর্ষাকাল - মৌসুমী বায়ুর আগমন, বিচরণ ও গতি প্রকৃতির উপর নির্ভর করে।


▶ ঋতু পরিবর্তন : মৌসুমি বায়ুর আগমণ ও প্রত্যাগমন-এর ওপর নির্ভর করে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত চারটি ঋতু চক্রাকারে আবর্তিত হয়।


▶উম্নতা : দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর আগমণে গ্রীষ্মকালের শেষে বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে উষ্ণতা কিছুটা হ্রাস করে ও উত্তপূর্ব মৌসুমি বায়ুর ফলে শীতের প্রভাববৃদ্ধি পায়।


▶ প্রাকৃতিক দুর্যোগ : মৌসুমি বায়ুর অনিয়মিত ও অনিশ্চয়তার জন্য অতিবৃষ্টি ও অনাবৃষ্টির কারণে কোথাও বন্যা আবার কোথাও খরা সৃষ্টি হয়।


▶  ঘূর্ণাবাত সৃষ্টি : শরৎকালে মৌসুমি বায়ুর প্রত্যাগমণের সময় এবং সমুদ্রবায়ুর

সংঘর্ষে বঙ্গোপসাগরে বা আরবসাগরে ঘূর্ণবাত সৃষ্টি হয়।


⚫ ভারতের জনজীবনের মৌসুমি বায়ুর প্রভাব :-

▶ কৃষিকাজের ওপর প্রভাব : ভারতের কৃষিকাজ মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর নির্ভরশীল।। ভারতের প্রধান কিছু চাষ যেমন-  চা-কফি, রবার, ধান, পাট ইক্ষু, গম, বিভিন্ন তৈলবীজ, ডালজাতীয় ফসল ইত্যাদি সমস্ত ফসল  মৌসুমি বৃষ্টিপাত এর উপর নির্ভর করে থাকে।


▶ কৃষিভিত্তিক শিল্পস্থাপন : ভারতের কিছু কিছু শিল্পের ক্ষেত্রেও মৌসুমী বায়ুর বিশেষ প্রভাব রয়েছে। ভারতে কৃষিভিত্তিক শিল্প (বস্ত্রশিল্প, চিনিশিল্প, পাট শিল্প) স্থাপনেও মৌসুমি বায়ুর পরােক্ষ

ভূমিকা রয়েছে।


▶ অরণ্যসম্পদ সৃষ্টি : মৌসুমি বায়ুজনিত বৃষ্টিপাতেরতারতম্য ভারতের হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল ও পশ্চিমঘাট পার্বত্য অঞ্চলে প্রচুর অরণ্যসম্পদ সৃষ্টি করেছে। ভারতের অরণ্য সম্পদের ক্ষেত্রও মৌসুমী বায়ুর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব দেখা যায়।


▶ মৃত্তিকার ওপর প্রভাব : মৃত্তিকা সৃষ্টি, মৃত্তিকার গঠন বৃষ্টিপাইত্যাদি নানান বিষয় নির্ভর করে মৌসুমি বৃষ্টিপাতের ওপর।


▶ অর্থনৈতিক বিকাশ : ভারতের অর্থনৈতিক বিকাশসাধনে মৌসুমি বায়ু প্রত্যক্ষ ও পরােক্ষভাবে সাহায্য করে।


- এছাড়াও ভারতীয় জীবনযাত্রা, খাদ্যাভাস, খরা- বন্যা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও মৌসুমী বায়ু বিশেষ প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।।


2-  ভারত ইক্ষুচাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশের বর্ণনা দাও। ( মাধ্যমিক 2017, 2006, 2002 )


উওর :  ইক্ষু চাষের অনুকূল প্রাকৃতিক পরিবেশ -


▶উষ্ণতা: বার্ষিক 21-27° সে: উষ্ণতায় আখ গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ঘটে। বৃষ্টিপাত :


▶ ইক্ষু চাষের ক্ষেত্রে তুহিন মুক্ত আবহাওয়া ও জলসেচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।


▶ বৃষ্টিপাত : বার্ষিক 75-100 সেমি বৃষ্টিপাতযুক্ত

অঞ্জলে আখ চাষ করা হয়। তবে বৃষ্টিপাত 100 সেমির কম হলে জলসেচের দরকার হয়।


▶ মাটি:   মাটি উর্বর চুন ও লবণ সমৃদ্ধ দোআঁশ মাটিতে আখ চাষ ভালাে হয়। এ ছাড়া উর্বর সুষম জলধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন কৃষ্ণ মাটি, পলিমাটি, লাল মাটিতেও আখচাষ ভালাে হয় জমি


