মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন || জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর

0

 

মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন || জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর 


Madhyamik Life Science Question Answer
Madhyamik Life Science Question Answer


Topic Of Today's post  / The topics that we have covered in today's post




 • জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় ক্লাস টেন

  

• জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায় প্রশ্ন উওর


• মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


• মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর 2022


• দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর


* Madhyamik Life Science Suggestion 


• class 10 life science question answer in bengali 1st chapter



• class 10 life science question answer in bengali first chapter



• class 10 life science question and answer


• madhyamik 2022 life science question answer


• wbbse class 10 life science notes


• class 10 life science question and answer


• class 10 life science question answer in bengali


• Madhyamik Life Science Question Answer 


• Madhyamik Life Science Question ans Answer 


• Madhyamik Life Science 1st Chapter Question Answer 




- জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়!


-আজকের এই পোস্টে-   জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়টি থেকে মাধ্যমিকের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ- 2 নম্বরের প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হল.. 






⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫


* জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় প্রশ্ন উত্তর

* দশম শ্রেণীর জীবন বিজ্ঞান প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর 

* মাধ্যমিক জীবন বিজ্ঞান সাজেশন 



-⚫-  জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয়- প্রশ্ন উওর- ⚫



🔴- চলন কাকে বলে?? 

✅- উত্তর = চলন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় জীব নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে অর্থাৎ স্থানান্তরের না গিয়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে কোন উদ্দীপকের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে,তাকে চলন বলা হয়।।






🔴- গমন কাকে বলে??


✅ উত্তর = গুলো একটি প্রক্রিয়া যে প্রক্রিয়ায় জীব স্বেচ্ছায় উদ্দীপকের প্রভাবে তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে তাকে গমন বলা হয়।। 





🔴- চলন ও গমনের মধ্যে মূল পার্থক্য কি???


✅উত্তর= চলন ও গমনের মধ্যে মূল পার্থক্য- 


- চলনে-  সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না!!

- গমনে - জীবের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়।।

- চলল- বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই উদ্ভিদে দেখা যায়।।

- গমন - বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রাণীতে দেখা যায়।







🔴- রোটেশন কী?? 

- অথবা 

🔴- রোটেশন বলতে কী বোঝায়?? 



✅ উওর =  রোটেশন হলো পরিণত উদ্ভিদ বৃহৎ আকৃতির কোশগহ্বরকে কেন্দ্র করে প্রোটোপ্লাজম এর, একটি নির্দিষ্ট দিকের  ঘূর্ণনকে রোটেশন বলে।।






🔴-  উদ্ভিদের চলন কত প্রকার?? এবং কী কী??


✅-   উওর= উদ্ভিদ চলন কে প্রধানত কয় ভাগে ভাগ করা হয়। 

- প্রথম = ট্যাকটিক চলন বা আবিষ্ট চলন।  দ্বিতীয় = ট্রপিক চলন বা দিকনির্ণী চলন। 

- এবং তৃতীয় = ন্যাস্টিক চলন বা ব্যাক্তি চলন।।





🔴-  উদ্ভিদের ট্যাকটিক চলন এর সংজ্ঞা দাও!!       [মাধ্যমিক 2004] 

🔴-   এবং এটি কত প্রকার এবং কী কী


✅উওর=  যখন উদ্ভিদ অঙ্গের চলন-  আলো, তাপমাত্রা, রাসায়নিক পদার্থ,বিদ্যুৎশক্তি -প্রভৃতি বহিঃস্থ উদ্দীপকের প্রভাবে হয়, তখন সেই প্রকার উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে- ট্যাকটিক চলন বলে।। 


-ট্যাকটিক চলন প্রধানত চার প্রকারের হয় - 

  প্রথম = ফটোট্যাকটিক চলন, দ্বিতীয় = থার্মোট্যাকটিক চলন, তৃতীয়= কেমোট্যাকটিক চলন

  এবং চতুর্থ = হাইড্রোট্যাকটিক চলন।।।









🔴-  উদ্ভিদের বক্রচলন বলতে কী বোঝো??


✅-  স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা বাহ্যিক উদ্দীপকের প্রভাবে বৃদ্ধিজনিত বা রসস্ফীতি জনিত কারণে, উদ্ভিদ অঙ্গের চলনের ফলে,  উদ্ভিদের বিভিন্ন অঙ্গ গুলি নানাভাবে বেঁকে যায়, সেই প্রকার চলন কে বক্র চলন বলে।।







🔴-প্রকরণ চলন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।।


✅উওর= উদ্ভিদ অঙ্গে যখন রসস্ফীতি তারতম্যের জন্য কোন প্রকার চলন ঘটে সেই রসস্ফীতির তারতম্যজনিত কারণে উদ্ভিদ অঙ্গের চলনকে, প্রকরণ চলন বলে।। 

 প্রকরণ চলন দেখা যায় এমন একটি উদ্ভিদ হল- বনচাঁড়াল।।






🔴- ট্রপিক চলন কাকে বলে?? 

-  অথবা, 

🔴-   দিক নির্ণীত চলন কাকে বলে??

           [মাধ্যমিক 2006]


✅-   উওর = যে প্রকার চলনে-  উদ্ভিদ অঙ্গের চলন প্রধানত বিভিন্ন উদ্দীপকের উৎস বা, উদ্দীপকের গতিপথ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়, সেই প্রকার চলন কে ট্রপিক চলন, বাঁ দিক নির্ণীত চলন বলা হয়।।।







🔴- উদ্ভিদের ন্যাস্টিক চলন এর সংজ্ঞা দাও।। 

- [মাধ্যমিক 2000, 2008]


✅উওর= উদ্ভিদের ন্যাস্টিক চলন হলো উদ্ভিদের সেই প্রকার চলন, যেখানে উদ্ভিদ অঙ্গের চলন উদ্দীপকের গতিপথ অনুসারে নিয়ন্ত্রণ না হয়ে, উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়! সেই প্রকার চলন উদ্ভিদের ন্যাস্টিক চলন! বা ব্যপ্তি  চলন বলা হয়।।। 







🔴-  ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন এর মধ্যে  পার্থক্য কী?? 

- [ মাধ্যমিক 2017, মাধ্যমিক 2009,মাধ্যমিক 2002, মাধ্যমিক 2000] 


✅ উওর = ট্রপিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন এর মধ্যে মূল পার্থক্য হল -


১>  ট্রপিক চলন- এটি উদ্দীপকের গতিপথ অথবা উৎস দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।।


১> ন্যাস্টিক চলন - এটি উদ্দীপকের তীব্রতা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।।


২> ট্রপিক চলন- ট্রপিক চলন -"অক্সিন" -হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়।।


২> ন্যাস্টিক চলন = ন্যাস্টিক চলন -"অক্সিন"- হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয় না।।


৩> ট্রপিক চলন= ট্রপিক চলন প্রধানত তিন প্রকারের হয়ে থাকে


৩> ন্যাস্টিক চলন = ন্যাস্টিক চলন প্রধানত চার প্রকারের হয়ে থাকে।।






🔴- ট্যাকটিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন পার্থক্য কী?  দুটি উদাহরণসহ লেখ।[মাধ্যমিক 2010 মাধ্যমিক 2002] 


✅-ট্যাকটিক চলন ও ন্যাস্টিক চলন মধ্যে পার্থক্য হল


১>- ট্যাকটিক চলন=  ট্যাকটিক চলন হল একপ্রকার সামগ্রিক চলন গমন 

১>- ন্যাস্টিক চলন = ন্যাস্টিক চলন হলো উদ্ভিদের বক্র চলন।



২>  ট্যাকটিক চলন= ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের নির্দিষ্ট গমন অঙ্গের ব্যবহার দেখা যায়


২> ন্যাস্টিক চলন =ন্যাস্টিক চলন উদ্ভিদের কোন গমন অঙ্গের ব্যবহার দেখা যায় না।।



৩> ট্যাকটিক চলন= ট্যাকটিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয়


৩> ন্যাস্টিক চলন = ন্যাস্টিক চলনে উদ্ভিদের সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন হয় না


- ট্যাকটিক চলন এর একটি উদাহরণ হল- 

 মসের শুক্রাণু সুক্রোজের হবে ফার্নের শুক্রানু ম্যালিক এসিডের প্রভাবে ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসর হয়,  এটা হলো এক প্রকার কেমোট্যাকটিক চলন।।


-ন্যাস্টিক চলন এর একটি উদাহরণ হল- লজ্জাবতীর পাতাকে স্পর্শ করলে সেটি নুইয়ে পড়ে,এটি হল একপ্রকার সিসমোন্যাস্টিক চলন।।







🔴-হরমোন কে রাসায়নিক দূত বলা হয় কেন??

-[মাধ্যমিক 2011]


✅উওর=  হরমোন কে রাসায়নিক দূত বলা কারণ হলো- হরমোন উৎসস্থল থেকে উৎপন্ন হয়েছে বিশেষ উপায়ে দেহতরল এর মাধ্যমে, দেহের বিভিন্ন কোশে পৌঁছে সেখানে রাসায়নিক সংযোগ সাধন। এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গে রাসায়নিক সংকেত বহন করে।  

যেমন করে কোন দূত,  সংবাদ বা খবর একখান থেকে অন্য স্থানে বহন করে ঠিক তেমনি হরমোন দেহের বিভিন্ন কোশে রাসায়নিক সংকেত বহন করে, সেখানকার যাবতীয় রাসায়নিক কাজ সম্পন্ন করে।। 

এজন্য হরমোন কে রাসায়নিক দূত বলে।।








🔴-হরমোন কে রাসায়নিক সমন্বয়ক কারী বলা হয় কেন?? 

[মাধ্যমিক 2016, মাধ্যমিক 2007,মাধ্যমিক 2003]


✅উওর= জীবদেহে হরমোন নির্দিষ্ট অন্তক্ষরা গ্রন্থি থেকে উৎপন্ন হয়ে দেহতরলের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গের পৌঁছায়!! এবং আস্তে আস্তে সারা দেহে ছড়িয়ে পড়ে।। হরমোন তার লক্ষ্য কোশের ওপর বা নির্দিষ্ট  অঙ্গে পৌঁছানোর পর,;বিভিন্ন অঙ্গের মধ্যে বিভিন্ন রাসায়নিক বার্তা বহন করে, এবং সেই অঙ্গ এবং তন্ত্রের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয় ঘটায়।।  এভাবে শরীরের বিভিন্ন কোশ এবং অঙ্গের মধ্যে রাসায়নিক সমন্বয় ঘটানোর জন্য হরমোনকে রাসায়নিক  সমন্বয়ক কারী বলা হয়।।








🔴- ফাইটোহরমোন কী??  বা ফাইটোহরমোন কাকে বলে?? 


✅-   উত্তর= উদ্ভিদ হরমোন এর অপর নাম হল ফাইটোহরমোন।। 

-   ফাইটোহরমোন বলতে বোঝায় যেসব জৈব রাসায়নিক পদার্থ প্রধানত উদ্ভিদের বর্ধনশীল অঙ্গের ভাজক কলার কোশ থেকে উৎপন্ন হয়,  এবং বিশেষ উপায়ে উদ্ভিদের দূরবর্তী স্থানে বাহিত হয়ে, উদ্ভিদ অঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় অতি অল্প মাত্রায় ক্রিয়াশীল হয়, এবং কাজেত বিনষ্ট হয়! তাকে ফাইটোহরমোন  বলে।। 


কয়েকটি প্রধান উদ্ভিদ হরমোন হল -অক্সিন, জিব্বেরেলিন,সাইটোকাইনিন প্রভৃতি।।








🔴-উদ্ভিদ হরমোনের দুটি বৈশিষ্ট্য লেখো-[ মাধ্যমিক 2001]


 ✅উত্তর= উদ্ভিদ হরমোন এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো- প্রথম-  উদ্ভিদ হরমোন প্রধানত বর্ধনশীল অঙ্গের ভাজক কলা থেকে উৎপন্ন হয়।।।

  দ্বিতীয়তঃ উদ্ভিদ হরমোন উদ্ভিদের ভাজক কলা থেকে উৎপন্ন হওয়ার পর সাধারণত উৎসস্থল থেকে জলের দব্রীভুত অবস্থায় ক্রিয়াশীল অঙ্গের লক্ষ্য কোশে পরিবাহিত হয়,এবং সেখানে যাবতীয় ক্রিয়ার পর জারণের এর মাধ্যমে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে,উদ্ভিদের দেহ থেকে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়।।








🔴- জিব্বেরেলিন হরমোন এর উৎসস্থল লেখো। - 


-  [মাধ্যমিক 2015 মাধ্যমিক 2014 মাধ্যমিক 2007 মাধ্যমিক 2003] 


✅উত্তর= জিব্বেরেলিন হরমোন এর কয়েকটি প্রধান উৎস হল-  উদ্ভিদের বিভিন্ন পরিপক্ক বীজ, উদ্ভিদের মুকুল,,এবং অঙ্কুরিত চারাগাছ, উদ্ভিদের বীজপত্র এবং বর্ধিষ্ণু পাতায় জিব্বেরেলিন হরমোন খুব বেশি মাত্রায় পাওয়া যায়।।








🔴-  জিব্বেরেলিন হরমোন এর কাজ কী??? 


-✅-  উওর= জিব্বেরেলিন হলো একটি উদ্ভিদ হরমোন।।  উদ্ভিদদেহে জিব্বেরেলিন হরমোন এর কাজ হলো- উদ্ভিদের বীজের ও মুকুলের  সুপ্ত দশা ভঙ্গ করা।।  একটি উদ্ভিদের বীজ থেকে  চারাগাছ সৃষ্টি হতে সাহায্য করা।। জিব্বেরেলিন হরমোন শুধুমাত্র বীজপত্র ও মুকুলের শুপ্তদশা ভঙ্গ করে না!!  জিব্বেরেলিন হরমোন বিভিন্ন ফলের গঠন এবং ফলের বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে।।

-  এছাড়াও জিব্বেরেলিন হরমোন উদ্ভিদ দেহের পর্বমধ্যের দৈর্ঘ্যর বৃদ্ধি ঘটাতেও ভুমিকা পালন করে থাকে।। 







🔴- দুটি কৃত্রিম হরমোন অথবা সংশ্লেষিত হরমোন এর নাম লেখ।। মাধ্যমিক 2014।


✅ উত্তর দুটি সংশ্লেষিত বা কৃত্রিম হরমোন হল-  প্রথমত - ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড। ( NAA)

 দ্বিতীয়তঃ ইন্ডোল প্রোপানয়িক অ্যাসিড  (IPA)

 তৃতীয়তঃ ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড (IBA)









🔴** কৃষিক্ষেত্রে অক্সিন হরমোনের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখ।।


🔴 - অক্সিন হরমোনের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ লেখ।।


✅উত্তর - অক্সিন হরমোনের দুটি ব্যবহারিক প্রয়োগ হলো - 

প্রথমত-  কৃত্রিম অক্সিন- ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড, ইনডোল বিউটারিক অ্যাসিড  প্রভৃতি অক্সিন হরমোন প্রয়োগ করে -পেয়ারা,খেজুর,টমেটো তরমুজ প্রভৃতির উদ্ভিদের  ক্ষেত্রে নিষেক ছাড়া ফল উৎপাদন করা যায় বা করা হয়।। 

এই ধরনের ফলগুলি আকারে অনেক বড় হয়! এবং এভাবে সৃষ্টি করা ফলগুলি ভেতরে বীজের পরিমাণ খুবই কম থাকে বা বীজ থাকে না বললেই চলে।। এবং এরূপভাবে বীজবিহীন ফল উৎপাদন করাকে  পার্থেনোকার্পি বলে।।

 

 - দ্বিতীয়তঃ কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন আগাছা দমনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিন 2,4-D - প্রয়োগ করে আগাছা দমন করা হয়।।

,

 তৃতীয়তঃ কৃত্রিম অক্সিন - ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড, ইন্ডোল প্রোপানয়িক প্রভৃতি যদি কোনো  গাছের মুকুলে বা গাছের কচি ফলের ওপর স্প্রে করা যায়, তাহলে যে গাছের মুকুল ঝরে পরে যাওয়ার সমস্যা থাকে!  বা বিভিন্ন  গাছের ক্ষেত্রে যে অপরিণত ফল ঝরে পাওয়ার সমস্যা দেখা যায়,,সেই সমস্যা গুলো অনেকটা ক্ষেত্রেই কম করা যায়।। 




ক্লাস টেনের জীবনবিজ্ঞানের অন্যান্য পোস্টের প্রশ্ন উওর ও সাজেশন দেখতে নিচে দেওয়া লিঙ্ক গুলোর ওপরে ক্লিক করো। 


1 - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর ( Part - 1 )


2 - জীবজগতে নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর (  Part - 2 ) 


3 - জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়ের বড়ো প্রশ্ন উত্তর  ( Part - 3 ) 


3. I-  জীবজগতের নিয়ন্ত্রণ ও সমন্বয় অধ্যায়ের ২ নম্বরের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর  ( Part - 4 ) 


4 - জীবনের প্রবাহমানতা অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর


5- বংশগতি এবং কয়েকটি সাধারণ জিনগত রোগ  অধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর




🔴- কৃত্রিম হরমোন বা সংশ্লেষিত হরমোন কাকে বলে??


✅- উত্তর= কৃত্রিম হরমোন বা সংশ্লেষিত হরমোন বলতে বোঝায়,যে সকল হরমোনগুলো গবেষণাগারে বা ল্যাবরেটরিতে বিশেষভাবে, কৃত্রিমভাবে সংশ্লিষ্ট হয় এবং সেই হরমোনগুলো প্রাকৃতিক হরমোনের মতই কার্যকরী হয়!!  সেই সকল হরমোন গুলিকে সংশ্লেষিত হরমোন বা কৃত্রিম হরমোন বলা হয়।। কয়েকটি পরিচিত কৃত্রিম হরমোন হল - ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড,  ইন্ডোল প্রোপানয়িক এসিড প্রভৃতি








🔴 - পরিকল্পিত হরমোন কাকে বলে???



✅ উওর= পরিকল্পিত হরমোন বলতে এমন কিছু হরমোনকে বোঝায় যেসব হরমোনের রাসায়নিক প্রকৃতি অজানা থাকে কিন্তু তাদের কাজ সম্পর্কে একটা ধারণা পাওয়া যায়। সেই প্রকার হরমোন গুলোকে পরিকল্পিত হরমোন বলে।।

যেমন - ফ্লোরিজেন হলো একপ্রকারের পরিকল্পিত হরমোন,  যা গাছের ফুল ফোটাতে সাহায্য করে।।









🔴- কৃষিকাজে কৃত্রিম হরমোনের দুটি ভূমিকা লেখো।। 

অথবা- 

- কৃষিকার্যে সংশ্লেষিত হরমোন অথবা কৃত্রিম হরমোনের ভূমিকা কী?? 



(  নিচের দেওয়া উত্তর থেকে তোমার যেকোনো দুটি পয়েন্ট লিখতে পারো!! এখানে শুধুমাত্র তোমাদের সুবিধার্থে তিনটি পয়েন্ট দেওয়া হল) 


-

✅উওর =কৃষিকার্যে সংশ্লেষিত হরমোন অথবা কৃত্রিম হরমোনের ভূমিকা হলো -



প্রথমত-  কৃত্রিম অক্সিন- ন্যাপথালিন অ্যাসিটিক অ্যাসিড, ইনডোল বিউটারিক অ্যাসিড  প্রভৃতি অক্সিন হরমোন প্রয়োগ করে -পেয়ারা,খেজুর,টমেটো তরমুজ প্রভৃতির উদ্ভিদের  ক্ষেত্রে নিষেক ছাড়া ফল উৎপাদন করা যায় বা করা হয়।। 

এই ধরনের ফলগুলি আকারে অনেক বড় হয়! এবং এভাবে সৃষ্টি করা ফলগুলি ভেতরে বীজের পরিমাণ খুবই কম থাকে বা বীজ থাকে না বললেই চলে।। এবং এরূপভাবে বীজবিহীন ফল উৎপাদন করাকে  পার্থেনোকার্পি বলে।।

 

 - দ্বিতীয়তঃ কৃষি ক্ষেত্রে বিভিন্ন আগাছা দমনের ক্ষেত্রে কৃত্রিম অক্সিন 2,4-D - প্রয়োগ করে আগাছা দমন করা হয়।।


 তৃতীয়তঃ কৃত্রিম অক্সিন - ইন্ডোল বিউটারিক অ্যাসিড, ইন্ডোল প্রোপানয়িক প্রভৃতি যদি কোনো  গাছের মুকুলে বা গাছের কচি ফলের ওপর স্প্রে করা যায়, তাহলে যে গাছের মুকুল ঝরে পরে যাওয়ার সমস্যা থাকে!  বা বিভিন্ন  গাছের ক্ষেত্রে যে অপরিণত ফল ঝরে পাওয়ার সমস্যা দেখা যায়,,সেই সমস্যা গুলো অনেকটা ক্ষেত্রেই কম করা যায়।। 









🔴- রিচমন্ড ও ল্যাং প্রতিক্রিয়া বলতে কী বোঝায়??? 


