1 - সঠিক উত্তরটি নির্বাচন করে লেখ
1.1 - বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণ ঘটাতে সাহায্য করে যে হরমোন তা নির্বাচন করো-
ক • ACTH
খ • GH
গ • TSH
ঘ • ADH
উওর : বৃক্কীয় নালিকায় জলের পুনঃশোষণ ঘটাতে সাহায্য করে যে হরমোন তা হলো (ঘ ) ADH
1.2 - নিচের যে জোড়টি সঠিক নয় তা নির্বাচন করা।
ক • ফটনাস্টিক চলন ---> সূর্যমুখী
খ • থার্মো ন্যাস্টিক চলন -----> টিউলিপ
গ • সিসমোন্যাস্টিক চলন ----> পদ্ম
ঘ • ক্যামোন্যাস্টিকচলন -----> সূর্যশিশির
উওর : গ • সিসমোন্যাস্টিক চলন ----> পদ্ম
1. 3 - ইস্ট্রোজেন হরমোন ক্ষরণে সাহায্য করে যে হরমোনটি সেটি বেছে নাও।
ক • GH
খ • FSH
গ • ADH
ঘ • ACTH
উওর : FSH
2 - নিচের বাক্যগুলো সত্য অথবা মিথ্যা নিরূপণ করো.
2.1 - গ্রোথ হরমনের অতিক্ষরনে বামনত্ব রোগ দেখা যায়।
উওর : মিথ্যা।
2.2 - ফটোনাস্টিক চলনে ক্লোমাইডোমোনাসের দেহের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন ঘটে।
উওর : সত্য
2.3 - আগাছা নাশক হিসেবে কৃত্রিম অক্সিনের ভূমিকা আছে।
উওর : সত্য
2.4 - হরমোন ক্রিয়ার পর ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় না।
উওর : মিথ্যা।
3- দুই - তিন বাক্যে উওর দাও
3.1 - " উদ্ভিদের কান্ড আলোক অনুবর্তী চলন দেখা যায় "- একটি পরীক্ষার সাহায্য বক্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।
উওর : একটি গাছের চারাকে যদি অন্ধকার রুমে রেখে দেওয়া হয়, তাহলে কিছুদিন পরে দেখা যাবে সেই গাছের চারার শাখা-প্রশাখা গুলি সেই অন্ধকার রুম থেকে বেরিয়ে আলোর উৎস খোঁজ করছে। বিশেষ করে যদি সেই চারাটিকে কোনো জানালার পাশে রেখে দেওয়া হয় তাহলে সেই গাছের শাখা- প্রশাখাগুলি জানালা দিয়ে বেরিয়ে গিয়ে সূর্যের আলো গ্রহণ করার চেষ্টা করবে। এর দ্বারাই প্রমাণিত হয় উদ্ভিদের কান্ডে আলোক অনুবর্তী চলন দেখা যায়।
3.2- নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের উপর ভিত্তি করে ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলনের মধ্যে পার্থক্য নিরূপণ করো।
• উদ্দীপকের প্রভাব
• অক্সিন হরমোনের প্রভাব
উওর :
◼ ট্রপিক চলন
◼ উদ্দীপকের প্রভাব : ট্রপিক চলন বহিঃস্থ উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা বা উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
◼ অক্সিন হরমোনের প্রভাব : ট্রপিক চলনে অক্সিন হরমোনের ভূমিকা আছে।
◼ ন্যাস্টিক চলন :
◼ উদ্দীপকের প্রভাব : ন্যাস্টিক চলন বহিঃস্থ উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
◼ অক্সিন হরমোনের প্রভাব : ন্যাস্টিক চলন এর অক্সিন হরমোনের কোনো ভূমিকা নেই।
2.3 - মানবদেহের টেস্টোস্টেরন হরমোনের ভূমিকা লেখো।
উওর ;
• টেস্টোস্টেরন হরমোন এর প্রধান ভূমিকা হলো পরপুরুষদের দেহে শুক্রাণু উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করা।
• টেস্টোস্টেরন হরমোন পুরুষদের গৌণ যৌন বৈশিষ্ট্য গুলি নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। যেমন - এই হরমোনের প্রভাবে পুরুষের গলার স্বর মোটা হয়, তাদের পেশীবহুল দেখায়, দাড়ি - গোফ গজায় ইত্যাদি।
• এছাড়াও টেস্টোস্টেরন হরমোন দেহের মৌল বিপাকীয় হার এবং প্রোটিন সংশ্লেষণ বৃদ্ধি করে।
3. 4 - জিব্বেরেলিন হরমোন এর উৎস উল্লেখ করো।
উওর : জিব্বেরেলিন হরমোন এর প্রধান উৎস হল উদ্ভিদের পরিপক্ক / পরিণত বীজ, অঙ্কুরিত চারা গাছ, মুকুল ও পাতার বর্ধিষ্ণু অঞ্চল।
4 - নিচের প্রশ্নটির উত্তর দাও।
4.1 - উদাহরণের সাহায্যে হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি আলোচনা করো। " ইনসুলিন আর গ্লুকাগনের ক্রিয়া পরস্পর বিপরীতধর্মী " - বক্তব্যটির যথার্থতা বিচার করো।
উওর:
◼ হরমোনের ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি : যে পদ্ধতিতে কোনো অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির ক্ষরিত পদার্থ অন্য কোনো অন্তঃক্ষরা গ্রন্থির হরমোন ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে বা তাকে হরমোন ক্ষরণে উদ্দীপিত করে, তাকে ফিডব্যাক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে।
যেমন - পিটুইটারি গ্রন্থির অগ্রখন্ড থেকে নিঃসৃত থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে থাইরক্সিন হরমোনের ক্ষরণ ঘটায়। আবার রক্তে থাইরক্সিনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে পিটুইটারি থেকে থাইরয়েড স্টিমুলেটিং হরমোন এর মাধ্যমে থাইরয়েড থেকে থাইরক্সিন ক্ষরণ হ্রাস করে।
◼ " ইনসুলিন আর গ্লুকাগন এর ক্রিয়া পরস্পর বিপরীত ধর্মী " - বক্তব্যটির যথার্থতা নিচে বিচার করা হলো।
• ইনসুলিন হরমোনের প্রভাবে রক্তের অতিরিক্ত পরিমাণ গ্লুকোজ এবং গ্লাইকোজেনেসিস প্রক্রিয়ায় পেশিতে ও যকৃতে সঞ্চয় হয়। যার ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকে। অর্থাৎ ইনসুলিন হরমোন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বাড়তে দেয় না।।
• অন্যদিকে যখন রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমে যায়, তখন গ্লাইকোজেনেসিস পদ্ধতিতে যকৃত ও পেশিতে সঞ্চিত হওয়া গ্লুকোজ গ্লাইকোজেনোলাইসিস প্রক্রিয়ায় বিশ্লিষ্ট হয়ে রক্ত সরবরাহ হয়। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। অর্থাৎ গ্লুকাগন হরমোন রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়।
• সুতরাং, এর থেকেই বোঝা যায় যে ইনসুলিন হরমোন আমাদের দেহে শর্করার পরিমাণ কমায় এবং অন্যদিকে গ্লুকাগন হরমোন আমাদের দেহের রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। সুতরাং ইনসুলিন এবং গ্লুকাগন হরমোনের ক্রিয়া পরস্পর বিপরীত ধর্মী
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন