উওরসহ মাধ্যমিক 2022 ইতিহাস সাজেশন | সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।
সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর। |
আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় অর্থাৎ সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর নিয়ে আলোচনা করবো।। আজকের এই পোস্টটি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আজকের এই পোস্টটি শুধুমাত্র মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন নয়!! আজকের এই পোস্টে দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ে " সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা " অধ্যায়ের প্রশ্নের সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু উত্তর শেয়ার করা হবে।।।আজকের এই পোস্টে দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তরের বিষয়টিকে কেন্দ্র করে সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ চার নম্বরের প্রশ্ন উত্তর দেওয়া হবে। বিগত কিছু বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে যে ধরনের প্রশ্ন এসেছিল, এবং বিভিন্ন টেস্ট পেপারে সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ে থাকে যে প্রশ্নগুলি থেকে থাকে, আজকে আমরা সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সেই সমস্ত প্রশ্ন উত্তর সহকারে তোমাদের সাথে শেয়ার করবো।। দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর এর বিষয়ে দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে এর আগেও আমরা একটি পোস্ট শেয়ার করেছিলাম, দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়ের সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তরের সেই পোস্টটি না দেখে থাকলে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে সেই পোস্টটি দেখে নিন।।
- আজকের এই পোস্টের বিষয়-
* দশম শ্রেণীর ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন উত্তর
* মাধ্যমিক ইতিহাস সাজশন
* মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন উওর
* সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর।
• মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন
• মাধ্যমিকের ইতিহাসের বড় প্রশ্ন উত্তর
• মাধ্যমিক ইতিহাস ছোট প্রশ্ন উত্তর
• দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন
• wb class 10 history suggestion
• wb madhyamik history suggestion
• wb madhyamik history question and answer
• Madhyamik History Suggestion 2022
• Madhyamik History question and answer
• Madhyamik History short question and answer Bengali
• দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায়
• দশম শ্রেণির ইতিহাস বড় প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায়
• দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়
• মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর
• Class 10 History Chapter 2 Notes in bengali
• Class 10 History Chapter 2 important Questions and answers in Bengali
• Class 10 History Chapter 2 questions and answers in Bengali
• ক্লাস 10 ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়
1- হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের উনিশ শতকের বাংলার কীরুপ সমাজ চিত্র পাওয়া যায়??
[মাধ্যমিক 2018]
অথবা,
- হুতোম প্যাঁচার নকশা কালীপ্রসন্ন সিংহ কলকাতার কিরূপ সমাজ চিত্র তুলে ধরেছেন??
উওর:
⚫ ভুমিকা - সাহিত্যে কালীপ্রসন্ন সিংহের লেখা হুতুম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি উনিশ শতকের বাংলার একটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ, যাতে সমকালীন বাংলার প্রধানত কলকাতার সমাজের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।।
⚫ বাংলার উৎসব:-
- কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতুম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থে সমকালীন বাংলার বিভিন্ন উৎসব এর খুঁটিনাটি দিকগুলি স্থান পেয়েছে.. এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গাজন,বারোয়ারি,দুর্গাপূজা, চড়ক, মাহেশের স্নানযাএা ইত্যাদি।।
⚫ সমাস বিন্যাস:-
উনিশ শতকে বাংলায়, ইংরেজ শাসন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের সুএ ধরে সমাস বিন্যাসে পরিবর্তন আসে।। উনিশ শতকে পাশ্চাত্য শিক্ষায় শিক্ষিত ও কলকাতায় হঠাৎ ফুলে-ফেঁপে ওঠা অত্যন্ত ধনী বাবুদের মধ্যে যে সামাজিক অবক্ষয় শুরু হয়! তার স্বরুপটি কালীপ্রসন্ন সিংহ তার এই গ্রন্থে খুব স্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন।। কালীপ্রসন্ন সিংহ তার এই হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের মাধ্যমে বাবু সংস্কৃতির তীব্র সমালোচনা করেন। এবং সমকালীন শিক্ষিত বাঙালিকে সচেতন করে, তার সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছে।।।
⚫মধ্যবিত্তদের মানসিকতা: -
- কালীপ্রসন্ন সিংহ হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থের হুতুম পেঁচা ছদ্মনামে কোন শতকের বাংলার মধ্যবিত্ত সমাজের মানসিকতার ও ক্রিয়া-কলাপ এর তীব্র সমালোচনা করেছেন।। এছাড়াও কালীপ্রসন্ন সিংহ ব্যবসা ব্যবসা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী এবং গ্রাম থেকে কলকাতায় চলে আসা জমিদাররা যে বিলাসবহুল এবং দেখনদারি সংস্কৃতির সূচনা করেছিল, তিনি সেই বিষয় গুলিও তাঁর গ্রন্থে তুলে ধরেছিলেন ।।
⚫সংস্কৃতি :-
নীলের ব্রত, গাজন, সন্ন্যাসীদের শিবের কাছে মাথা দোলালো, যাত্রাগান, বুলবুল এর গান,,, অশ্লীল কথাযুক্ত আখড়াই গান ছিল তৎকালীন সংস্কৃতির অঙ্গ।। আবার বাইজিনাচ ও মদ্যপান সংস্কৃতিও ছিল কলকাতার বাবু সমাজের একটি বিশেষ দিক।। এ গ্রন্থে কলকাতার বাবুসমাজ ছাড়াও নীল চাষীদের উপর নীলকর সাহেবরা কিভাবে অত্যাচার করত, সে দিকটিও এখানে তুলে ধরা হয়েছে।।।
⚫ উপসংহার : - পরিশেষে বলা যায় যে প্রথম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি ছিল সমকালীন বাংলার আর্থসামাজিক ইতিহাসের প্রামাণ্য দলিল।।। যেখানে কালীপ্রসন্ন সিংহ সমাজের বিভিন্ন সমালোচনামূলক দিক গুলি খুব ভালো হবে তুলে ধরেছেন।।।
আরও জানতে নিচের লিঙ্কে ক্লিক করুন👇👇
নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদ কে করেন?
মাইকেল মধুসূদন দত্ত নাকি রেভারেন্ড জেমস লং?
2- ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের অবদান কী ছিল???
ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের অবদান! |
- ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের অবদান -
✅- উওর=
ভূমিকা:- ভারতে খ্রিস্টান মিশনারীরা প্রধানত খ্রিস্টধর্ম প্রচার এর জন্য এসেছিলেন।। এদেশের লোকেরা যাতে খ্রিস্টধর্মের পবিত্র গ্রন্থ বাইবেল পড়তে পারে, সেজন্য খ্রিস্টান মিশনারীরা বহু আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্কুল ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে শুরু করে।।
-ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারীদের ভুমিকা ছিল -
⚫- শ্রীরামপুর মিশনের উদ্যোগ-
-
- 1800 খ্রিস্টাব্দে উয়িলিয়াম কেরি,জোশুয়া মার্শম্যান, এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড এর উদ্যোগে শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
- এই শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের জন্য, 126 টি বিদ্যালয় স্থাপন করে।।।
⚫ শ্রীরামপুর কলেজ -
উইলিয়াম কেরি নামে একজন ব্যাপটিস্ট মিশনারী, জোশুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড সহযোগিতায় শ্রীরামপুরে- " শ্রীরামপুর মিশন "- নামের ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।। পরবর্তীকালে এই বিদ্যালয়টি - " শ্রীরামপুর কলেজ"- এ পরিণত হয়।।
⚫-লন্ডন মিশনারীদের উদ্যোগ-
লন্ডন মিশনারির সদস্য রবার্ট মে - 1814, খ্রিস্টাব্দে চুঁচুড়ায় একটি ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।। এবং পরবর্তীকালে তিনি আরও 36 ইংরেজি বিদ্যালয় স্থাপন করেন।। - চার্চ মিশনারি সোসাইটি ছিল এরকম একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।।।
⚫- উচ্চশিক্ষার প্রসারে খ্রিস্টান মিশনারীদের
ভূমিকা-
শ্রীরামপুর মিশনারীরা 1818 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন - শ্রীরামপুর ব্যাপ্টিস্ট মিশন কলেজ "- 1819 খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিশপস্ কলেজ।। তবে স্কটিশ মিশনারি আলেকজান্ডার ডাফ কলকাতার আসার পর মিশনারীদের প্রচেষ্টায় ইংরেজি শিক্ষার প্রসারে এক নতুন গতি আসে ।। তিনি 1830 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ফিরিঙ্গি কমল বোসের বাড়িতে প্রতিষ্ঠা করেন- " জেনারেল অ্যাসেমব্লিজ ইন্সটিটিউশন " - নামের ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।। পরবর্তীকালে এটি স্কটিশচার্চ কলেজ নামে পরিণত হয়।। এছাড়াও 1835 খ্রিস্টাব্দে জেসুইট মিশনারীরা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ।।
⚫উপসংহার: -
- সবশেষ বলা যায় যে ভারতে খ্রিস্টান মিশনারীরা তাদের খ্রিস্টধর্ম প্রচার করতে এলেও, তারা ভারতীয়দের নৈতিক উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করেছিলেন।।এবং এই বিষয়টি অনুধাবন করার পরেই তারা ভারতে বিভিন্ন পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক বিদ্যালয় এবং কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।। এবং খ্রিস্টান মিশনারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভারতের বহু ছাত্রছাত্রীরা আধুনিক শিক্ষালাভের সুযোগ পেয়েছিল।। এবং এভাবেই ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে খ্রিস্টান মিশনারীদের বিশেষ ভূমিকা রয়েগেছে।।
নিচে দেওয়া লিঙ্ক গুলোর ওপর ক্লিক করে বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন গুলো দেখে নিতে পারেন। 👇👇
1- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর
2- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উওর
3- সংস্কার : বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
4- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর ও সাজেশিন
6- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন উওর ও সাজেশন
9- বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উওর
3- প্রাচ্য - পাশ্চাত্য বিতর্ক কী??
অথবা-, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিষয়ক দ্বন্দ্ব কী??
অথবা,
টীকা লেখো : - প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিতর্ক
- প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিষয়ক দ্বন্দ্ব-
✅উওর=
⚫ভূমিকা : 1810 খ্রিস্টাব্দে গভর্নর জেনারেল মিন্টো ভারতীয়দের শিক্ষার শোচনীয় অবস্থার কথা একটি রিপোর্টে তুলে ধরেন, এবং কোম্পানির কাছে ভারতীয় শিক্ষার উন্নয়নের জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদন করেন।। গভর্নর-জেনারেল মিন্টোর সাথে সাথে খ্রিস্টান মিশনারীরা ভারত ও ইংল্যান্ডে কোম্পানির শিক্ষানীতির তীব্র সমালোচনা করেছিল, যার ফলে সরকার 1813 খ্রিস্টাব্দে সনদ আইন পাস করে এবং এই কথা ঘোষণা করে যে এখন থেকে সরকার ভারতীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রতি বছর 1 লক্ষ টাকা ব্যয় করবে।। কিন্তু এই টাকা প্রাচ্য না পাশ্চাত্য শিক্ষা পদ্ধতিতে বা প্রসারে খরচ করা হবে সে সম্পর্কে আঠারোশো কুড়ি দশকে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব বা প্রাচ্য-পাশ্চাত্য বিতর্ক নামে পরিচিত।।
⚫- প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিতর্কের সৃষ্টি -
1823 খ্রিস্টাব্দে গঠিত কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন বা জনশিক্ষা কমিটির সদস্যরা মূলত এই বিষয়কে কেন্দ্র করে দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায় যে,, চার্টার অ্যাক্ট বা সনদ আইনের এক লক্ষ টাকা ভারতের কোন ধরনের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করা হবে!! অর্থাৎ সরকার যে এক লক্ষ টাকা ভারতের শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় করবে সেটা কি ভারতে প্রাচ্য শিক্ষা পদ্ধতিতে ব্যয় করা হবে নাকি আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা পদ্ধতিতে ব্যয় করা হবে।। এবং এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে প্রাচ্যবাদী অর্থাৎ ওরিয়েন্টালিস্ট এবং পাশ্চাত্যবাদী বা অ্যাংলিসিস্টদের মধ্যে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয় যা প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য বিতর্ক! বা প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব নামে পরিচিত।।
⚫ -বিতর্কের অবসান: -
যখন প্রাচ্যবাদী অর্থাৎ ওরিয়েন্টালিস্ট, এবং পাশ্চাত্যবাদী অথবা অ্যাংলিসিস্টদের মধ্যে, এই বিতর্ক খুব বড় আকার ধারণ করে, তখন কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন এর সভাপতি এবং লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং এর আইন সচিব টমাস বেবিংটন মেকলে 1835 সালের 2 ফেব্রুয়ারি তার একটি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন!, যা মেকলে মিনিট নামে পরিচিত।। এবং এই মিনিট বা প্রতিবেদনে তিনি পাশ্চাত্য শিক্ষার পক্ষে মত ব্যক্ত করেন।। এবং আইন সভায় এই বিতর্ক বহু তর্ক বিতর্ক শুরু হয়েছিল।। কিন্তু অবশেষে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক টমাস ব্যাবিংটন মেকলের প্রতিবেদন এর গুরুত্ব দেন।। এবং এভাবেই প্রাচ্য-পাশ্চাত্য দ্বন্দ্বের অবসান ঘটে।।।
⚫- সরকারি শিক্ষানীতি :-
-
- কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন এর সভাপতি এবং লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং এর আইন সচিব টমাস বেবিংটন মেকলের - মেকলে মিনিট বা তা প্রতিবেদন কি গুরুত্ব দিয়ে 1835 খ্রিষ্টাব্দের 7 ই মার্চ ভারতীয় শিক্ষার উন্নয়নে পাশ্চাত্য শিক্ষা কে সরকারি নীতি হিসেবে ঘোষণা করেন।।
⚫ উপসংহার :- 1813 খ্রিস্টাব্দে হাত ধরে ভারতের প্রথম শিক্ষার উন্নয়ন ভাবনাটি উঠে আসে।। এবং 1823 খ্রিস্টাব্দের কমিটি অফ পাবলিক ইন্সট্রাকশন এর পরের ভারতে প্রাচ্য এবং পাশ্চাত্য শিক্ষা বিষয়ক দ্বন্দ্ব শুরু হয়।। এবং সবশেষে টমাস বেবিংটন মেকলে মিনিট মেকলে প্রতিবেদন এর হাত ধরে ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসার কে সরকারি নীতি হিসেবে ঘোষণা করা হয়।। যার ফলে ভারতের বাংলা প্রদেশে সহ অন্যান্য প্রদেশগুলিতেও আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটে।।
4- নারী শিক্ষার প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান সম্পর্কে লেখো।।
নারী শিক্ষার প্রসারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের অবদান -
✅উওর=
ভুমিকা :- বিখ্যাত সংস্কৃত পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সারাজীবন শিক্ষার বিস্তার এবং শিক্ষার সংস্কারে বিভিন্ন ভুমিকা পালন করেছেন।। বিশেষত- নারীদের শিক্ষার বিস্তারে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ছিলেন পথিকৃত।।। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সমাজে নারীদের অন্যান্য দিক গুলির কল্যাণ এর সাথে সাথে ন তিনি নারীদের শিক্ষার বিষয়েও বিশেষ উদ্যোগী হয়েছিলেন।। যেমন-
⚫-উদ্যোগ -
- উনিশ শতকে বহু মনীষি নারী শিক্ষার প্রয়োজনীয়তার কথা অনুভব করলেও বিদ্যাসাগর সেই কাজটি হাতে কলমে করে লিখে দিয়েছিলেন।। কারণ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রথম জীবন গ্রাম কেটেছিল বলে তিনি নারী নির্যাতনের বিষয়টি তিনি শহরের মানুষের থেকে বেশি ভালো করে দেখে ছিলেন।। এবং তাই তিনি নারীদের এই নির্যাতনের হাত থেকে পরিত্রান দেওয়ার জন্য তিনি নারী শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহন করেছিলেন।।। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের বুঝেছিলেন যে নারীদের সার্বিক উন্নয়নের জন্য নারীদের শিক্ষার প্রয়োজন।। এবং সমাজে নারীদের বিভিন্ন অধিকার পেতে হলে তাদের মধ্যে শিক্ষা থাকাটা খুব জরুরি।।। এজন্যই সে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারীদের শিক্ষার জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।।
- যেমন: -
⚫ প্রথমত - স্কুল প্রতিষ্ঠা:
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর যখন দক্ষিণবঙ্গের স্কুল পরিদর্শক এর সহকারী পদে ছিলেন,, তখন তিনি সেই সুযোগে বাংলার বিভিন্ন স্থানে 35 টি বালিকা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।। এগুলিতে প্রায় তেরোশো ছাত্রী পড়াশোনা করতো।। এবং পরবর্তীতে ঈশ্বর বিদ্যাসাগর আরো এবং 100 টি বাংলা স্কুল স্থাপন করেছিলেন।। যেখানে নারীরা শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছিল।।
⚫- বেথুন সাহেবকে সাহায্য :
- 1849 খ্রিস্টাব্দে যখন জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বেথুন সাহেব বাংলায়, - ক্যালকাটা
- ফিমেল স্কুল - প্রতিষ্ঠা করা উদ্যোগ নিয়েছিলেন, তখন ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সাহেবকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন।।।
⚫- ভগবতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা:
- ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তার নিজের জন্মস্থান অর্থাৎ মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে তার মা ভগবতী দেবীর স্মৃতি রক্ষার্থে এবং সেখানকার নারীদের শিক্ষার প্রসারে 1890 খ্রিস্টাব্দে ভগবতী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।।
⚫-নারী শিক্ষা ভান্ডার :
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্থাপিত বিদ্যালয়গুলিতে যখন সরকার আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিয়েছিল, তখন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষা ভান্ডার নামে একটি তহবিল গঠন করেছিলেন।।
⚫- স্ত্রীশিক্ষা সম্মিলনী: নারীদের মধ্যে শিক্ষা সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য তিনিরধহুগলি, বর্ধমান, মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় স্ত্রী শিক্ষা সম্মিলনী নামক একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।।
⚫ উপসংহার: বিদ্যাসাগর নারী শিক্ষার প্রসার ও নারী সমাজের উন্নতির জন্য যুক্তির চেয়ে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রের উপর বেশি গুরুত্বপূর্ণ দেন।। তাই ঐতিহাসিক অমলেশ ত্রিপাঠী দেখে ঐতিহ্যবাহী আধুনিকা বলে অভিহিত করেছিলেন।।
5- পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো।।
ভূমিকা: উনিশ শতকে ভারতবর্ষের সামাজিক পটভূমিতে রাজা রামমোহন রায় সর্বপ্রথম কুসংস্কার ও কুপ্রথা দূর করে জাতীয় জীবনে জাগরণ ঘটাতে সচেষ্ট হন।। এবং তিনি ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে উদ্যোগী হয়ে পড়েন।।
ভারতের পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা ছিল-
⚫ -উদ্যোগ : পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে রাজা রামমোহন রায়কে পথিকৃত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। রাজা রামমোহন রায় উপলব্ধি করেছিলেন যে আমাদের সমাজে যদি পাশ্চাত্যের জ্ঞান-বিজ্ঞানের শিক্ষার আলো না পরে,, তাহলে আমাদের সমাজ থেকে কখনোই অন্ধ কুসংস্কার, সমাজের বিভিন্ন ভুল ধারণা, বা খারাপ দিকগুলি কখনোই শেষ হবেনা।। এবং আমাদের মধ্যে কখনোই যুক্তিবাদী মানসিকতা মনে জেগে উঠবে না । তাই আমাদের মধ্যে পাশ্চাত্য শিক্ষা একান্ত প্রয়োজন।। এবং এই চিন্তা ভাবনা থেকেই রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে বিশেষ উদ্যোগে পরেন।।
⚫- সরকারের কাছে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের জন্য আবেদন: -
রাজা রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে একটি চিঠির মাধ্যমে অনুরোধ করেছিলেন, যে ভারতবাসী শিক্ষার উন্নয়নের জন্য সরকার যে এক লক্ষ টাকা ব্যয়ের দায়িত্ব নিয়েছে, তা যেন এদেশের পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের জন্য ব্যয় করা হয়।। কারণ রাজা রামমোহন রায় জানতেন যে পাশ্চাত্য শিক্ষা লাভ করলে ভারতবাসী পৃথিবীর অন্যান্য জাতির মত আত্মবিশ্বাসী এবং শক্তিশালী হয়ে উঠবে!! তাই ভারতবাসীর জন্য আধুনিক শিক্ষাদান একান্ত প্রয়োজন।।।
⚫-নিজের উদ্যোগে ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা:
- এদেশে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে রাজা রামমোহন রায় নিজের উদ্যোগে এবং নিজের অর্থ খরচ করে 1815 খ্রিষ্টাব্দের - অ্যাংলো হিন্দু স্কুল "- নামে একটি ইংরেজী বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।।
⚫-বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা:
রাজা রামমোহন রায় সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার দূর করার জন্য এবং পাশ্চাত্য পদার্থবিদ্যা ও সমাজ বিজ্ঞানের ধারণা প্রসারের উদ্দেশ্যে তিনি তার নিজের অর্থ খরচ করে 1826 খ্রিস্টাব্দে বেদান্ত কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।।।
⚫-আলেকজান্ডার ডাফ কে সাহায্য:
- রাজা রামমোহন রায় আলেকজান্ডার ডাফ কে জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইনস্টিটিউট স্থাপনের সময় বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন।।
⚫উপসংহার:
রাজা রামমোহন রায় ভারতে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেই নিজের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন ভাবে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রসারে উদ্যোগী হয়েছিলেন।। রাজা রামমোহন রায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারের মাধ্যমে ভারতীয় সমাজ থেকে বিভিন্ন কুসংস্কার এবং অন্ধবিশ্বাস দূর করে ভারতে আধুনিক সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন।।।
6- এদেশে চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে কলকাতা মেডিকেল কলেজের ভূমিকা কিরূপ ছিল??
[ মাধ্যমিক 2018]
এদেশে চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে কলকাতা মেডিকেল কলেজের ভূমিকা |
⚫ভূমিকা- বাংলা তথা ভারতে আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যাচর্চা শুরু হয় 1835 খ্রিষ্টাব্দে কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে।।। ইউরোপীয় চিকিৎসা পদ্ধতিতে শিক্ষাদানের এটি ছিল এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মেডিকেল কলেজ।।। কলকাতায় অবস্থিত এই চিকিৎসা কেন্দ্র টি 1835 খ্রিস্টাব্দে 28 জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়.। এখান আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতির পাশাপাশি এই মেডিকেল কলেজে ডাক্তারি ও নার্সিং এর পাঠদান করা হতো।।।
.-এদেশের আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যার ক্ষেত্রে কলকাতা মেডিকেল কলেজের ভূমিকা ছিলো এরূপ যে-
⚫-সুচনা -
1835 খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় - "কলকাতা মেডিকেল কলেজ"- প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগে আমাদের এদেশের, বা ভারতের আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যার প্রচলন সেরকম ভাবে ছিল না।। সে সময়ে চিকিৎসা পদ্ধতি বলতে বোঝাত পুরনো দিনের বৈদ্য, ঋষিদের প্রাচীনকালের চিকিৎসা পদ্ধতি।। তাই ভারতে আধুনিক চিকিৎসা বিদ্যার প্রসার ঘটাতে 1835 খ্রিস্টাব্দে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক কলকাতায় - "কলকাতা মেডিকেল কলেজ"- প্রতিষ্ঠা করেন।।
এবং এভাবে ভারতে আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যার প্রসার ঘটতে শুরু হয়।।
⚫ আধুনিক ইউরোপীও চিকিৎসা বিদ্যা-
কলকাতা মেডিকেল কলেজ হল এশিয়ার দ্বিতীয় কলেজ, যেখানে আধুনিক ইউরোপের চিকিৎসাবিদ্যা শেখানো হতো।। কলকাতা মেডিকেল কলেজে আধুনিক শল্য চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা ও রুপায়ণে ভূমিকা নিয়েছিলেন কলকাতা মেডিকেল কলেজের প্রথম সুপারিন্টেনডেন্ট - এম.জে. ব্রামলি।।
⚫ প্রশিক্ষণ ও পাঠ্য বিষয় -
পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার প্রশিক্ষণের জন্য 14 থেকে কুড়ি বছর বয়সি 100 জন ছাত্রের ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার পর নির্বাচিত 49 জন ছাত্রকে নিয়ে মেডিকেল কলেজের প্রথম ক্লাস শুরু হয়েছিল।। কলকাতা মেডিকেল কলেজে তত্ত্বগত ও ব্যবহারিক অ্যানাটমী,, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক রসায়নবিদ্যা,, তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক মেডিসিন চিকিৎসায়,, ব্যবহৃত ওষুধ প্রস্তুত সেখানো হতো।। প্রথম দিকে পাঠ দানেত মাধ্যমে ইংরেজি হলেও পরবর্তীকালে দেশীয় ভাষায় পাঠদান শুরু হয়েছিল।।
⚫ বিদেশ থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ-
কলকাতা মেডিকেল কলেজের সুপারিনটেনডেন্ট ডক্টর ব্র্যামলির পরিকল্পনার সূত্র ধরে, কলকাতা কলেজের অতিমেধাবী ছাত্রদের ইংল্যান্ডের প্রেরণ করার এবং উচ্চ মানের মেডিকেলশিক্ষা লাভের ব্যবস্থা করা হয়।। ভোলানাথ বসু,সূর্যকুমার চক্রবর্তী, ও গোপালচন্দ্র শীল ছিলের প্রথম ডাক্তার যারা ডা. ব্র্যামলির পরিকল্পনায় বিদেশ থেকে উচ্চমানের মেডিকেল শিক্ষা লাভ করেছিলেন।।
⚫নবজুগের সুচনা ; -
- কলকাতা মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবার কিছু সময় পরে অনেক ছাত্র মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ রাখলেও,অনেকেই সেখানে ভর্তি হতো না!! কারণ তখন এই অন্ধ বিশ্বাস ছিল যে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হবার পর যদি শবব্যবচ্ছেদ করা হয় তাহলে তার ধর্ম নষ্ট হবে বা তাকে সমাজের বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হবে।। কিন্তু কলকাতা মেডিকেল কলেজের হিন্দু ছাত্র মধুসূদন গুপ্ত 1836 খ্রিস্টাব্দে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করে নব যুগের সৃষ্টি করেছিলেন।। এই কাজের পর বিভিন্ন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার আগ্রহ জেগে ওঠে।। এবং এভাবে আস্তে আস্তে বিভিন্ন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে মেডিকেল শিক্ষা লাভ করার পর ভারতের বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার হিসেবে তাদের জীবন শুরু করেন।। এবং তাদের সেবায় ভারতে চিকিৎসা বিদ্যা এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনা হয়।।
⚫উপসংহার-
কলকাতা মেডিকেল কলেজ ছিল এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় কলেজ।। এই কলেজের প্রথম ব্যাচে পাস করা, উমেশচন্দ্র শেঠ, রাজকৃষ্ণ দে, দ্বারকানাথ গুপ্ত প্রমুখ ডাক্তাররা ঢাকা,মুর্শিদাবাদ,পাটনা প্রভৃতি স্থানের হাসপাতালে ডাক্তার হিসেবে তাদের কর্মজীবন শুরু করেন।। এবং তাদের চিকিৎসা এবং সেবায় ভারতের বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন ভাবে উপকৃত হয়েছিলেন।। কলকাতা মেডিকেল কলেজে হাত ধরেই ভারতে আধুনিক চিকিৎসাশিক্ষার প্রসার ঘটে,, এবং সেসব শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভারতের বিভিন্ন ডাক্তাররা,ভারতবাসীর জন্য এক নবযুগের সূচনা করেন।।
7-
স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম সংস্কারে আদর্শ ব্যাখ্যা করো-
অথবা,
- স্বামী বিবেকানন্দের নব্য বেদান্ত বাদ সম্পর্কে লেখ।।
⚫ভূমিকা - পৃথিবীর প্রাচীনতম গ্রন্থ গুলির মধ্যে অন্যতম হলো -" বেদ "-।। বেদ এর শেষভাগ হলো উপনিষদ! এজন্য একে বেদান্ত বলা হয়।স্বামী বিবেকানন্দ বেদান্তের মানবতাবাদ কে নতুন রূপে ব্যাখ্যা করেছিলেন যার জন্য একে নব্য বেদান্ত বলে।।
⚫লক্ষ্য:- ব্যক্তিগত জীবনে স্বামী বিবেকানন্দ দারিদ্র্য দুঃখ,শ্রীরামকৃষ্ণের উপদেশে ভারতের পরিক্রমনের সময় নিজের চোখে তিনি ভারতবাসীর দুর্দশা দর্শন করেছিলেন।।। ভারতবাসীর এরকম দুর্দশা নিজের চোখে দেখার পর, তা স্বামী বিবেকানন্দের ধর্ম চিন্তাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল।।। এজন্য মানুষকে অনুষ্ঠান সর্বস্ব, ধর্মের বেড়াজাল থেকে মুক্ত, সাধারণ মানুষের সেবার আদর্শে তুলে ধরাই ছিল স্বামী বিবেকানন্দ ধর্মচিন্তার মুল লক্ষ্য।।।
⚫ স্বামী বিবেকানন্দের নতুন ধর্মাদর্শ: -
প্রাচীন বেদান্তে বলা হয়েছিল যে ব্রহ্ম সত্য!কিন্তু জগৎ মিথ্যা।। ব্রহ্ম ও আত্মা পৃথক কিছু নয়!!
স্বামী বিবেকানন্দ এটিকে নতুন ভাবে ব্যাখ্যা দেন, তিনি বলেন যে সর্বত্রই ব্রহ্মের উপস্থিতি।।।
সাধারণ মানুষের মধ্যেই ব্রহ্ম আছে।।তাই সাধারণ মানুষের সেবা করা হলো ব্রহ্মের সেবা করা।।
⚫সমাধি- প্রাচীন অদ্বৈত দর্শনে সমাধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি!! কিন্তু স্বামী বিবেকানন্দ তাঁর নব্য বেদান্তে মানুষের মুক্তির জন্য সমাধির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন।।।
⚫শিকাগো সম্মেলন- স্বামী বিবেকানন্দ 1893 খ্রিস্টাব্দে আমেরিকার শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলনে যোগ দেন।। এবং সেখানে তিনি তাঁর বক্তৃতায় ভারতের সনাতন ধর্মের অদ্বৈত বেদান্তের আদর্শ ও বিশ্বজনীন আদর্শ ব্যাখ্যা করেন।।
8- উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের ভুমিকার মূল্যায়ন করো।
- [ মাধ্যমিক 2018 ]
✅উওর= উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের ভুমিকা।::-
-উনিশ শতকের সমাজসংস্কার আন্দোলনে ব্রাহ্মসমাজের ভুমিকা |
ভুমিকা ::-
⚫- উনিশ শতকের ভারত তথা বাংলার সমাজের প্রচলিত কূ- সংস্কার দুর ও সমাজের বিভিন্ন দিক উন্নয়নের উদ্দেশ্য রাজা রামমোহন রায় প্রতিষ্ঠিত ব্রাহ্মসমাজের সমাজ সংস্কারে ভুমিকা হল-
⚫- 1, সতীদাহ প্রথা বিরোধী আন্দোলন ::-
-
- উনিশ শতকের বাংলা এবং তার সাথে ভারতের বেশ কিছু স্থানে এক ভয়ংকর কুপ্রথা চালু ছিল, যা ""সতীদাহ প্রথা বা সহমরন"" নামে পরিচিত। এই প্রথায় কোনো মহিলার স্বামী মারা গেলে তার স্ত্রীকেও স্বামীর মৃত দেহের সাথে জ্যন্ত চিতার আগুনে পুড়িয়ে মারা হত। এই মর্মান্তিক কুপ্রথা বন্ধ করা নিয়ে সমাজের কোনো উচ্চ ব্যক্তি বা সমাজ কখনোই কোনো কথা বা আন্দোলন বা প্রতিবাদ করেনি। কিন্তু রাজা রামমোহন যখন এই ভয়ংকর কুপ্রথা সম্পর্কে অবগত হন তখন তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান। কিন্তু সমাজে এমন ও মানুষ রুপি পশু ছিল যারা এই কথা বলতেন যে সতীদাহ প্রথার কথা নাকি হিন্দু শাস্ত্রে বলা আছে। তাই এটি বন্ধ করা পাপ হবে। কিন্তু রাজা রামমোহন সমস্ত হিন্দু শাস্ত্র ঘেটে ফেলেও কোথাও এই কথা দেখতে পাননি। এবং তিনি তার এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে তিনি সমাজের বেশ কিছু উচ্চ সম্মানিও ব্যক্তিদের সই সহ একটি আবেদন পএ 1829 খ্রিষ্টাব্দে লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং এর কাছে জমা দেন। এবং লর্ড উইলিয়াম বেন্টিং 1829 খ্রিষ্টাব্দের 4 ডিসেম্বর 17 নং রেগুলেশন জারি করে সতীদাহ প্রথা বন্ধ করেন।
⚫- সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট::-
-
- বাংলা এবং ভারতীয় সমাজে এই প্রথার চল ছিল যে খুব অল্প বয়সে মেয়েদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া।
- এবং এই প্রথার জন্য নারীদের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এই বেকার কুপ্রথার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মসমাজের নেতা কেশবচন্দ্র সেন তার অনুগামী সহ ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। এই আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকার 1872 খ্রিষ্টাব্দে " সিভিল ম্যারেজ অ্যাক্ট বা তিন আইন" পাস করে। এবং বাল্য বিবাহ বন্ধ করে।
⚫- নারীকল্যানে ভুমিকা ::-
-
- ভারতীয় নারীদের মধ্যে পর্দাপ্রথার বিলুপ্তি, বহুবিবাহ, বাল্যবিবাহের পাশাপাশি ব্রাহ্মসমাজ নারীদের শিক্ষার ক্ষেত্রও এগিয়ে আসে। এবং ব্রাহ্মসমাজ নারীদের শিক্ষার প্রসারে বিভিন্ন স্থানে ফিমেল স্কুল প্রতিষ্ঠা করে।।
⚫- সমাজসেবা::-
-
- সমাজসেবা ও জনহিতকর কাজের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী আর্দশের প্রতিষ্ঠা ছিল ব্রাহ্মসমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কেশবচন্দ্র সেন এবং ব্রাহ্মসমাজের অন্যান্য সদস্যরা বিভিন্ন মহামারি এবং দুর্ভিক্ষের সময় সেখানে এান পৌঁছে দিতেন। এবং এছাড়াও কৃষকদের সামান্যতম শিক্ষিত করতে বিভিন্ন জায়গায় নৌশ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল।
⚫-উপসংহার -::-
-
- 1828 খ্রিষ্টাব্দে রাজা রামমোহন রায় সমাজের উন্নয়ন করার উদ্দেশ্য ব্রাহ্ম সভা গঠন করেন। এবং এই ব্রাহ্মসভা বিভিন্ন সময়ে তাদের মত করে সমাজের উন্নয়ন করে যায়। ব্রাহ্ম সমাজের বিভাজন সম্পর্কে তাদের মধ্যে বিরোধ থাকলেও তারা ব্রাহ্মসমাজের মুল নীতি ; অর্থাৎ সমাজ কল্যান এবং সমাজসেবা থেকে দুরে সরে যায়নি। রাজা রামমোহন রায়ের ব্রাহ্ম সভা বা সমাজের এরুপ উদ্যোগের ফলেই সমাজের ভয়ংকর কিছু কুপ্রথা মুছে গিয়েছে।
9- উনিশ শতকে সমাজ সংস্কারে ইয়ংবেঙ্গল গোষ্ঠী ভূমিকা আলোচনা করো।
ভূমিকা : উনিশ শতকেএ তৎকালীন হিন্দু সমাজের তরুন অধ্যাপক হেরনি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও এবং তার কয়েকজন অনুগামী ছাত্রবৃন্দ হিন্দু সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন অন্ধ বিশ্বাস এবং কূপ্রথার বিরুদ্ধে যে নব্য সংস্কারপন্থী আন্দোলন তৈরি করেছিলেন, তা নব্য বঙ্গ আন্দোলন নামে পরিচিত।
নব্য বঙ্গ আন্দোলনের উদ্দেশ্য : ইয়ং বেঙ্গল বা নব্য বঙ্গ আন্দোলনকারীদের মুল উদ্দেশ্য ছিল, বাংলার হিন্দু সমাজে প্রচলিত বিভিন্ন প্রকার কুসংস্কার, কুপ্রথা এবং অন্ধবিশ্বাস গুলির বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন চালিয়ে সেগুলোজে সমাজ থেকে উপড়ে ফেলা। এবং সমাজের নব কারিগরদের মধ্যে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষা ও যুক্তিবাদের বিস্তার ঘটানো।
নববঙ্গ গোষ্ঠীর কার্যাবলী : ডিরোজিওর
এবং তার অনুগামী ছাত্রবৃন্দ হিন্দু সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার, কূপ্রথা এবং অন্ধবিশ্বাস গুলিত দূর করার জন্য তারা বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন। তারা বিভিন্ন পত্রপত্রিকা, সভাসমিতি এবং প্রতিষ্ঠান স্থাপন করে জনসমাজে আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার চিন্তাধারা এবং যুক্তিবাদ প্রচার করেছিলেন।
তারাই সর্বপ্রথম হিন্দু সমাজের বিভিন্ন কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস এবং কুপ্রথা গুলির বিরুদ্ধে সবার সামনে জনসমাজে এর বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