✅উওর=  রিচমন্ড - ল্যাং প্রতিক্রিয়া বলতে বোঝায়-  বিজ্ঞানী রিচমন্ড ও  ল্যাং পরীক্ষা করে দেখিয়েছিলেন যে বিভিন্ন গাছের পাতায় সাইটোকাইনিন প্রয়োগ করলে, সাইটোকাইনিন এর প্রভাবে ক্লোরোফিল ধ্বংসকারী ক্লোরোকাইনেজ উৎসেচকের ধ্বংসাত্বক ক্রিয়া রোধ হওয়ার জন্য ক্লোরোফ্লিলের ক্ষয় হ্রাস পায়।। এবং এ ঘটনার জন্য সেই গাছের প্রোটিন সংশ্লেষণ অব্যাহত থাকে যার ফলে সেই গাছের পাতা দীর্ঘদিন ধরে সতেজ থাকে এবং তার বৃদ্ধিও বিলম্বিত হয়।। এবং এই ঘটনাকে রিচমন্ড - ল্যাং প্রতিক্রিয়া বলে।।








🔴-মিশ্র গ্রন্থি কাকে বলে??  উদাহরণ দাও।


✅উওর= মিশ্র গ্রন্থি বলতে সেই সকল  গ্রন্থিকে বোঝায় যেসব গ্রন্থির প্রধানত অন্তক্ষরা গ্রন্থি ও বহিঃক্ষরা গ্রন্থির অংশের সমন্বয়ে গঠিত হয় এবং যেসব গ্রন্থি থেকে হরমোন এবং উৎসেচক উভয়ই নিঃসৃত হয় ,, সেসব গ্রন্থিকে মিশ্র গ্রন্থি বলা হয়।।


উদারহরণ- প্রাণী দেহের অগ্নাশয় হলো একটি মিশ্র গ্রন্থি







🔴-স্নায়ু কাকে বলে??


✅- উত্তর = যোগকলার আবরণীবেষ্টিত রক্তবাহ ও ফ্যাটকোশ যুক্ত স্নায়ুতন্তগুচ্ছকে স্নায়ু বা নার্ভ বলে।।





🔴-স্নায়ুতন্ত্র কাকে বলে???


✅উওর= স্নায়ুতন্ত্র হল স্নায়ুকোশ, এবং নিউরোগ্লিয়া দ্বারা গঠিত যে তন্ত্র প্রাণী দেহের বিভিন্ন অঙ্গ তন্ত্রের মধ্যে সংযোগ সাধন করে এবং পরিবেশ থেকে বিভিন্ন উদ্দীপনা গ্রহণ করে সেই উদ্দীপনা অনুযায়ী সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রক্ষা করে, তাকে স্নায়ুতন্ত্র বলে।।।






🔴 - ডেনড্রন ও অ্যাক্সনের একটি করে কাজ লেখো।  -[মাধ্যমিক 2016]


উওর✅= 

অ্যাক্সনের এর কাজ হলো =  অ্যাক্সন কোশদেহ থেকে আবেগ, অথবা স্নায়ুস্পন্দনকে অপর কোনো নিউরোনে নিয়ে যায় অর্থাৎ পরবর্তী ইফেক্টের বহন করে।। 

ডেনড্রন এর কাজ হল= ডেনড্রন পূর্ববর্তী নিউরোন বা গ্রাহক থেকে আবেগ কোশদেহে গ্রহণ করে।। 

সহজভাবে বলতে গেলে ডেনড্রন গ্রাহক বা অপর নিউরোনের অ্যাক্সন থেকে উদ্দীপনাকে কোশদেহে প্রেরণ করে।।







🔴- স্নায়ুতন্ত্রের দুটি কাজ লেখো।

[ মাধ্যমিক 2014,মাধ্যমিক 2009]


✅উওর=  স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান দুটি কাজ হল - 

প্রথমত =স্নায়ুতন্ত্র পরিবেশ থেকে বিভিন্ন ধরণের উদ্দীপনা গ্রহণ করে এবং সেই উদ্দীপনা অনুযায়ী সাড়া দিয়ে পরিবেশের সঙ্গে আমাদের সামঞ্জস্য বজায় রাখে।। 

 দ্বিতীয়তঃ স্নায়ুতন্ত্র আমাদের দেহের বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক অঙ্গ ও তন্ত্রের মধ্যে বিভিন্ন কাজ নিয়ন্ত্রণ করে। এবং আমাদের দেহে স্নায়ুতন্ত্র ভৌত সমন্বয় সাধন করে।।








🔴-স্নায়ুতন্ত্রকে ভৌত সমন্বয়ক বলা হয় কেন???


✅উওর= স্নায়ু়তন্ত্র আমাদের দেহে, বিভিন্ন স্নায়ু দ্বারা স্নায়ুস্পন্দন পরিবহনের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ তন্ত্রের মধ্যে একটি সমন্বয় ব্যবস্থা গড়ে তোলে।। হরমোন যেমন আমাদের দেহে রাসায়নিক সমন্বয় ব্যবস্থা গড়ে তোলে, এবং হরমোনের তার কাজের পর তার ভৌত পরিবর্তন ঘটে! অর্থাৎ কাজের হরমোন ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে দেহ থেকে বেরিয়ে যায়!  স্নায়তন্ত্রের ক্ষেত্রে এরকম কোন ভৌত পরিবর্তন ঘটে না!! তাই স্নায়তন্ত্র কে ভৌতসমন্বয়ক বলে।। 






🔴- প্রাণীদেহে হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যগত একটি সাদৃশ্য ও একটি বৈসাদৃশ্য লেখো- 


✅উওর- 

• প্রাণীদেহে হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের একটি সাদৃশ্য হলো= 

হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্র উভয়ই প্রানীদেহে  সমন্বয় সাধনের কাজ করে।। 


• প্রাণীদেহে হরমোন ও স্নায়ুতন্ত্রের একটি বৈসাদৃশ্য হলো=  

হরমোন প্রাণীদেহে প্রধানত রাসায়নিক সমন্বয় সাধন করে।। এবং স্নায়ুতন্ত প্রাণীদেহে ভৌত সমন্বয় সাধন করে।।।







🔴-সাইন্যাপস কাকে বলে??