▶ জমি: ভালাে জলনিকাশি ব্যবস্থাসম্পন্ন অল্প ঢালু জমিতে আখ চাষ ভালাে হয়।


⚫-অনুকূল অর্থনৈতিক পরিবেশ :


▶শ্রমিক : আখ অত্যন্ত শ্রমনিবিড় কৃষি। জমি তৈরি, বীজ বপন, গাছা নিড়ানাে, সার ও কীটনাশক প্রয়ােগ, আখ কাটা ও মাড়াই কিংবা বাজারে নিয়ে যাওয়া প্রভৃতি কাজে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের  দরকার হয়।


▶উন্নত বীজ : অধিক ফলন পেতে হলে উন্নত HYV আখ বীজ (Co. -527, 313, 997, 740, 1.C. - 225, POj - 2714, H.M. - 320) ব্যবহার করা অতি জরুরি।


▶কীটনাশক : রােগ ও পােকার উপদ্রব থেকে ইক্ষুগাছকে বাঁচাতে নিয়মিত ও প্রয়ােজন অনুযায়ী কীটনাশক স্প্রে করা প্রয়ােজন।


▶পরিবহণ ; আখ যেহেতু বাজারভিত্তিক বাণিজ্যিক ফসল এজন্য খেত থেকে চিনিকল এবং চিনিকল থেকে বাজারজাত করণের

জন্য উন্নত পরিবহণ ব্যবস্থা থাকা আবশ্যক। এছাড়া আখ কাটার পর দ্রুত শুকিয়ে যায় ও গুণগত মান কমতে থাকে। এজন্য 24 থেকে 48 ঘণ্টার মধ্যে কাটা আখ কারখানায় পাঠানাে দরকার হয়। না হলে আখের মধ্যের চিনি বা সুক্রোম কমতে থাকে। এজন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রে আখ খেতের কাছাকাছি কারখানা গড়ে ওঠে।


3-  পূর্ব ও মধ্য ভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্র গড়ে ওঠার কারণ আলোচনা করো।
(  মাধ্যমিক 2018,মাধ্যমিক 2015,মাধ্যমিক 2008, মাধ্যমিক 2005,  মাধ্যমিক 2001)
or, ভারতে লৌহ ইস্পাত শিল্প গড়ে ওঠার কারণ গুলো আলোচনা করো


উওর : পূর্ব ও মধ্য ভারতে লৌহ-ইস্পাত শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণ :


▶আকরিক লোহা: লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্রের প্রধান কাঁচামাল গুলির মধ্যে আকরিক লোহাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পূর্ব মধ্য ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে আকরিক লোহা খুবই সহজে পাওয়া যায়

। যেমন-বিহারের সিংভূম, ওডিশার ময়ূরভঞ, ছত্তিশগড়ের বাইলাডিলা প্রভৃতি অঞ্চলে উচ্চমানের ম্যাগনেটাইট ও হেমাটাইট জাতীয় আকরিক লােহা পাওয়া যায়  যা পূর্ব ও মধ্য ভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্র গড়ে ওঠার একটি অন্যতম কারণ। 


▶  কয়লা: লৌহ ইস্পাত শিল্পের ক্ষেত্রে কয়লা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।।  পূর্ব ও মধ্য ভারত অঞ্চলের ঝরিয়া, বােকারাে, গিরিডি এবং ওডিশার তালচের প্রভৃতি কয়লাক্ষেত্র থেকে প্রচুর পরিমাণে বিটুমিনাস জাতীয় কয়লা উত্তোলন করা হয়। যা এই শিল্পের উন্নতির ক্ষেতে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।।


▶ চুনাপাথর, ডলােমহিট ও ম্যাঙ্গানিজ :

ওডিশার বীরমিত্রপুর থেকে চুনাপাথর, গাংপুর ও সুন্দরগড় থেকে ডলােমাইট; কোরাপুট, কালাহাণ্ডি, গাংপুর থেকে ম্যাঙ্গানিজ পাওয়া যায়।

▶জল সরবরাহ: বেশিরভাগ শিল্পেই বিভিন্ন কাজের ক্ষেত্রে জল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পক্ষেত্রে জল বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়। অন্যান্য শিল্পের মতোই লৌহ ইস্পাত শিল্পের ক্ষেত্রে জল খুব গুরুত্বপূর্ণ।। এক্ষেত্রে পূর্ব মধ্য ভারতের বিভিন্ন নদী - দামােদর, সুবর্ণরেখা, মহানদী, ব্রাত্মণী প্রভৃতি নদীর জল পাওয়ার সুবিধা আছে।


▶বিদ্যুৎ: প্রায় সব শিল্পের ক্ষেত্রেই বিদ্যুৎ প্রয়োজন। শিল্পের বিভিন্ন কাজ কর্মের জন্য অপরিহার্য ।  পূর্ব মধ্য ভারত অঞ্চলের দামােদর অববাহিকা ও হীরাকুদের জলবিদ্যুৎ দুর্গাপুর, পত্রাতু, বােকারাে প্রভৃতি কয়েকটি তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে।-


▶পরিবছণ : যে কোনো শিল্পের ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।। যেকোনো শিল্পের অগ্রগতি বা উন্নতির ক্ষেত্রে পরিবহন ব্যবস্থাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। পূর্ব ও মধ্য ভারতের  পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মাধ্যমে এবং কয়েকটি সড়কপর্থের মাধ্যমে খনি অঞ্চল থেকে কাঁচামাল নিয়ে আসার সুবিধা হয় এবং ইস্পাতশিল্পের জন্য যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে।


▶ শ্রমিক: বিভিন্ন শিল্পের অগ্রগতির ক্ষেত্রে শ্রমিকের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।। শিল্পে শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রমই শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যায়।। পূর্ব মধ্য ভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্প কেন্দ্রের জন্য দক্ষ শ্রমিক এর অভাব হয় না।।  যার ফলে পূর্ব ও মধ্য ভারতের লৌহ ইস্পাত শিল্প  যথেষ্ট উন্নতি করেছে।


বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ অধ্যায়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের সাজেশন দেখতে হলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করো।👇

Madhyamik 2022 Geography Suggestion With Answer  | বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরুপ | মাধ্যমিক 2022 ভূগোল সাজেশন উওর সহকারে


4- ভারতের জনসংখ্যা বন্টনের তারতম্যের পাঁচটি কারণ উল্লেখ করো। ( মাধ্যমিক 2017, 2009, 2007, 2005, 2003, 2000 )


or, ভারতের জনঘনত্বের তারতম্যের কারণ কী? 


উওর : ভারতের সর্বত্র সমান জনসংখ্যা নেই।  কোথাও কম এবং কোথাও বেশি।। এবং ভারতের বিভিন্ন অংশে এরূপ অসম জনবন্টনের অনেকগুলি কারণ রয়েছে।। তার মধ্যে নির্দিষ্ট কারণ হলো -


⚫ -প্রাকৃতিক কারণ-


▶ভূপ্রকৃতি : ভারতে সর্বত্র অসম জনবন্টনের তারতম্যের প্রধান কারণ হিসেবে ভূপ্রকৃতি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।। ভূমির উচ্চতা, ঢাল, বন্ধুরতা, জলমগ্ন জলাভূমি প্রভৃতি উপাদানের ওপর ভিত্তি করে জনবসতি গড়ে ওঠে। সিন্ধু, গঙ্গা ও উপকূলীয় সমভূমি কৃষি, যােগাযােগ ব্যবস্থা ও শিল্পে উন্নত। তাই জনসংখ্যা খুব বেশি। আবার, হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল উঁচু ও বন্ধুর হওয়ায় যােগাযােগ ব্যবস্থা, শিল্প ও কৃষিতে অনুন্নত। তাই, জনসংখ্যা এখানে খুবই কম।


▶ নদনদী: ভারতে গঙ্গা, ব্রম্মপুত্র, গােদাবরী, কৃষ্ণা, কাবেরী প্রভৃতি নদী অববাহিকা উর্বর হওয়ায় জনসংখ্যা বেশি। প্রত্যক্ষভাবে নদীর মাধ্যমে জলসেচ, জলবিদ্যুৎ উৎপাদন, পানীয় জল সরবরাহ করা হয়। নদী যােগাযােগ

ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হওয়ায় নদী উপত্যকায় শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। তাই নদী সমভূমি জনাকীর্ণ।


▶জলবায়ু : জনসংখ্যার স্থানীয় বণ্টন জলবায়ুর দ্বারা প্রভাবিত হয়। উপকূলের জলবায়ু সারাবছর মনােরম বলে জনসংখ্যা বেশি। উত্তর-পূর্ব পাহাড়ি রাজ্যগুলিতে জলবায়ু স্যাতসেঁতে বলে জনসংখ্যা কম। আবার, উচ্চ হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলে অত্যধিক শৈত্য এবং থর মরু অঞ্চলে অত্যধিক গরম ও স্বল্প বৃষ্টির কারণে স্থানগুলি জনবিরল।

বৃষ্টিপাতের বন্টন জনসংখ্যার বন্টনের ওপর প্রভাব ফেলে।


▶ মৃত্তিকা : উর্বর লালমাটি, কৃয় মৃত্তিকা ও পলিমাটি চাষ-আবাদের উপযােগী। এসব মাটিতে ধান, গম, পাট, তুলা, আখ প্রভৃতি ফসল প্রচুর পরিমাণে উৎপন্ন হয়। ভারতের প্রধান নদী অববাহিকা অঞ্চলগুলিতে এই ধরনের উর্বর

মাটির প্রাধান্য থাকায় এসব অঞ্চলে কৃষিজীবী মানুষের আধিক্য দেখা যায়।


▶জলাশয় ও ভৌমজল : জলনিকাশি ব্যবস্থা, ভৌমজলস্তরের গভীরতা ও প্রাপ্তি, জলাভূমির অবস্থান প্রভৃতি গ্রামীণ জনসংখ্যাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করে। থর মরুভূমির জনবণ্টন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই জলের উৎসের ওপর

নির্ভরশীল। বন্যাপ্রবণ অঞ্চলগুলিতে, যেখানে জলনিকাশি ব্যবস্থা উন্নত, সেখানে প্রচুর মানুষ বসবাস করে। সমভূমি অঞ্চলের মধ্যে যেখানে ভৌমজল সহজে পাওয়া যায়, সেখানে কৃষিকাজ উন্নত বলে জনসংখ্যাও বেশি।


▶বনভূমি: উত্তর-পূর্বের পার্বত্য অঞ্চল, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের গভীর বনভূমি বসবাসের প্রতিকূল পরিবেশ হওয়ায় জনসংখ্যা কম।


⚫- ,অপ্রাকৃতিক কারণ-


▶যােগাযােগ ব্যবস্থা : উত্তর ভারতের সমভূমি অঞ্চলে সড়কপথ, রেলপথ, জলপথ প্রভৃতির মাধ্যমে যাতায়াতের সুবিধা থাকায় এখানে জনবসতি বেশি। মধ্যপ্রদেশ, উত্তর-পূর্ব

ভারতের রাজ্যসমূহ এবং হিমালয়ের দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে পরিবহণ ব্যবস্থা তেমন গড়ে না ওঠায় জনবসতি বিস্তার লাভ করেনি।


▶শিল্প ও শিল্পাঞ্চল : শিল্পাঞ্চলে বহু লােকের

জীবিকার সংস্থান হয় বলে কলকাতা, আসানসােল, দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে লােকবসতি খুবই ঘন।


▶ সরকারি নীতি :

সরকারি নীতি অনুযায়ী পরিকল্পনামাফিক নানা সুবিধাযুক্ত নতুন কোনাে নগরী বা উপনগরী স্থাপিত হলে সেই অঞ্চলে(যেমন : চণ্ডিগড়, সল্টলেক-এ লােকবসতি বৃদ্ধি পায়।)


▶অনুপ্রবেশ : পশ্চিমবঙ্গ, অসম, ত্রিপুরা প্রভৃতি সীমান্তবর্তীরাজ্যগুলিতে পার্শ্ববর্তী প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ হতে ব্যাপকভাবে অনুপ্রবেশ ঘটায় ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।



5-উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের নদ-নদী গুলির মধ্যে প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের পার্থক্য আলোচনা করো ।

( মাধ্যমিক 201220162019 )

উওর: 



6-ভারতের পশ্চিমাঞ্চলে কার্পাস শিল্পের কেন্দ্রীভবনের কারণ কী? ( মাধ্যমিক 20022000)

উওর : 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top