প্রভাব : হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও এবং তার অনুগামী ছাত্ররা হিন্দু সমাজের বিভিন্ন প্রকার অন্ধবিশ্বাস, জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতা কুপ্রথা ইত্যাদির বিরুদ্ধে তীব্র বিরোধিতা করেছিল। এর প্রভাবে অনেকেই তাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে গেছে যুক্তিবাদী এবং আধুনিক পাশ্চাত্য শিক্ষার চিন্তাধারায় উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন।
আন্দোলনের সমাপ্তি : ডিরোজিও এবং তার অনুগামীরা তীব্রভাবে তাদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া গেলেও, হেনরি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিওর মৃত্যুর পর এই আন্দোলন কিছুটা ঝিমিয়ে পড়ে। এবং আস্তে আস্তে এই দলের প্রধান কিছু সদস্যরা ডিরোজিওকে হারিয়ে তারা নিজেদের মতো নিজেদের জীবন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে, ধীরে ধীরে এই ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।
উপসংহার : হিন্দি লুই ভিভিয়ান ডিরোজিও এবং তার অনুগামী ছাত্রবৃন্দ দ্বারা পরিচালিত ইয়ং বেঙ্গল আন্দোলন সমাজের একটি বৃহৎ অংশকে প্রভাবিত করতে না পারলেও, তারাই সর্বপ্রথম হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস?কুপ্রথা জাতিভেদ প্রথা, অস্পৃশ্যতার মতো খারাপ দিকগুলো সম্পর্কে জনসমাজে তীব্র আলোচনা এবং এর বিরোধিতা করেছিল। এবং তাঁরাই সর্বপ্রথম উনিশ শতকের বাংলার সমাজে নতুন যুক্তিবাদী এবং পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করেছিল।
10 - উনিশ শতকে বাংলার নারী মুক্তি আন্দোলনে বামাবোধিনী পত্রিকার ভূমিকা লেখ
উওর : উনিশ শতকে বাংলার নারী শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে অন্যান্য পত্রপত্রিকা বিশেষ ভূমিকা পালন না করলেও, উমেশচন্দ্র দওের সম্পাদনায়
1863 খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত বামাবোধিনী পত্রিকা বাংলার শিক্ষা প্রসার এবং নারীদের মুক্তির ক্ষেত্রে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
যেমন -
উদ্যোগ : উনিশ শতকে বাংলার অন্যান্য কিছু আধুনিক চিন্তাশীল মানুষের মতো উমেশচন্দ্র দত্ত ও এটা বুঝতে পেরেছিলেন,যে নারীদের মুক্তির ক্ষেত্রে বা তাদের উন্নতির ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে শিক্ষার প্রসার প্রয়োজন। এবং শিক্ষাই পারে তাদের বিভিন্ন অধিকার সম্পর্কে অবগত এবং সচেতন করে তুলতে। উমেশচন্দ্র দও তার পত্রিকার মাধ্যমে নারীদের সম্পর্কে বিভিন্ন শিক্ষামূলক লেখা প্রকাশ করার জন্য তিনি 1861 খ্রিস্টাব্দে বামাবোধিনী সভা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে তিনি বামাবোধিনী পত্রিকা প্রকাশ করেন।
নারী মুক্তি আন্দোলনে বামাবোধিনী পত্রিকার ভূমিকা :
• নারীদের বিভিন্ন অধিকার সম্পর্কে লেখা প্রকাশ : উমেশচন্দ্র দত্ত তাঁর বামাবোধিনী পত্রিকার মাধ্যমে তিনি নারীদের বিভিন্ন অধিকার গুলি সম্পর্কে লেখা প্রকাশ করতেন। যার মাধ্যমে নারীরা সমাজে তাদের বিভিন্ন রকম অধিকার গুলি সম্পর্কে অবগত এবং সচেতন হতেন।
• সামাজিক কুসংস্কার বিরোধী লেখা প্রকাশ : বাংলার সমাজে সবসময়ই বিভিন্ন কুসংস্থার, কুপ্রথা বা অন্ধ বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নারীরাই এই সমস্ত কুপ্রথা কুসংস্কার ও অন্ধ বিশ্বাসের শিকার হতেন। বামাবোধিনী পত্রিকার সমস্ত কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস এবং কুপ্রথার বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশ করে নারীদের অন্ধ বিশ্বাস, বিভিন্ন কুপ্রথা এবং কুসংস্কার মুক্ত হওয়ার শিক্ষা দিয়েছিল।
• ঘরোয়া শিক্ষা : এই পত্রিকায় নারীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশ করা হতো। যেমন বিজ্ঞান, সাহিত্য,ইতিহাস,ভূগোল দর্শন, রাজনীতি ইত্যাদি। যার ফলে বহু নারীরা ঘরে থেকেই বিভিন্ন রকম শিক্ষালাভ করতে পারত।
• সামাজিক মর্যাদা সম্পর্কে লেখা প্রকাশ : সমাজে নারী-পুরুষের সমান অধিকারের বিষয় নিয়ে এই পত্রিকা লেখা প্রকাশ করেছিল। যার মাধ্যমে নারীনা, সমাজে তাদের সমান অধিকার বুঝে নিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন।
• এছাড়াও এই পত্রিকায় নিজের লেখা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।। যার মাধ্যমে বহু নারীরা তাদের বিভিন্ন ধরনের লেখা এই পত্রিকায় প্রকাশ করতে পারতেন।