অথবা, 

প্রান্তসন্নিকর্ষ কাকে বলে?


✅-উওর=  সাইন্যাপস বলতে বোঝায় দুটি নিউরনের সংযোগস্থলকে বোঝায়।।

- যেখানে একটি নিউরনের শেষ ও অপর একটি নিউরোনের শুরুর মাঝখানে প্রোটোপ্লাজমীয় অংশ থাকে,তাকে সাইন্যাপস বা স্নায়ু সন্নিধি বা প্রান্তসন্নিকর্ষ বলে।।।







🔴- সাইন্যাপটিক ক্লেফট কাকে বলে??


✅- উত্তর সাইন্যাপটিক ক্লিপ বলতে বোঝায় অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের মিলনস্থলে কিছুটা অংশ ফাঁকা থাকে, এবং অ্যাক্সন ও ডেনড্রনের সেই কিঞ্চিত ফাঁকা অংশটুকু কেই সাইন্যাপটিক ক্লেফট্ বা সন্নিধি প্রণালী বলে।।।







  

🔴- নার্ভ গ্যাংলিয়ন বা স্নায়ু গ্রন্থি কাকে বলে??


✅- উওর= কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের বাইরে কয়েকটি স্নায়ুকোশের কোশদেহ গুলি একত্রিত হয়ে যে,, ঈষৎ স্ফীত গ্রন্থি সৃষ্টি করে, তাকে স্নায়ু গ্রন্থি বা নার্ভ গ্যাংলিয়ন বলে।।।






🔴 - নিউরোট্রান্সমিটার কি? উদাহরণ দাও।


✅উওর= যেসকল জৈব রাসায়নিক পদার্থ স্নায়য়প্রান্ত, প্রধানত অ্যাক্সনেত প্রান্ত থেকে নিঃসৃত হয়, এবং সাইন্যাপস অঞ্চলে স্নায়ুস্পন্দন পরিবহনে অংশ নেয়,, তাদের নিউরোট্রান্সমিটার বলে।।

-" অ্যাসিটাইল কোলিন " -হল একপ্রকার নিউরোট্রান্সমিটার।।







🔴- নিউরোহরমোন কাকে বলে??  উদাহরণ দাও


✅উওর= যেসকল হরমোন স্নায়ুকোশ থেকে নিঃসৃত হয়!, তাদের নিউরোহরমোন বলে।।

উদাহরণ - ভেসোপ্রেসিন হল একপ্রকার নিউরো হরমোন।






🔴-কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র ও প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি লেখো  [মাধ্যমিক 2016]


✅উওর= 

• কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি হলো -মস্তিষ্ক সুষুম্নাকাণ্ড।

•  প্রান্তীয় স্নায়ুতন্ত্রের অংশগুলি হলো- করোটিক স্নায়ু( 12 জোড়া )। এবং সুষুম্না স্নায়ু (31 জোড়া) 







🔴- প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে??

- [মাধ্যমিক 2014 মাধ্যমিক 2011,মাধ্যমিক 2010]


✅ উওর= প্রাণীদেহে নির্দিষ্ট বহিস্থ কিংবা অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনার প্রভাবে যে স্বতঃস্ফূর্ত,তাৎক্ষণিক ও অনৈচ্ছিক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়, তাকে প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে।। 


প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ হল - উজ্জ্বল আলোতে আমাদের চোখ বন্ধ হয়ে যাওয়া!!

গরম বস্তুতে আমাদের হাত হাত পড়লে সেই গরম বস্তুটি থেকে আমাদের হাত আপনা-আপনিই সরে যাওয়া বা উপরে উঠে আসা।।






🔴- প্রতিবর্ত ক্রিয়া কত প্রকার?? এবং কী কী??


✅-  উওর= রুশ বিজ্ঞানী আইভান প্যাভলভ প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করেছেন। 

-  তার মতে প্রতিবর্ত ক্রিয়া প্রধানত দুই ধরনের হয়ে থাকে। 

-  প্রথমত - সহজাত প্রতিবর্তক্রিয়া! অথবা জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া। 

-  দ্বিতীয়তঃ অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বা অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া।







🔴- সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে?? একটি উদাহরণ দাও।

- [মাধ্যমিক 2010, মাধ্যমিক 2005]

✅উওর= যে সকল প্রতিবর্ত ক্রিয়া আমরা বংশগত সূত্র পেয়ে থাকি এবং যে সকল প্রতিবর্ত ক্রিয়া গুলি কোন শর্ত দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না, সেই সকল প্রতিবর্ত ক্রিয়াকে- "সহজাত প্রতিবর্ত" - অথবা - "জন্মগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া" বলে।। 

একটি জন্মগত বা সহজাত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ হল-  শিশুদের স্তনদুগ্ধ পান করা!

  তীব্র অথবা জোরালো আলো আমাদের চোখে এসে পড়লে আমাদের চোখর নিজে থেকে বন্ধ হয়ে যাওয়া।।





 

🔴- অভ্যাসগত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে? 

 বা, 

🔴 - অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া কাকে বলে??


✅উওর= যে সকল প্রতিবর্ত ক্রিয়াগুলি আমাদের জন্মগত নয় বাড়িগুলি আমাদের জন্মের পর বারবার অভ্যাস করার মাধ্যমে আমাদের অর্জিত হয়!! 

