আজকের এই পোস্টে আমরা দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অথবা উচ্চ মাধ্যমিক বাংলা জীবনানন্দ দাশের লেখা শিকার কবিতার MCQ প্রশ্ন উত্তর, শিকার কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর এবং শিক্ষার কবিতার বড় প্রশ্ন উত্তর তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো।। নিচে শিকার কবিতার সব প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করা হলো।।
শিকার কবিতার MCQ & SAQ প্রশ্ন উত্তর
1. শিকার কবিতার মূল কাব্যগ্রন্থের নাম-
উত্তর : মহাপৃথিবী।
2. শিকার কবিতায় আকাশের রং যার সাথে তুলনা করা হয়েছে, তা হলো-
উওর : ঘাসফড়িং এর দেহ
3. টিয়ার পালকের রঙ যেমন, তা হল-
উত্তর : সবুজ
4. আকাশে রং ঘাসফড়িং এর দেহের মতো,-
উত্তর : কোমল নীল
5. শীতের রাতে শরীর উষ্ণ রাখার জন্য কারা আগুন জ্বেলে ছিল?
উওর : দেশোয়ালীরা
6. হরিণটি অন্ধকারে ঘুরেছিল-
উওর : সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে।
7. হরিণটি যার হাত থেকে সারারাত নিজেকে বাঁচিয়েছিল,সে হল-
উওর : চিতাবাঘ
8. হরিণটি যেই রঙের ছিল,সেই রংটি হলো-
উত্তর : বাদামী রং
9. একটা অদ্ভুত শব্দ,শব্দটি কিসের?
উওর : বন্দুকের
10. শিকার কবিতায় দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলেছিল কেন?
উওর : হরিণের মাংস রান্নার জন্য
11. নদীর জলের রং ছিল-
উওর : মচকা ফুলের পাপড়ির মতো লাল
12. সারারাত ধরে হরিণটি কিসের অপেক্ষায় ছিল?
উওর : ভোরের।
শিকার কবিতার সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
1. শিকার কবিতায় কারা সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলে ছিল এবং কেন?
উওর : শিকার কবিতায় দেশোয়ালিরা নিজেদের শরীর উম রাখবার জন্য বা উষ্ণ রাখার জন্য সারারাত মাঠে আগুন জ্বেলে ছিল।
2. হরিণটি সারারাত কোন কোন বনে ঘুরে ছিল?
উওর : হরিণটি সারারাত সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে বনে করেছিল।
3. নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মত লাল হয়ে ওঠার কারণ কি?
উওর : হরিণের রক্ত নদীর জলে মিশে যাওয়ার কারণে নদীর জল মচকা ফুলের পাপড়ির মতো লাল হয়ে ওঠে।
4. "আগুন জ্বললো আবার"- দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলার কারণ কি?
উওর : আগুনে হরিণের মাংস তৈরি করার জন্য দ্বিতীয়বার আগুন জ্বালানো হয়েছিল।
5. "একটা অদ্ভুত শব্দ"- কোন শব্দের কথা বলা হয়েছে? শব্দকে অদ্ভুত বলা হয়েছে কেন?
উওর : শিকার কবিতায় অদ্ভুত শব্দ বলতে বন্দুকের গুলির শব্দকে বোঝানো হয়েছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে একটি বন্দুকের গুলির শব্দ কখনোই মানানসই নয়। সেই কারণে গুলির শব্দকে এখানে অদ্ভুত বলা হয়েছে।।
শিকার কবিতার বড়ও প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন : "সারারাত চিতাবাঘীনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে"- লাইনটি কোন কবিতার অংশ?কবিতাটি কার লেখা? এখানে কার কথা বলা হয়েছে?শেষ পর্যন্ত তার পরিণতি কি হয়েছিল?
উত্তর :-
• প্রশ্নে উল্লেখিত লাইনটি শিকার কবিতার অংশ।
• শিকার কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের লেখা। এবং এই কবিতাটি জীবনানন্দ দাশের মহা পৃথিবী কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
শিকার কবিতায় এখানে সুন্দর বাদামী হরিণটির কথা বলা হয়েছে। হরিণটি সারারাত চিতাবাঘীনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে বনে ঘুরছিল। হরিণটি ভোরের অপেক্ষা করছিল।ভোর হতেই হরিণটি বাইরে বেরিয়ে আছে এবং সে সুন্দর কচি বাতাবি লেবুর মতো সবুজ ঘাস ছিড়ে ছিঁড়ে খায়। এর পরেই সে নিজের শরীরের ক্লান্তিটাকে দূর করার জন্য নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে নিজেকে ভাসিয়ে দেয়। কিন্তু পরক্ষণেই জঙ্গলে একটি অদ্ভুত শব্দ শোনা যায়। শব্দটি ছিল বন্দুকের গুলির। মুহূর্তের মধ্যেই নদীর সেই জল মচকা ফুলের পাপরির মতো লাল হয়ে ওঠে হরিণের রক্তে। এর পরেই জঙ্গলে আবার আগুন জ্বলে ওঠে। এবং হরিণটি একটি মাংসপিণ্ডে পরিণত হয় কয়েকটি টেরিকাটা মানুষের।
প্রশ্নঃ- 'আগুন জ্বলল আবার' - আবার শব্দটি প্রয়োগের তাৎপর্য কী? এখানে এই ঘটনা কিসের ইঙ্গিত দিয়েছে?
উওরঃ- জীবনানন্দ দাশের লেখা শিকার কবিতায় আগুন জ্বলে ওঠার ঘটনা দুই বার রয়েছে। প্রথমে আগুন জ্বালিয়ে ছিল দেশোয়ালি মানুষেরা। যারা হিমের রাতে সারারাত নিজেদের শরীর গরম রাখার জন্য মাঠে আগুন জ্বালিয়ে রেখেছিল। শিকার কবিতায় এই প্রথমবার আগুন জ্বলা ছিল প্রকৃতির প্রতিকূলতা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে রাখার প্রয়াস।
কিন্তু শিকার কবিতায় যেই দ্বিতীয় ভোরের বর্ণনা করা হয়েছে সেখানে পুনরায় আগুন জ্বলে ওঠার বর্ণনা পাওয়া যায় সেই আগুন জ্বালানো হয়েছিল কয়েকটি এই কাঠের মানুষের তারা যেমনই তো মানুষের লালসার ইঙ্গিত দেয়। যেহেতু কবিতায় দুইবার আগুন জলে ওঠার বর্ণনা করা হয়েছে,সেই কারণে দ্বিতীয়বার আগুন জ্বলে ওঠার জন্য আবার কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে।
আবার শব্দটি প্রয়োগের তাৎপর্য :
একটি হরিণ সারারাত চিতাবাঘীনির হাত থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে বাঁচিয়ে সুন্দরীর বন থেকে অর্জুনের বনে বনে ঘুরছিল। ভোর হতেই সে বাইরে বেরিয়ে আসে এবং নদীর তীক্ষ্ণ শীতল জলে সে নিজের গা ভাসিয়ে দেয়। কিন্তু পরক্ষণেই কয়টি টেরিকাটা মানুষের বন্দুকের গুলির জন্য হরিণটির মৃত্যু ঘটে।
এরপরেই মাংস রান্না করার জন্য আবার আগুন জ্বালানো হয়। এবং সেই আগুনেই হরিণটি একটি উষ্ণ লাল মাংসপিণ্ডে পরিণত হয়।
ধন্যবাদ।