মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন -: বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন-উত্তর সহকারে

1

 

বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর| ক্লাস টেন ইতিহাস প্রশ্ন উওর 


বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উওর
বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উওর




আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য- " বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা" - অধ্যায় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ 2 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর দেয়া হলো।। এর আগের পোস্টে -" বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা" - অধ্যায় থেকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর দেওয়া হয়েছিল!  যদি আপনি সেই প্রশ্ন উওর এর পোস্টটি না দেখে থাকেন তাহলে এই পোষ্টের নিচে একটি লিঙ্ক দেখতে পারবেন,আপনি সেই লিঙ্কে ক্লিক করে সেই পোষ্টটি দেখে নিতে পারেন।। আজকের এই পোস্টে -"  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা " -অধ্যায়ের দু'নম্বর এর কিছু প্রশ্ন এবং উত্তর দেওয়া হবে, পরবর্তীকালে বাকি বড় প্রশ্নের উত্তর গুলো দেয়া হবে।।




⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫


বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ প্রশ্ন উওর | বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর | মাধ্যমিক ইতিহাস পঞ্চম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর| ক্লাস টেন ইতিহাস প্রশ্ন উওর



বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর
বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর



1- কাকে? এবং কেন বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়??

✅ উ- চার্লস উইলকিনস কে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়।।
  , চার্লস উইলকিন্স 1778 খ্রিস্টাব্দে হুগলির চুঁচুড়ায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন।। এবং এখানেই তিনি পঞ্চানন কর্মকার এর সহযোগিতায় বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই করেন এবং অক্ষর ঢালাই এর কাজ শুরু করেন।। চার্লস উইলকিন্স পঞ্চানন কর্মকারের সাহায্য - তৈরি করা বাংলা মুদ্রাক্ষরের সাহায্যে ব্রাসি হ্যালহেডের - - "এ গ্রামার অফ বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ বইটি প্রকাশ করেন।। এবং এভাবে চার্লস উইলকিন্স এর হাত ধরে বাংলা ভাষায় বই ছাপা শুরু হওয়ার জন্য তাকে বাংলার গুটেনবার্গ বলা হয়।



2- চার্লস উইলকিন্স বিখ্যাত কেন??

-
- উত্তর : বাংলার গুটেনবার্গ নামে পরিচিত চার্লস উইলকিন্স বিখ্যাত হওয়ার কারণ হলো -
- তিনি ছিলেন একজন প্রাচ্যবাদী পন্ডিত।। এছাড়াও তিনি ছিলেন একজন টাইপোগ্রাফার।। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কর্মকর্তা - চার্লস উইলকিন্স 1778 খ্রিস্টাব্দে হুগলির চুঁচুড়ায় একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন।। এবং এখানেই তিনি পঞ্চানন কর্মকার এর সহযোগিতায় বাংলা মুদ্রাক্ষর খোদাই করেন এবং অক্ষর ঢালাই এর কাজ শুরু করেন।। চার্লস উইলকিন্সের, পঞ্চানন কর্মকারের সাহায্য - তৈরি করা বাংলা মুদ্রাক্ষরের সাহায্যে ব্রাসি হ্যালহেডের - - "এ গ্রামার অফ বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ বইটি প্রকাশ করেন।। এবং এভাবে চার্লস উইলকিন্স এর হাত ধরেই বাংলা ভাষায় বই ছাপা শুরু হয়।।




3- বাংলার ছাপাখানার বিকাশে পঞ্চানন কর্মকার এর ভূমিকা কী ছিল??

উ - 1778 খ্রিস্টাব্দে যখন চার্লস উইলকিন্স , যখন ব্র্যাসি হ্যালহেডের লেখা এ গ্রামার অফ বেঙ্গল ল্যাঙ্গুয়েজ বইটি মুদ্রণ করতে চেয়ে ছিলেন, তখন চার্লস উইলকিন্সের বাংলা মুদ্রাক্ষর তৈরীর সময়, হুগলী নিবাসী মুদ্রাক্ষর শিল্পী - "পঞ্চানন কর্মকার"- তাকে বিশেষভাবে সাহায্য করেছিলেন।।
পরবর্তীকালে পঞ্চানন কর্মকার এর তৈরি মুদ্রাক্ষর 1793 খ্রিস্টাব্দে - "কর্নওয়ালিস কোড " - এর বাংলা সংস্করণেও ব্যবহৃত হয়েছিল।।
পঞ্চানন কর্মকার ছিলেন একজন মুদ্রাক্ষর শিল্পী! তিনি   1803 খ্রিষ্টাব্দে  সর্বপ্রথম দেবনাগরী ভাষার হরফ তৈরি করেছিলেন।। পঞ্চানন কর্মকার 1799 খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন প্রেসে মুদ্রাক্ষর বানানোর শিল্পী হিসেবে কাজ করতে শুরু করেছিলেন।। এবং কিছুকালের মধ্যেই তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে এটি হয়ে দাঁড়িয়েছিল এশিয়ার বৃহত্তম অক্ষর তৈরীর কারখানা।।।



4- শ্রীরামপুর ত্রয়ী বিখ্যাত কেন???

- অথবা,

-কাদের শ্রীরামপুর ত্রয়ী বলা হয়??

-

উ- শ্রীরামপুর এয়ী হলেন শ্রীরামপুর মিশনের উইলিয়াম কেরি,জোশুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড।। এদের তিনজনকে একত্রে - "শ্রীরামপুর ত্রয়ী " - বলা হয়।।। 


শ্রীরামপুর এয়ীর বিখ্যাত হওয়ার কারণ হলো- 


- শ্রীরামপুর এয়ীর উদ্যোগেই আঠারোশো (1800) খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর মিশন নামে একটি প্রেস প্রতিষ্ঠিত করা হয় এবং বাংলায় মুদ্রণ শিল্পের বিকাশ ঘটে।।  শ্রীরামপুর ত্রয়ীর উদ্যোগে বাংলায় স্কুল পাঠ্য বই সাধারণ মানুষের হাতে খুব কম দামে পৌঁছে দেওয়া হতো।। স্কুল পাঠ্য বই ছাপিয়ে কম খরচে বিনামূল্যে ছাত্রের হাতে তুলে দেওয়া হত। 
- এছাড়াও শ্রীরামপুর এয়ীরা বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার বিকাশে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিল।। শ্রীরামপুর এয়ীর উদ্যোগে বাংলায় প্রায় 126 টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছিল।। এবং সেখানে প্রায় 10 হাজার শিক্ষার্থীরা পাশ্চাত্য শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছিল।।


নিচে দেওয়া লিঙ্ক গুলোর ওপর ক্লিক করে বিভিন্ন অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন গুলো দেখে নিতে পারেন। 👇


1- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর 


2- ইতিহাসের ধারণা অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের প্রশ্ন ও উওর 


3-  সংস্কার :  বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর 


3.I - সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর | সংস্কার ব‍ৈশিষ্ট‍্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের ২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর 


4- প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর ও সাজেশিন 


5-প্রতিরোধ ও বিদ্রোহ, বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উওর | ২ নম্বরের সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন উওর 


6- সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা প্রশ্ন উওর ও সাজেশন 


7-  সংঘবদ্ধতার গোড়ার কথা - মাধ্যমিক গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন || 2 Mark এর সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তার উওর সহকারে।।


8- বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ ( উনিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে বিশ শতকের প্রথমভাগ পযর্ন্ত  ) - বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায়ের প্রশ্ন উওর + মাধ্যমিক সাজেশন।।


9-  বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ অধ্যায়ের সমস্ত 2 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উওর 


5- ছাপা বইয়ের সঙ্গে শিক্ষা বিস্তারের সম্পর্ক কী??

- অথবা,

-  ছাপা বই শিক্ষার প্রসারে কি ভূমিকা নিয়েছিল??

উ - ছাপা বইয়ের আগে শিক্ষালাভ এতটাও সহজ ছিল না!! কারণ তখন শিক্ষালাভ করতে হলে হয়তো হাতে লেখা পুথি বা মুখস্থবিদ্যার সাহায্য নিতে হতো!! যা সবার পক্ষে সম্ভব ছিল না। কারণ হাতে লেখা পুঁথি গুলো খুবই দামি হত! যেগুলো হয়তো শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরাই পড়ার সুযোগ পেত।। কিন্তু ছাপা বই বেরোনোর পরে সেই হাতে লেখা পুথি এবং মুখস্থবিদ্যার সমস্ত জ্ঞান বিভিন্ন বই পএের মাধ্যমে সবার মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। যার ফলে খুব সহজে এবং খুব কম দামে সাধারন থেকে সাধারন ঘরের ছেলেমেয়েদের জন্যেও শিক্ষালাভের দরজা খুলে যায়।।। যার ফলে শিক্ষা শুধুমাত্র উচ্চবিত্তদের মধ্যে থেমে না থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ছড়িয়ে পরে।। এবং এভাবেই ছাপা বই শিক্ষা বিস্তারে এক বিরাট ভুমিকা পালন করে যায়।।



-7- সংস্কৃত যন্ত্র কী??

-
- উ- সংস্কৃত যন্ত্র হলো একটি ছাপাখানা!
- যা 1847 খ্রিস্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং মদনমোহন তর্কালঙ্কার যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।। প্রথমদিকে মদনমোহন তর্কালঙ্কার এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এটি যৌথ উদ্যোগে শুরু করলেও,পরবর্তীকালে মদনমোহন তর্কালঙ্কার কোনো একটি কারণে এই ছাপাখানা থেকে বেরিয়ে আসেন।। যার জন্য এই ছাপাখানা সমস্ত দায়িত্ব চলে যায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের হাতে।।। এবং ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর  এই ছাপাখানা দায়িত্ব নিজে একার হাতে পাওয়ার পর তিনি এখান থেকে বিভিন্ন শিক্ষামূলক গ্রন্থ, এই পাঠ্যপুস্তিকা প্রকাশ করতে  থাকেন।। এবং এভাবেই ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যাবনিক নামে পরিচিত হন।।




8- ইউ.এন.রায় এন্ড সন্স কী??

-
- উ - ছাপাখানা জগতের একজন বিখ্যাত ব্যক্তি-  " উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী " - 1885 খ্রিস্টাব্দে তার নিজ উদ্যোগে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন- যা পরবর্তীকালে  - (U.N.Ray And Sons) -" ইউ.এন.রায় এন্ড সন্স নামে পরিচিত হয়।। 
- উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর এই ছাপাখানা থেকে বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে হাফটোন ব্লকে ছাপা হতো।। এছাড়াও 3- 4  রকম রং ব্যবহার করে ছোট- বড়ো সবার জন্য বিভিন্ন মজার রঙিন বই এবং ছবি প্রকাশ করা হতো।।।। এই ছাপাখানার আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো এই ছাপাখানা থেকেই উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছোটদের বিখ্যাত একটি পত্রিকা- "সন্দেশ " এখান থেকে প্রকাশ করতেন।।।





9- ছাপাখানা জগতে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী বিখ্যাত কেন??

-
-  উ-  বিখ্যাত শিশুসাহিত্যিক এবং চিত্রকর উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী ছাপাখানার জগতের বিখ্যাত এজন্যই -
-  যোগীন্দ্রনাথ সরকারের সিটি বুক সোসাইটি থেকে প্রকাশিত উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর প্রথম বই - "ছেলেদের রামায়ণ" - এর প্রকাশনা তার পছন্দ না হওয়ায়, তিনি নিজ উদ্যোগেই 1885 খ্রিষ্টাব্দে একটি ছাপাখানা প্রতিষ্ঠা করেন।। যা পরবর্তীকালে ইউ এন রায় এন্ড সন্স নামে পরিচিত হয়।।
-  উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী তার এই ছাপাখানায় বিভিন্ন আধুনিক পদ্ধতি এবং যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম ব্যবহার করে - প্রথম ছোটদের জন্য রঙিন ছবি এবং মজার মজার নতুন রঙিন বই প্রকাশ করতে শুরু করেন।। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী তার ছাপাখানা থেকেই - "সন্দেশ " -নামক একটি পত্রিকা প্রকাশ করতে শুরু করেন...  যার জন্য তিনি খুব অল্পদিনের মধ্যে ছোট বড়ো সবার মধ্যেই খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।।



10- উনিশ শতকে -  বিজ্ঞান শিক্ষার বিজ্ঞানের - "ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স " এর ভূমিকা কি ছিল??

উ- ভারতের বিখ্যাত হোমিওপ্যাথির চিকিৎসক, ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার দ্বারা 1876 খ্রিষ্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত - " ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স " -এর বিজ্ঞান শিক্ষার বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাগুলি ছিল -.


প্রথমত- ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স ছিল ভারতের প্রথম বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান, যেখানে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা, স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণা করার সুযোগ পেতেন।। 


দ্বিতীয়তঃ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স নামক এই প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান চর্চার পাশাপাশি বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়- যেমন -  পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বিদ্যা, প্রাণিবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, গণিত প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হতো!! এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবং বিজ্ঞান প্রেমি মানুষদের মধ্যে বিজ্ঞান বিষয়ে ওকাহিবহল করা হতো।।


তৃতীয়তঃ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স এর নিজস্ব পত্রিকা - "ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফিজিক্স, - সহ  দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এখানকার বিজ্ঞানীদের গবেষণার কাজ প্রকাশিত হতো! যার মাধ্যমে এখানকার গবেষণার কাজ দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে পড়তো। যার ফলে বিজ্ঞান প্রেমি মানুষ এবং অন্যান্য মানুষের কাছে  এটি একটি আকর্ষণীয় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল।। ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স এর মধ্যে যারা কাজ করেছেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন- জগদীশচন্দ্র বসু,চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামান,  উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী প্রমুখ।।



11- ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার বিখ্যাত কেন??

-  অথবা,

-  ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার কে ছিলেন??

উ- ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার বিখ্যাত হওয়ার কারণ হলো - ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার ছিলেন ভারতের দ্বিতীয় এমডি।। এবং ভারতের একজন  বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।।
দ্বিতীয়তঃ ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার উনিশ শতকে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় মৌলিক গবেষণা করার জন্য, তার  নিজের উদ্যোগে এবং ফাদার ইউজিন  লাঁফোর তাদের সহায়তায় -, 1876 খ্রিষ্টাব্দে "ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালটিভেশন অফ সায়েন্স" - নামক একটি বিশুদ্ধ বিজ্ঞান গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করেন।।। এবং এরপর থেকেই ডক্টর মহেন্দ্রলাল সরকার বিজ্ঞান চর্চার পথিকৃত নামে পরিচিত হন।।




12- " বসু বিজ্ঞান মন্দির " -প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল??

- 1917 খ্রিষ্টাব্দের 30 - নভেম্বর, স্যার জগদীশচন্দ্র বসুর উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত- " বসু বিজ্ঞান মন্দির " - প্রতিষ্ঠার প্রধান উদ্দেশ্য গুলি ছিল -
- জগদীশচন্দ্র বসু বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করে তিনি বিজ্ঞান চর্চার বিষয় এবং অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। এর ফলে তার মনে দেশে একটি আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্র গড়ে তোলার স্বপ্ন জেগে ওঠে।। প্রেসিডেন্সি কলেজে বিজ্ঞানের গবেষণাগুলি করার সময় তাকে যে বিভিন্ন সরকারি বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছিল! পরবর্তীকালে যাতে তাকে আর সেই বাধা-বিপত্তি গুলির সম্মুখীন না হতে হয়!!   সেজন্য জগদীশচন্দ্র বসু - একটি সম্পূর্ণ আধুনিক বিজ্ঞান গবেষণাগার গড়ে তোলেন।। যেখানে বতর্মানে তিনি, এবং পরবর্তীকালে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীরা, সম্পূর্ণ আধুনিক পদ্ধতিতে এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনতার সাথে বিজ্ঞানের বিভিন্ন গবেষণা গুলি করতে পারবে।।



13- জগদীশচন্দ্র বসুর - " বসু বিজ্ঞান মন্দির "-এ কোন কোন বিষয়ে গবেষণা করা হত???


উ - 1917 খ্রিস্টাব্দের 30 শে নভেম্বর জগদীশচন্দ্র বসুর উদ্যোগে বা জগদীশচন্দ্র বসু কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত - "বসু বিজ্ঞান মন্দির " - এ প্রথম দিকে জগদীশচন্দ্র বসু - পদার্থবিদ্যা, রসায়ন বিদ্যা,উদ্ভিদবিদ্যা মাইক্রোবায়োলজি, বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স পরিবেশ বিজ্ঞান প্রভৃতি বিষয় নিয়ে গবেষণা করতেন।। জগদীশচন্দ্র বসু পরবর্তীকালে তার বসু বিজ্ঞান মন্দিরের আরো উন্নত এবং আধুনিক পদ্ধতিতে এসব বিষয় নিয়ে গবেষণা করেছিলেন।  জগদীশচন্দ্র বসু তার বসু বিজ্ঞান মন্দিরেই গবেষণা করে - "কেস্কোগ্রাফ " -  যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছিলেন।। যার মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে উদ্ভিদের প্রাণ আছে।।



14- বাংলার মুদ্রনের ইতিহাসে বটতলা প্রকাশনার গুরুত্ব কী??

-  উ-
-   কলকাতার - জোড়াসাঁকো, চোরবাগান, দর্জিপাড়া প্রভৃতি স্থানে, 1840 - 1870 খ্রিষ্টাব্দ সময়কালের মধ্যে যেসব প্রকাশনা চলতো, সেগুলো বটতলার প্রকাশনা নামে পরিচিত।। বটতলার প্রকাশনা থেকে বিভিন্ন ধরনের সস্তার বই ছাপানো হতো।। যার জন্য জনসাধারণের হাতে খুব অল্প দামেই নানা ধরনের বই চলে আসতো।। এবং তারা অল্প খরচেই তাদের জ্ঞান, রোমাঞ্চের পিপাসা মেটাতে পারতো।।।।




15- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কি ছিল??
-

উ- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনে করতেন চার দেয়ালের বদ্ধ পরিবেশের মধ্যে কখনোই প্রকৃত শিক্ষা লাভ সম্ভব নয়!! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মতে শিক্ষা হলো বাইরের প্রকৃতি ও অন্ত প্রকৃতির মধ্যে সমন্বয়সাধনের মাধ্যমে নিজেকে জাতির উপযোগী দক্ষ ও কল্যাণকামী সদস্য হিসেবে গড়ে তোলার নামই হলো শিক্ষা।। 
এবং শিক্ষার্থীদের এরুপ শিক্ষাদানের উদ্দেশ্যেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 1901 খ্রিষ্টাব্দে ব্রহ্মবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।। 
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য  ছিল - প্রথম -
এরূপ আবাসিক ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে প্রাচীন ভারতের ব্রহ্মচর্যাশ্রম এর গুরু-শিষ্য সম্পর্ককে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে।।
দ্বিতীয়তঃ প্রকৃতি মানুষ ও শিক্ষার মধ্যে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করে এক নতুন ধরনের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে করাই ছিল রবীনাথ ঠাকুরের ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য।।




16- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কেন???

- অথবা,

-  বিশ্বভারতী  প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য কী??


- উ-  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মনে করতেন যে ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত শিক্ষালাভ হয়না।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন যে - "মানুষের অভ্যন্তরের মানুষটিকে পরিচর্যা করে খাঁটি মানুষ বানানোর প্রচেষ্টাই হলো শিক্ষা "-!! এবং শিক্ষার্থীদের এরুপ শিক্ষাদানের  উদ্দেশ্য নিয়েই রবীনাথ ঠাকুর 1921 খ্রিস্টাব্দে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন।। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশ্বভারতীতে শিক্ষার্থীদের অর্থশাস্ত্র,কৃষিতত্ত্ব প্রভৃতি বিষয়ে ব্যবহারিক বিদ্যাশিক্ষাদান ও বিশ্বভারতীর চতুর্দিকে তার প্রয়োগের ব্যবস্থাও করা হয়।। ভারতসহ প্রাচ্যের আদর্শ বাণীকে বিশ্বে তুলে ধরে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের মিলন ঘটানো এবং বিশ্বভারতীকে  বিশ্বমানবতার মিলন ক্ষেত্রে পরিণত করাই ছিল এর মুল উদ্দেশ্য।।




17- শ্রীনিকেতন কি উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল??

-
1941 খ্রিস্টাব্দে সরকারি সহযোগিতায় এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত -: "শ্রীনিকেতন" - প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল-  কৃষির উন্নতি,  গ্রামের মানুষকে স্বনির্ভর করে তোলা,  পশুপালন,কুটির শিল্প ব্যবস্থা চালু করা, সমবায় স্বাস্থ্য,সাধারণ মানুষের মধ্যে শিক্ষা  প্রকৃতি কর্মসূচি চালু করা।।। এবং এসব জিনিস এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সার্বিক উন্নয়ন সাধন করাই ছিল শ্রীনিকেতন প্রতিষ্ঠা করার মূল উদ্দেশ্য।।

⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫⚫


বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ - এর প্রশ্ন উওর এবং সাজেশন 👇


বিকল্প চিন্তা ও উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন ও উওর 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
To Top