সেই সকল প্রতিবর্ত ক্রিয়াগুলিকে অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়া বলে..

  কয়েকটি অভ্যাসগত বা অর্জিত প্রতিবর্ত ক্রিয়ার উদাহরণ হল - সাঁতার শেখা,গান গাইতে পারা,  সাইকেল চালানো ইত্যাদি।।








🔴-নিউরোগ্লিয়া কাকে বলে??
-

✅-উওর= স্নায়ুতন্ত্রে একপ্রকার গঠনগত উপাদান পরিলক্ষিত,হয় যেগুলো স্নায়তন্ত্রে অবস্থিত, এবং  বিভাজনের সক্ষম কিন্তু স্নায়ুস্পন্দন বহনে অক্ষম।। এরুপ উপাদান গুলি স্নায়ুকোশে রক্ষণে সাহায্য করে!  এবং স্নায়ুতন্ত্রের ধারক হিসেবে কাজ করে।।  এগুলিকে নিউরোগ্লিয়া বলা হয়।। 








🔴***- চোখের উপযোজন কাকে বলে??


✅উওর= নির্দিষ্ট স্থানে স্থির থেকে, কোনো স্থান পরিবর্তন না করে,, অক্ষি গোলকের পেশী ও লেন্সের বক্রতার আকার পরিবর্তনের সাহায্যে,যে পদ্ধতিতে বিভিন্ন দূরত্বে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখা যায়,তাকে উপযোজন বা, একোমোডেশন বলে।। 







🔴- প্রাত্যহিক জীবনে উপযোজনের গুরুত্ব কী??

- অথবা, 

🔴- প্রাত্যহিক জীবনে উপযোজনের কয়েকটি ভূমিকা লেখো।।



✅উওর= প্রাত্যহিক জীবনে উপজেলার কয়েকটি ভূমিকা হলো- 

*প্রথমত - গাড়ির চালকদের রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাফিক সিগন্যাল বা পথনির্দেশ সঠিকভাবে দেখার জন্য সঠিক সময়ে লেন্সের উপযোজন না করলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।। এজন্য এরকম দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য উপযোজন বিশেষভাবে সাহায্য করে।।

* দ্বিতীয়তঃ বিভিন্ন পথচারীরা যদি রাস্তা পারাপারের সময় সঠিকভাবে লেন্সের উপযোজন না ঘটাতে পারে.. তাহলে দূর থেকে আসা গাড়িকে লক্ষ্য না করতে পারবে না!! এবং এর জন্য সেখানে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে!! তাই রাস্তা পারাপারের সময়ও আমাদের সঠিক উপযোজন প্রয়োজন।।










🔴- অশ্রুগ্রন্থি কোথায় অবস্থিত?? অশ্রু গ্রন্থির কাজ কী?


✅উওর=  অশ্রু গ্রন্থির অবস্থান হল - অক্ষিকোটরের উপরিতলে যেখানে অর্ধনেত্রপল্লব অক্ষিকোটরের সঙ্গে যুক্ত হয়,সেই স্থানে অশ্রুগ্রন্থি অবস্থিত।।


 অশ্রু গ্রন্থির কাজ হল- 

  প্রথমত- অশ্রুগ্রন্থি থেকে যে অশ্রু নিঃসৃত হয়,সেই অশ্রু আমাদের চোখকে সিক্ত রাখে।।এছাড়াও যখন আমরা কান্না করি তখন আমাদের চোখের জলের সাথে লাইসোজো

  নামক উৎসেচকআমাদের চোখের জীবানুকে নাশ করে।।







🔴- নিকট দৃষ্টি কী?

 অথবা, 

🔴-  মায়োপিয়া কী?? এবং এর প্রতিকার কী 

 

✅উওর= যে প্রকার দৃষ্টি জনিত সমস্যায় কোন একজন ব্যক্তি তার দূরের কোনো বস্তুকে স্পষ্টভাবে দেখতে পায় না!! কিন্তু তার কাছের কোন বস্তুকে স্পষ্ট ভাবে দেখতে পায়,, সেই প্রকার দৃষ্টিকে মায়োপিয়া বা নিকট দৃষ্টি বলে।। 


মায়োপিয়া রোগ - "অবতল" -লেন্স যুক্ত চশমা পড়লে ঠিক হয়।।









🔴- দূর দৃষ্টি কাকে?? 

- অথবা, 

🔴-  হাইপারমেট্রোপিয়া কাকে বলে??এর প্রতিকার কী?


✅উওর= যে প্রকার দৃষ্টি জনিত রোগে কোন একজন ব্যক্তি তার নিকটের কোনো বস্তুকে স্পষ্ট ভাবে দেখতে পায় না!!  কিন্তু তার দূরের কোনো বস্তুকে স্পষ্ট ভাবে দেখতে পায়!!,,, সেই সেই প্রকার দৃষ্টি জনিত রোগকে - " দূরদৃষ্টি " বা হাইপারমেট্রোপিয়া বলে।।


 হাইপারমেট্রোপিয়া রোগের জন্য - উত্তল লেন্স যুক্ত চশমা ব্যবহার করা হয়।।।









🔴  - গমন কাকে বলে??


✅উওর= যে প্রক্রিয়ায় জীব পরিবেশ থেকে বিভিন্ন বাহ্যিক উদ্দীপনা, অথবা নিজের দেহের অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা গ্রহণ করে, স্বেচ্ছায় নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ সঞ্চালন করে জীব তার সামগ্রিক স্থান পরিবর্তন করে!, সেই স্থান পরিবর্তন করারই  জীবের গমন বলে।।







🔴-জীবের গমনের কয়েকটি চালিকা শক্তি কী??

- অথবা, -

🔴- গমনের উদ্দেশ্য কী?  [মাধ্যমিক 2004]



✅ উত্তর = জীবের গমনের কয়েকটি চালিকাশক্তি, অথবা-  গমনের কয়েকটি উদ্দেশ্য হলো- 


 প্রথমত সেই জীবনের জন্য নিরাপদ আশ্রয়ে বা অনুকূল বাসস্থানের সন্ধান করা 

 

দ্বিতীয়তঃ অন্যান্য প্রাণী অথবা অন্য কোনো বিপদ থেকে থেকে নিজের আত্মরক্ষা করা


তৃতীয়তঃ নিজের বংশবিস্তারের জন্য, উপযুক্ত সঙ্গীর খোঁজ করা।।


চতুর্থতঃনিজের জন্য খাদ্যে অন্বেষণ করা







🔴- বিশ্রামরত একটি প্রাণী গমনে উদ্যত হল এর চারটি সম্ভাব্য কারণ লেখো।। [মাধ্যমিক 2018] 



✅-  উওর= একটি বিশ্রামরত প্রাণী গমনে উদ্যত হল এর চারটি সম্ভাব্য কারণ হতে পারে- 


প্রথমঃ নিজের জন্য খাদ্যে অন্বেষণ করা


দ্বিতীয়তঃ অন্যান্য প্রাণী অথবা অন্য কোনো বিপদ থেকে থেকে নিজের আত্মরক্ষা করা।

 

তৃতীয়তঃ নিজের জন্য আশ্রয় খোঁজা বা বাসস্থান খোঁজা। 

  

এবং চতুর্থ কারণ হতে পারে - সেই প্রাণীটি নিজের বংশবিস্তারের জন্য করার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী খুঁজে বেড়ানোর জন্য গমনে উদ্যত হয়েছে।।







🔴- অ্যামিবয়েড গমন কী?


✅-  অ্যামিবা নামক এককোশী প্রাণীর ক্রমান্বয়ে ক্ষণপদ সৃষ্টি ও সেটা অবলুপ্তি মাধ্যমে ধীরে ধীরে নিজের স্থান পরিবর্তন করার পদ্ধতিকে অ্যামিবয়েড গমন করে।।







🔴- ক্ষণপদ বা সিউডোপোডিয়া কী???


✅উওর= অ্যামিবা নামক এককোশী প্রাণী, যখন-  অনুকূল পরিবেশে নিজের বাসস্থান,খাদ্য অন্বেষণের জন্য গমন করতে উদ্যত হয়,, তখন তার দেহ মধ্যস্থ একক্টপ্লাজম প্রলম্বিত হয়ে,, দেহের পরিধির দিকে একটি অস্থায়ী পদের সৃষ্টি হয়।। যাকে ক্ষনপদ বা, সিউডোপোডিয়া বলে।।।








🔴-মায়োটোম পেশি কাকে বলে??


✅-উওর= মাছের মেরুদন্ডের দু-পাশে অবস্থিত ইংরেজি অক্ষর -V- এর মতো যে পেশিগুলি থাকে যা, মাছকে জলে সাঁতার কাটতে, এবং দেহকে দুপাশে আন্দোলিত করতে সাহায্য করে,, তাকে মায়োটোম পেশি বলে।।







🔴- মাছের গমনে মায়োটোম পেশীর ভূমিকা কী??

✅- উওর= মাছের দেহের, মাথার পেছন থেকে লেজ পর্যন্ত মেরুদন্ডের দু-পাশে অবস্থিত ভি আকৃতির যে মায়োটাম পেশি থাকে, সেই পেশির তরঙ্গায়িত সংকোচন মাছের দেহকে অগ্রভাগ প্রান্ত থেকে পশ্চাদ্ প্রান্ত পর্যন্ত প্রবাহিত হওয়ার ফলে মেরুদন্ড দু-পাশে পর্যায়ক্রমে আন্দোলিত হয়।। 

- এবং মাছ সামনের দিকে এগিয়ে যায়।। পেশি যেদিকে সংকুচিত হয় মেরুদন্ড সে দিকে বেঁকে যায়!  ওই সময় বিপরীত দিকের পেশি প্রসারিত থাকে।  মায়োটোম পেশিগুলির পর্যায়ক্রমে সংকোচন-ও প্রসারণের জন্য মেরুদণ্ডটিও পর্যায়ক্রমে দুপাশে আন্দোলিত হতে থাকে! ফলে মাছ সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে।।








🔴- সাইনোভিয়াল তরল কোথায় থাকে?? 


 এবং - সাইনোভিয়াল তরল এর কাজ কী??

✅উওর= সচল অস্থিসন্ধির প্রকোষ্ঠে সাইনোভিয়াল তরল থাকে।। 

এবং সাইনোভিয়াল তরল এর কাজ হল- 

যখন আমরা গমন করি অথবা আমাদের শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি গুলি নড়াচড়া করে, তখন সেই অস্থির সন্ধি গুলির মধ্যে পরস্পরের সাথে ঘর্ষণ হবার সম্ভাবনা থাকে!! এবং যার ফলে সেখানে ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।। এবং সেই অস্থিসন্ধি গুলিকে পরস্পরের সাথে ঘর্ষণ জনিত আঘাত থেকে রক্ষা করাই হলো সাইনোভিয়াল তরলের কাজ।। 




একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
To Top